সিরাতুন নবী (সাঃ)- ৭৭ || উহুদ যুদ্ধঃ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ এবং রাসুলের (সাঃ) ঘাঁটির পরিস্থিতি





উহুদ যুদ্ধঃ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ এবং রাসুলের (সাঃ) ঘাঁটির পরিস্থিতি

সিরাতুন নবী (সাঃ)- ৭৭, উহুদ যুদ্ধের পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

উহুদে মুশরিক উবাই ইবনু খালফের হত্যা

ইবনু ইসহাক্ব বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ঘাঁটিতে পৌঁছে যান তখন উবাই ইবনু খালফ এগিয়ে গিয়ে বলে, ‘মুহাম্মাদ (ﷺ) কোথায়? হয় আমি থাকব, না হয় সে থাকবে।’ তার এ কথা শুনে সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাদের মধ্য হতে কেউ তাঁর উপর আক্রমণ করব কি?’ উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘তাকে আসতে দাও।’ সে নিকটবর্তী হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হারিস ইবনু সম্মাহ (রাঃ)-এর নিকট হতে একটি ক্ষুদ্র বর্শা চেয়ে নিয়ে নাড়া দেন। তিনি ওটা নাড়া দেয়া মাত্রই জনগণ এমনভাবে এদিকে ওদিক সরে পড়ে যেমনভাবে উট তার শরীর নাড়া দিলে মাছিগুলো উড়ে যায়। এরপর তিনি তাঁর মুখোমুখী হন এবং শিরস্ত্রাণ ও বর্মের মধ্যস্থলে গলার পার্শ্বে সামান্য জায়গা খোলা দেখে ওটাকেই লক্ষ্য করে এমনভাবে বর্শার আঘাত করেন যে, সে ঘোড়া হতে গড়িয়ে পড়ে যায়। তার ঘাড়ে খুব বড় একটা আঁচড় ছিল না, রক্ত বন্ধ ছিল, এমতাবস্থায় সে কুরাইশদের নিকট পৌঁছে বলে, ‘মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাকে হত্যা করে ফেলেছে।’ জনগণ তাকে বলে, ‘আল্লাহর কসম! তোমার মন দমে গেছে, নচেৎ তোমাকে আঘাত তো তেমন লাগে নি, তথাপি তুমি এত ছটফট করছো কেন?’ উত্তরে সে বলে, ‘সে মক্কায় আমাকে বলেছিল, আমি তোমাকে হত্যা করব।[১] এ জন্য, আল্লাহর কসম! যদি সে আমাকে থুথু দিত তা হলেও আমার জীবন শেষ হয়ে যেত।’ অবশেষে এ শত্রু মক্কা ফিরবার পথে ‘সারফ’ নামক স্থানে পৌঁছে মৃত্যু বরণ করে।[২] আবুল আসওয়াদ (রাঃ) উরওয়া (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, সে বলদের মতো আওয়ায বের করত এবং বলত, ‘যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! যে কষ্ট আমি পাচ্ছি, যদি যিল মাজাযের সমস্ত অধিবাসী ঐ কষ্ট পেত তবে তারা সবাই মরে যেত।’[৩]


ত্বালহাহ (রাঃ) নবী (সাঃ)-কে কাঁধে উঠিয়ে নেন

পাহাড়ের দিকে নবী (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তনের পথে একটি টিলা পড়ে যায়। তিনি ওর উপর আরোহণের চেষ্টা করলেন বটে, কিন্তু সক্ষম হলেন না। কেননা, একে তো তাঁর দেহ ভারী হয়েছিল, দ্বিতীয়ত, তিনি দুটি বর্ম পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তাছাড়া, তিনি কঠিনভাবে আঘাত প্রাপ্তও হয়েছিলেন। সুতরাং ত্বালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) নীচে বসে পড়েন এবং তাঁকে সওয়ার করিয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। এভাবে তিনি টিলার উপর পৌঁছে বলেন,‏‏(‏أوْجَبَ طلحةُ‏)‏ ‘ত্বালহাহ (জান্নাত) ওয়াজিব করে নিয়েছে।’[৪]

উহুদে মুশরিকদের শেষ আক্রমণ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ঘাঁটির মধ্যে স্বীয় অবস্থানস্থলে পৌঁছে যান তখন মুশরিকরা মুসলিমগণকে ঘায়েল করার শেষ চেষ্টা করে। ইবনু ইসহাক্বের বর্ণনায় রয়েছে যে, যে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘাঁটির মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন ঐ সময় আবূ সুফইয়ান ও খালিদ ইবনু ওয়ালীদের নেতৃত্বে মুশরিকদের একটি দল পাহাড়ের উপর উঠে পড়ে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ সময় দু‘আ করেন,

‏(‏اللهم إِنَّهُ لَا يَنْبَغِيْ لَهُمْ أَنْ يَعْلُوْنَا‏)‏

‘হে আল্লাহ! এরা যেন আমাদের হতে উপরে যেতে না পারে।’ অতঃপর উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এবং মুহাজিরদের একটি দল যুদ্ধ করে তাদেরকে পাহাড়ের উপর হতে নীচে নামিয়ে দেন।[৫]

মাগাযী উমভীর বর্ণনায় রয়েছে যে, মুশরিকরা পাহাড়ের উপর চড়ে বসলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সা‘দ (রাঃ)-কে বলেন,‏(‏اجْنُبْهُمْ‏)‏ ‘তাদের উদ্যম নষ্ট করে দাও অর্থাৎ তাদেরকে পিছনে সরিয়ে দাও।’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি একাই কিভাবে তাদের উদ্যম নষ্ট করব?’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিন বার এ কথারই পুনারাবৃত্তি করেন। অবশেষে সা‘দ (রাঃ) স্বীয় তূণ হতে একটি তীর বের করেন এবং একটি লোকের উপর নিক্ষেপ করেন। লোকটি সেখানেই মৃত্যুবরণ করে। সা‘দ (রাঃ) বলেন, ‘পুনরায় আমি আমার তীর গ্রহণ করি। আমি ওটা চিনতাম। ওটা দ্বারা দ্বিতীয় এক ব্যক্তিকে মারলাম। সেও মারা গেল। তারপর আমি আবার ঐ তীর গ্রহণ করলাম এবং তৃতীয় ব্যক্তিকে মারলাম। তাঁরও প্রাণ নির্গত হয়ে গেল। অতঃপর মুশরিকরা নীচে নেমে গেল। আমি বললাম যে এটা বরকতপূর্ণ তীর। তার পর আমি ঐ তীর আমার তূণের মধ্যে রেখে দিলাম।’ এ তীর সারা জীবন সা‘দ (রাঃ)-এর কাছেই থাকে এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সন্তানদের নিকট থাকে। [৬]


শহীদগণের মুসলা অর্থাৎ নাক, কান ইত্যাদি কর্তন

এটা ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিরুদ্ধে শেষ আক্রমণ। যেহেতু মুশরিকদের রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরিণাম সম্পর্কে সঠিক অবগতি ছিল না, বরং তাঁর শাহাদত সম্পর্কে তাদের প্রায় দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে ছিল, সেহেতু তারা তাদের শিবিরের দিকে ফিরে গিয়ে মক্কা ফিরে যাবার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করে। মুশরিকদের কিছু সংখ্যক নারী-পুরুষ মুসলিম শহীদের মুসলায় (নাক, কান ইত্যাদি কাটায়) লিপ্ত হয়ে পড়ে। হিন্দ বিনতু ‘উতবাহ হামযাহ (রাঃ)-এর কলিজা ফেড়ে দেয় এবং তা মুখে নিয়ে চিবাতে থাকে। সে ওটা গিলে নেয়ার ইচ্ছা করে। কিন্তু গিলতে না পেরে থুথু করে ফেলে দেয়। সে কাটা কান ও নাকের তোড়া ও হার বানিয়ে নেয়।[৭]


শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করার জন্যে মুসলিমগণের তৎপরতা

অতঃপর এ শেষ সময়ে এমন দুটি ঘটনা সংঘটিত হয় যার দ্বারা এটা অনুমান করা মোটেই কঠিন নয় যে, ইসলামের এ বীর মুজাহিদেরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করার জন্যে কেমন প্রস্তুত ছিলেন এবং আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গ করার জন্য কত আকাঙ্ক্ষিত ছিলেন।

কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, ‘আমি ঐ মুসলিমগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম যাঁরা ঘাঁটি হতে বাইরে এসেছিলেন। আমি দেখি যে, মুশরিকদের হাতে মুসলিম শহীদের নাক, কান ইত্যাদি কাটা হচ্ছে। এ দেখে আমি থমকে দাঁড়ালাম। তারপর সামনে এগিয়ে দেখি যে, একজন মুশরিক, যে ভারী বর্ম পরিহিত ছিল, শহীদদের মাঝ হতে গমন করছে এবং বলতে বলতে যাচ্ছে, ‘কাটা বকরীদের নরম হাড়ের মতো ঢেরী লেগে গেছে।’ আরো দেখি যে, একজন মুসলিম তার পথে ওঁৎ পেতে রয়েছেন। তিনিও বর্ম পরিহিত ছিলেন। আমি আরো কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে তাঁর পিছনে রয়ে গেলাম। তারপর দাঁড়িয়ে গিয়ে মুসলিম ও কাফিরটিকে চোখের দৃষ্টিতে ওজন করতে লাগলাম।

এমনিভাবে যতটুকু প্রত্যক্ষ করলাম তাতে ধারণা হল যে, মুশরিকটি দেহের বাঁধন ও সাজসরঞ্জাম উভয় দিক দিয়েই মুসলিমটির উপরে রয়েছে। এ পর্যায়ে আমি দুজনের পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে উভয়ের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গেল এবং মুসলিমটি মুশরিকটিকে তরবারীর এমন আঘাত করলেন যে, ওটা তার পা পর্যন্ত কেটে চলে গেল। মুশরিক দু’টুকরা হয়ে পড়ে গেল। তারপর মুসলিমটি নিজের চেহারা খুলে দিলেন এবং বললেন, ‘ভাই কা‘ব (রাঃ)! কেমন হল? আমি আবূ দুজানাহ (রাঃ)।’[৮]
যুদ্ধ শেষে কিছু মুসলিম মহিলা জিহাদের ময়দানে পৌঁছেন। আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, ‘আমি ‘আয়িশাহ বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) এবং উম্মু সুলায়েম (রাঃ)-কে দেখি যে, তাঁরা পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত কাপড় উঠিয়ে নিয়ে পিঠের উপর পানির মশক বহন করে আনছেন এবং পানি বের করে কওমের (আহতদের) মুখে দিচ্ছেন।’[৯] উমার (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, ‘উহুদের দিন উম্মু সালীত্ব (রাঃ) আমাদের জন্যে মশক ভরে ভরে পানি আনছিলেন।’[১০]

এ মহিলাদের মধ্যে একজন উম্মু আয়মানও (রাঃ) ছিলেন। তিনি পরাজিত মুসলিমগণকে যখন দেখলেন যে, তাঁরা মদীনায় ঢুকে পড়তে চাচ্ছেন তখন তিনি তাদের চেহারায় মাটি নিক্ষেপ করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, ‘তোমরা এ সূতা কাটার ফিরকী গ্রহণ কর এবং আমাদেরকে তরবারী দিয়ে দাও।’[১১] এরপর তিনি দ্রুতগতি যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছেন এবং আহতদেরকে পানি পান করাতে শুরু করেন। তাঁর উপর হিববান ইবনু অরকা তীর চালিয়ে দেয়। তিনি পড়ে যান এবং তিনি বিবস্ত্র হয়ে যান, এ দেখে আল্লাহর শত্রু হো হো করে হেসে ওঠে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এটা খুব কঠিন ঠেকে এবং তিনি সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)-কে একটি পালকবিহীন তীর দিয়ে বলেন, ‏(اِرْمِ بِهِ‏)‏ ‘এটা চালাও।’ সা‘দ (রাঃ) ওটা চালিয়ে দিলে ওটা হিব্বানের গলায় লেগে যায় এবং সে চিৎ হয়ে পড়ে যায় ও সে বিবস্ত্র হয়ে যায়। এ দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন হাসেন যে, তাঁর দাঁত দেখা যায় এবং তিনি বলেন,

‏‏‏‏(‏اِسْتِقَادَ لَهَا سَعْدٌ، أَجَابَ اللهُ دَعْوَتَهُ‏)‏

‘সা‘দ (রাঃ) উম্মু আয়মান (রাঃ)-এর বদলা নিয়ে ফেলেছে। আল্লাহ তাঁর দুআ কবুল করুন।’[১২]


উহুদের যুদ্ধ শেষে ঘাঁটিতে স্থিতিশীলতার পর

যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘাঁটির মধ্যে স্বীয় অবস্থানস্থলে কিছুটা স্থিতিশীল হন তখন আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) ‘মিহরাস’ হতে স্বীয় ঢালে করে পানি ভরে আনেন। সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে, ‘মিহরাস’ পাথরের তৈরি ঐ গর্তকে বলা হয় যার মধ্যে বেশী পানি আসতে পারে। আবার এ কথাও বলা হয়ে থাকে যে, ‘মিহরাস’ উহুদের একটি ঝর্ণার নাম। যা হোক, আলী (রাঃ) ঐ পানি নবী (ﷺ)-এর খিদমতে পান করার জন্য পেশ করেন। নবী (ﷺ) কিছুটা অপছন্দনীয় গন্ধ অনুভব করেন। সুতরাং তিনি ঐ পানি পান করলেন না বটে, তবে তা দ্বারা চেহারার রক্ত ধুয়ে ফেললেন এবং মাথায়ও দিলেন। ঐ সময় তিনি বলছিলেন,
‏(‏اِشْتَدَّ غَضَبُ اللهِ عَلٰى مَنْ دَمَّى وَجْهَ نَبِيِّهِ‏)‏

‘ঐ ব্যক্তির উপর আল্লাহর কঠিন গযব হোক, যে তার নবী (ﷺ)-এর চেহারাকে রক্তাক্ত করেছে।’[১৩]

সাহল (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যখম কে ধুয়েছেন, পানি কে ঢেলে দিয়েছেন এবং প্রতিষেধকরূপে কোন্ জিনিস প্রয়োগ করা হয়েছে তা আমার বেশ জানা আছে। তাঁর কলিজার টুকরা ফাতিমাহ (রাঃ) তাঁর যখম ধুচ্ছিলেন, আলী (রাঃ) ঢাল হতে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন এবং ফাতিমাহ (রাঃ) যখন দেখেন যে, পানির কারণে রক্ত বন্ধ হচ্ছে না, তখন তিনি চাটাই এর অংশ নিয়ে জ্বালিয়ে দেন এবং ওর ভস্ম নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দেন। এর ফলে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়।’[১৪]

এদিকে মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) মিষ্ট ও সুস্বাদু পানি নিয়ে আসেন। ঐ পানি নবী (ﷺ) পান করেন এবং কল্যাণের দু’আ করেন।[১৫] যখমের ব্যথার কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুহরের সালাত বসে বসে আদায় করেন এবং সাহাবায়ে কিরামও (রাঃ) তাঁর পিছনে বসে বসে সালাত আদায় করেন।[১৬]


তথ্যসূত্রঃ
[১] ঘটনা হচ্ছে মক্কায় যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে উবাই এর সাক্ষাৎ হতো তখন সে তাঁকে বলত, ‘মুহাম্মাদ (সাঃ)! আমার নিকট ‘আউদ’ নামক একটি ঘোড়া রয়েছে। আমি দৈনিক তাকে তিন সা’ (সাড়ে সাত কিলোগ্রাম) দানা ভক্ষণ করিয়ে থাকি। ওরই উপর আরোহণ করে আমি তোমাকে হত্যা করব।’ উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বলতেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমিই তোমাকে হত্যা করব।’
[২] ইবনু হিশাম, ২য় খন্ড ৮৪ পৃঃ, যাদুল মাআদ, ২য় খন্ড ৭ পৃঃ।
[৩] মুখতাসার সীরাতুর রাসূল (সাঃ) শায়খ আবূ আব্দুল্লাহ প্রণীত, ২৪০ পৃঃ।
[৪] ইবনু হিশাম, ২য় খন্ড ৮৬ পৃঃ।
[৫] ইবনু হিশাম, ২য় খন্ড ৮৬ পৃঃ।
[৬] যাদুল মাআ’দ, ২য় খন্ড ৯৫ পৃঃ।
[৭] ইবনু হিশাম, ২য় খন্ড, ৯০ পৃঃ।
[৮] আল বিদয়াহ ও য়ান নিহাইয়াহ, ৪র্থ খন্ড ১৭ পৃঃ।
[৯] সহীহুল বুখারী, ১ম খন্ড ৪০৩ পৃঃ, ২য় খন্ড, ৫৮১ পৃঃ।
[১০] সহীহুল বুখারী, ১ম খন্ড ৪০৩ পৃঃ।
[১১] সূতা কাটা আরব মহিলাদের বিশিষ্ট কাজ ছিল। এ জন্য সূতা কাটার ফিরকী আরব মহিলাদের ঐরূপ বিশিষ্ট আসবাব পত্র ছিল যেরূপ আমাদের দেশে চুড়ি। এ স্থলে উল্লেখিত বাকরীতির ভাবার্থ ঠিক ওটাই,
[১২] আসসীরাতুল হালবিয়্যাহ, ২য় খন্ড ২২ পৃঃ।
[১৩] ইবনু হিশাম, ২য় খন্ড ৮৫ পৃঃ।
[১৪] সহীহুল বুখারী, ২য় খন্ড ৫৮৪ পৃঃ।
[১৫] আস সীরাতুল হালবিয়্যাহ ২য় খন্ড ৩০ পৃঃ।
[১৬] ইবনু হিশাম, ২য় খন্ড ৮৭ পৃঃ।





**********************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url