রাহে আমল-১৫ || ইসলামে ধার কর্জের বিধান || ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে সদয় ব্যবহার || অবৈধ ওসিয়ত ||





ইসলামে ধার-কর্জ 

ইসলামে ধার-কর্জ হালাল। কুরআন হাদিসে ধার-কর্জের ব্যাপারে কর্জে হাসানার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামে ধার কর্জের বিধান পরিস্কার পরিস্কারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে সদয় ব্যবহার, ঋণ মাফ করে দেয়ার বিরাট সওয়াব, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে সযােগ দানের সুফল, অন্যের ঋণ পরিশােধ করে দেয়ার সওয়াব, ঋণ থেকে শহীদেরও রেহাই নেই, ঋণ পরিশােধের গুরুত্ব ও গড়িমসির ওপর নিষেধাজ্ঞা, সর্বোত্তম পন্থায় ঋণ পরিশােধ করা, ধনী ব্যক্তির ঋণ পরিশােধে তালবাহানা করা যুলুম, ঋণ পরিশােধের নিয়ত থাকলে আল্লাহ তা পরিশােধ করে দেবেন, ঋণ পরিশােধের সামর্থ থাকা সত্ত্বেও না করার ভয়ংকর পরিণাম প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ কুরআন হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসলামে ধার কর্জের বিধান এর আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে সদয় ব্যবহার 

ঋণ মাফ করে দেয়ার বিরাট সওয়াব

إن البي صلى الله يوم تال كان رجل
دا لا فكان يقول إنه إذا أتيت مثيرا تجاوز عنه لعل الله أن يتجاومما قال لقي الله تجاوز عنه. (بخاري ومسلم)

রাসূল (সা) বলেছেন : এক ব্যক্তি মানুষকে ঋণ দিত। তারপর সে প্রদত্ত ঋণ আদায় করতে একজন আদায়কারী পাঠাতাে। আদায়কারীকে সে বলে দিত যে, অত্যধিক অভাবী কোন ব্যক্তি পেলে তাকে মাফ করে দিও। হয়তাে এর কল্যাণে আল্লাহ আমাদেরকেও মাফ করে দেবেন। রাসূল (সা) বলেছেন: এই লােকটি যখন আল্লাহর সাথে মিলিত হলাে, তখন আল্লাহ তাকে গুনাহ মাফ করে দিলেন। (বোখারী, মুসলিম)।

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে সযােগ দানের সুফল

أن ثجية الله من كرب يوم القيامة تلينقش عن غير أويع ممثه. (مسلم، أبو قتادة رض)

রাসূল (সা) বলেছেন : আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করলে যার আনন্দ লাগে, সে যেন দরিদ্র ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণ পরিশােধের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় অথবা তার ওপর থেকে ঋণের বােঝা একেবারেই নামিয়ে দেয়। (অর্থাৎ মাফ করে দেয়। মুসলিম, আবু কাতাদাহ (রা) থেকে বর্ণিত)।

অন্যের ঋণ পরিশােধ করে দেয়ার সওয়াব

عن أبي سوبون الخدري قال أتي البي صلى الله علبه وتم بجناة ليصلى عليها، قال هل على تمام
دین؟ تالوا تتمم قال هل ترك كه ين وفاء؟ تالا لا، قال صلوا على صاحبه، قال علي بن أبي
لي علي طالب علي ديته يارسول اللتقدم وفي رواية عناه وقال له الله رمان من الارا توهان يريد المسلم كي و عثر شيمي
الله وانه يوم التامة. (شرح مث أو دينه إلا

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত : রাসূল (সা)-এর নিকট একটি লাশ এলাে, যেন তিনি তার ওপর জানাযার নামায পড়ান। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তােমাদের এই সাথীর (মৃত ব্যক্তির) ওপর কি কোন ঋণ আছে? লােকেরা বললাে, জি, ঋণ আছে। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন ; সে কি কোন সম্পত্তি রেখে গেছে, যা দ্বারা এই ঋণ পরিশোধ করা যায়? লােকেরা বললাে : না। তখন রাসূল (সা) বললেন, তোমরা ওর জানাযার নামায পড়। (আমি পড়বো না। এই পরিস্থিতি দেখে হযরত আলী (রা) বললেন হে রাসূলুল্লাহ, এই ব্যক্তির ঋণ পরিশােধের দায়িত্ব আমি নিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা) সামনে এগিয়ে গেলেন ও জানাযার নামায পড়ালেন। অন্য বর্ণনা মতে রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন হে আলী, তুমি যেভাবে নিজের এই মুসলিম ভাই-এর ঋণের দায়িত্ব গ্রহণ করে তাকে রক্ষা করলে, সেভাবে আল্লাহ তায়ালা তােমাকেও দোযখ থেকে রক্ষা করুন। যে কোন মুসলমান নিজের মুসলমান ভাই-এর ঋণ পরিশোধ করে দেবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে দোষখ থেকে মুক্তি দেবেন।

ঋণ থেকে শহীদেরও রেহাই নেই

إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يفر الشهيد كثب إ الدين - (مسلم، عبد الله بن عمر رضم)

রাসূল (সা) বলেছেন ; যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছে তার সকল গুনাহ মাফ হবে। কিন্তু ঋণ মাফ হবে না। (মুসলিম, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত)। 

ঋণ পরিশােধ করা যে কত জরুরী, তা উল্লিখিত দুটো হাদীস থেকে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যায় । যে ব্যক্তি নিজের প্রাণ পর্যন্ত আল্লাহর পথে উৎসর্গ করেছে, সেও যদি কারাে কাছে ঋণগ্রস্ত থেকে থাকে এবং তা পরিশােধ না করে থাকে, তবে তা মাফ হবে না। কেননা এটা বান্দাহর হকের সাথে সম্পৃক্ত। পাওনাদার মাফ না করা পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালাও মাফ করবেন না। অবশ্য ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশােধ করার নিয়ত বা ইচ্ছা পােষণ করে থাকে কিন্তু পরিশােধ করতে না পরে ও মারা যায় তবে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা পাওনাদারকে ডাকবেন, তাকে মাফ করতে বলবেন এবং তার বদলায় তাকে বেহেশতের অঢেল নিয়ামত দেয়ার আশ্বাস দেবেন। ফলে পাওনাদায় তার পাওনা মাফ করে দেবে। কিন্তু যদি ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশােধ না করে বা দুনিয়ায় থাকতে মাফ করিয়ে না নেয়, কেয়ামতের দিন তার ক্ষমার কোন উপায় নেই।

ঋণ পরিশােধের গুরুত্ব ও গড়িমসির ওপর নিষেধাজ্ঞা

সর্বোত্তম পন্থায় ঋণ পরিশােধ করা

عن أبي رافع قال اشتشت رسول اللولى الله علوم
برا انه إبة بين القتال ابورافع أمني أن أتي الرجل بكرة ممتلت أجد الجمارا رباعيا، قال رسول الله صلى الله عليه ست اما يه ا خيرالا أنهم ماه (مسلم)

হযরত আবু রাফে (রা) বর্ণনা করেন : রাসূলুল্লাহ (সা) একটি অল্পবয়স্ক উট এক ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। এরপর তার কাছে যাকাতের কিছু উট এল। তাই তিনি আমাকে আদেশ দিলেন ঐ ব্যক্তির অল্পবয়স্ক উটের ঋণ যেন পরিশােধ করে দেই। আমি বললাম এই উটগুলাের ভেতরে তাে কেবল একটা উটই এমন আছে যা অত্যন্ত উৎকৃষ্ট এবং সাত বছর বয়স্ক। রাসূল (সা) বললেন ওটাই তাকে দিয়ে দাও। কেননা সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম মানুষ, যে সর্বোত্তম পন্থায় ঋণ পরিশােধ করে। (মুসলিম)

ধনী ব্যক্তির ঋণ পরিশােধে তালবাহানা করা যুলুম

إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال معطل
ثم فإذا أثبتم أحد على مليتبع. (بخاري، القير مسلم، أبوهريرة رض)

রাসূল (সা) বলেছেন ধনী ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ঋণ পরিশােধের তালবাহানা করা যুলুম। আর যদি কোন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি বলে যে, তুমি তােমার ঋণ অমুক সচ্ছল ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়ে নাও। তাহলে অযথা সেই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ঘাড়ের ওপর সওয়ার হয়ে থাকা উচিত নয়। তার এই অনুরোধ গ্রহণ করা ও সে যে ব্যক্তির বরাত দিয়েছে তার কাছে গিয়ে নিয়ে নেয়া উচিত। (বােখারী, মুসলিম, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত)
এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, যার কাছে ঋণ পরিশােধের সামর্থ নেই এবং সে ঋণদাতাকে বলে যে, অমুক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়ে নিন। আমার সাথে তার আলােচনা হয়েছে এবং সে ঋণ পরিশােধ করে দিতে সম্মত আছে। সেই তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণদাতার ঋণের অর্থ না নিয়ে আমি তোমার কাছ থেকেই নেব। আমি আর কাউকে চিনিনা ইত্যাদি বলা উচিৎ নয়। বরঞ্চ তার সাথে নমনীয় ও উদার আচরণ করা উচিত এবং যার বরাত দিয়েছে তার কাছ থেকেই নেয়া উচিত। 

ঋণ পরিশােধের নিয়ত থাকলে আল্লাহ তা পরিশােধ করে দেবেন

قال رسول اللوى الله عليه وسلم من أخذأموال الناس يريد أداءها أدي الله عنه. ومن أتى بريد إثقها ألفه الله عليه. (بخاري، أبو هريرة رض)|

রাসূল (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি জনগণের কোন সম্পদ ঋণ হিসাবে গ্রহণ করে এবং তা পরিশােধ করার নিয়ত তাঁর থাকে, তার ঐ ঋণ আল্লাহ তায়ালা তার পক্ষ থেকে পরিশােধ করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি তা আত্মসাত করার নিয়ত রাখে আল্লাহ তাকে সেই কারণে ধ্বংস করে দেবেন। (বোখারী, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত)।

ঋণ পরিশােধের সামর্থ থাকা সত্ত্বেও না করার ভয়ংকর পরিণাম

قال رسول الله صلى الله عليث وتم كي الواجد بح عرضة وقوية. (ابو داؤد)

রাসুল (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি ঋণ পরিশােধে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তালবাহানা ও পড়িমসি করে, তার অপমানিত হওয়া ও শাস্তি পাওয়া বৈধ হয়ে যায়। (আবু দাউদ)। 

অপমানিত হওয়া ও শাস্তি পাওয়া বৈধ হওয়ার অর্থ হলাে, যে ব্যক্তি ঋণ নেয় এবং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা পরিশােধ করতে তালবাহানা করে তার এ অপরাধটা এতই খারাপ যে, সমাজের চোখে তার সম্মান ও ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা বৈধ হয়ে যায় এবং তাকে শাস্তি দেয়া যায়। যে দেশে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা চালু থাকবে, সে দেশে এ ধরনের লােক থাকলে ইসলামী রাষ্ট্রের কর্মচারীরা তাকে শাস্তি দিতে পারবে এবং তাকে সম্ভাব্য বিভিন্ন উপায়ে অপমানিত করতে পারবে।


অবৈধ ওসিয়ত 

অবৈধ ওসিয়ত ষাট বছরের এবাদত বিনষ্ট করে দেয়

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أن الرجل
ث مرها تشمل والمرأة بطاعة اللوستين سن الموت فاران في الوينتج لا الا م ترا أبو هريرة بغير ويوصي بها أودين غيرمشار إلى قوله تعالى وذلك الفوز العظيم (مسند أحمد، أبو هريرة رض)

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : কোন পুরুষ ও নারী একাধারে ষাট বছর আল্লাহর এবাদতে কাটিয়ে দেয়ার পরও যদি মৃত্যুর সময়ে এমন ওসিয়ত করে যাতে উত্তরাধিকারীদের ক্ষতি হয়, তবে সেই পুরুষ ও নারীর জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যায়।  কখনাে কখনাে একজন সৎ লােকও নিজের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনদের ওপর ক্ষিপ্ত ও অসন্তুষ্ট হয়ে যায় এবং কামনা করে যেন তারা তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির কোন অংশ না পায়। এ ধরনের লােকেরা মৃত্যুর সময় তার সমস্ত পরিত্যক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে এমন ওসিয়ত করে যায়, যার কারণে এক বা একাধিক উত্তরাধিকারী সেই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। অথচ কোরআন ও হাদীসের আলােকে তাদের অংশ পাওয়া অপরিহার্য ও অখন্ডনীয়। এ ধরনের পুরুষ ও নারী সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন যে, তারা একাধারে ষাট বছর আল্লাহর এবাদত করেও শেষ পর্যন্ত জাহান্নামের যােগ্য হয়। 

হযরত আবু হুরায়রা হাদীসটির সমর্থনে যে আয়াত পড়লেন, তা সূরা নিসার ২য় রুকুতে রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা উত্তরাধিকারীদের অংশ নির্ধারণ করার পর আয়াতে বলেছেন যে, এই অংশগুলাে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন করা হবে মৃত ব্যক্তির গুসিয়ত ও ঋণ পরিশােধ করার পর। তারপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সাবধান! ওসিয়তের মাধ্যমে উত্তরাধিকারীদের ক্ষতি করবে না। এটা আল্লাহর কঠোর নির্দেশ, তিনি জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময়। ভঁর রচিত এ আইন অজ্ঞতাপ্রসূত নয় বরং জ্ঞান ও বিজ্ঞান ভিত্তিক। এতে যুলুম ও বে-ইনসাফীর লেশমাত্র নেই। সুতরাং এ আইনকে সানন্দে মেনে নাও। এর পরের দুটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন : এগুলাে হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত সীমানা। যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশ নিষেধ মেনে চলবে, তাদেরকে আল্লাহ এমন মনােম উদ্যানে ঢথা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নীচ দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত থাকবে। সেখানে তারা চিরদিন অবস্থান করবে এবং এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের অবাধ্য হবে এবং তার নির্দিষ্ট সীমাগুলাে লংঘন করবে, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন, সেখানে তারা চিরদিন অবস্থান করবে এবং তাদেরকে ভােগ করতে হবে অবমাননা কর শাস্তি।

উত্তরাধিকারীকে প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত করলে জানাত থেকে বঞ্চিত হতে হবে

قال رسول الله صلى الله له وته من تطهطه الله ثرائه من الجو يوم ا وارث ب القيامة. (ابن ماجة، أنس رض)

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন যে ব্যক্তি তার উত্তরাধিকারীকে প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন। (ইবনে মাজাহ)



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url