মা’আরেফুল কোরআন - ২৪ || সূরা আল-বাকারাহ ৫৮-৫৯নং আয়াতের অর্থ ও তাফসীর ||






بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৮-৫৯


সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৮

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 وَ اِذۡ قُلۡنَا ادۡخُلُوۡا هٰذِهِ الۡقَرۡیَۃَ فَکُلُوۡا مِنۡهَا حَیۡثُ شِئۡتُمۡ رَغَدًا وَّ ادۡخُلُوا الۡبَابَ سُجَّدًا وَّ قُوۡلُوۡا حِطَّۃٌ نَّغۡفِرۡ لَکُمۡ خَطٰیٰکُمۡ ؕ وَ سَنَزِیۡدُ الۡمُحۡسِنِیۡنَ

(৫৮) আর যখন আমি বললাম, তোমরা প্রবেশ কর এ নগরীতে এবং এতে যেখানে খুশী খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে থাক এবং দরজার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করার সময় সিজদা করে ঢুক, আর বলতে থাক- 'আমাদিগকে ক্ষমা করে দাও'-তাহলে আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎকর্মশীলদেরকে অতিরিক্ত দানও করব।

সূরা আল-বাকারাহ ৫৮নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

আর (সে সময়ের কথা স্মরণ কর) যখন আমি তোমাদেরকে হুকুম করলাম যে, এ লোকালয়ে প্রবেশ কর, অতঃপর (এখানে প্রাপ্ত বন্ধু-সামগ্রী) যেখানে চাও পরম তৃপ্তি সহকারে স্বাচ্ছন্দ্যে ভক্ষণ কর। (এবং এ হুকুমও দিলাম যে,) যখন ভেতরে প্রবেশ করতে আরম্ভ করবে, তখন দরজা দিয়ে (বিনয়ের সাথে) প্রণত মস্তকে প্রবেশ করবে এবং (মুখে) বলতে থাকবে, তওবা ! (তওবা !) তাহলে তোমাদের পূর্বকৃত যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা করে দেব এবং (নিষ্ঠা) ও আন্তরিকতার সাথে সৎ কাজ সম্পন্নকারীদেরকে তার চাইতেও অধিক দান করব।

জ্ঞাতব্যঃ শাহ আবদুল কাদের (র)-এর বক্তব্যানুসারে এ ঘটনাও তীহ্ উপত্যকায় বসবাসকালে সংঘটিত হয়েছিল। যখন বনী ইসরাঈলের একটানা ‘মান্না’ ও ’সালাওয়া’ খেতে খেতে বিস্বাদ এসে গেল এবং স্বাভাবিক খাবারের জন্য প্রার্থনা করল (যেমন, পরবর্তী চতুর্থ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে) তখন তাদেরকে এমন এক নগরীতে প্রবেশ করতে হুকুম দেওয়া হল, যেখানে পানাহারের জন্য সাধারণভাবে ব্যবহার্য দ্রব্যাদি পাওয়া যাবে। সুতরাং এ হুকুমটি সে নগরীতে প্রবেশ করা সম্পর্কিত। এখানে নগরীতে প্রবেশকালে কর্মজনিত ও বাক্যজনিত দু’টি আদবের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। (’তওবা তওবা’ বলে প্রবেশ করার মধ্যে বাক্যজনিত এবং প্রণত মস্তকে প্রবেশ করার মধ্যে কার্যজনিত আদব) এর প্রসঙ্গে বড়জোর এ কথা বলা যাবে যে, ঘটনার পরের অংশটি আগে এবং আগের অংশটি পরে বর্ণিত হয়েছে। এক্ষেত্রে জটিলতা তখনই হত, যখন কোরআন মজীদে ঘটনাই মূখ্য উদ্দেশ্য হত। কিন্তু যখন ফলাফল বর্ণনাই মূল লক্ষ্য তখন যদি একটি ঘটনার বিভিন্ন অংশের মধ্যে প্রতিটি অংশের ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন হয় এবং ফলাফলগুলোর কোন প্রতিক্রিয়া ও প্রভাবের কথা বিবেচনা করে যদি আগের অংশকে পরে এবং পরের অংশকে আগে বর্ণনা করা হয়, তবে এতে কোন দোষের কারণ নেই এবং কোন আপত্তির কারণ থাকতে পারে না।

অন্যান্য তফসীরকারের মতে এ হুকুম ঐ নগরী সংক্রান্ত ছিল, যেখানে তাদেরকে জিহাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তীহ্ উপত্যকায় তাদের অবস্থানকাল শেষ হওয়ার পর আবার সেখানে জিহাদ সংঘটিত হয়েছিল এবং সে নগরীর উপর তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে সময় হযরত ইউশা (يوشع) (আ) নবী ছিলেন। সে নগরীতে জিহাদের হুকুমটি তাঁরই মাধ্যমে এসেছিল।

প্রথম অভিমত অনুসারে ’মান্না’ ও ’সালওয়া বর্জন করে সাধারণ খাবার সংক্রান্ত বনী ইসরাঈলের আবেদনকেও পূর্ববর্তী অপরাধগুলোর অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া উচিত। তখন মর্ম দাঁড়াবে এই যে, আবেদনটি তো ধৃষ্টতাপূর্ণই ছিল, কিন্তু তবুও তারা যদি এ শিষ্টাচার (আদর) ও নির্দেশ পালন করে, তবে তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। এই উভয় অভিমত অনুযায়ী এ ক্ষমা সকল বক্তার জন্য সাধারণভাবে প্রযোজ্য হবেই। তদুপরি যারা নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতার সাথে সৎকার্যাবলী সম্পন্ন করবে, তাদের জন্য এছাড়াও অতিরিক্ত পুরস্কার থাকবে।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৯

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 فَبَدَّلَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا قَوۡلًا غَیۡرَ الَّذِیۡ قِیۡلَ لَهُمۡ فَاَنۡزَلۡنَا عَلَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا رِجۡزًا مِّنَ السَّمَآءِ بِمَا کَانُوۡا یَفۡسُقُوۡنَ

সূরা আল-বাকারাহ ৫৯নং আয়াতের অর্থ

(৫৯) অতঃপর জালিমরা কথা পাল্টে দিয়েছে যা কিছু তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি অবতীর্ণ করেছি জালিমদের উপর আযাব আসমান থেকে নির্দেশ লঙ্ঘন করার কারণে।

সূরা আল-বাকারাহ ৫৯নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

সুতরাং ঐ অত্যাচারীরা সে বাক্যটি আর একটি বাক্যাংশ দিয়ে পরিবর্তিত করে নিল, যা ঐ বাক্যাংশের বিপরীত ছিল- যা তাদেরকে (বলতে) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে আমি ঐ অত্যাচারীদের উপর হুকুমের বিরুদ্ধাচরণের কারণে একটি আসমানী বিপদ নাযিল করলাম।

এ আয়াত পূর্ববর্তী আয়াতের পরিশিষ্ট। সে বিপরীত বাক্যাংশ এই ছিল যে, তারা حِطَّةٌ (তওবা, তওবা)-এর স্থলে পরিহাস করে حِنْطَةٌ যার অর্থ حَبَّةٍ فِي شَعِيْرَةٌ (অর্থাৎ যবের মধ্যে শস্য) বলতে আরম্ভ করল। সে আসমানী বিপদটি প্লেগ রোগ, যা হাদীস অনুয়ায়ী অবাধ্যদের পক্ষে শাস্তি এবং অনুগতদের পক্ষে রহমতস্বরূপ। এ গর্হিত আচরণের শাস্তি হিসাবে তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল এবং তাতে অগণিত লোকের মৃত্যু ঘটল । (কেউ কেউ মৃতের সংখ্যা সত্তর হাজার পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন )।

বাক্যের শব্দগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধানঃ এ আয়াত দ্বারা জানা গেল যে, বনী ইসরাঈলকে উক্ত নগরীতে حِطَّةٌ বলতে বলতে প্রবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দুষ্টুমি করে সে শব্দের পরিবর্তে حِنْطَةٌ বলতে আরম্ভ করল। ফলে তাদের উপর আসমানী শাস্তি অবতীর্ণ হল। এই শব্দগত পরিবর্তন । এমন ছিল-যাতে শুধু শব্দই পরিবর্তিত হয়ে যায়নি, বরং অর্থও সম্পূর্ণভাবে পাল্টে গিয়েছিল। حِطَّةٌ অর্থ তওবা ও পাপ বর্জন করা। আর حِنْطَةٌ অর্থ গম। এ ধরনের শব্দগত পরিবর্তন, তা কোরআনেই হোক বা হাদীসে কিংবা অন্য কোন খোদায়ী বিধানে নিঃসন্দেহে এবং সর্ববাদীসম্মতভাবে হারাম। কেননা এটা এক ধরনের تحريف তথা শব্দগত ও অর্থগত বিকৃতি সাধন।

বলা বাহুল্য, অর্থ ও উদ্দেশ্য পুরোপুরি রক্ষা করে নিছক শব্দগত পরিবর্তন সম্পর্কে কি হুকুম ? ইমাম কুরতুবী এ সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, কোন বাক্যাংশে বা বক্তব্যে শব্দই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে এবং মর্ম ও ভাব প্রকাশের জন্য শব্দই অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়। এ ধরনের উক্তি ও বাণীর ক্ষেত্রে শব্দগত পরিবর্তনও জায়েয নয়। যেমন, আযানের জন্য নির্ধারিত শব্দের স্থলে সমার্থবোধক অন্য কোন শব্দ পাঠ করা জায়েয নয়। অনুরূপভাবে নামাযের মাঝে নির্দিষ্ট দোয়াসমূহ যেমন—ছানা, আত্তাহিয়্যাতু, দোয়ায়ে কুনূত ও রুকূ-সিজদার তসবীসমূহ। এগুলোর অর্থ সম্পূর্ণভাবে ঠিক রেখেও কোন রকম শব্দগত পরিবর্তন জায়েয নয়। তেমনিভাবে সমগ্র কোরআন মজীদের শব্দাবলীরও একই হুকুম অর্থাৎ কোরআন তিলাওয়াতের সঙ্গে যেসব হুকুম সম্পর্কযুক্ত, তা শুধু ঐ শব্দাবলীতেই তিলাওয়াত করতে হবে, যাতে কোরআন নাযিল হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি এসব শব্দের অনুবাদ অন্য এমন সব শব্দের দ্বারা করে পাঠ করতে থাকে, যাতে অর্থ পুরোপুরিই ঠিক তাকে, তবে একে শরীয়তের পরিভাষায় কোরআন তিলাওয়াত বলা যাবে না। কোরআন পাঠ করার জন্য যে সওয়াব নির্দিষ্ট রয়েছে, তাও লাভ করতে পারবে না। কারণ কোরআন শুধু অর্থের নাম নয়, বরং অর্থের সাথে সাথে যে শব্দাবলীতে তা নাযিল হয়েছে, তার সমষ্টির নামই কোরআন।

فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا قَوْلًا غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ

উল্লিখিত আয়াতের ভাষ্যে দৃশ্যত এ কথাই বোঝা যায় যে, তাদেরকে তওবার উদ্দেশ্যে যে শব্দটি বালে দেওয়া হয়েছিল, তার উচ্চারণ ও করণীয় ছিল; সেগুলোতে পরিবর্তন সাধন ছিল পাপ। আর তারা যে পরিবর্তন করেছিল তা ছিল অর্থেরও পরিপন্থী। কাজেই তারা আসমানী আযাবের সম্মুখীন হয়েছিল।

কিন্তু যে উক্তিও বাক্যাংশে অর্থই মূল উদ্দেশ্য-শব্দ নয়, যদি সেগুলোতে শব্দগত এমন পরিবর্তন করা হয় যাতে অর্থের ক্ষেত্রে কোন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না, তবে অধিকাংশ মুহাদ্দিসীন ও ফুকাহার মতে এ পরিবর্তন জায়েয। ইমাম মালিক, শাফেয়ী ও ইমাম আজম (র) থেকে ইমাম কুরতবী উদ্ধৃত করেন যে, হাদীসের অর্থভিত্তিক বর্ণনা জায়েয আছে, কিন্তু শর্ত হচ্ছে এই যে, বর্ণনাকারীকে আরবী ভাষায় পারদর্শী হতে হবে এবং হাদীস বর্ণনার স্থান-কাল-পাত্র সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞাত থাকতে হবে—যাতে তার ভুলের কারণে অর্থের ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য সৃষ্টি না হয়।

মুহাম্মদ ইবনে সিরীন (র), কাসেম ইবনে মুহাম্মদ (র) প্রমুখ একদল হাদীস বিশেষজ্ঞের মতে হাদীসের শব্দাবলী যে রকম শুনেছে অবিকল সে রকম বর্ণনা করাই আবশ্যক। এদের প্রমাণ সে হাদীস যে, একদিন হুযূর (সা) জনৈক সাহাবীকে শিক্ষা দিচ্ছিলেন যে, বিছানায় ঘুমোতে যাওয়ার সময় -

 آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ

(আল্লাহ্, আপনি যে কিতাব নাযিল করেছেন তার উপর ঈমান এনেছি এবং যে নবী পাঠিয়েছেন, তাঁর উপর ঈমান এনেছি।) এ দোয়া পাঠ করবে। সে সাহাবী نَبِيِّكَ এর স্থলে رَسُوْلُكَ পড়লেন। তখন হুযূর (সা) এই হেদায়েত করলেন যে, نَبِيِّكَ-ই পড়বে। এতে বোঝা গেল যে, শব্দগত পরিবর্তনও জায়েয নয়।

অনুরূপভাবে অন্য এক হাদীসে হুযূর (সা) ইরশাদ করেনঃ

نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَبَلَّغَهَا كَمَا سَمِعَهَا

(আল্লাহ্ পাক ঐ ব্যক্তিকে সদা হাসিমুখ ও আনন্দোচ্ছল রাখুন, যে আমার কোন বাণী শুনেছে এবং যেমন শুনেছে অবিকল তেমনই অপরের নিকট পৌঁছিয়েছে।) এটা সুস্পষ্ট যে, হাদীস যে শব্দে শোনা হয় ঠিক সে শব্দে পৌছানোকেই ’হাদীস বর্ণনা’ বলা হয়। 

কিন্তু অধিকাংশ মুহাদ্দিস ও ফকীর মতে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে যে শব্দে শুনেছে ইচ্ছাকৃতভাবে এতে কোন পরিবর্তন না করে অবিকল সে শব্দে নকল করা যদিও উত্তম—কিন্তু যদি সে শব্দাবলী পুরোপুরি স্মরণ না থাকে, তবে তার মর্ম ও ভাবার্থ নিজস্ব শব্দে ব্যক্ত করাও জায়েয। হাদীস بَلَّغَهَا كَمَا سَمِعَهَا অর্থ এও হতে পারে যে বিষয় শুনেছে অবিকল সে বিষয়ই পৌঁছিয়ে দেয়।’ শব্দগত পরিবর্তন এর পরিপন্থী নয়। এ মতের সমর্থনে ইমাম কুরতুবী বলেছেন, প্রয়োজনানুসারে শব্দগত পরিবর্তন যে জায়েয স্বয়ং এ হাদীসই এর প্রমাণ। কারণ এ হাদীসের রেওয়ায়েত আমাদের নিকট পর্যন্ত বিভিন্ন শব্দে পৌঁছেছে।

পূর্ববর্তী হাদীসে যে হুযূর نَبِيِّكَ এর স্থলে رَسُوْلُكَ পড়তে বারণ করেছেন, তার এক কারণ এও হতে পারে যে, نَبِيٌّ শব্দে رَسُوْلُ শব্দের চাইতে প্রশংসা বেশি। কেননা ’দূত’ অর্থে نَبِيٌّ শব্দের ব্যবহার অন্যদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। অপর পক্ষে رَسُوْلُ শব্দ শুধু সে পদ-মর্যাদার ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়, যা স্বয়ং আল্লাহ্ পাকের পক্ষ হতে ওহীর মাধ্যমে তাঁর বিশেষ বান্দাদেরকে দান করা হয়েছে।

দ্বিতীয় কারণ এও হতে পারে যে, দোয়ার ক্ষেত্রে বর্ণিত শব্দাবলীর অনুসরণ, বৈশিষ্ট্য ও প্রতিক্রিয়ার দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ; অন্যান্য শব্দে সে বৈশিষ্ট্য অনুপস্থিত। এজন্য আলিম মনীষিগণ যাঁরা তাবীজ-তুমার লিখে থাকেন, তাঁরা এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন এবং বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন, যাতে বর্ণিত শব্দাবলীর কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন না হয় ।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, দোয়ায়ে মাসূরাসমূহ ও কোরআন-হাদীসে যদিও অন্যান্য দোয়া এই প্রথম শ্রেণীভুক্ত- যাতে অর্থের সাথে সাথে শব্দের সংরক্ষণও উদ্দেশ্য।




************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url