মা’আরেফুল কোরআন - ২৩ || সূরা আল-বাকারাহ ৫৩-৫৭নং আয়াতের অর্থ ও তাফসীর ||






بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৩-৫৭


সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৩

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 وَ اِذۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ وَ الۡفُرۡقَانَ لَعَلَّکُمۡ تَهۡتَدُوۡنَ ﴿۵۳

সূরা আল-বাকারাহ ৫৩নং আয়াতের অর্থ

(৫৩) আর (স্মরণ কর) যখন আমি মুসাকে কিতাব এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বিধানকারী নির্দেশ দান করেছি, যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হতে পার ।

সূরা আল-বাকারাহ ৫৩নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

আর (সে সময়ের কথা স্মরণ কর,) যখন আমি মূসা (আ)-কে (তওরাত) গ্রন্থ এবং সত্য-অসত্যের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণকারী নির্দেশাবলী দান করেছিলাম-যেন তোমরা (সরল ও সঠিক পথে চলতে পার ।

জ্ঞাতব্যঃ মীমাংসার বস্তু দ্বারা হয়ত তওরাতের অন্তর্ভুক্ত শরীয়তী বিধানমালাকে বোঝানো হয়েছে। কেননা শরীয়তের মাধ্যমে যাবতীয় বিশ্বাসগত ও কর্মগত মতবিরোধের মীমাংসা হয়ে যায়। অথবা মু'জিযা বা অলৌকিক ঘটনাবলীকে বোঝোনো হয়েছে যদ্বারা সত্য ও মিথ্যা দাবীর ফয়সালা হয় অথবা স্বয়ং তওরাতই এর অর্থ। কেননা এর মধ্যে গ্রন্থ ও মীমাংসাকারীর জন্য প্রয়োজনীয় উভয় গুণ ও বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ রয়েছে।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৪

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِهٖ یٰقَوۡمِ اِنَّکُمۡ ظَلَمۡتُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ بِاتِّخَاذِکُمُ الۡعِجۡلَ فَتُوۡبُوۡۤا اِلٰی بَارِئِکُمۡ فَاقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ عِنۡدَ بَارِئِکُمۡ ؕ فَتَابَ عَلَیۡکُمۡ ؕ اِنَّهٗ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۵۴

সূরা আল-বাকারাহ ৫৪নং আয়াতের অর্থ

(৫৪) আর যখন মূসা তাঁর সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদেরই ক্ষতি সাধন করেছ এই গো-বৎস নির্মাণ করে। কাজেই এখন তওবা কর স্বীয় স্রষ্টার প্রতি এবং নিজ নিজ প্রাণ বিসর্জন দাও। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর তোমাদের স্রষ্টার নিকট। তারপর তোমাদের প্রতি লক্ষ্য করা হল। নিঃসন্দেহে তিনিই ক্ষমাকারী, অত্যন্ত মেহেরবান।

সূরা আল-বাকারাহ ৫৪নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

আর (সে সময়ের কথাও স্মরণ কর) যখন মূসা (আ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেন, হে আমার সম্প্রদায়, নিশ্চয়ই তোমরা গো-বৎস পূজার ব্যবস্থাও প্রচলন করে নিজেদের ভয়ানক ক্ষতি সাধন করেছ। এখন তোমরা তোমাদের স্রষ্টার প্রতি ফিরে আস। অতঃপর তোমাদের কেউ কেউ (যারা গো-বৎস পূজায় অংশ গ্রহণ করনি) অন্যদেরকে (যারা গো-বৎস পূজায় অংশ নিয়েছিল) হত্যা কর। এ নির্দেশ (কার্যে পরিণত করা) তোমাদের সৃষ্টিকর্তার নিকট তোমাদের জন্য শুভ ও মঙ্গলজনক হবে। অতঃপর ( তা কার্যে পরিণত করলে) আল্লাহ্ পাক তোমাদের অবস্থার প্রতি (কৃপাদৃষ্টিসহ) লক্ষ্য করবেন। নিঃসন্দেহে তিনি তো এমনই, যে তওবা কবুল করে নেন এবং করুণা বর্ষণ করেন।

জ্ঞাতব্যঃ এটা তাদের তওবার প্রস্তাবিত বর্ণনা—অর্থাৎ অপরাধীগণকে হত্যা করে দেওয়া। আমাদের শরীয়তেও এমন কোন কোন অপরাধের জন্য তওবা করা সত্ত্বেও মৃত্যুদণ্ড বা শারীরিক দণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন, ইচ্ছাকৃত হত্যার শান্তি হত্যা। সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত
যেনার (ব্যভিচার) শাস্তি 'রজম' বা পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা। তওবার দ্বারা এ শান্তি থেকে অব্যাহতি নেই। বস্তুত তারা এ নির্দেশ কার্যে পরিণত করেছিল বলে দয়া ও করুণার অধিকারী হয়েছে।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৫

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

وَ اِذۡ قُلۡتُمۡ یٰمُوۡسٰی لَنۡ نُّؤۡمِنَ لَکَ حَتّٰی نَرَی اللّٰهَ جَهۡرَۃً فَاَخَذَتۡکُمُ الصّٰعِقَۃُ وَ اَنۡتُمۡ تَنۡظُرُوۡنَ ﴿۵۵

সূরা আল-বাকারাহ ৫৫নং আয়াতের অর্থ

(৫৫) আর যখন তোমরা বললে, হে মুসা, কস্মিনকালেও আমরা তোমাদের বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আমারা আল্লাহকে (প্রকাশ্য) দেখতে পাব। বস্তুত তোমাদেরকে পাকড়াও করল বিদ্যুৎ। অথচ তোমরা তা প্রত্যক্ষ করছিলে।

সূরা আল-বাকারাহ ৫৫নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

আর (সে সময়টির কথা স্মরণ কর) যখন তোমরা বলেছিলে, হে মূসা, আমরা (শুধু) তোমার বলাতে কখনো মানব না (যে, এটি আল্লাহ্র বাণী) যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা (স্বচক্ষে ) আল্লাহকে স্পষ্টভাবে দেখতে না পাব। সুতরাং ( এ ধৃষ্টতার জন্য) তোমাদের উপর বজ্রপাত হলো, যা তোমাদের স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছিলে।

জ্ঞাতব্যঃ ঘটনা এই যখন হযরত মূসা (আ) তূর পর্বত থেকে তওরাত নিয়ে এসে বনী ইসরাঈলের সামনে পেশ করে বললেন যে, এটা আল্লাহ্ প্রদত্ত কিতাব, তখন কিছু সংখ্যক উদ্ধত লোক বলল, যদি আল্লাহ্ স্বয়ং বলে দেন যে, এ কিতাব তাঁর প্রদত্ত, তবে অবশ্যই আমাদের বিশ্বাস এসে যাবে। মূসা (আ) আল্লাহর অনুমতিক্রমে এতদুদ্দেশ্যে তাদেরকে ভূর পর্বতে যেতে বললেন। বনী ইসরাঈলরা সত্তর জন লোককে মনোনীত করে হযরত মূসা (আ)-এর সঙ্গে তূর পর্বতে পাঠাল। সেখানে পৌঁছে তারা আল্লাহ্র বাণী স্বয়ং শুনতে পেল। তখন তারা নতুন ভান করে বলল, শুধু কথা শুনে তো আমাদের তৃপ্তি হচ্ছে না-আল্লাহই জানেন এ কথা কে বলছে। যদি আল্লাহকে দেখতে পাই, তবে অবশ্যই মেনে নেব। কিন্তু যেহেতু এ মরজগতে আল্লাহকে দেখার ক্ষমতা কারো নেই, কাজেই এ ধৃষ্টতার জন্য তাদের উপর বজ্রপাত হল এবং সবাই ধ্বংস হয়ে গেল। তাদের এ ধ্বংসপ্রাপ্তির বর্ণনা পরবর্তী আয়াতে রয়েছে।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৬

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 ثُمَّ بَعَثۡنٰکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَوۡتِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ

সূরা আল-বাকারাহ ৫৬নং আয়াতের অর্থ

(৫৬) তারপর মরে যাবার পর তোমাদিগকে আমি তুলে দাঁড় করিয়েছি, যাতে করে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও।

সূরা আল-বাকারাহ ৫৬নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

অতঃপর আমি (হযরত মূসা (আ)-এর বদৌলতে) মরে যাওয়ার পর তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করলাম এ আশায় যে, তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার করে নেবে।

জ্ঞাতব্যঃ 'মউত' শব্দ দ্বারা পরিষ্কার বোঝা যায় যে, তারা বজ্রপাতের ফলে মৃত্যুবরণ করেছিল। তাদের পুনর্জীবিত হওয়ার ঘটনা এরূপ—মূসা (আ) আল্লাহর দরবারে নিবেদন করলেন, বনী ইসরাঈল এমনিতে আমার প্রতি কু-ধারণা পোষণ করে থাকে। এখন তাঁরা ভাববে যে, এ লোকগুলোকে কোথাও নিয়ে গিয়ে কোন উপায়ে আমিই স্বয়ং তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। সুতরাং আমাকে মেহেরবানীপূর্বক এ অপবাদ থেকে রক্ষা করুন। তাই আল্লাহ্ পাক দয়াপরবশ হয়ে তাদেরকে পুনর্জীবিত করে দিলেন।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫৭

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

وَ ظَلَّلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡغَمَامَ وَ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡمَنَّ وَ السَّلۡوٰی ؕ کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ ؕ وَ مَا ظَلَمُوۡنَا وَ لٰکِنۡ کَانُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ

সূরা আল-বাকারাহ ৫৭নং আয়াতের অর্থ

(৫৭) আর আমি তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি মেঘমালার দ্বারা এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি 'মান্না' ও 'সালওয়া'। সেসব পবিত্র বস্তু তোমরা ভক্ষণ কর, যা আমি তোমাদেরকে দান করেছি। বস্তুত তারা আমার কোন ক্ষতি করতে পারেনি, বরং নিজেদেরকে ক্ষতি সাধন করেছে।

সূরা আল-বাকারাহ ৫৭নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

আর আমি মেঘমালাকে (তীহ প্রান্তরে) তোমাদের উপর ছায়া প্রদানকারী করে দিলাম এবং (আমার অদৃশ্য ধনভাণ্ডার থেকে) তোমাদের প্রতি মান্না ও সালাওয়াসমূহ পৌঁছাতে লাগলাম (এবং তোমাদেরকে অনুমতি দিলাম) যে, তোমরা সেসব উৎকৃষ্ট বস্তু থেকে ভক্ষণ কর, যা আমি তোমাদেরকে খাবার হিসাবে প্রদান করছি। ( কিন্তু তারা এক্ষেত্রেও অঙ্গীকার লংঘন করে বসল) এবং (এর ফলে) তারা আমার কোন অনিষ্ট সাধন করতে পারেনি বরং নিজেদেরই ক্ষতি সাধন করছিল।

জ্ঞাতব্যঃ উভয় ঘটনাই ঘটেছিল তীহ্ প্রান্তরে। তার বিস্তারিত বর্ণনা এই যে, বনী ইসরাঈলের আদি বাসস্থান ছিল শাম দেশে। হযরত ইউসুফ (আ)-এর সময়ে তারা মিসরে এসে বসবাস করতে থাকে। আর 'আমালেকা' নামক এক জাতি শাম দেশ দখল করে নেয় । ফেরাউনের ডুবে মরার পর যখন এরা শান্তিতে বসবাস করতে থাকে, তখন আল্লাহ পাক আমালেকাদের সাথে জিহাদ করে তাদের আদি বাসস্থান পুনর্দখল করতে নির্দেশ দিলেন। বনী ইসরাঈল এতদুদ্দেশ্যে মিসর থেকে রওয়ানা হল। শামের সীমান্তে পৌঁছার পর আমালেকাদের শৌর্য-বীর্যের কথা জেনে তারা সাহস হারিয়ে হীনবল হয়ে পড়ল এবং জিহাদ করতে পরিষ্কার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। তখন আল্লাহ পাক এ শাস্তি প্রদান করলেন, যাতে তারা একই প্রান্তরে চল্লিশ বছর হতবুদ্ধি হয়ে দিক-বিদিক জ্ঞানশূন্যভাবে বিচরণ করতে থাকে। ঘরে ফেরা আর তাদের ভাগ্যে জুটেনি।

এ প্রান্তরে কোন বিশাল ভূ-খণ্ড ছিল না। 'তীহ্' প্রান্তর মিসর ও শাম দেশের মধ্যবর্তী দশ মাইল এলাকাবিশিষ্ট একটি ভূ-ভাগ। বর্ণিত আছে, এরা নিজেদের বাসস্থান মিসরে পৌছার জন্য সারা দিন চলতে থাকত, রাতে কোন মঞ্জিলে অবস্থান করত। কিন্তু ভোরে দেখতে পেত-যেখানে থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সেখানেই রয়ে গেছে। এভাবে চল্লিশ বছর পর্যন্ত এ প্রান্তরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে শ্রান্ত ও ক্লান্তভাবে বিচরণ করছিল।

এই ‘তীহ্' উপত্যকা ছিল এক উন্মুক্ত প্রান্তরে। এখানে কোন লোকালয় বা গাছ-বৃক্ষ ছিল না-যার নিচে শীত-গরম বা সূর্যতাপ বা সূর্যতাপ থেকে আশ্রয় নেওয়া চলে। তেমনিভাবে এখানে পানাহারের উপকরণ বা পরিধানের বস্ত্রসামগ্রীও কিছুই ছিল না। কিন্তু আল্লাহ্ পাক হযরত মূসা (আ)-র দোয়ার বদৌলতে মু'জিযা হিসাবে যাবতীয় প্রয়োজন মেটাবার ব্যবস্থা করে দেন। বনী ইসরাঈল সূর্যতাপের অভিযোগ করলে আল্লাহ পাক হাল্কা মেঘখণ্ড দিয়ে তাদের ওপর ছায়ার ব্যবস্থা করে দেন। ক্ষুধা পেলে তাদের জন্য 'মান্না ও সালওয়া' (তুরাঞ্জাবীন ও বাটের পাখী) অবতীর্ণ করতে থাকেন। গাছপালার ওপর পর্যাপ্ত পরিমাণে তুরাঞ্জাবীন (বরফের মত স্বচ্ছ শুভ্র এক ধরনের মিষ্ট খাবার) উৎপন্ন হত আর তারা সেগুলো সংগ্রহ করে নিত। বাটের পাখী তাদের কাছে ঝাঁকে ঝাঁকে সমবেত হত; তাদের কাছ থেকে পালাত না। তারা সেগুলো ধরে জবাই করে খেত। যেহেতু তুরাঞ্জাবীনের অসাধারণ প্রাচুর্য এবং বাট পাখীর লোকভীতি না থাকাও ছিল অস্বাভাবিক। এ হিসাবে উভয় বস্তুই অদৃশ্য ধনভাণ্ডার হতে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের যখন পানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, তখন মূসা (আ)-কে লাঠি দিয়ে পাথরের ওপর আঘাত করতে নির্দেশ দেওয়া হল। আঘাতের সাথে সাথে পাথর থেকে ঝরনা প্রবাহিত হয়ে পড়ল। এ ব্যাপারে কোরআনের অন্য আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। রাতের আঁধারের অভিযোগ করায় অদৃশ্যলোক হতে লোকালয়ের মাঝখানে ঝোলানোভাবে স্থায়ী আলোর ব্যবস্থা করা হল। আল্লাহ্ পাক অলৌকিক ক্ষমতাবলে এমন ব্যবস্থা করে দিলেন, যাতে তাদের পরিধেয় পোশাক না ছিঁড়ে এবং ময়লা না হয়। ছোট ছেলেমেয়েদের পোশাক, তাদের শরীর বৃদ্ধির সাথে সাথে সমানুপাতে বৃদ্ধি লাভ করতে থাকত। -(কুরতুবী)

তাদেরকে প্রদত্ত নেয়ামতরাজি প্রয়োজনানুপাতে ব্যয় করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য মজুদ না রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু লোভের বশবর্তী হয়ে তারা এরও বিরুদ্ধাচরণ করতে আরম্ভ করল। ফলে মজুতকৃত গোশত পঁচতে লাগল। আয়াতে একেই নিজের ক্ষতি বলে অভিহিত করা হয়েছে।





***********************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url