সিরাতুন নবী (সাঃ) - ৮৯ || বনু লাহইয়ান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর সারিয়্যা ও অভিযানসমূহ ||





বনু লাহইয়ান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর সারিয়্যা ও অভিযানসমূহ

বনু লাহইয়ান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর রাসূল (ﷺ) ক্রমান্বয়ে একের পর এক অভিযানের পর অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন। পরিচালিত সে সকল অভিযানের সংক্ষিপ্ত আলোচনা নিম্নে প্রদত্ত হল:

গামরের অভিযান

৬ষ্ঠ হিজরীর রবিউল আওয়াল, মতান্তরে রবিউল আখের মাসে ‘উক্বাশাহ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে চল্লিশ জন সাহাবী (রাঃ)-এর সমন্বয়ে এক বাহিনী গামর অভিমুখে প্রেরণ করেন। এ হচ্ছে বনু আসাদ গোত্রের একটি ঝর্ণার নাম। মুসলিম বাহিনীর অগ্রাভিযানের সংবাদ অবগত হয়ে বনু আসাদ গোত্রের লোকজনেরা তাদের গবাদি পাল পেছনে রেখে প্রাণভয়ে পলায়ন করে। মুসলিম বাহিনী তাদের পরিত্যক্ত দু’ শত উট নিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন।

যুল ক্বাসসাহর প্রথম অভিযান

উল্লেখিত ৬ষ্ঠ হিজরীর রবিউল আওয়াল কিংবা রবিউল আখের মাসে মুহাম্মাদ বিন মাসলামা (রাঃ)-এর নেতৃত্বে দশ সদস্য বিশিষ্ট এক সৈন্যদল জুলকেসসা অভিমুখে প্রেরণ করা হয়। ইহা বনু সা’লাবা নামক অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। শত্রুদলের সৈন্য সংখ্যা ছিল এক শত। শত্রুদল একটি গুপ্তস্থানে আত্মগোপন করে।

কিছুটা অসতর্ক অবস্থায় মুসলিম বাহিনী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন এমন সময় শত্রু বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ পরিচালন করে তাঁদের সকলকে হত্যা করে। শুধুমাত্র মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ (রাঃ) মারাত্মকভাবে আহত হয়ে কোন ভাবে প্রাণে বেঁচে যান।

যুল ক্বাসসাহর দ্বিতীয় অভিযান

বনু সা’লাবাহ অভিযানে শাহাদত প্রাপ্ত সাহাবীগণের এ শোকাবহ ঘটনার প্রতিশোধ গ্রহণ এবং বনু সা’লাবাহকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে রবিউল আখের মাসেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবূ উবায়দাহ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে যুল ক্বাসসাহ অভিমুখে চল্লিশ সদস্যের এক বাহিনী প্রেরণ করেন। রাতের অন্ধকারে পায়ে হেঁটে এ বাহিনী বনু সা’লাবাহ গোত্রের সন্নিকটে উপস্থিত হয়ে অতর্কিত আক্রমণ শুরু করেন। কিন্তু বনু সা’লাবাহর লোকজনেরা দ্রুত গতিতে পর্বতশীর্ষ অতিক্রম করে পলায়ন করে। মুসলিম বাহিনীর পক্ষে তাদের নাগাল পাওয়া সম্ভব হয় নি। তাঁরা শুধু এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়, যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিমগণের দলভুক্ত হয়ে যান। কাজেই, বনু সা’লাবাগ গোত্রের পরিত্যক্ত গবাদি পশুর পাল নিয়ে মুসলিম বাহিনী মদীনা প্রত্যাবর্তন করেন।

জামুম অভিযান

৬ষ্ঠ হিজরীর রবিউল আখের মাসে যায়দ বিন হারিসাহর নেতৃত্বে জামূম অভিমুখে এ বাহিনী প্রেরণ করা হয়। জামূম হচ্ছে মাররুয যাহরানে (বর্তমান ফাত্বিমাহ উপত্যকা) বনু সুলাইম গোত্রের একটি ঝর্ণার নাম। যায়দ (রাঃ) তাঁর বাহিনীসহ সেখানে পৌঁছার পর পরই মুযাইনা গোত্রের হালীমাহ নাম্নী এক মহিলা তাঁদের হাতে বন্দিনী হয়। এ মহিলার নিকট হতে বনু সুলাইম গোত্রের নির্দিষ্ট এবং বিভিন্ন তথ্য তাঁরা অবগত হন। বনু সুলাইমের উপর আক্রমণ চালিয়ে তাঁরা বহু লোককে বন্দী করেন এবং অনেক গবাদি পশু তাঁদের হস্তগত হয়। যায়দ এবং তাঁর বাহিনী এ সকল বন্দী ও গবাদি পশুসহ মদীনা প্রত্যাবর্তন করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ মুযাইনী গোত্রীয় বন্দিনী মহিলাকে মুক্ত করার পর তাঁর বিবাহের ব্যবস্থা করেন।

ঈস অভিযান

৬ষ্ঠ হিজরীর জুমাদাল উলা মাসে যায়দ বিন হারিসাহর নেতৃত্বে ঈস অভিমুখে এক বাহিনী প্রেরণ করা হয়। এ বাহিনীতে ছিলেন এক শত সত্তর জন ঘোড়সওয়ার মর্দে মুজাহিদ। এ অভিযানকালে এক কুরাইশ বাণিজ্য কাফেলার কিছু সম্পদ মুজাহিদ বাহিনীর হস্তগত হয়। এ কুরাইশ বাণিজ্য কাফেলাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জামাতা আবুল আসের নেতৃত্বাধীনে ভ্রমণরত ছিল। আবুল আস তখনো ইসলাম গ্রহণ করেন নি।
কাফেলার সম্পদসমূহ মুসলিম বাহিনীর হস্তগত হওয়ায় গ্রেফতার এড়ানো এবং মালপত্র ফেরত পাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মদীনা অভিমুখে পলায়ন করেন এবং নবী তনয়া যয়নাবের আশ্রয় গ্রহণ করে কাফেলার সকল সম্পদ যাতে ফেরত দেয়া হয় সে ব্যাপারে তার পিতাকে অনুরোধ করার জন্য তাঁকে বলেন। যায়নাব পিতার নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করলে কোন প্রকার শর্ত ব্যতিরেকেই সকল সম্পদ ফেরত দানের জন্য সাহাবীগণকে নবী করীম (ﷺ) নির্দেশ প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নির্দেশ মোতাবেক সাহাবায়ে কেরাম কাফেলার সকল সম্পদ ফেরত প্রদান করেন। সমস্ত ধন সম্পদসহ আবুল আস মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং মালিকগণের নিকট সমস্ত মালামাল প্রত্যাবর্তন করার পর ইসলাম গ্রহণ করে মদীনায় হিজরত করেন। পূর্বের বিবাহের ভিত্তিতেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মেয়ে যায়নাবকে তার হাতে সমর্পণ করেন। সহীহুল হাদীসের মাধ্যমে এ তথ্য প্রমাণিত হয়েছে।[১]

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পূর্বের বিবাহের ভিত্তিতে এ জন্য তাঁর মেয়ে যায়নাবকে সমর্পণ করেছিলেন যে ঐ সময় পর্যন্ত মুসলিম মহিলাদের উপর কাফের স্বামীর সঙ্গে বসবাস করা হারাম হওয়ার নির্দেশ সম্বলিত আয়াত অবতীর্ণ হয়নি। অন্য এক হাদীসে এ কথাও বর্ণিত হয়েছে যে, নতুন বিবাহের মাধ্যমে নবী তনয়া যায়নাবকে তাঁর স্বামীর নিকট সমর্পণ করা হয়েছিল। এটা অর্থ ও বর্ণনাপঞ্জী কোন হিসেবে সহীহুল নয়।[২] অধিকন্তু এ কথাও উল্লেখিত হয়েছে যে, ছয় বছর পর তাঁকে সমর্পণ করা হয়েছিল। কিন্তু সনদ কিংবা অর্থগত কোন দিক দিয়েই এ হাদীস বিশুদ্ধ বলে প্রতীয়মান হয় না। বরং উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই এ হাদীস দুর্বল। যাঁরা এ হাদীসের কথা উল্লেখ করেন তাঁরা অদ্ভূত রকমের দুই বিপরীতমুখী কথা বলে থাকেন। তাঁরা বলেন যে, ৮ম হিজরীর শেষভাগে মক্কা বিজয়ের কিছু পূর্বে আবুল আস মুসলিম হয়েছিলেন। অথচ কেউ কেউ এ কথাও বলে থাকেন যে, ৮ম হিজরীর প্রথম ভাগে যায়নাব মৃত্যুবরণ করেন। অথচ যদি এ কথা দু’টি মেনে নেয়া যায় তাহলে বিপরীতমুখী আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমতাবস্থায় আবুল আসের ইসলাম গ্রহণ এবং হিজরত করে তার মদীনা গমণের সময় যায়নাব জীবিত থাকলেন কোথায় যে নতুন ভাবে বিবাহের ব্যবস্থা হবে কিংবা পুরাতন বিবাহের ভিত্তিতেই তাঁকে সমর্পণ করা হবে। এ বিষয়ের উপর আমি বুলুগুম মারাম গ্রন্থের টীকাতে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।[৩]
বিখ্যাত মাগাযী বিশারদ মুসা বিন উক্ববাহর ঝোঁক এ দিকেই আছে যে, এ ঘটনা সপ্তম হিজরীতে আবূ বাসীর এবং তার বন্ধুদের হাতে ঘটেছিল। কিন্তু এর অনুকূলে কোন বিশুদ্ধ অথবা যঈফ সমর্থন পাওয়া যায় না।

ত্বারিফ অথবা ত্বারিক্ব অভিযান

এ অভিযানটিও সংঘটিত হয়েছিল জুমাদাল আখের মাসে। যায়দ বিন হারিসাহর নেতৃত্বে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট এ বাহিনীটি প্রেরণ করা হয় তরফ অভিমুখে। এ স্থানটি ছিল বনু সা’লাবা গোত্রের অঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তু মুসলিম বাহিনীর অগ্র যাত্রার সংবাদ অবগত হওয়া মাত্রই বেদুঈনরা সেস্থান থেকে পলায়ন করল। পলায়নরত বেদুঈনদের চারটি উট মুসলিম বাহিনীর হস্তগত হয়েছিল। সেখানে চারদিন অবস্থানের পর তাঁরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন। বেদুঈনদের ভয় ছিল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেই আগমন করেছেন।

ওয়াদিল কুরা অভিযান

যায়দ বিন হারিসাহর নেতৃত্বে এ অভিযানটিও পরিচালিত হয়। ১২ জন সাহাবীর সমন্বয়ে সংগঠিত হয়েছিল এ অভিযাত্রী দল। ৬ষ্ঠ হিজরীর রজব মাসে অনুষ্ঠিত হয় ওয়াদিল কুরা অভিযান। এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল শত্রুদের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া। কিন্তু ওয়াদিল কুরার অধিবাসীগণ আকস্মিকভাবে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমণ করে ৯ জন সাহাবীকে হত্যা করে। শুধুমাত্র ৩ জন সাহাবী এ হত্যাকান্ড থেকে রক্ষা পান। এ তিন জনের অন্যতম ছিলেন যায়দ বিন হারিসাহ।[৪]

খাবাত্ব অভিযান

এ অভিযানের সময় সম্পর্কে বলা হয়েছে ৮ম হিজরীর রজব মাস। কিন্তু হিসাব করে দেখা যায় যে এ অভিযান ছিল হুদায়বিয়াহহর পূর্বের ঘটনা। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করীম (ﷺ) এ অভিযানে তিনশত ঘোড়সওয়ারের এক বাহিনী প্রেরণ করেন। এ অভিযানের নেতৃত্ব অর্পণ করা হয় আবূ ওবায়দা বিন জাররাহর (রাঃ) উপর। এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল এক কুরাইশ কাফেলার গতিবিধি লক্ষ্য করা ও খোঁজ খবর সংগ্রহ করা। কথিত আছে যে, এ বাহিনী পরিচালনা কালে অভিযাত্রীগণ চরম অনাহারে ও ক্ষুধার মধ্যে নিপতিত হন। খাদ্য সামগ্রীর সংস্থান করতে সক্ষম না হওয়ার কারণে এক পর্যায়ে এ বাহিনীর সদস্যগণকে ক্ষুধা নিবৃত্তির উদ্দেশ্যে গাছের পাতা ভক্ষণ করতে হয়। এ প্রেক্ষিতেই এ অভিযানের নামকরণ হয়েছিল। ‘খাবত অভিযান (ঝরানো পাতাসমূহকে খাবাত্ব বলা হয়)। অবশেষে এক ব্যক্তি তিনটি উট যবেহ করেন, অতঃপর তিনটি উট যবেহ করেন, পরবর্তী পর্যায়ে পুনরায় তিনটি উট যবেহ করেন। কিন্তু আরও উট যবেহ করার ব্যাপারে আবূ ওবায়দা তাঁকে বাধা প্রদান করেন।
এর পরেই সমুদ্রবক্ষ হতে ‘আম্বার’ নামক এক জাতীয় একটি বিশালকায় উত্থিত মাছও নিক্ষিপ্ত হয়। অভিযাত্রীদল অর্ধমাস যাবৎ এ মস্য ভক্ষণ এবং এর দেহ নিঃসৃত তেল ব্যবহার করতে থাকেন। এ মৎস ভক্ষণের ফলে তাদের ঝিমিয়ে পড়া মাংস পেশী ও স্নায়ুতন্ত্রগুলো পুনরায় সুস্থ ও সতেজ হয়ে ওঠে। আবূ ওবায়দা এ মাছের একটি কাঁটা নেন এবং সৈন্যদলের মধ্যে সব চাইতে লম্বা ব্যক্তিটিকে সব চাইতে উঁচু উটটির পৃষ্ঠে আরোহণ করে সেই কাঁটার ঘোরের মধ্য দিয়ে যেতে বলেন এবং অনায়াসেই তিনি তা করেন। মৎসটির বিশালকায়ত্ব প্রমাণের জন্যেই তিনি এ ব্যবস্থা করেন।

সেই মৎসা দেহের প্রয়োজনরিক্ত অংশ বিশেষ সংরক্ষণ করে তা মদীনা প্রত্যাগমনের সময় সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে সেই মৎস্য বৃত্তান্ত পেশ করা হলে তিনি বলেন,

(‏هُوَ رِزْقٌ أَخْرَجَهُ اللهُ لَكُمْ، فَهَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمَةِ شَيْءٌ تُطْعِمُوْنَا‏؟‏‏)‏

‘এ হচ্ছে তোমাদের জন্য আল্লাহর প্রদত্ত এক প্রকারের রুজী বা আহার্য। এর গোস্ত তোমাদের নিকট যদি আরও কিছু থাকে তাহলে আমাদেরকেও খেতে দাও। কিছুটা গোস্ত আমরা তাঁর খিদমতে পাঠাবার ব্যবস্থা করি।[৫]

খাবাত্ব অভিযানের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করলে এটা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল হুদায়বিয়াহর সন্ধির পূর্বে। এর কারণ হচ্ছে, হুদায়বিয়াহর সন্ধিচুক্তির পর মুসলিমগণ কোন কুরাইশ কাফেলার চলার পথে কোন প্রকার অন্তরায় সৃষ্টি করেন নি।

তথ্যসূত্রঃ
[১] সুনানে আবূ দাউদ, শারহ আওনুল মাবুদ সহ। স্ত্রী পরে মুসলিম হলে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর প্রত্যাবর্তন অধ্যায়।
[২] এ দুটি আলোচনা সম্পর্কে তোহফাতুল আহওয়াযী ২/১৯৫, ১৯৬ পৃঃ।
[৩] ইতহাফুল কিরাম ফী তা’লীকি বুলুগিল হারাম।
[৪] রহামাতুল্লিল আলামীন ২য় খন্ড ২২৬ পৃঃ। যাদুল মা‘আদ ২য় খন্ড ১২০-১২২ পৃ: এবং তালকিহু ফুহুমি আহলিল আসরের টীকা ২৮ ও ২৯ পৃঃ। এ অভিযান সমূহের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে।
[৫] সহীহুল বুখারী ২য় খন্ড ৬২৫-৬২৬ পৃঃ, সহীহুল মুসলিম ২য় খন্ড ১৪৫-১৪৬ পৃঃ।






*********************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url