মা’আরেফুল কোরআন - ২৯ || সূরা আল-বাকারাহ ৭৫-৮০নং আয়াতের অর্থ ও তাফসীর ||





بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৭৫-৮০


সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৭৫

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 اَفَتَطۡمَعُوۡنَ اَنۡ یُّؤۡمِنُوۡا لَکُمۡ وَ قَدۡ کَانَ فَرِیۡقٌ مِّنۡهُمۡ یَسۡمَعُوۡنَ کَلٰمَ اللّٰهِ ثُمَّ یُحَرِّفُوۡنَهٗ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا عَقَلُوۡهُ وَ هُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ

সূরা আল-বাকারাহ ৭৫নং আয়াতের অর্থ

(৭৫) (হে মুসলমানগণ)। তোমরা কি আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে ? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত। অতঃপর বুঝে-শুনে তা পরিবর্তন করে দিত এবং তারা তা অবগত ছিল।

সূরা আল-বাকারাহ ৭৫নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

(মুসলমানেরা ইহুদীদের ঈমানদার করার চেষ্টায় অনেক কষ্ট স্বীকার করত।) আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াতের মাধ্যমে ইহুদীদের অবস্থা ও ঘটনাবলী বলে ও শুনিয়ে মুসলমানদের আশার অবসান ঘটাচ্ছেন এবং তাদের কষ্ট দূর করছেন।

হে মুসলমানগণ, (এসব কাহিনী শুনে) এখনও কি তোমরা আশা কর যে, ইহুদীরা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? (অথচ তাদের দ্বারা উপরোক্ত ঘটনাবলী ছাড়া আরও একটি জঘন্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তা এই যে, তাদের একদল লোক (অতীতে) আল্লাহর বাণী শুনে তা বিকৃত করে দিত, তা হৃদয়ঙ্গম করার পর (এমন করত)। এবং (মজার ব্যাপার এই যে,) তারা জানত (যে তারা জঘন্য অপরাধ করেছে; শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই তারা এমনটি করত)।

জ্ঞাতব্যঃ উদ্দেশ্য এই যে, যারা এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ ও স্বার্থান্বেষী, তারা অন্যের সদুপদেশে কখনও মন্দ কাজ থেকে বিরত হবে না।

এখানে ’আল্লাহর বাণী’ অর্থাৎ তওরাত। ’শ্রবণ কর’ অর্থাৎ পয়গম্বরদের মাধ্যমে শ্রবণ কর। ’পরিবর্তন করা’ অর্থাৎ কোন কোন বাক্য অথবা ব্যাখ্যা অথবা উভয়টিকে বিকৃত করে ফেলা।

অথবা ’আল্লাহর বাণী’ অর্থাৎ ঐ বাণী, যা মূসা (আ)-এর সত্যায়নের উদ্দেশ্যে তাঁর সাথে গমনকারী সত্তরজন ইহুদী তূর পর্বতে শুনেছিল। ’শ্ৰবণ’ অর্থ মাধ্যমবিহীনভাবে সরাসরি শ্রবণ। ‘পরিবর্তন’ অর্থ স্বগোত্রের কাছে প্রসঙ্গক্রমে এরূপ বর্ণনা করা যে, আল্লাহ্ তা’আলা উপসংহারে বলে দিয়েছেনঃ তোমরা যেসব নির্দেশ পালন করতে না পার, তা মাফ।

হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর আমলে যেসব ইহুদী ছিল, তাদের দ্বারা উল্লিখিত কোন কুকর্ম সংঘটিত হয়নি সত্য; কিন্তু পূর্ববর্তীদের এসব দুষ্কর্মকে তারা অপছন্দ ও ঘৃণা করত না। এ কারণে তারাও কার্যত পূর্ববর্তীদের মতই।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৭৬

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 وَ اِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَ اِذَا خَلَا بَعۡضُهُمۡ اِلٰی بَعۡضٍ قَالُوۡۤا اَتُحَدِّثُوۡنَهُمۡ بِمَا فَتَحَ اللّٰهُ عَلَیۡکُمۡ لِیُحَآجُّوۡکُمۡ بِهٖ عِنۡدَ رَبِّکُمۡ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ

সূরা আল-বাকারাহ ৭৬নং আয়াতের অর্থ

(৭৬) যখন তারা মুসলমানদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে আমরা মুসলমান হয়েছি। আর যখন পরস্পরের সাথে নিভৃতে অবস্থান করে, তখন বলে : পালনকর্তা তোমাদের জন্য যা প্রকাশ করেছেন, তা কি তাদের কাছে বলে দিচ্ছ ? তাহলে যে তারা এ নিয়ে পালনকর্তার সামনে তোমাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। তোমরা কি তা উপলব্ধি কর না?

সূরা আল-বাকারাহ ৭৬নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

যখন তারা (অর্থাৎ কপট ইহুদীরা) মুসলমানদের সাথে মিলিত হয়, তখন (তাদের) বলেঃ আমরা (এই মাত্র) ঈমান এনেছি। আর যখন নিভৃতে যায়, কতক (কপট ইহুদী) অন্য কতকের (অর্থাৎ প্রকাশ্য ইহুদীর) সাথে (তখন তাদের সহচর ও সহধর্মী হওয়ার দাবি করে) তখন তারা (প্রকাশ্য ইহুদীরা) বলেঃ তোমরা (একি সর্বনাশা কাজ কর যে, মুসলমানদের তোষামোদ করতে গিয়ে তাদের ধর্মের পক্ষে উপকারী কথাবার্তা) বলে দাও, যা আল্লাহ্ তা’আলা তওরাতে তোমাদের জন্য প্রকাশ করেছেন ? (কিন্তু বিশেষ উদ্দেশ্যে আমরা তা গোপন রাখি।) এর ফল হবে এই যে, তারা বাদানুবাদে তোমাদের (একথা বলে) হারিয়ে দেবে (যে, দেখ এ বিষয়টি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের ধর্মগ্রন্থেও বর্ণিত রয়েছে)। তোমরা কি (এ স্থুল বিষয়টিও) উপলব্ধি কর না?

মুনাফিক ইহুদীরা তোষামোদের ছলে নিজেদের ঈমানের সত্যতা প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝে কিছু গোপন কথা বলে দিত। উদাহরণত, তওরাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে, কোরআন মজীদ সম্পর্কে সংবাদ উল্লিখিত হয়েছে ইত্যাদি। এ কারণে অন্যরা তাদের তিরস্কার করত।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৭৭-৭৯

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

  اَ وَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ اَنَّ اللّٰهَ یَعۡلَمُ مَا یُسِرُّوۡنَ وَ مَا یُعۡلِنُوۡنَ ﴿۷۷
وَ مِنۡهُمۡ اُمِّیُّوۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ الۡکِتٰبَ اِلَّاۤ اَمَانِیَّ وَ اِنۡ هُمۡ اِلَّا یَظُنُّوۡنَ ﴿۷۸
فَوَیۡلٌ لِّلَّذِیۡنَ یَکۡتُبُوۡنَ الۡکِتٰبَ بِاَیۡدِیۡهِمۡ ٭ ثُمَّ یَقُوۡلُوۡنَ هٰذَا مِنۡ عِنۡدِ اللّٰهِ لِیَشۡتَرُوۡا بِهٖ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ فَوَیۡلٌ لَّهُمۡ مِّمَّا کَتَبَتۡ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ وَیۡلٌ لَّهُمۡ مِّمَّا یَکۡسِبُوۡنَ ﴿۷۹

সূরা আল-বাকারাহ ৭৭-৭৯নং আয়াতের অর্থ

(৭৭) তারা কি এতটুকুও জানে না যে, আল্লাহ্ সেসব বিষয়ও পরিজ্ঞাত যা তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে। (৭৮) তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা ছাড়া আল্লাহ্র গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই । (৭৯) অতএব তাদের জন্য আফসোস, যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ- যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ তাদের উপার্জনের জন্য ।

সূরা আল-বাকারাহ ৭৭-৭৯নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

তাদের কি একথা জানা নেই যে, আল্লাহ্ সে সবই জানেন—যা তারা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে। (কাজেই মুসলমানদের কাছে মুনাফিকদের কুফরী বিষয় গোপন করে এবং হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুসংবাদ সম্পর্কিত বিষয় গোপন করে কোন লাভ নেই । আল্লাহ্ তা’আলা সবই জানেন। সেমতে তিনি উভয় বিষয়ই মুসলমানদের বলে দিয়েছেন।)

এ আয়াতে শিক্ষিত ইহুদীদের কথা বর্ণিত হয়েছে। পরবর্তী আয়াতে অশিক্ষিতদের কথা এভাবে বলা হয়েছেঃ

তাদের মধ্যে অনেক অশিক্ষিতও রয়েছে। এরা খোদায়ী গ্রন্থের জ্ঞান রাখে না। কিন্তু (ভিত্তিহীন) আকর্ষণীয় কথাবার্তা বেশ ভাল করেই মনে করে রেখেছে। তারা আর কিছু নয়, শুধু অলীক কল্পনার জালবোনে। (এর কারণ, কিছুটা তাদের আলিমদের অসম্পূর্ণ শিক্ষা, আর কিছুটা তাদের নিজস্ব বোধশক্তির অভাব। এমতাবস্থায় অলীক কল্পনাবিলাস ছাড়া সত্যানুসন্ধান কিরূপে সম্ভব ? কথায় বলে, “এমনিতেই কড়লা, তা আবার নিম গাছের।" এতে মিষ্টতা কোথায়!

তাদের এ কুসংস্কার প্রীতির জন্য আলিম সম্প্রদায়ের বিশ্বাসঘাতকতাই প্রধানত দায়ী। এ কারণে তারা সাধারণ লোক অপেক্ষা বেশি অপরাধী। পরের আয়াতে তাই বলা হচ্ছেঃ

(সাধারণ লোকের মূর্খতার জন্য আলেমরাই যখন দায়ী, তখন) বড় আক্ষেপ তাদের হবে, যারা (বিকৃত করে) গ্রন্থ (অর্থাৎ তওরাত) স্বহস্তে লিখে এবং পরে (জনসাধারণকে) বলে যে, এ নির্দেশ আল্লাহর পক্ষ থেকে (এভাবেই) এসেছে। উদ্দেশ্য (শুধু) তার দ্বারা কিছু নগদ অর্থ-কড়ি বাগিয়ে নেওয়া। অতএব, তাদের বড় আক্ষেপ হবে গ্রন্থ বিকৃত করার জন্য, যা তারা স্বহস্তে লিখেছিল এবং বড় আক্ষেপ হবে তাদের (নগদ অর্থ) উপার্জনের জন্য।

জনগণের সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রেখে ভুল বিষয় পরিবেশন করলে তারা কিছু নগদ অর্থ কড়িও পেয়ে যেত এবং মান-সম্মানও বজায় থাকত। এ কারণে তারা তওরাতে শাব্দিক ও মর্মগত—উভয় প্রকার পরিবর্তন করার চেষ্টা করত। উল্লিখিত আয়াতে এ বিষয়ের উপরই কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৮০

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

وَ قَالُوۡا لَنۡ تَمَسَّنَا النَّارُ اِلَّاۤ اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدَۃً ؕ قُلۡ اَتَّخَذۡتُمۡ عِنۡدَ اللّٰهِ عَهۡدًا فَلَنۡ یُّخۡلِفَ اللّٰهُ عَهۡدَهٗۤ اَمۡ تَقُوۡلُوۡنَ عَلَی اللّٰهِ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۰

সূরা আল-বাকারাহ ৮০নং আয়াতের অর্থ

(৮০) তারা বলেঃ  আগুন আমাদিগকে কখনও স্পর্শ করবে না; কিন্তু কয়েক দিন ব্যতীত। বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার পেয়েছ যে, আল্লাহ্ তার খেলাফ করবেন না—না তোমরা যা জান না, তা আল্লাহর সাথে জুড়ে দিচ্ছ।

সূরা আল-বাকারাহ ৮০নং আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

ইহুদীরা আরও বলেঃ দোষখের আগুন কখনও আমাদেরকে স্পর্শ করবে না। (হ্যাঁ) তবে খুব অল্প দিন যা (আঙ্গুলে) গোণা যায়, এমন কয়দিন মাত্র। হে মুহাম্মদ, আপনি বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে এ মর্মে কোন চুক্তি করেছ যে, তিনি স্বীয় চুক্তির বিরুদ্ধাচরণ করবেন না? না, (চুক্তি করনি; বরং) এমনিতেই আল্লাহর সাথে এমন কথা জুড়ে দিচ্ছ, যার কোন যুক্তিগ্রাহ্য সনদ তোমাদের কাছে নেই?

তফসীরবিদগণ ইহুদীদের এ বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তন্মধ্যে একটি এই যে, ঈমানদার ব্যক্তি গোনাগার হলে গোনাহ্ পরিমাণে দোযখ ভোগ করবে। কিন্তু ঈমানের ফলস্বরূপ চিরকাল দোযখে থাকবে না। কিছুকাল পরই তা থেকে মুক্তি পাবে।

অতএব, ইহুদীদের দাবির সারমর্ম এই যে, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী হযরত মূসা (আ) প্রচারিত ধর্ম রহিত হয়নি। কাজেই তারা ঈমানদার। ঈসা (আ) ও হুযূরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবূয়ত অস্বীকার করার পরও তারা কাফের নয়। সুতরাং যদি কোন পাপের কারণে তারা দোযখে চলেও যায়, কিন্তু কিছু দিন পরই মুক্তি পাবে। বলা বাহুল্য, এ দাবিটি একটি অসত্যের উপর অসত্যের ভিত্তি বৈ নয়। কেননা মূসা (আ) কর্তৃক প্রচারিত ধর্ম চিরকালের জন্য এরূপ দাবিই অসত্য। অতএব ঈসা (আ) ও হুযূরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবূয়ত অস্বীকার করার কারণে ইহুদীরা কাফের। কাফেরও কিছুদিন পর দোযখ থেকে মুক্তি পাবে-এমন কথা কোন আসমানী গ্রন্থে নেই—যা আলোচ্য আয়াতে অঙ্গীকার শব্দের মাধ্যমে ব্যক্ত হয়েছে। সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, ইহুদীদের দাবিটি যুক্তিহীন বরং যুক্তিবিরুদ্ধ।




Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url