মাসলা মাসায়েল-১৭ || কুরআন ও কিরাত প্রতিযোগিতা || কুরআন ও কিরাত প্রতিযোগিতার শরঈ দৃষ্টিভঙ্গি






কুরআন ও কিরাত প্রতিযোগিতার শরঈ দৃষ্টিভঙ্গি



প্রশ্নঃ আসসালামু আ’লাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বর্তমানে মাহফিলে যে কেরাত পড়া হয় বা কেরাত প্রতিযোগিতায় কুরআন শরীফ কে এক টানে পড়ার প্রতিযোগিতা হয় তা কতটা শরিয়ত সম্মত বিস্তারিত বললে খুবই উপকৃত হব এরূপ কেরাত পড়া ভালো নাকি হদর পড়া ভালো তাও জানালে খুব উপকৃত হবো।



উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


যদি মানুষের মাঝে কুরআনের হিফজ এবং তাজবীদ শিক্ষা দেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা, কুরআনি শিক্ষার প্রচার প্রসার এবং কুরআনের মাহাত্ম্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে, ভালো নিয়তে তিলাওয়াত করা হয়, যাতে সকল প্রকার মুনকার (শরীয়ত বিরোধী কাজ), লৌকিকতা, নাম যশ ও সুনাম সুখ্যাতি ইত্যাদির উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে এজাতীয় অনুষ্ঠান-প্রতিযোগিতার আয়োজন করার অবকাশ আছে। বরং এর মাধ্যমে কুরআনের মুজিযা প্রকাশিত হয়।


তবে এজাতীয় অনুষ্ঠানে তিলাওয়াত করে যদি কোন প্রকার বিনিময় বা উপঢৌকন লাভের প্রত্যাশা করা হয় অথবা সুনাম সুখ্যাতি কুড়ানোর আশা করা হয় তাহলে সেখানে কুরআন পাঠ করা জায়েয নাই।


লোকদের দেখানো ক্বারীদের শাস্তি

হাদিসে শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন;

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ جُبِّ الْحُزْنِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جُبُّ الْحُزْنِ قَالَ " وَادٍ فِي جَهَنَّمَ تَتَعَوَّذُ مِنْهُ جَهَنَّمُ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ " . قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَدْخُلُهُ قَالَ " الْقُرَّاءُ الْمُرَاءُونَ بِأَعْمَالِهِمْ "

আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ জুব্বুল হুজন থেকে তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাও। সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, জুব্বুল হুজন কি? তিনি বললেনঃ জাহান্নামের একটি উপত্যকা। এ থেকে খোদ জাহান্নামও প্রতিদিন একশ’ বার পানাহ চায়। বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, কে তাতে দাখেল হবে। তিনি বললেনঃ ঐসব ক্বারী যারা লোকদের দেখানোর জন্য আমল করে।


এ হাদীস শরীফ থেকে স্পষ্ট যে, সুনাম ও সুখ্যাতির জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা জায়েয নয়; বরং এতে কঠিন খোদায়ী শাস্তির আশঙ্কা রয়েছে।


আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এবং কুরআনি শিক্ষা বিস্তারে এজাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করার তাওফিক দান করুন। সাথে সাথে লৌকিকতা সুনাম, সুখ্যাতি ও অর্থ উপার্জনের "অসুস্থ প্রতিযোগিতা" থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। স্বীয় অনুগ্রহে তিনি জাহান্নামের জুব্বুল হুজন উপত্যকা থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।

اگر نیک نیتی کے ساتھ محض حفظ قرآن اورتجوید کا شوق پیدا کرنے کے لیے اور قرآن کی تعلیم اور اس کی اشاعت کو عام کرنے اور قرآن کی عظمت بڑھانے کے لیے مظاہرہ قراء ت کیا جائے ، جس میں ہرقسم کے منکرات حتی کہ ریا اور نام ونمود سے بچاجائے تواس طرح کی مجلس منعقد کرنے کی گنجائش ہے؛ لیکن مظاہرہ قراء ت میں کسی قسم کی اجرت یانذرانہ کی خواہش رکھنا اورنذرانہ حاصل کر نے کی غرض سے شرکت کرنا یا ریا اور شہرت حاصل کرنے کے لیے قرآن پڑھنا جائز نہیں ہے۔


حدیث میں: قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: تعوذوا من جب الحزن، قالوا: یارسول اللہ! وما جب الحزن؟ قال: واد فی جہنم، یتعوذ منہ جہنم کل یوم مائة مرة، قیل: یا رسول اللہ! ومن یدخلہ؟ قال: القراء ون المراء ون بأعمالہم۔ (ترمذی، باب ماجاء فی الریا و السمعة، النسخة الہندیہ ۶۳/۲، دارالسلام رقم:۲۳۸۳)


اس حدیث شریف سے معلوم ہوتا ہے کہ نمائش اور نام و نمود کے لئے ایسا پروگرام کرنا اور اس میں شرکت کرنا جائز نہیں ہے ؛ بلکہ اس میں سخت ترین عذاب الٰہی کا خطرہ ہے ۔

دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند
والله اعلم بالصواب



উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url