মা’আরেফুল কোরআন - ৩৭ || সূরা আল-বাকারাহ ১১৬-১২১নং আয়াতের অর্থ ও তাফসীর ||







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ১১৬-১২১
Surah Al-Baqarah Verses: 116-121


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

وَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا ۙ سُبۡحٰنَهٗ ؕ بَلۡ لَّهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ کُلٌّ لَّهٗ قٰنِتُوۡنَ ﴿۱۱۶
 بَدِیۡعُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ اِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَهٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۱۱۷

সূরা আল-বাকারাহ ১১৬ ও ১১৭ নং আয়াতের অর্থ

(১১৬) তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি তো এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন। (১১৭) তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।

সূরা আল-বাকারাহ ১১৬ ও ১১৭ নং আয়াতের তাফসীর


তফসীরের সার-সংক্ষেপ
[কোন কোন ইহুদী হযরত উযাইর (আ)-কে এবং খৃস্টানরা হযরত ঈসা (আ)-কে আল্লাহ্ তা’আলার পুত্র বলে দাবি করত। এছাড়া আরবের মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে ’আল্লাহর কন্যা’ বলে অভিহিত করত। বিভিন্ন আয়াতে ওদের এসব উক্তি বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা এসব উক্তির ত্রুটি ও অসারতা বর্ণনা করেছেন। তারা (বিভিন্ন শিরোনামে) বলে, আল্লাহ্ তা’আলা সন্তান গ্রহণ করেছেন। সোবাহানাল্লাহ! (কি বাজে কথা !) বরং (তাঁর সন্তান ধারণ) যুক্তির দিক দিয়েও সম্ভবপর নয়। কারণ আল্লাহর সন্তান হয় ভিন্ন জাতি হবে, না হয় সমজাতি হবে। যদি ভিন্ন জাতি হয় তবে ভিন্ন জাতি সন্তান হওয়া একটি ত্রুটি। অথচ আল্লাহ্ তা’আলা যাবতীয় ত্রুটি থেকে মুক্ত যুক্তির দিক দিয়ে এটা স্বীকৃত এবং কোরআন-হাদীসের দিক দিয়েও প্রমাণিত। যেমন, سبحانه শব্দের মাধ্যমে তাই বোঝা যাচ্ছে। পক্ষান্তরে সন্তান যদি সমজাতির হয়,, তবে তা বাতিল হওয়ার এক কারণ এই যে, আল্লাহ্ তা’আলার কোন সমজাতি নেই। কারণ, পূর্ণত্বের যে সব গুণ-বৈশিষ্ট্য আল্লাহর সত্তার অপরিহার্য অঙ্গ, সে সবই আল্লাহর সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত— অন্যের মধ্যে তা নেই। কাজেই অন্যের পক্ষে আল্লাহ হওয়া সম্ভবপর নয় । সুতরাং আল্লাহর সন্তান সমজাতি হওয়াও বাতিল। পূর্ণত্বের যাবতীয় সিফাত যে আল্লাহর সাথেই বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত, এখানে তারই প্রমাণ বর্ণিত হচ্ছে। প্রথমত, (নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু রয়েছে,) সবই বিশেষভাবে আল্লাহর মালিকানাধীন। দ্বিতীয়ত (মালিকানাধীন হওয়ার সাথে সাথে) সবাই তাঁর আজ্ঞাধীনও বটে। (এই অর্থে যে, শরীয়তের বিধি-বিধান কেউ কেউ এড়াতে পারলেও জীবন ও মৃত্যু প্রভৃতির বিধান কেউ এড়াতে পারে না। তৃতীয়ত, তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের একক স্রষ্টা। চতুর্থত, (তাঁর সৃষ্টিক্ষমতাও এমন বিরাট ও অভাবনীয় যে) যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের ইচ্ছা করেন, তখন (মাত্র) তাকে একথাই বলেন, ’হয়ে যা’ (অতঃপর) তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। (যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম, কারিগর কিংবা কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন হয় না। এই চারটি বৈশিষ্ট্য আলাহ্ তা’আলা ব্যতীত অন্য কারো মধ্যে নেই। যারা আল্লাহর সন্তান আছে বলে দাবি করে, তাদের কাছেও একথা স্বীকৃত। সুতরাং প্রমাণ সব দিক দিয়েই পূর্ণ হয়ে গেল)।


জ্ঞাতব্যঃ (১) বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য বিশেষ ফেরেশতা নিযুক্ত করা– যেমন, বৃষ্টিবর্ষণ ও রিযিক পৌঁছানো ইত্যাদি কোন না কোন রহস্যের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন উপকরণ ও শক্তিকে কাজে লাগানোও তেমনি। এর কোনটিই এজন্য নয় যে, মানুষ এগুলোকে ক্ষমতাশালী স্বীকার করে তাদের কাছে সাহায্য চাইবে।

(২) ইমাম বায়যাভী বলেন, পূর্ববর্তী শরীয়তসমূহে আদি কারণ হওয়ার দরুন আল্লাহ্‌কে ’পিতা’ বলা হতো। একেই মূর্খরা জন্মদাতা অর্থ বুঝে নিয়েছে। ফলে এরূপ বিশ্বাস করা অথবা বলা কুফর সাব্যস্ত হয়েছে। অনিষ্টের ছিদ্রপথ বন্ধ করার লক্ষ্যে বর্তমানেও এ জাতীয় শব্দ ব্যবহারের অনুমতি নেই।


সূরা আল-বাকারাহ ১১৮ নং আয়াত

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ لَوۡ لَا یُکَلِّمُنَا اللّٰهُ اَوۡ تَاۡتِیۡنَاۤ اٰیَۃٌ ؕ کَذٰلِکَ قَالَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ مِّثۡلَ قَوۡلِهِمۡ ؕ تَشَابَهَتۡ قُلُوۡبُهُمۡ ؕ قَدۡ بَیَّنَّا الۡاٰیٰتِ لِقَوۡمٍ یُّوۡقِنُوۡنَ ﴿۱۱۸

সূরা আল-বাকারাহ ১১৮ নং আয়াতের অর্থ

(১১৮) যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা প্রত্যয়শীল।

সূরা আল-বাকারাহ ১১৮ নং আয়াতের তাফসীর


তফসীরের সার-সংক্ষেপ
কোন কোন মূর্খ [ ইহুদী, খৃস্টান ও মুশরিক রসূলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরোধিতায় ] বলে, (স্বয়ং) আল্লাহ্, আমাদের সাথে (ফেরেশতাদের মাধ্যম ছাড়া) কেন কথা বলেন না (যেমন, নিজে ফেরেশতাদের সাথে কথা বলেন, এই কথাবার্তায় হয় নিজেই আমাদের বিধি-বিধান বলে দিবেন—যাতে একজন রসূলের প্রয়োজন না থাকে, না হয় অন্তত এতটুকু বলে দেবেন যে, মুহাম্মদ আমার রসূল। এরূপ হলে আমরা তাঁর রিসালত মেনে নিয়ে তাঁরই আনুগত্য করব)। অথবা (কথা না বললে) আমাদের কাছে (রিসালত প্রমাণের অন্য) কোন নিদর্শন কেন আসে না? (আল্লাহ্ তা’আলা প্রথমে একে মূর্খতাসুলভ রীতি বলে আখ্যা দিচ্ছেন যে,) এমনিভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারাও তাদের অনুরূপ (মূর্খতাসুলভ) কথা বলেছে। (সুতরাং বোঝা গেল যে, এই উক্তি কোনরূপে গভীরতা ও সূক্ষ্মদর্শিতার উপর ভিত্তিশীল নয়; এরপর আল্লাহ্ তা’আলা এই উক্তির কারণ বর্ণনা করেছেন যে,) তাদের (পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মূর্খদের) অন্তর (বোকামিতে) একই রকম। (এ কারণেই সবার মুখ থেকে একই রকম কথা বের হয়। এরপর আল্লাহ্ তা’আলা তাদের উক্তির জওয়াব দিচ্ছেন। তাদের উক্তির প্রথম অংশ ছিল নিরেট বোকামিপ্রসূত। কারণ তারা আপনাকে ফেরেশতা ও পয়গম্বরদের সমান যোগ্যতাসম্পন্ন বলতে প্রয়াস পেয়েছিল, যা একেবারেই অলীক। এ কারণেই এই অংশকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দ্বিতীয় অংশের জওয়াব দেওয়া হচ্ছে যে, তোমরা এক নিদর্শনের কথা বলছ; অথচ) আমি (রিসালত প্রমাণের বহু) উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি, কিন্তু তা তাদের জন্য (উপকারী ও যথেষ্ট) যারা বিশ্বাস করে। (কিন্তু আপত্তিকারীদের উদ্দেশ্য হলো হঠকারিতা। এ কারণে সত্যান্বেষীর দৃষ্টিতে তারা প্রকৃত সত্যের খোঁজ নিতে চায় না। সুতরাং এমন লোকদের সন্তুষ্ট করার দায়িত্ব কে নেবে?)


(ইহুদী ও খৃস্টানরা ছিল আসমানী কিতাবের অধিকারী। তাদের মধ্যে শিক্ষিত লোকও ছিল। তা সত্ত্বেও আল্লাহ্ তা’আলা তাদের মূর্খ বলে অভিহিত করেছেন। এর কারণ এই যে, প্রচুর অকাট্য ও শক্তিশালী নিদর্শন প্রতিষ্ঠিত করা সত্ত্বেও সেগুলো অস্বীকার করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ কারণেই আল্লাহ্ তাদেরকে মূর্খ বলে অভিহিত করেছেন।)


সূরা আল-বাকারাহ ১১৯ নং আয়াত


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ بِالۡحَقِّ بَشِیۡرًا وَّ نَذِیۡرًا ۙ وَّ لَا تُسۡئَلُ عَنۡ اَصۡحٰبِ الۡجَحِیۡمِ ﴿۱۱۹


সূরা আল-বাকারাহ ১১৯ নং আয়াতের অর্থ

(১১৯) নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না।

সূরা আল-বাকারাহ ১১৯ নং আয়াতের তাফসীর


তফসীরের সার-সংক্ষেপ
(রসূলুল্লাহ্ [সা] ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামীন’-সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্যে রহমত। তাই কাফিরদের মূর্খতা, শত্রুতা ও কুফরের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা দেখে তিনি বিষণ্ন ও মনঃক্ষুণ্ন হয়ে পড়তেন। এ কারণে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর সান্ত্বনার জন্যে বলেন, হে রসূল !) নিশ্চয় আপনাকে সত্য ধর্মসহ (সৃষ্টজীবের প্রতি) পাঠিয়েছি, যাতে আপনি (অনুগতদের) সুসংবাদ শোনাতে থাকেন ও (অবাধ্যদের প্রতি শাস্তির) ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। (দোযখবাসীদের সম্পর্কে) আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না (যে, ওরা সত্যধর্ম কবূল না করে কেন দোযখে গেল ? আপনি নিজ দায়িত্ব পালন করতে থাকুন, কেউ মানল কি মানল না, সে চিন্তা আপনার করা উচিত নয়)।


সূরা আল-বাকারাহ ১২০ নং আয়াত


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

وَ لَنۡ تَرۡضٰی عَنۡکَ الۡیَهُوۡدُ وَ لَا النَّصٰرٰی حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ هُدَی اللّٰهِ هُوَ الۡهُدٰی ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَهۡوَآءَهُمۡ بَعۡدَ الَّذِیۡ جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ ۙ مَا لَکَ مِنَ اللّٰهِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ ﴿۱۲۰

সূরা আল-বাকারাহ ১২০ নং আয়াতের অর্থ

(১২০) ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই।


সূরা আল-বাকারাহ ১২০ নং আয়াতের তাফসীর


তফসীরের সার-সংক্ষেপ
কখনও সন্তুষ্ট হবে না আপনার প্রতি ইহুদী ও খৃস্টানরা ; যে পর্যন্ত না আপনি ওদের ধর্মের (সম্পূর্ণ) অনুসারী হয়ে যান। (অথচ তা অসম্ভব। সুতরাং ওদের সন্তুষ্ট হওয়াও অসম্ভব । যদি এ সমস্ত কথা তাদের মুখ থেকে অথবা অবস্থাদৃষ্টে প্রকাশ পায়, তবে) আপনি (পরিষ্কার ভাষায়) বলে দিন, (ভাই) আল্লাহ্ (হেদায়েতের জন্য) যে পথ প্রদর্শন করেন, (বাস্তবে) সেটিই (হেদায়েতের) সরল পথ। (বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইসলামই সে পথ ; সুতরাং ইসলামই হলো হেদায়েতের পথ।) আপনার কাছে জ্ঞানের আলো পৌঁছার পর, যদি আপনি তাদের সে সমস্ত (ভ্রান্ত) ধারণাসমূহের অনুসরণ করেন, (যেগুলোকে তারা ধর্ম মনে করে ; কিন্তু বিকৃত ও কিছু রহিত হওয়ার ফলে এখন তা শুধু ভ্রান্ত ধারণার সমষ্টি হয়ে রয়েছে, তবে (এমতাবস্থায়) আল্লাহর কবল থেকে আপনাকে উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী কেউ নেই। (বরং এজন্য আল্লাহর ক্রোধানলে পতিত হওয়া অনিবার্য হয়ে পড়বে। কিন্তু এরূপ হওয়া অসম্ভব । কারণ আল্লাহ্ অনন্তকাল আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন, একথা অকাট্য যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত রয়েছে। সুতরাং ক্রোধ অসম্ভব। উপরিউক্ত অনুসরণের ফলে এই অসম্ভাব্যতা অনিবার্য হয়েছিল। তাই তার পক্ষে অনুসরণ অসম্ভব। অনুসরণ ব্যতীত তাদের সন্তুষ্টিও সম্ভবপর নয়। সুতরাং এর আশা করাও বৃথা। কাজেই মন থেকে তা মুছে ফেলা দরকার।


সূরা আল-বাকারাহ ১২১ নং আয়াত


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

اَلَّذِیۡنَ اٰتَیۡنٰهُمُ الۡکِتٰبَ یَتۡلُوۡنَهٗ حَقَّ تِلَاوَتِهٖ ؕ اُولٰٓئِکَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِهٖ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِهٖ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۱۲۱


সূরা আল-বাকারাহ ১২১ নং আয়াতের অর্থ

(১২১) আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।

সূরা আল-বাকারাহ ১২১ নং আয়াতের তাফসীর


তফসীরের সার-সংক্ষেপ
(এই আয়াতের পূর্ববর্তী আয়াতে আহলে-কিতাব শত্রুদের উল্লেখ এবং বিরোধীদের ঈমানের ব্যাপারে পূর্ণ নৈরাশ্যের কথা বর্ণিত হয়েছিল। এরপর কোরআনের রীতি অনুযায়ী আহলে কিতাবদের বর্ণনা আসছে, যারা সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর হুযূর (সা)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর অনুসরণ করছে। আল্লাহ্ বলেন,) আমি যাদেরকে (তওরাত ও ইঞ্জীল) গ্রন্থ (এই শর্তে) দান করেছি, (যে,) তারা তা যথার্থভাবে তিলাওয়াত করে (অর্থাৎ বোধশক্তিকে বিষয়বস্তু হৃদয়ঙ্গম করার কাজে নিয়োগ করে এবং ইচ্ছাশক্তিকে সত্যের অনুসরণে ব্যবহার করে, তারাই তৎপ্রতি (অর্থাৎ আপনার সত্যধর্ম ও ওহীর জ্ঞানের প্রতি) ঈমান আনে (ও বিশ্বাস স্থাপন করে)। আর যারা অবিশ্বাস করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে (অর্থাৎ ঈমানের ফলাফল থেকে বঞ্চিত হবে)।




****************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url