তাফসীরে ইবনে কাসীর - ২ || সূরা ফাতিহা-২ || আ'উযুবিল্লাহর ফাযীলাত || আ'উযুবিল্লাহর নিগূঢ় তত্ত্ব ||





আ'উযুবিল্লাহর ফাযীলাত

আউযুবিল্লাহির মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর উপকার ও মাহাত্ম্য। আজে বাজে কথা বলার ফলে মুখে যে অপবিত্রতা আসে তা বিদূরিত হয়। ঠিক তদ্রূপ এর দ্বারা মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হয় এবং তাঁর ব্যাপক ও একচ্ছত্র ক্ষমতার কথা স্বীকার করা হয়। আর আধ্যাত্মিক প্রকাশ্য শত্রুর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বীয় দুর্বলতা ও অপারগতার কথা স্বীকার করে নেয়া হয়। কেননা মানুষ শত্রুর মুকাবিলা করা যায়। অনুগ্রহ ও সদ্ব্যবহার দ্বারা তার শত্রুতা দূর করা যায়। যেমন পবিত্র কুরআনের ঐ আয়াতগুলিতে রয়েছে যেগুলি ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে। অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করেনঃ

إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَنٌ وَكَفَى بِرَبِّكَ وَكِيلاً

নিশ্চয়ই আমার দাসদের উপর তোর কোন ক্ষমতা নেই; কর্ম বিধায়ক হিসাবে তোর রাব্বই যথেষ্ট। (সূরা ইসরাহ, ১৭ঃ ৬৫)' যে মুসলিম কাফিরের হাতে মৃত্যুবরণ করেন, তিনি শহীদ হন। যে সেই গোপনীয় শত্রু শাইতানের হাতে মারা পড়ে সে আল্লাহর দরবার থেকে হবে বহিষ্কৃত, বিতাড়িত। মুসলিমের উপর কাফিরেরা জয়যুক্ত হলে মুসলিম প্রতিদান পেয়ে থাকেন। কিন্তু যার উপর শাইতান জয়যুক্ত হয় সে ধ্বংস হয়ে যায়। শাইতান মানুষকে দেখতে পায়, কিন্তু মানুষ শাইতানকে দেখতে পায়না বলে কুরআনুল হাকীমের শিক্ষা হল : 'তোমরা তার অনিষ্ট হতে তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর যিনি তাকে (শাইতানকে) দেখতে পান, কিন্তু সে তাঁকে দেখতে পায়না ।

আ'উযুবিল্লাহর নিগূঢ় তত্ত্ব

আ'উযুবিল্লাহ পড়া হল আল্লাহ তা'আলার নিকট বিনীত হয়ে প্রার্থনা করা এবং প্রত্যেক অনিষ্টকারীর অনিষ্টতা হতে তাঁর নিকট আশ্রয় চাওয়া। عَيَاذُه এর অর্থ হল অনিষ্টতা দূর করা, আর آیاده এর অর্থ হল মঙ্গল ও কল্যাণ লাভ করা ।

'আ'উযু' এর অর্থ হল এই যে, আমি আল্লাহ তা'আলার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি যেন বিতাড়িত শাইতান ইহজগতে ও পরজগতে আমার কোন ক্ষতি করতে না পারে। যে নির্দেশাবলী পালনের জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি তা পালনে যেন আমি বিরত না হয়ে পড়ি। আবার যা করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে তা যেন আমি না করি। এটা তো বলাই বাহুল্য যে, শাইতানের অনিষ্টতা হতে একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা ছাড়া আর কেহ রক্ষা করতে পারেনা। এ জন্য বিশ্ব প্ৰভু আল্লাহ মানুষরূপী শাইতানের দুষ্কার্য ও অন্যায় হতে নিরাপত্তা লাভ করার যে পন্থা শিখালেন তা হল তাদের সঙ্গে সদাচরণ। কিন্তু জিন রূপী শাইতানের দুষ্টামি ও দুষ্কৃতি হতে রক্ষা পাওয়ার যে উপায় তিনি বলে দিলেন তা হল তাঁর স্মরণে আশ্রয় প্রার্থনা। কেননা না তাকে ঘুষ দেয়া যায়, না তার সাথে সদ্ব্যবহারের ফলে সে দুষ্টামি হতে বিরত হয়। তার অনিষ্টতা হতে তো বাঁচাতে পারেন একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল ইয়্যাত। প্রাথমিক তিনটি আয়াতে এ বিষয় আলোচিত হয়েছে। সূরা আরাফে আছেঃ

خذ العفو وأمن بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الجهلِينَ

তুমি বিনয় ও ক্ষমা পরায়ণতার নীতি গ্রহণ কর, এবং লোকদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দাও, আর মূর্খদেরকে এড়িয়ে চল। (সূরা আ'রাফ, ৭ : ১৯৯) ইহা হল মানুষের সাথে ব্যবহার সংক্রান্ত। অতঃপর একই সূরায় আল্লাহ সুবহানাহু বলেনঃ

وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

শাইতানের কু-মন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে তাহলে তুমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর, তিনি সর্ব শ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সূরা আ'রাফ, ৭ঃ ২০০) সূরা মু'মিনূনে রয়েছে ঃ

 اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَصِفُوۡنَ ﴿۹۶ وَ قُلۡ رَّبِّ اَعُوۡذُ بِکَ مِنۡ هَمَزٰتِ الشَّیٰطِیۡنِ ﴿ۙ۹۷  وَ اَعُوۡذُ بِکَ رَبِّ اَنۡ یَّحۡضُرُوۡنِ ﴿۹۸

মন্দের মুকাবিলা কর উত্তম দ্বারা, তারা যা বলে আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। আর বল: হে আমার রাব্ব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শাইতানের প্ররোচনা হতে। হে আমার রাব্ব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট ওদের উপস্থিতি হতে। (সূরা মু'মিনূন, ২৩ : ৯৬-৯৮)

এই তিনটি আয়াতের বিস্তারিত বর্ণনা ও অনুবাদ ইতোপূর্বেই করা হয়েছে। সুতরাং পুনরাবৃত্তির আর তেমন প্রয়োজন নেই। অতঃপর আল্লাহ বলেনঃ

 وَ لَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَهٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّهٗ وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ ﴿۳۴ وَ مَا یُلَقّٰهَاۤ اِلَّا الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا ۚ وَ مَا یُلَقّٰهَاۤ اِلَّا ذُوۡحَظٍّ عَظِیۡمٍ ﴿۳۵  وَ اِمَّا یَنۡزَغَنَّکَ مِنَ الشَّیۡطٰنِ نَزۡغٌ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۳۶

ভাল এবং মন্দ সমান হতে পারেনা। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা ধৈর্যশীল, এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা মহাভাগ্যবান। যদি শাইতানের কু-মন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তাহলে আল্লাহকে স্মরণ করবে; তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা হা-মীম সাজদাহ, ৪১ : ৩৪-৩৬ )

শাইতান শব্দটির আভিধানিক বিশ্লেষণ


আরাবী ভাষার অভিধানে شَيْطَانٍ শব্দটি شَطَنٌ থেকে উদগত। এর আভিধানিক অর্থ হল দূরত্ব। যেহেতু এই মারদুদ ও অভিশপ্ত শাইতান প্রকৃতগতভাবে মানব প্রকৃতি হতে দূরে রয়েছে, বরং নিজের দুষ্কৃতির কারণে প্রত্যেক মঙ্গল ও কল্যাণ হতে দূরে আছে, তাই তাকে শাইতান বলা হয়। এ কথাও বলা হয়েছে যে, এটা شَطَ হতে গঠিত হয়েছে। কেননা সে আগুন হতে সৃষ্টি হয়েছে এবং شَطَ এর অর্থ এটাই। কেহ কেহ বলেন যে, অর্থের দিক দিয়ে দুটোই ঠিক। কিন্তু প্রথমটিই বিশুদ্ধতর। আরাব কবিদের কবিতার মধ্যে এর সত্যতা প্রমাণিত হয় সর্বতোভাবে।

কবি সীবাওয়াইর উক্তি আছে যে, যখন কেহ শাইতানী কাজ করে তখন আরাবেরা বলেঃ  تَشَيْطَنَ فُلاَنٌ কিন্তু تَشَيَّطَ فُلاَنٌ  বলেনা। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এ শব্দটি شَطَ হতে নয়, বরং شَطَنٌ  হতেই নেয়া হয়েছে। এর সঠিক অর্থ হচ্ছে দূরত্ব। কোন জিন, মানুষ বা চতুষ্পদ প্রাণী দুষ্টামি করলে তাকে শাইতান বলা হয়। 
কুরআনুম মাজীদে রয়েছেঃ

وَ کَذٰلِکَ جَعَلۡنَا لِکُلِّ نَبِیٍّ عَدُوًّا شَیٰطِیۡنَ الۡاِنۡسِ وَ الۡجِنِّ یُوۡحِیۡ بَعۡضُهُمۡ اِلٰی بَعۡضٍ زُخۡرُفَ الۡقَوۡلِ غُرُوۡرًا ؕ وَ لَوۡ شَآءَ رَبُّکَ مَا فَعَلُوۡهُ فَذَرۡهُمۡ وَ مَا یَفۡتَرُوۡنَ ﴿۱۱۲

আর এমনিভাবেই আমি প্রত্যেক নাবীর জন্য বহু শাইতানকে শত্রুরূপে সৃষ্টি করেছি; তাদের কতক মানুষ শাইতানের মধ্য হতে এবং কতক জিন শাইতানের মধ্য হতে হয়ে থাকে, এরা একে অন্যকে কতকগুলি মনোমুগ্ধকর ধোকাপূর্ণ ও প্রতারণামূলক কথা দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে। (সূরা আন'আম, ৬ : ১১২) মুসনাদ আহমাদে আবূ যার (রাঃ) হতে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন : 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ 

'হে আবূ যার! দানব ও মানব শাইতান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর।' আমি বলি, মানুষের মধ্যেও কি শাইতান আছে? তিনি বলেন : হ্যাঁ। (আহমাদ ৫/১৭৮) সহীহ মুসলিমে আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ 

'মহিলা, গাধা এবং কালো কুকুর সালাত নষ্ট করে দেয়।' তিনি বলেন : 'হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম! লাল, হলদে কুকুর হতে কালো কুকুরকে স্বতন্ত্র করার কারণ কি?' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : 'কালো কুকুর শাইতান।' (মুসলিম ১/৩৬৫)

যায়িদ ইবন আসলাম (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেনঃ 'উমার (রাঃ) একবার তুর্কী ঘোড়ার উপরে আরোহণ করেন। ঘোড়াটি সগর্বে চলতে থাকে। উমার (রাঃ) ঘোড়াটিকে মারপিটও করতে থাকেন। কিন্তু ওর সদর্প চাল আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তিনি নেমে পড়েন এবং বলেন : 'আমার আরোহণের জন্য তুমি কোন্ শাইতানকে ধরে এনেছ! আমার মনে অহংকারের ভাব এসে গেছে। সুতরাং আমি ওর পৃষ্ঠ হতে নেমে পড়াই ভাল মনে করলাম।' (তাবারী ১/১১১)

رَجِيْمِ ‘রাজীম’ শব্দের অর্থ

رَجِيْمِ শব্দটি فَعِيْل -এর ওযনে اسم مَفْعُوْل-এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ সে মারদূদ বা বিতাড়িত। অর্থাৎ প্রত্যেক মঙ্গল থেকে সে দূরে আছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

وَ لَقَدْ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیْحَ وَ جَعَلْنٰهَا رُجُوْمًا لِّلشَّیٰطِیْنِ

আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং এগুলোকে করেছি শায়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ। (৬৭ নং সূরাহ্ মুলক, আয়াত নং ৫)

অপর আয়াতে মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

اِنَّا زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِزِیْنَةِ اِ۟لْكَوَاكِبِۙ۝۶ وَ حِفْظًا مِّنْ كُلِّ شَیْطٰنٍ مَّارِدٍۚ۝۷ لَا یَسَّمَّعُوْنَ اِلَى الْمَلَاِ الْاَعْلٰى وَ یُقْذَفُوْنَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍۗۖ۝۸ دُحُوْرًا وَّ لَهُمْ عَذَابٌ وَّاصِبٌۙ۝۹ اِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَاَتْبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ

আমি নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্র রাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি। আর রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শায়তান থেকে। ফলে তারা উর্ধ্ব জগতের কিছু শ্রবণ করতে পারে এবং তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক থেকে বিতাড়নের জন্য এবং তাদের জন্য রয়েছে অবিরাম শক্তি। তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। (৩৭ নং সূরাহ্ সাফফাত, আয়াত নং ৬-১০) অন্য জায়গায় ইরশাদ হচ্ছেঃ

وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِی السَّمَآءِ بُرُوْجًا وَّ زَیَّنّٰهَا لِلنّٰظِرِیْنَۙ۝۱۶ وَ حَفِظْنٰهَا مِنْ كُلِّ شَیْطٰنٍ رَّجِیْمٍۙ۝۱۷ اِلَّا مَنِ اسْتَرَقَ السَّمْعَ فَاَتْبَعَهٗ شِهَابٌ مُّبِیْنٌ

আকাশে আমি গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টি করেছি এবং একে দর্শকদের জন্য সুশোভিত করেছি। প্রত্যেক অভিশপ্ত শায়তান থেকে আমি একে রক্ষা করে থাকি। আর কেউ চুরি করে সংবাদ শুনতে চাইলে এর পশ্চাদ্ধাবন করে প্রদীপ্ত শিখা। (১৫ নং সূরাহ্ হিজর, আয়াত নং ১৬-১৮) (সূরা হিজর, ১৫ : ১৬-১৮)

 رَجِيْمٌ এর একটি অর্থ رَجْمٌ -ও করা হয়েছে। যেহেতু শায়তান মানুষকে কু-মন্ত্রণা এবং ভ্রান্তির দ্বারা রজম করে থাকে এজন্যে তাকে ‘রাজীম’ অর্থাৎ ‘রাজিম’ বলা হয়।





***********************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url