তাফসীরে ইবনে কাসীর - ৩ || সুরা ফাতিহা-৩ || বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম || ‘বিসমিল্লাহ’র ফাযীলাত ||






‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ কি সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত?


بسم الله الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
অতীব মেহেরবান পরম করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।

সকল সাহাবী (রাঃ) আল্লাহর কিতাব কুরআন মজীদকে বিসমিল্লাহর দ্বারাই আরম্ভ করেছেন। আলেমগণ এ বিষয়ে একমত যে, সূরা 'নামল' এর এটি একটি আয়াত। তবে এটি প্রত্যেক সূরার প্রারম্ভে একটি পৃথক আয়াত কিনা, অথবা প্রত্যেক সূরার একটি আয়াতের অংশ বিশেষ কিনা, কিংবা এটি কি শুধুমাত্র সূরা ফাতিহারই আয়াত, অন্য সূরার নয়, কিংবা এক সূরাকে অন্য সূরা হতে পৃথক করার জন্যই কি একে লিখা হয়েছে এবং এটি আদৌ আয়াত নয়, এ সব বিষয়ে বেশ মতভেদ রয়েছে।

আবদুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ)আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)আলী (রাঃ), 'আতা (রহঃ)তাউস (রহঃ)সাঈদ ইবন যুবাইর (রহঃ)মাকহুল (রহঃ) এবং যুহরীর (রহঃ) এটাই নীতি ও অভিমত যে, 'বিসমিল্লাহ' 'সূরা বারাআত' ছাড়া কুরআনের প্রত্যেক সূরারই একটা পৃথক আয়াত। এসব সাহাবী (রাঃ) ও তাবেঈ (রহঃ) ছাড়াও আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (রহঃ)ইমাম শাফিঈ (রহঃ)ইমাম আহমাদের (রহঃ) একটি কাওলে এবং ইসহাক ইব্‌ন রাহওয়াহ (রহঃ) ও আবূ উবাইদ কাসিম ইবন সালাম (রহঃ)-এর ও এটাই অভিমত। তবে ইমাম মালিক (রহঃ) এবং ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) ও তাঁদের সহচরগণ বলেন যে, 'বিসমিল্লাহ' সূরা ফাতিহারও আয়াত নয় বা অন্য কোন সূরারও আয়াত নয় ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' উচ্চস্বরে পাঠ করা প্রসঙ্গ

'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' উচ্চস্বরে পাঠ করতে হবে নাকি নিম্নস্বরে এ নিয়েও মতভেদের অবকাশ রয়েছে। যারা একে সূরা ফাতিহার পৃথক একটি আয়াত মনে করেন না তারা একে নিম্নস্বরে পড়ার পক্ষপাতি। এখন অবশিষ্ট রইলেন শুধু ঐ সব লোক যারা বলেন যে, এটি প্রত্যেক সূরার প্রথম আয়াত । তাদের মধ্যেও আবার মতভেদ রয়েছে। ইমাম শাফিঈর (রহঃ) অভিমত এই যে, সূরা ফাতিহা ও অন্যান্য প্রত্যেক সূরার পূর্বে একে উচ্চস্বরে পড়তে হবে। সাহাবা (রাঃ), তাবেঈন (রহঃ) এবং মুসলিমদের পূর্ববর্তী যুগের ইমামগণের এটাই মাযহাব। সাহাবীগণের (রাঃ) মধ্যে একে উচ্চস্বরে পড়ার পক্ষপাতি হলেন আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)ইবন উমার (রাঃ)ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ)মু'আবিয়া (রাঃ)উমার (রাঃ)আবূ বাকর (রাঃ) এবং উসমান (রাঃ)। আবূ বাকর (রাঃ) এবং উসমান (রাঃ) হতেও গারীব বা দুর্বল সনদে ইমাম খতীব (রহঃ) এটা নকল করেছেন। বাইহাকী (রহঃ) ও ইব্‌ন আবদুল বার্ (রহঃ) উমার (রাঃ) ও আলী (রাঃ) হতেও এটি বর্ণনা করেছেন। তাবেঈগণের মধ্যে সাঈদ ইবন যুবাইর (রহঃ)ইকরিমাহ (রহঃ)আবূ কালাবাহ্ (রহঃ) যুহরী (রহঃ)আলী ইব্‌ন হাসান (রহঃ), তাঁর ছেলে মুহাম্মাদ (রহঃ)সাঈদ ইবন মুসাইয়াব (রহঃ), 'আতা (রহঃ)তাউস (রহঃ)মুজাহিদ (রহঃ)সা'লিম (রহঃ)মুহাম্মাদ ইবন কা'ব কারাজী (রহঃ)আবূ বাকর ইব্‌ন মুহাম্মাদ ইব্‌ন আম্র (রহঃ)ইবন হাযমআবূ ওয়ায়েল (রহঃ)ইব্‌ন সীরীন (রহঃ), মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির (রহঃ), আলী ইব্‌ন আবদুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রহঃ), তাঁর ছেলে মুহাম্মাদ, ইব্‌ন উমারের (রাঃ) গোলাম নাফি, যায়িদ ইবন আসলাম (রহঃ), উমার ইবন আবদুল আযীয (রহঃ), আরযাক ইন কায়েস (রহঃ), হাবীব ইব্‌ন আবী সাবিত (রহঃ), আবূ শা’শা' (রহঃ), মাকহুল (রহঃ), আবদুল্লাহ ইব্‌ন মুগাফফাল ইব্‌ন মাকরান (রহঃ), এবং বাইহাকীর বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাফওয়ান (রহঃ)মুহাম্মাদ ইব্‌ন হানাফিয়্যাহ (রহঃ) এবং আবদুল বারের বর্ণনায় আমর ইব্‌ন দীনার (রহঃ)। এরা সবাই সালাতের যেখানে কিরা'আত উচ্চস্বরে পড়া হয়, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমকেও উচ্চ শব্দে পড়তেন ।

এর একটি প্রধান দলীল এই যে, এটি যখন সূরা ফাতিহারই একটি আয়াত তখন পূর্ণ সূরার ন্যায় একে উচ্চস্বরে পড়তে হবে। তাছাড়া সুনান নাসাঈ, সহীহ ইব্‌ন খুযাইমা, সহীহ ইবন হিব্বান, মুসতাদরাক হাকিম প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সালাত আদায় করলেন এবং কিরা'আতে উচ্চ শব্দে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়লেন এবং সালাত শেষে বললেন : 'তোমাদের সবার চেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাতের সঙ্গে আমার সালাতেরই সামঞ্জস্য বেশী। দারাকুতনী, খাতীব এবং বাইহাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (নাসাঈ ২/১৩৪, ইব্‌ন খুযাইমাহ ১/২৫১, ইব্‌ন হিব্বান ৩/১৪৩, হাকিম ১/২৩২, দারাকুতনী ১/৩০৫ এবং বাইহাকী ২/৪৬)

সহীহ বুখারীতে আছে যে, আনাসকে (রাঃ) জিজ্ঞেস করা হয় : 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিরা'আত কিরূপ ছিল?' তিনি বললেন : 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক খাড়া শব্দকে লম্বা করে পড়তেন।' (ফাতহুল বারী ৮/৭০৯) তিনি بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ পাঠ করে শুনালেন এবং বললেন بِسْمِ اللّٰهِ -এর ওপর মদ্ বা লম্বা করেছেন। الرَّحْمٰنِ  -এর ওপর মদ্ করেছেন ও الرَّحِیْمِ   -এর ওপর মদ্ করেছেন অর্থাৎ লম্বা করে টেনে পড়েছেন। (ফাতহুল বারী ৮/৭০৯। সহীহুল বুখারী ১/৫০৪৬)

মুসনাদ আহমাদ, সুনান আবূ দাঊদ, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ এবং মুসতাদরাক হাকিমে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক আয়াত শেষে থামতেন এবং তাঁর কিরা’আত পৃথক হতো। যেমন بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ   পড়ে থামতেন, তারপর اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ   পড়তেন, পুনরায় থেমে الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ   পড়তেন। দারাকুতনী (রহঃ) এ হাদীসটিকে সঠিক বলেছেন। (মুসনাদ আহমাদ ৬/৩০২, সুনান আবূ দাঊদ ৪/৪০০১, জামি‘উত তিরমিযী ৫/২৯২৩, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ১/২৪৮, হাকিম ২/২৩১, দারাকুতনী ১/৩১৩, হাদীস সহীহ)

ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) ও ইমাম হাকিম (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মু‘আবিয়াহ (রাঃ) মাদীনায় সালাত পড়ালেন এবং ‘বিসমিল্লাহ’ পড়লেন না। সে সময় যেসব মুহাজির সাহাবী (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন তাঁরা এতে আপত্তি জানালেন। সুতরাং তিনি পুনরায় যখন সালাত আদায় করানোর জন্য দাঁড়ালেন তখন উচ্চস্বরে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করলেন। (মুসতাদরাক হাকিম ১/২৩৩, মুসনাদ আশ শাফি‘ঈ ১/৮০। ইমাম হাকিম (রহঃ) বলেন, ইমাম মুসলিম -এর শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ। অত্র হাদীসের একজন রাবী আব্দুল মাজীদ ইবনু আব্দুল আযীয কে হাফিয ইবনু হাজার আল ‘আসকালানী ‘মাতরূক’ তথা বর্জনীয় বলে আখ্যা দিয়েছেন) প্রায় নিশ্চিতরূপেই উল্লিখিত সংখ্যক হাদীস এ মাযহাবের দালীলের জন্য যথেষ্ট। এখন বাকী থাকলো তাঁদের বিপক্ষের হাদীস বর্ণনা ও সনদের দুর্বলতা ইত্যাদি। এগুলোর জন্য অন্য জায়গা রয়েছে।

ইমাম মালিকের (রহঃ) অভিমত এই যে, ‘বিসমিল্লাহ’ পড়তেই হবে না, জোরেও নয়, আস্তেও নয়। তাঁর প্রথম দালীল তো সহীহ মুসলিমের ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি যাতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতকে তাকবীর ও কিরা’আত اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ  দ্বারা শুরু করতেন। (সহীহ মুসলিম ১/ ২৪০, ৩৫৭, ৩৫৮, ইবনু মাজাহ ১/৮১২, মুসনাদ আহমাদ ৬/৩১, ১৯৪, সুনান আবূ দাউদ ৭৮৩, সুনান বায়হাকী ২০৯৩, ২২৪৪, ২৭৮৫, সুনান দারিমী ১২৩৬, হাদীস সহীহ) সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আছে যে, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেনঃ ‘আমি মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাকর (রাঃ), ‘উমার (রাঃ), এবং ‘উসমান (রাঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি। তাঁরা সবাই اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ   দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন। সহীহ মুসলিমে আছে যে, বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন না। কিরা’আতের প্রথমেও না, শেষেও না। (ফাতহুল বারী ২/২৬৫, সহীহুল বুখারী ২/৭৪৩, সহীহ মুসলিম ১/৫২/২৯৯) সুনানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকেও এরূপই বর্ণিত আছে। (জামি‘উত তিরমিযী ২৪৪) এ হলো ঐসব ইমামের ‘বিসমিল্লাহ’ আস্তে পড়ার দালীল। এ প্রসঙ্গে এটাও জ্ঞাতব্য যে, এটি কোন বড় রকমের মতভেদ নয়। প্রত্যেক দলই এ বিষয়ে একমত যে, ‘বিসমিল্লাহ’ উঁচ্চস্বরে পড়ুক আর নীরবে পড়ুক সালাত শুদ্ধ হবে।

‘বিসমিল্লাহ’র ফাযীলাত

মুসনাদ আহমাদে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের সোয়ারীর উপর তাঁর পিছনে যে সাহাবী (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন তাঁর বর্ণনাটি এইঃ 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের উষ্ট্রীটির কিছু পদস্খলন ঘটলে আমি বললাম যে শাইতানের সর্বনাশ হোক। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু' আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ

তোমরা ইহা (অভিশপ্ত শাইতান) বলনা, কারণ এতে সে গর্বে বড় হয়ে যায়, এমনকি একটি বড় ঘর হয়ে যায়। বরং বিসমিল্লাহ বল, কারণ এতে শাইতান ছোট হতে হতে মাছির মত হয়ে যায়। (আহমাদ ৫/৫৯ )

ইমাম নাসাঈ (রহঃ) স্বীয় কিতাব 'আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ' এর মধ্যে এবং ইব্‌ন মিরদুওয়াই (রহঃ) স্বীয় তাফসীরে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং সাহাবীর (রাঃ) নাম বলেছেন উসামা ইবন উমায়ের (রাঃ)। (নাসাঈ ৬/১৪২) আর তাতেই আছেঃ এটা একমাত্র বিসমিল্লাহরই বারাকাত। '

প্রতিটি কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে হবে

প্রত্যেক কাজ ও কথার প্রারম্ভে বিসমিল্লাহ বলা মুস্তাহাব। খুৎবার শুরুতেও বিসমিল্লাহ বলা উচিত। হাদীসে আছে যে, বিসমিল্লাহ দ্বারা যে কাজ আরম্ভ করা না হয় তা কল্যাণহীন ও বারাকাতশূন্য থাকে। মুসনাদ আহমাদ এবং সুনানে রয়েছে, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ), সাঈদ ইবন যায়িদ (রহঃ) এবং আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

যে ব্যক্তি অযূর সময় বিসমিল্লাহ বলেনা তার উযূ হয়না।' (আহমাদ ৩/৪১, আবূ দাউদ ১/৭৫, তিরমিযী ১/১১৫, নাসাঈ ১/৬১, ইবন মাজাহ ১/১৪০) এ হাদীসটি হাসান বা উত্তম। কোন কোন আলেম তো উযূর সময় বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব বলে থাকেন। খাওয়ার সময়েও বিসমিল্লাহ পড়া মুস্তাহাব। সহীহ মুসলিমে আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম উমার ইবন আবী সালামাহকে (রাঃ) (যিনি তাঁর সহধর্মিনী উম্মে সালামাহর (রাঃ) পূর্ব স্বামীর পুত্র ছিলেন) বলেনঃ

"বিসমিল্লাহ বল, ডান হাতে খাও এবং তোমার সামনের দিক থেকে খেতে থাক।' (মুসলিম ২/১৬০০) কোন কোন আলেম এ সময়েও বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব বলে থাকেন। স্ত্রীর সঙ্গে মিলনের সময়েও বিসমিল্লাহ বলা উচিত। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : 'তোমাদের মধ্যে কেহ স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে মিলনের ইচ্ছা করলে যেন সে এটা পাঠ করেঃ

بسم الله اللهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنَّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

আল্লাহর নামের সঙ্গে আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এবং যা আমাদেরকে দান করবেন তাকেও শাইতানের কবল হতে রক্ষা করুন।

তিনি আরও বলেন যে, এই মিলনের ফলে যদি সে গর্ভধারণ করে তাহলে শাইতান সেই সন্তানের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। (ফাতহুল বারী ৯/১৩৬, মুসলিম ২/১০৫৮)





*************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url