সম্মানিত লোকই সম্মানিতকে চিনে || নবীর ভালোবাসায় || তুমি দোহাই দিও না






সম্মানিত লোকই সম্মানিতকে চিনে

একদল সাহাবীর মাঝে রাসূল (সাঃ) বসা ছিলেন। তারকারাজি যেমন চাঁদের চারপাশ ঘিরে থাকে সাহাবায়ে কেরামও তেমন রাসূল (সাঃ) -কে ঘিরে বসলেন । ঠিক সে সময় হযরত আলী (রাঃ)  এসে সালাম দিলেন। তিনি মজলিসের দিকে তাকিয়ে বসার জন্যে জায়গা খুঁজতে লাগলেন। তখন রাসূল (সাঃ) তাকিয়ে দেখতে লাগলেন যে, তাঁর কোন সাহাবী হযরত আলী (রাঃ)- এ কে জায়গা করে দেয় ।

হযরত আবু বকর (রাঃ) রাসূল (সাঃ) -এর ডানে বসা ছিলেন। তিনি নড়ে বসে হযরত আলী (রাঃ)- কে জায়গা করে দিয়ে বললেন, আবুল হাসান (হাসানের বাবা)! তুমি এখানে বস ।

হযরত আলী (রাঃ) তখন রাসূল (সাঃ) ও আবু বকর (রাঃ) -এর মাঝে গিয়ে বসলেন। এতে রাসূল (সাঃ) -এর চেহারা খুশিতে হাস্যোজ্বল হয়ে উঠল। তিনি আবু বকর (রাঃ) -এর দিকে ঝুঁকে কানে কানে বললেন, আবু বকর! সম্মানিত লোকই সম্মানিতকে চিনে।


 

নবীর ভালোবাসায়

রাসুল (সাঃ)-কে রোগে আক্রান্ত করে, এতে তিনি দুর্বল হয়ে বিছানায় পড়ে রইলেন।

অসুস্থতার কথা শুনে হযরত আবু বকর (রাঃ) রাসূল (সাঃ) -কে দেখতে গেলেন। যখন তিনি রাসূল (সাঃ) -কে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখলেন, তিনি খুবই চিন্তিত হলেন।
হযরত আবু বকর (রাঃ) বাড়িতে আসার পর রাসূল (সাঃ) -কে নিয়ে চিন্তা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাসূল (সাঃ) সুস্থ হয়ে গেলে তাঁকে দেখতে আসেন।

রাসূল (সাঃ) -কে সুস্থ দেখে হযরত আবু বকর (রাঃ)  এত বেশি খুশি হলেন যে, তাঁর অসুস্থতা দূর হয়ে গেল। আর তাই তিনি রাসূল (সাঃ) -এর ভালোবাসায় আবৃত্তি করতে লাগলেন..........

 مرض الحبيب لعدالة    قولة من أصل قلته
على الحبيب قراري    قافية من الفرق الله
বন্ধু অসুস্থ হলে      আমি গেলাম তাঁকে দেখতে
তাঁর অসুস্থতা দেখে     নিজেই অসুস্থ হয়ে গেলাম তাঁর চিন্তাতে।
বন্ধু সুস্থ হয়ে আসল       আমাকে দেখতে
আমি সুস্থ হয়ে গেলাম         তাঁর দিকে তাকাতে-ই।


তুমি দোহাই দিও না

সকালে সূর্যের মিষ্টি রোদে অন্ধকার দূর হয়ে চারদিক আলোকিত হয়ে গেল। একলোক নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে এসে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল! আমি স্বপ্নে এক খণ্ড মেঘ দেখেছি। যে মেঘ থেকে মধু ও ঘি ঝরছিল। তখন দেখলাম মানুষেরা ঝরা মধু ও ঘি তাদের হাত কোষ করে নিতে লাগল। তারা সবাই কম- বেশ যতটুকু পেরেছে নিয়েছে। এরপর দেখলাম আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত একটি রশি, আর আপনি তা ধরে উপরে ওঠে গেছেন। এরপর একলোক ধরল সেও উপরে ওঠে গেল। এরপর আরেকজন ধরল সেও উপরে ওঠে গেল। এরপর আরেকজন ধরল, কিন্তু রশি ছুটে গেল........ পরে তা আবার জমিনে পাঠানো হয় এতে সে লোকটিও ওপরে ওঠে গেল ।
তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেন, আমার পিতামাতা আপনার জন্যে কোরবান হোক, আপনি আমাকে এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিন।

রাসূল (সাঃ) বললেন, ব্যাখ্যা কর।
হযরত আবু বকর (রাঃ) প্রশ্ন বললেন, মেঘের খণ্ডটি হচ্ছে ইসলাম। মেঘ থেকে যে মধু ও ঘি পড়ছিল তা হচ্ছে কোরআনের স্বাদ ও মজা। মানুষ যা হাতে কোষ করে নিতেছিল অর্থাৎ কম-বেশ কোরআন থেকে উপকৃত হচ্ছিল।

জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া রশিটি হচ্ছে তার সত্যপথ। যা আপনি ধরেছেন আর আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে সত্যপথের অনুসারী হিসেবে নিয়ে উপরে তুলে নিবেন। আপনার পর একলোক তা ধরবে তাকেও তেমনভাবে উপরে তুলে নিবেন। তারপর আরেকজন ধরবে তাকেও তেমনভাবে উপরে তুলে নিবেন। তারপর আরেকজন ধরবে তখন তা ছুটে যাবে, পরে আবার পাঠানো হলে তাকেও তেমনভাবে তুলে নেওয়া হবে ।
তারপর হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ আমার পিতামাতা আপনার জন্যে কোরবান হোক, এবার বলুন আমি কি সঠিক ব্যাখ্যা করেছি না ভুল করেছি।

রাসূল (সাঃ) আর বললেনঃ  তুমি কিছু সঠিক করেছ আর কিছু ভুল করেছ।
আনহ
হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ  আল্লাহর শপথ! আপনি বলে দিন আমি কি ভুল করেছি।
রাসূল সালাহ বললেন, দোহাই দিও না ।”


নবী করীম (সাঃ) -এর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ

একলোক যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছে....... রাসূল (সাঃ) -এর স্ত্রীদের দিক থেকে তাঁর সাথে রাসূল (সাঃ) -এর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। রাসূল (সাঃ) তখন হযরত আয়েশার ঘরে ছিলেন। লোকটি সে ঘরে প্রবেশ করে।
রাসূল (সাঃ) মন হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় তাকে স্বাগতম জানালেন এবং তাঁর প্রয়োজনীয় ইচ্ছা পূরণ করার কথা বললেন ।

লোকটি রাসূল (সাঃ) -কে বললঃ আপনার নিকটে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে?

রাসূল (সাঃ) বললেন, আমার পেছনে যে আছে (অর্থাৎ আয়েশা (রাঃ)। লোকটি মাথা নেড়ে বললঃ আমি মহিলাদের কথা বলিনি। আমি পুরুষদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছি।
রাসূল বললেন, তার বাবা (অর্থাৎ হযরত আবু বকর)। 





*************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url