ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা- ৯ || প্রতি ঈমান || আল্লাহর প্রতি ঈমানের গুরুত্ব ও ঈমানের বিস্তৃত ধারণা





আল্লাহর প্রতি ঈমান

ইসলামের প্রত্যয় ও আচরণের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম ও মৌলিক জিনিস হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ঈমান। প্রত্যয় ও ঈমানের আর যত দিক ও বিভাগ রয়েছে তা হচ্ছে ঐ এক মূল কাণ্ডেরই শাখা-প্রশাখা মাত্র।

আল্লাহর প্রতি ঈমানের গুরুত্ব

ইসলামের যত নৈতিক বিধি ব্যবস্থা ও সামাজিক আইন-কানুন রয়েছে, তা ঐ (আল্লাহর প্রতি ঈমান) কেন্দ্রবিন্দু থেকেই শক্তি অর্জন করে থাকে। এখানকার প্রতিটি জিনিসেরই উৎস ও প্রত্যাবর্তনস্থল হচ্ছে আল্লাহর সত্তা । ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান পোষণের কারণ এই যে, তারা আল্লাহর ফেরেশতা। পয়গম্বরদের প্রতি ঈমান পোষণের কারণ এই যে, তাঁরা আল্লাহর প্রেরিত । কেয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান পোষণের কারণ এই যে, তা আল্লাহর নির্ধারিত বিচার ও হিসাব গ্রহণের দিন। ফরযসমূহ এ জন্যেই ফরয হয়েছে যে, সেগুলো আল্লাহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। পারস্পরিক অধিকারগুলো এ জন্যেই অধিকার পদবাচ্য হয়েছে যে, সেগুলো আল্লাহর হুকুমের ওপর নির্ভরশীল। সৎকাজের প্রবর্তন ও দুষ্কৃতির প্রতিরোধ এ জন্যেই আবশ্যক যে, আল্লাহ তার নির্দেশ দান করেছেন। ফল কথা, ইসলামের প্রতিটি জিনিসের তা প্রত্যয় হোক কি আচরণ- ভিত্তিই এ (আল্লাহর প্রতি) ঈমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এ একটি মাত্র জিনিসকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললে ফেরেশতা ও কেয়ামত দিবস একেবারে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। নবী, রসূল এবং তাঁদের আনীত কিতাবাদি আনুগত্য লাভের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফরয, ওয়াজিব, আনুগত্য, অধিকার ইত্যাদি তাৎপর্য হারিয়ে ফেলে। আদেশ-নিষেধ ও বিধি-ব্যবস্থায় কোন বাধ্য বাধকতা থাকে না। মোটকথা, এ একটি মাত্র কেন্দ্রবিন্দু অপসৃত হলেই ইসলামের গোটা ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়, বরং ইসলাম বলে কোন জিনিসেরই অস্তিত্ব থাকে না ।

   

আল্লাহর প্রতি ঈমানের বিস্তৃত ধারণা

যে প্রত্যয়টি এ বিশাল আদর্শিক ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রবিন্দু এবং শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করছে, তা কেবল এটুকু কথাই নয় যে, 'আল্লাহ তায়ালা আছেন।' বরং সে নিজের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার গুণরাজি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভুল ধারণাও (তাঁর সম্পর্কে মানুষের পক্ষে যতখানি ধারণা করা সম্ভব) পোষণ করে এবং গুণরাজি সম্পর্কিত এ ধারণা থেকে এমন শক্তি অর্জিত হয় যা মানুষের গোটা আদর্শিক ও ব্যবহারিক শক্তি নিচয়ের ওপর পরিব্যপ্ত ও কর্তৃত্বশীল হয়ে যায়। নিছক স্রষ্টার অস্তিত্বের স্বীকৃতিই এমন কোন জিনিস নয়, যাকে ইসলামের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আখ্যা দেয়া যেতে পারে । অন্যান্য জাতিও কোন না কোনরূপে স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যে বস্তুটি ইসলামকে সকল ধর্ম ও দ্বীনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে, তাহলো এই যে, স্রষ্টার গুণরাজি সম্পর্কে সে এক নির্ভুল, পরিপূর্ণ ও বিস্তৃত ধারণা পেশ করেছে। পরন্তু সেই জ্ঞানকে ঈমান, বরং ঈমানের ভিত্তি বানিয়ে তার সাহায্যে আত্মশুদ্ধি, নৈতিক সংশোধন, কর্ম সংগঠন, সৎকাজের প্রসার, দুষ্কৃতির প্রতিরোধ এবং সভ্যতার গোড়া পত্তনে এতো বড়ো কাজ সম্পাদন করা হয়েছে যে, দুনিয়ার কোন ধর্ম বা জাতিই তা করতে পারেনি।

আল্লাহর প্রতি ঈমানের সংক্ষিপ্ত রূপটি হচ্ছে – যার মৌখিক স্বীকৃতি ও আন্তরিক বিশ্বাসকে ইসলামে প্রবেশ করার প্রাথমিক ও আবশ্যক শর্ত ঘোষণা করা হয়েছে – কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'। অর্থাৎ মুখে একথাটি স্বীকার করা এবং অন্তর দিয়ে একে বিশ্বাস করা যে, যে মহান সত্তা আল্লাহ নামে পরিচিত, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ' (প্রভু) নেই। অন্য কথায় এর তাৎপর্য হচ্ছে এই যে, 'খোদায়ী'কে (الوهيت) বিশ্বপ্রকৃতির সকল বস্তু থেকে বিচ্ছিন্ন করে কেবল একটি মাত্র সত্তার জন্যে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে; এবং খোদায়ীর (الوهيت) জন্যে নির্ধারিত সকল আবেগ-অনুভুতি, ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-কল্পনা, মতবিশ্বাস ও ইবাদাত আনুগত্যেকে সেই এক সত্তার সাথে সম্পৃক্ত করে দিতে হবে। এ সংক্ষিপ্ত কালেমাটির মূল উপাদান তিনটিঃ

একঃ  প্রভুত্ব (الوهيت) সম্পর্কিত ধারণা।
দুইঃ  সমস্ত বস্তুনিচয়ের প্রতি তার অস্বীকৃতি। 
তিনঃ কেবল আল্লাহর জন্যে তার স্বীকৃতি।

বস্তুত আল্লাহর সত্তা ও গুণরাজি সম্পর্কে কুরআন মজীদে যা কিছু বলা হয়েছে, তা এ তিনটি বিষয়েরই বিস্তৃত ব্যাখ্যা মাত্র।

প্রথমত সে 'খোদায়ী' (الوهيت)) সম্পর্কে এমন এক পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভুল ধারণা পেশ করেছে, যা দুনিয়ার কোন কিতাব বা ধর্মেই আমরা দেখতে পাই না । অবশ্য একথা নিসন্দেহে যে, সমস্ত জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যেই এ ধারণা কোন না কোনভাবে বর্তমান রয়েছে। কিন্তু সর্বত্রই তা ভ্রান্ত কিংবা অসম্পূর্ণ। কোথাও 'খোদায়ী' (الوهيت) বলা হয়েছে প্রারম্ভকে, কোথাও একে শুধু সূত্রপাত অর্থে গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও একে শক্তি ও ক্ষমতার সমর্থক মনে করা হয়েছে, কোথাও এ শুধু ভীতি ও আতঙ্কের বন্ধু হয়ে রয়েছে। কোথাও তা শুধু প্রেমের কেন্দ্রস্থল, কোথাও এর অর্থ কেবল প্রয়োজন পূরণ ও আমন্ত্রণ গ্রহণ। কোথাও তাকে মূর্তি ও প্রতিকৃতি দ্বারা কলঙ্কিত করা হয়েছে। কোথাও তিনি আসমানে অবস্থান করেন, আবার কোথাও তিনি মানুষের বেশ ধারণ করে দুনিয়ায় অব- তরণ করেন। এ সকল ভ্রান্ত ও অপূর্ণ ধারণাকে পরিশুদ্ধ ও পরিপূর্ণ করেছে একমাত্র মহাগ্রন্থ আল কুরআন। এ পবিত্র গ্রন্থই খোদায়ীকে (الوهيت) পবিত্রতা ও মহত্ত্ব দান করেছে। সে-ই আমাদের বলেছে যে, এমন সত্তাই কেবল 'ইলাহ' বা প্রভু হতে পারেন, যিনি বে-নিয়াজ, অন্য নিরপেক্ষ, আত্মনির্ভরশীল ও চির শ্রীব, যিনি চিরকাল ধরে আছেন এবং চিরদিন থাকবেন, যিনি একচ্ছত্র শাসক ও সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান, যার জ্ঞান সর্বত্র পরিব্যাপ্ত, যার রহমত ও অনুগ্রহ সবার জন্যে প্রসারিত, যার শক্তি সবার ওপর বিজয়ী, যার হিকমত ও বুদ্ধিমত্তায় কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই, যার আদল ও ইনসাফে যুলুমের চিহ্ন পর্যন্ত নেই, যিনি জীবনদাতা এবং জীবন ধারণের জন্যে প্রয়োজনীয় উপকরণাদির সরবরাহকারী। যিনি ভালো-মন্দ এবং লাভ ও ক্ষতির যাবতীয় শক্তির অধিকারী, যার অনুগ্রহ ও হেফাযতের সবাই মুখাপেক্ষী, যার দিকেই সকল সৃষ্ট বন্ধু প্রত্যাবর্তনশীল, যিনি সবার হিসাব গ্রহণকারী, শাস্তি ও পুরস্কার দানের একমাত্র মালিক, পরন্তু খোদায়ী সংক্রান্ত এ গুণাবলী বিভাজ্য ও খণ্ডনীয়ও নয় যে, একই সময়ে একাধিক আল্লাহ (iii) থাকবেন এবং তারা উল্লেখিত গুণরাজি কিংবা তার একটি অংশ দ্বারা গুণান্বিত হবেন, অথবা এ কোন সাময়িক এবং কালগত ব্যাপারও নয় যে, একজন আল্লাহ কখনো ঐগুলোর দ্বারা গুণান্বিত হবেন, আবার কখনো হবেন না, কিংবা এ কোন স্থানান্তরযোগ্য জিনিসও নয় যে, আজ একজন আল্লাহর মধ্যে এর অস্তিত্ব দেখা যায়, আবার কাল দেখা যায় অন্য জনের মধ্যে।

খোদায়ী সম্পর্কে এ পূর্ণাঙ্গ ও বিশুদ্ধ ধারণা পেশ করার পর কুরআন তার অনন্য বাচনভঙ্গির দ্বারা প্রমাণ করছে যে, বিশ্বপ্রকৃতির সকল বস্তু ও শক্তি নিচয়ের মধ্যে কোন একটির প্রতিও এ অর্থপ্রয়োগ সঙ্গত হতে পারে না। কেননা বিশ্বের সকল সৃষ্ট বন্ধুই অন্য নির্ভর, পরাধীন এবং ধ্বংস ও বিনাশশীল । তাদের পক্ষে অন্যের উপকারী বা অপকারী হওয়া তো দূরের কথা, তারা খোল নিজেদের থেকে অপকারিতা দূর করতেও সমর্থ নয়। তাদের ক্রিয়াকাণ্ড ও প্রভাব প্রতিক্রিয়ার উৎস তাদের আপন সত্তার মধ্যে নয়, বরং তারা সবাই অন্য কোথাও থেকে জীবনী শক্তি, কর্মশক্তি ও প্রভাব শক্তি অর্জন করে থাকে। কাজেই বিশ্বপ্রকৃতিতে এমন কোন বস্তুই নেই, যার ভেতরে প্রভুত্বের অনুমাত্র যোগ্যতা আছে এবং যে আমাদের গোলামী ও আনুগত্যের একটি অংশ মাত্রও পাবার অধিকারী হতে পারে।

এ অস্বীকৃতির পর সে খোদায়ীকে একটি মাত্র সত্তার জন্যে সুনির্দিষ্ট করে দেয়, যার নাম হচ্ছে 'আল্লাহ'। সেই সাথে সে মানুষের কাছে দাবী করে যে, আর সবাইকে বর্জন করে কেবল এরই প্রতি ঈমান আনো, এর সামনেই নত হও, একেই সমান করো, একেই ভালোবাসো, একেই ভয় করো, এর কাছেই প্রত্যাশা করো, এর কাছেই কামনা করো, সর্বাবস্থায় এর ওপরই ভরসা করো, হামেশা মতে রাখো, একদিন তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে, তাঁর কাছেই হিসেব দিতে হবে, তোমাদের ভালো বা মন্দ পরিণতি তাঁর ফায়সালার ওপরই নির্ভরশীল।

আল্লাহর প্রতি ঈমানের নৈতিক উপকার

খোদায়ী গুণরাজি সম্পর্কিত এ বিস্তৃত ধারণার সাথে আল্লাহর প্রতি যে ঈমান মানব হৃদয়ে বদ্ধমূল হয়, তার ভেতরে এমন সব অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে, যা অন্য কোন বিশ্বাস বা প্রত্যয় দ্বারা অর্জন করা যেতে পারে না।

দৃষ্টির প্রশস্ততা

আল্লাহর প্রতি ঈমানের প্রথম সুফল এই যে, তা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে এতোটা প্রশস্ত করে দেয়, যতোটা প্রশস্ত আল্লাহর অসীম সাম্রাজ্য। মানুষ যতক্ষণ নিজের স্বার্থ সম্পর্কে বিবেচনা করে দুনিয়ার প্রতি তাকায়, তার দৃষ্টি এমন এক সংকীর্ণ পরিধির মধ্যে আবদ্ধ থাকে, যার মধ্যে তার শক্তি ক্ষমতা, জ্ঞান-বুদ্ধি ও কামনা-বাসনা সীমিত, এ পরিধির মধ্যেই সে নিজের জন্যে প্রয়োজন পূরণকারী তালাশ করে। এ পরিধির মধ্যে যেসব শক্তিমান রয়েছে, তাদের ভয়েই সে ভীত ও সঙ্কুচিত হয়, আর যারা দুর্বল ও কমজোর, তাদের ওপর কর্তৃত্ব চালায়। এ পরিধির মধ্যেই তার বন্ধুত্ব ও শত্রুতা, প্রীতি ও ঘৃণা, সম্মান ও তাচ্ছিল্য সীমিত থাকে – যার জন্যে ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া তার কোন মানদণ্ড থাকে না। কিন্তু আল্লাহর প্রতি ঈমানের পর তার দৃষ্টি নিজস্ব পরিবেশের সীমাতিক্রম করে গোটা বিশ্বপ্রকৃতির ওপর প্রসারিত হয়ে যায়। এরপর সে বিশ্বপ্রকৃতির ওপর নিজস্ব স্বার্থ সম্পর্কের দিক থেকে নয়, বরং খোদাওন্দে করীমের সম্পর্কের দিক থেকে দৃষ্টিপাত করে। এবার এ বিশাল জগতের প্রতিটি জিনিসের সাথে তার একটি ভিন্ন রকমের সম্পর্ক কায়েম হয়ে যায়। এবার সে তার মধ্যে কোন প্রয়োজন পূরণকারী, কোন শক্তিধর, কোন অপকারী কিংবা উপকারী দেখতে পায় না। এবার সে সম্মান বা তাচ্ছিল্য, ভয় বা প্রত্যাশার যোগ্য কাউকে খুঁজে পায় না। এবার তার বন্ধুত্ব বা শত্রুতা, প্রীতি বা ঘৃণা নিজের জন্যে নয়, বরং তা আল্লাহর জন্যে নির্ধারিত হয়। সে লক্ষ্য করে যে, যে আল্লাহকে আমি মানি, তিনি শুধু আমার, আমার বংশের কিংবা আমার দেশবাসীরই সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা নন, বরং তিনি সমগ্র আসমান ও জমিনের স্রষ্টা এবং সমগ্র জাহানের প্রতিপালক। তাঁর কর্তৃত্ব রাজত্ব শুধু আমার দেশ পর্যন্তই সীমিত নয়, বরং তিনি আসমান ও জমিনের বাদশাহ এবং সমগ্র সৃষ্টির প্রতিপালক। তাঁর ইবাদাত বন্দেগী শুধু আমি একাই করছি না বরং আসমান ও জমিনের সমগ্র বস্তু নিচয়ই তাঁর সামনে আত্মসমর্পিত। وَ لَهٗۤ اَسۡلَمَ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ طَوۡعًا وَّ کَرۡهًا وَّ اِلَیۡهِ یُرۡجَعُوۡنَ( ۸۳ ,سورة آل عمران) সবাই তাঁরই প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা কীর্তনে মশগুল। تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ  এ প্রেক্ষিতে যখন তিনি বিশ্বপ্রতিকে দেখেন, তখন কেউই তাঁর দৃষ্টির আড়ালে থাকে না, সবাই আপনা আপনিই তাঁর দৃষ্টির সামনে এসে ধরা দেয়। তাঁর সহানুভূতি, তাঁর ভালোবাসা, তাঁর খেদমত এমন কোন পরিধির মধ্যে আবদ্ধ থাকে না যার সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রেক্ষিতে।

কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করে, সে কখনো সংকীর্ণ দৃষ্টি হতে পারে না। তার দৃষ্টি এতটা প্রশস্ত যে 'আন্তর্জাতিকতা' (Internationalism) কথাটিও তার ক্ষেত্রে সংকীর্ণ। তাকে তো 'দিগ্বজয়ী' ও 'সৃষ্টিবাদী' বলা উচিত।



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url