Mohammadia Foundation
https://www.mohammadiafoundationbd.com/2023/05/Hatib-ibn-abi-baltaya.html
সাহাবাগণের জীবনকথা-৭০ || মাকুদাসের দরবারে প্রেরিত রাসুলের দূত হযরত হাতিব ইবন আবী বালতা'য়া (রা) এর জীবনী
হাতিব ইবন আবী বালতা'য়া (রা)
নাম হাতিব, কুনিয়াত আবু মুহাম্মাদ, আবু আবদিল্লাহ। পিতার নাম আবু বালতা’য়া আমর। তাঁর বংশ পরিচয় ও মক্কায় উপস্থিতির ব্যাপারে সীরাত লেখকদের মতভেদ আছে। সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য মতে পিতৃ-পুরুষের আদি বাসস্থান ইয়ামান। বনী আসাদ, অতঃপর যুবাইর ইবনুল আওয়ামের হালীফ বা চুক্তিবদ্ধ হয়ে তারা মক্কায় বসবাস করতো। আবার কেউ বলেছেন, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবন হুমাইদের-দাস ছিলেন। মুকাতাবা বা চুক্তির ভিত্তিতে অর্থ পরিশোধ করে দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করেন। (উসুদুল গাবা- ১/৩৬১)
মারযুবানী তাঁর মু'জামুশ শুয়ারা গ্রন্থে বলেন, “হাতিব ইবন আবী বালতা’য়া জাহিলী যুগে কুরাইশদের অন্যতম খ্যাতিমান ঘোড় সাওয়ার ও কবি ছিলেন”। (আল-ইসাবা- ১/৩০০) হিজরাতের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদীনা ইসলামের কেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর তাঁর দাস সা'দকে সংগে করে তিনি মদীনায় উপস্থিত হন। সেখানে হযরত মুনজির ইবন মুহাম্মাদ আল-আনসারীর অতিথি হন এবং হযরত খালিদ-ইবন রাখবালার (রা) সাথে মুওয়াখাত বা ভ্রাতৃ-সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুসা ইবন 'উকবা ও ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলূল্লাহর (সা) সাথে হাতিব ইবন আবী বালতা’য়া বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। হুদাইবিয়ার সন্ধিতেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। (উসুদুল গাবা- ১/৩৬১) তাছাড়া বিভিন্ন বর্ণনা মতে উহুদ, খন্দকসহ রাসূলুল্লাহর (সা) সংগে সংঘটিত সকল যুদ্ধে যোগদান করেন।
ইসলামের দাওয়াত নিয়ে মিশরের অধিপতি মাকুকাসের দরবারে
উহুদ থেকে ফিরে হিজরী ষষ্ঠ সনে ইসলামের মুবাল্লিগ বা প্রচারক হিসেবে রাসূলুল্লাহ (সা) হাতিব ইবন আবী বালতা’য়াকে মিসর অধিপতি মাকুকাসের দরবারে পাঠান। তিনি মাকুকাসের নিকট রাসূলুল্লাহর (সা) যে পত্রটি বহন করে নিয়ে যান তার বিষয়বস্তু নিম্নরূপ।
“অতঃপর আমি আপনাকে ইসলামী দাওয়াতের দিকে আহবান জানাচ্ছি। ইসলাম গ্রহণ করলে আপনি নিরাপদ থাকবেন এবং আল্লাহ আপনাকে দ্বিগুণ বিনিময় দান করবেন। আর যদি প্রত্যাখ্যান করেন তাহলে সকল কিবতীর পাপ আপনার ওপর বর্তাবে। হে আসমানী কিতাবের অধিকারীরা ! আপনারা এমন একটি কালেমা বা কথার দিকে আসুন যা আমাদের ও আপনাদের সকলের জন্য সমান। অর্থাৎ আমরা শুধু এক আল্লাহর ইবাদাত করবো, তার সাথে অন্য কিছু শরীক করবো না এবং আমাদের একজন আর একজনকে খোদার আসনে বসাবো না।”
হযরত হাতিব ইবন আবী বালতা'য়া মিসরে মাকুকাসের দরবারে উপস্থিত হয়ে তার হাতে রাসূলুল্লাহর (সা) উপরোক্ত পত্রটি পৌঁছে দেন। তাঁদের দু'জনের মধ্যে নিন্মোক্ত আলোচনা হয়-
হাতিবঃ আপনার পূর্বে এখানে এমন একজন শাসক অতীত হয়েছেন যিনি নিজেকে খোদা মনে করতেন। আল্লাহ পাক তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতের আযাবে নিমজ্জিত করে দৃষ্টান্তমূলক প্রতিশোধ গ্রহণ করেছেন। অন্যদের থেকে আপনারও উপদেশ হাসিল করা উচিত। আপনি নিজেই উপদেশ লাভের স্থলে পরিণত হন, এমনটি বাঞ্ছনীয় নয়।
মাকুকাসঃ আমরা এক ধর্মের অনুসারী। যতদিন অন্য কোন ধর্ম সে ধর্ম থেকে উন্নততর প্রমাণিত না হয় ততদিন আমরা তা পরিত্যাগ করতে পারিনে।
হাতিবঃ আমরা আপনাকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি- যা অন্য সকল দ্বীন থেকে উত্তম ও পরিপূর্ণ। এই নবী যখন মানুষকে এ দ্বীনের দাওয়াত দিলেন, কুরাইশরা তখন তীব্র বিরোধিতা করলো। তাছাড়া ইহুদীরা সর্বাধিক বৈরী ভাব প্রকাশ করে। তবে তুলনামূলকভাবে খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নমনীয় ছিল। আল্লাহর কসম! মূসা (আ) যেমন 'ঈসার (আ) সুসংবাদ দিয়েছিলেন তেমনি ঈসাও (আ) মুহাম্মাদের (সা) সুসংবাদ দিয়ে গেছেন। আপনারা যেমন ইন্জীলের দিকে ইহুদীদেরকে আহবান জানান আমরাও তেমনি আপনাদেরকে কুরআনের দাওয়াত দিই। নবীদের আবির্ভাবকালীন সময়ে পৃথিবীতে যত কাওম, বা জাতি থাকে তারা সকলে সেই নবীর উম্মাত এবং তাদের ওপর সেই নবীর আনুগত্য ফরয। যেহেতু আপনি একজন নবীর যুগ লাভ করেছেন, তাই তাঁর ওপর ঈমান আনা আপনার অবশ্য কর্তব্য। আমরা আপনাকে দ্বীনে মসীহ থেকে অন্য দিকে ফিরিয়ে নিচ্ছিনা, বরং সঠিকভাবে সেদিকেই নিয়ে যেতে চাচ্ছি।
মাকুকাসঃ মুহাম্মাদ কি সত্যিই একজন নবী?
হাতিবঃ কেন সত্য নয় ?
মাকুকাসঃ কুরাইশরা যখন তাঁকে নিজ শহর থেকে তাড়িয়ে দিল, তিনি তাদের জন্য বদ-দু'আ করলেন না কেন ?
হাতিবঃ আপনারা কি বিশ্বাস করেন ঈসা (আ) আল্লাহর রাসূল? যদি তাই হয়, তাহলে যখন তাঁকে শুলীতে চড়ানো হয়, তাঁর কাওমের লোকদের জন্য বদদু'য়া করলেন না কেন?
এমন অন্তরভেদী তাৎক্ষণিক জবাবে অবলীলাক্রমে মাকুকাসের মুখ থেকে প্রশংসাসূচক ধ্বনি উচ্চারিত হলো। তিনি আরো বললেনঃ “নিশ্চয়ই আপনি একজন মহাজ্ঞানী এবং একজন মহাজ্ঞানীর পক্ষ থেকেই এসেছেন।” (উসুদুল গাবা- ১/৩৬১) “আমি যতটুকু ভেবে দেখেছি, এই নবী কোন অনর্থক কাজের আদেশ দেন না এবং কোন পছন্দনীয় বিষয় থেকেও বিরত রাখেন না। আমি না তাকে ভ্রান্ত যাদুকর বলতে পারি, আর না মিথ্যুক ভবিষ্যদ্বক্তা। তাঁর মধ্যে নবুওয়াতের অনেক নিদর্শন বিদ্যমান। আমি শিগগিরই বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখবো।” কথাগুলি বলে তিনি হযরত রাসূলে কারীমের (সা) পবিত্র পত্রখানি উঠিয়ে হাতির দাঁতের একটি বাক্সে বন্দী করেন এবং সীলযুক্ত করে উপস্থিত এক দাসীর হিফাজতে দিয়ে দেন ।
মাকুকাস অত্যন্ত সম্মানের সাথে হযরত হাতিবকে বিদায় দেন এবং তাঁর কাছে রাসূলুল্লাহর জন্য তিনজন দাসী, দুলদুল নামের একটি খচ্চর এবং বেশ কিছু কাপড়সহ মূল্যবান উপহার পাঠান। (যাদুল মায়াদ-২/৫৭) মাকুকাস প্রেরিত দাসীত্রয়ের একজন হযরত মারিয়্যা কিবতিয়্যা, হযরত রাসূলে কারীম (সা) তাঁকে নিজের জন্য রাখেন এবং তাঁরই গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন রাসূলুল্লাহর (সা) পুত্র হযরত ইব্রাহীম। দ্বিতীয় দাসীটি হযরত মারিয়্যার বোন সীরীন। রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে দান করেন প্রখ্যাত কবি হযরত হাসান বিন সাবিতকে (রা) এবং তাঁর গর্ভেই জন্মগ্রহণ করে হযরত আবদুর রহমান ইবন হাস্সান। তৃতীয় দাসীটিকে রাসূলুল্লাহ (সা) দান করেন আবু জাহম ইবন হুজাইফা আল-আদাবীকে। (হায়াতুস সাহাবা- ১/১৪০-৪১, উসুদুল গাবা- ১/৩৬২)
হিজরী ৮ম সনে মক্কা বিজয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়। বিষয়টি যাতে প্রতিপক্ষ মক্কার কুরাইশরা জানতে না পারে সেজন্য রাসূলুল্লাহ (সা) সকলকে সতর্ক করে দেন। হযরত হাতিব মক্কায় বসবাস না করলেও কুরাইশদের সাথে পুরাতন বন্ধুত্বের কারণে তাদের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। তিনি মদীনাবাসীদের এই গোপন প্রস্তুতির খবরসম্বলিত একটি পত্রসহ মুযাইনা গোত্রের এক মহিলাকে মক্কার দিকে পাঠান। এর বিনিময়ে মহিলাটিকে তিনি নির্ধারিত মজুরী দেবেন বলে চুক্তি হয়। পত্রখানি মাথার চুলের বেণীর মধ্যে লুকিয়ে মহিলাটি মক্কার দিকে যাত্রা করে। এদিকে ওহীর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সব খবর অবগত হলেন। সাথে সাথে তিনি মহিলাটির পিছু ধাওয়া করে পত্রটি উদ্ধারের জন্য আলী, যুবাইর ও মিকদাদকে নির্দেশ দিলেন। তাঁরা তিনজন খুব দ্রুত সাওয়ারী দাবড়িয়ে ‘খালীকা' মতান্তরে 'রাওদাতু খাক' নামক স্থানে মহিলাকে ধরে ফেলেন। প্রথমে তাঁরা তার বাহনে সন্ধান করে কোন কিছুই পেলেন না। তারপর হযরত আলী (রা) মহিলাকে বললেন, “আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি, রাসূলুল্লাহকে (সা) মিথ্যা খবর দেওয়া হয়নি এবং আমাদেরকেও মিথ্যা বলা হয়নি। হয় তুমি নিজেই পত্রটি বের করে দাও, নয়তো আমরা তোমাকে উলংগ করে তালাশ করবো।” তাদের এ কঠোরতা দেখে মহিলা বললো, 'তোমরা একটু সরে যাও।' তাঁরা সরে, দাড়ালেন। সে তার মাথার বেণী খুলে তার মধ্য থেকে পত্রটি বের করে দিল। তাঁরা তিনজন পত্রটি নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সা) খিদমতে হাজির হলেন। পত্রটি পাঠ করে রাসূলুল্লাহ (সা) বিস্ময়ের সাথে প্রশ্ন করেন, “ওহে হাতিব, তুমি এমন কাজ করলে কেন?” হাতিব বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার ব্যাপারে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেবেন না। যদিও আমি কুরাইশ বংশের কেউ নই, তবুও জাহিলী যুগে তাদের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যেহেতু মুহাজিরদের সকলে তাদের মক্কাস্থ আত্মীয়-বন্ধুদের সাহায্য-সহায়তা করে থাকেন, এ জন্য আমার ইচ্ছে হলো, আমার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কুরাইশরা যে সদ্ব্যবহার করে থাকে তার কিছু প্রতিদান কমপক্ষে আমি তাদের দান করি। একাজ আমি মুরতাদ হয়ে বা ইসলাম ত্যাগ করে অথবা কুফরকে ইসলামের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার কারণে করিনি।” (সহীহুল বুখারী, কিতাবুল মাগাযী)
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, হাতিব বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পরিবার-পরিজন তাদের মধ্যে রয়েছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য ক্ষতিকর হবে না—এমনটি মনে করেই আমি চিঠিটি লিখেছি। ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আল্লাহ সম্পর্কে আমার মনে কোন সন্দেহ দেখা দেয়নি। কিন্তু মক্কায় আমি ছিলাম একজন বহিরাগত এবং সেখানে আমার মা, ভাই ও ছেলেরা রয়েছে।” (আল-ইসাবা- ১/৩০০, হায়াতুস সাহাবা- ২/৪২৫)
হাতিবের বক্তব্য শুনার পর হযরত রাসূলে কারীম (সা) উপস্থিত সাহাবাদের লক্ষ্য করে বললেন, “সে সত্য কথাটি প্রকাশ করে দিয়েছে। এ কারণে কেউ যেন তাকে গালমন্দ না করে।” হযরত উমার আরজ করলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে আল্লাহ, রাসূল ও মুসলমানদের প্রতি আস্থাহীনতার কাজ করেছে। অনুমতি দিন, আমি এ মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দিই।” রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, “সে কি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি? আল্লাহ বদরের যোদ্ধাদের অনুমতি দিয়েছেন, তোমরা যা খুশী কর জান্নাত তোমাদের জন্য অবধারিত।” রহমাতুল লিল আলামীন দয়ার নবীর এ অপূর্ব উদারতায় উমারের দু'চোখ সজল হয়ে ওঠে। (সহীহুল বুখারী, ফদলু মান শাহেদা বদরান ) এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই পবিত্র কুরআনের এ আয়াত নাযিল হয়ঃ “ওহে তোমরা যারা ঈমান এনেছো, আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্বের আচরণ কর, অথচ তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা তারা অস্বীকার করেছে।" (সূরা মুমতাহিনা-১)
হযরত রাসূলে কারীমের (সা) ওফাতের পর প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর (রা) তাঁকে দ্বিতীয়বার মাকুকাসের দরবারে পাঠান এবং মাকুকাসের সাথে একটি সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করেন। হযরত আমর ইবনুল আসের (রা) মিসর জয়ের পূর্ব পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে এ চুক্তি বহাল থাকে। (আল-ইসতিয়াব)
হাতিব ইবন আবী বালতা'য়া (রা) এর চারিত্রিক গুণ
প্রতিশ্রুতি পালন, উপকারের প্রতিদান দেওয়া এবং স্পষ্ট ভাষণ তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আত্মীয় ও বন্ধুদের প্রতি ছিল তাঁর সীমাহীন দরদ। মক্কা বিজয়ের পূর্বে তিনি যে পত্রটি লেখেন তা ছিল মূলতঃ এ দরদের তাকিদেই। আর রাসূল (সা) তা উপলব্ধি করেই তাঁকে ক্ষমা করে দেন। তাঁর স্বভাব ছিল কিছুটা রুক্ষ। দাসদের সাথে কঠোর আচরণ করতেন। এ কারণে রাসূলুল্লাহ (সা) ও পরবর্তী খলীফারা মাঝে মাঝে তাঁকে বকাঝকা করে সংশোধন করতেন। একবার তাঁর এক দাস হযরত রাসূলে কারীমের (সা) খিদমতে হাজির হয়ে তাঁর কঠোরতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বললো, “ইয়া রাসুলাল্লাহ, নিশ্চয়ই হাতিব জাহান্নামে যাবে।” রাসূল (সা) বললেন, “তুমি মিথ্যা বলছো। যে ব্যক্তি বদর ও হুদাইবিয়ায় অংশ নিয়েছে সে জাহান্নামে যেতে পারে না।” (ইসতিয়াব ) হযরত উমারের (রা) খিলাফতকালে বহুবার তাঁর দাসেরা তাঁর বিরুদ্ধে খলীফার নিকট কঠোরতার অভিযোগ এনেছে। একবার তাঁর এক দাস মুযাইনা গোত্রের এক ব্যক্তির একটি উট জবেহ করে দেয়, তার শাস্তি স্বরূপ তিনি সেই দাসের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করেন। খলীফা জানতে পেয়ে তাঁকে ডেকে বলেন, “জানতে পেলাম, তুমি তোমার দাসদের অনাহারে রাখ।” খলীফা তাঁকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন।
ব্যবসা ছিল তাঁর জীবিকার প্রধান উৎস। খাবারের একটি দোকান থেকে তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। মৃত্যুকালে চার হাজার দীনার এবং অনেকগুলি বাড়ী রেখে যান।
কেউ বলেছেন, হাতিব থেকে রাসূলুল্লাহর (সা) তিনটি হাদীস, আবার কেউ বলেছেন দু'টি হাদীস বর্ণিত আছে।
হিজরী ৩০ সনে ৬৫ বছর বয়সে তিনি মদীনায় ইনতিকাল করেন। হযরত উসমান (রা) জানাযার নামাযের ইমামতি করেন এবং বিপুলসংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে তাঁর দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। (আল-ইসতিয়াব )
***************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন