সাহাবাগণের জীবনকথা-৫৮ || হযরত উসমান ইবন মাজউন (রাঃ) এর জীবনী





উসমান ইবন মাজউন (রাঃ)

'নাম 'উসমান, কুনিয়াত আবু সায়িব । পিতা মাজউন, মাতা সুখাইলা বিনতু “উনাইস। জাহিলী যুগেও তিনি অত্যন্ত পুতঃ পবিত্র স্বভাব-প্রকৃতির অধিকারী ছিলেন। সে যুগের বিপুল সংখ্যক লোক মদ পানে অভ্যস্ত ছিল। কিন্তু তিনি তা একবারও স্পর্শ করেননি। যারা মদপান করতো, তাদেরকে তিনি বলতেন, এমন জিনিস পান করে কী লাভ যাতে মানুষের বুদ্ধি লোপ পায়, নীচ শ্রেণীর লোকের হাসির পাত্রে পরিণত হতে হয় এবং নেশা অবস্থায় মা-বোনের কোন বাছ-বিচার থাকেনা?

উসমান ইবন মাজউনের (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ

তাঁর অন্তরটিও ছিল দারুণ স্বচ্ছ। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) দাওয়াত খুব দ্রুত তাঁকে প্রভাবিত করে। সীরাত লেখকদের মতে তাঁর পূর্বে মাত্র তের ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি হলেন চৌদ্দতম মুসলমান। ইবন সা'দের একটি বর্ণনায় জানা যায়, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরকামের গৃহে আশ্রয় নেওয়ার পূর্বেই 'উসমান ইবন মাজউন, উবাইদা ইবনুল হারিস, আবদুর রহমান ইবন আউফ, আবু সালামা আবদিল আসাদ এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ এক সাথে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ।

   

উসমান ইবন মাজউন (রাঃ) মদীনায় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণকারী প্রথম মুহাজির এবং মদীনার বাকী' গোরস্তানে দাফনকৃত প্রথম মুসলমান ।

উসমান ইবন মাজউনের (রাঃ) হাবসায় হিজরাত

নবুওয়াতের পঞ্চম বছরে সর্বপ্রথম মুসলমানদের একটি দল রাসূলুল্লাহর (সাঃ) ইজাযত নিয়ে হাবশায় হিজরাত করেন । 'উসমান ইবন মাজউন ছিলেন এই মুহাজির দলটির আমীর বা নেতা । এই দলটির সাথে তাঁর পুত্র সায়িবও ছিলেন। বেশ কিছুকাল হাবশায় অবস্থানের পর সংবাদ পেলেন যে মক্কার গোটা কুরাইশ খান্দান ইসলাম কবুল করেছে। তিনি আনন্দ সহকারে মক্কার দিকে যাত্রা করলেন । মক্কার কাছাকাছি পৌঁছে যখন বুঝতে পারলেন খবরটি ভিত্তিহীন, তখন ভীষণ বিচলিত হয়ে পড়লেন । কারণ, এত দূর দেশে আবার ফিরে যাওয়া যেমন কষ্টকর, তেমনি মক্কায় প্রবেশ করাও নিরাপদ নয় । এমন দোটানা অবস্থায় যেখানে পৌঁছেছিলেন সেখানেই অবস্থান করতে লাগলেন । আস্তে আস্তে যখন তাঁর সকল সঙ্গী-সাথী নিজ নিজ মুশরিক আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় মক্কায় ফিরে গেলেন, তখন তিনিও ওয়ালিদ ইবন মুগীরার নিরাপত্তায় মক্কায় প্রবেশ করেন।

ওয়ালিদ ইবন মুগীরার আশ্রয়ে হযরত উসমান ইবন মাজউন (রাঃ)

ওয়ালিদ ইবন মুগীরার প্রভাবে হযরত উসমান ইবন মাজউন দৈহিক অত্যাচার উৎপীড়নের হাত থেকে তো রেহাই পেলেন, কিন্তু রাসূল (সাঃ) ও অন্যান্য সাহাবীদের ওপর যে যুলুম-অত্যাচার চলছিল তা দেখে মোটেই সুখী হতে পারলেন না । একদিন তিনি নিজেকে তিরস্কার করে বললেন আফসুস ! আমার আত্মীয়-বন্ধু ও গোত্রের লোকেরা নানা রকম যুলুম-অত্যাচার সহ্য করছে আর আমি এক মুশরিকের সহায়তায় সুখে জীবন যাপন করছি। আল্লাহর কসম ! এটা আমার নিজের সত্ত্বার চরম দুর্বলতা।'

এমনই একটা চিন্তায় তিনি ভীষণ বিচলিত হয়ে পড়লেন। একটা অপরাধ বোধে তিনি জর্জরিত হতে লাগলেন। তিনি ওয়ালিদের কাছে গিয়ে বললেন : 'ওহে আবু আবদি শামস, তোমার দায়িত্ব তুমি যথাযথভাবে পালন করছো। এতদিন আমি তোমার আশ্রয়ে কাটিয়েছি, কিন্তু এখন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের হিফাজতে থাকাই আমি শ্রেয় মনে করি। আমার জন্য আল্লাহর রাসুল এবং তাঁর সাহাবীদের দৃষ্টান্তই যথেষ্ট।' ওয়ালিদ বললোঃ 'কেউ হয়তো তোমাকে কষ্ট দিয়েছে।'  তিনি বললেনঃ 'না। আসল কথা, আল্লাহ ছাড়া আর কারো সাহায্য এখন আমার প্রয়োজন নেই। তুমি এখনই আমার সাথে কা'বায় চলো এবং যেভাবে আমাকে আশ্রয় দানের কথা ঘোষণা করেছিলে তেমনিভাবে তা প্রত্যাহারের ঘোষণাটিও দিয়ে দাও।' তার পীড়াপীড়িতে ওয়ালিদ কাবার চত্বরে সাধারণ সমাবেশে ঘোষণা দান করলো এবং উসামানও দাঁড়িয়ে ওয়ালিদের কথা সত্যায়িত করে বললেনঃ বন্ধুগন, আমি ওয়ালিদকে প্রতিশ্রুতি পালনকারী ও দয়াশীল পেয়েছি। যেহেতু এখন আমার আল্লাহর ও তাঁর রাসূল ছাড়া আর কারো সহায়তা পছন্দীয় নয়, তাই আমি নিজেই ওয়ালীদের ইইসান বা উপকারের বোঝা আমার ঘাড় থেকে নামিয়ে ফেলছি।

ইসলামের জন্য নির্যাতন ভোগ

এই ঘোষণার পর 'উসমান ইবন মাজউন গেলেন লাবীদ ইবন রাবীয়ার সাথে কুরাইশদের একটি মজলিসে। লাবীদ ছিলেন তৎকালীন আরবের বিখ্যাত কবি । তিনি উপস্থিত হতেই কবিতার আসর শুরু হয়ে গেল। লাবীদ তাঁর কাসীদা আবৃত্তি করতে শুরু করলেন। যখন তিনি এ ছত্রে পৌঁছলেন-'আলা কুল্লু শাইয়িন মা খালাল্লাহা বাতিলুন- 'ওহে, আল্লাহ ছাড়া সবকিছুই বাতিল—অসার' তখন উসমান হঠাৎ বলে উঠলেন 'তুমি সত্য কথাই বলেছো। কিন্তু লাবীদ যখন দ্বিতীয় ছত্রটি পাঠ করলেন- ওয়া কুল্লু নাঈমিন লামাহালাতা যায়িলুন- – এবং সকল সম্পদই নিশ্চিত ধ্বংস হবে- তখন তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠে বলে উঠেন 'তুমি মিথ্যা বলেছো।' মজলিসে উপস্থিত সকলেই ক্রোধভরা দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকালো। তারা লাবীদকে শ্লোকটি পুনরায় আবৃত্তি করতে অনুরোধ করলো। লাবীদ আবার আবৃত্তি করলো এবং উসমানও প্রথম ছত্রটি সত্য ও দ্বিতীয়টি মিথ্যা বলে মত প্রকাশ করে বললেনঃ 'তুমি মিথ্যা বলেছো । জান্নাতের নিয়ামত বা সুখ-সম্পদ কখনও ধ্বংস হবে না। একথা শুনে লাবীদ একটু রুষ্ট হয়ে বললোঃ 'কুরাইশ গোত্রের লোকেরা, তোমাদের মজলিসের এ অবস্থা তো পূর্বে কখনও ছিলনা । এই উস্কানিমূলক উক্তিতে সমগ্র মজলিস ক্রোধে ফেটে পড়লো। ইত্যবসরে এক হতভাগা 'উসমানের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁর মুখে সজোরে এক ঘুষি মেরে দেয়। ঘুষি খেয়ে তাঁর একটি চোখ রক্ত জমে কালো হয়ে যায়। লোকেরা বললো, “উসমান, তুমি তো ওয়ালিদের আশ্রয়ে বেশ ভালোই ছিলে এবং তোমার চোখও এ কষ্ট থেকে নিরাপদে ছিল'। জবাবে তিনি বললেন, 'আল্লাহর আশ্রয়ই সবচেয়ে বেশী নিরাপদ ও সম্মানজনক, আমার যে চোখটি এখনো ভালো আছে, সেটাও তার বন্ধুর কষ্টের ভাগী হওয়ার জন্য উদগ্রীব।' ওয়ালিদ জিজ্ঞেস করলো, 'তুমি কি আবার আমার হিফাজতে আসতে চাও?' তিনি বললেন, 'এখন আমার আল্লাহর হিফাজতই যথেষ্ট।' তাঁর এ সময়ের অনুভূতির চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর স্বরচিত একটি কাসীদায়। হযরত আলীও তাঁর একটি কবিতায় 'উসমানের এ ঘটনা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। (দ্রষ্টব্যঃ হায়াতুস সাহাবা, ১ম খণ্ড)

উসমান ইবন মাজউনের (রাঃ) মদীনায় হিজরাত

এভাবে দীর্ঘদিন যাবত হযরত 'উসমান মক্কায় নানা রকম অত্যাচার ও উৎপীড়ন ধৈর্য সহকারে সহ্য করতে থাকেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সকল সাহাবীকে মদীনায় হিজরাতের অনুমতি দিলেন। হযরত উসমান ইবন মাজউন তার দুই ভাই কুদামা ইবন মাজউন, আবদুল্লাহ ইবন মাজউন ও পুত্র সায়িব ইবন উসমানসহ পরিবারের অন্য সকলকে নিয়ে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরাত করেন। হযরত উসমান তাঁর খান্দানের একটি লোককেও মক্কায় রেখে যাননি। মদীনা পৌঁছে তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালামা আজমীর (রাঃ) অতিথি হন ।


রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) মদীনা পৌঁছে হযরত উসমান ও তার ভাইদের স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এক খণ্ড প্রশস্ত ভূমি দান করেন এবং হযরত আবুল হাইসাম ইবন তাইহানের সাথে ভ্রাতৃ সম্পর্ক কায়েম করে দেন।

উসমান ইবন মাজউনের (রাঃ) ইনতিকাল

সত্য ও মিথ্যার প্রথম সংঘাত ঘটে বদর প্রান্তরে । তিনি শরিক ছিলেন এ যুদ্ধে । যুদ্ধ থেকে ফেরার পরই তিনি রোগে আক্রান্ত হন । তাঁর আনসারী ভাই এবং স্ত্রী পরিজনরা যথেষ্ট সেবা করেও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারলেন না। হিজরতের তিরিশ মাস পরে হযরত উসমান ইবনে মাজউন মদীনায় ইনতিকাল করেন।

হযরত উম্মুল আলা আল আনসারিয়্যা- যার বাড়ীতে হযরত উসমান ইনতিকাল করেন, বলেনঃ গোসল ও কাফন দেওয়ার পর জানাযা তৈরী হলে রাসুল (সাঃ) তাশরীফ আনলেন। আমি বলতে লাগলাম, 'আবু সাইব, আল্লাহর রহমত তোমার উপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করবেন।' রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, 'তুমি কিভাবে জানলে আল্লাহ তাকে সম্মানিত করবেন?' আমি বললাম, 'ইয়া রাসুলাল্লাহ, সে যদি না হয় তাহলে আর কাকে সম্মানিত করবেন?' রাসুল (সাঃ) বললেন, 'উসমান ছিল দৃঢ় ঈমানের অধিকারী। তার ভালো হবে এমনটিই আমি আশা করি। কিন্তু আল্লাহর কসম, আমি আল্লাহর রাসুল হয়েও জানিনে আমার কী পরিণাম হবে?'

হযরত উসমান ইবনে মাজউনের মৃত্যুতে রাসুল (সা) ভীষণ ব্যথিত হন। তিনি তিনবার ঝুঁকে পড়ে তার কপালে চুমু দেন। তখন রাসুলাল্লাহ (সা) চোখের পানিতে উসমানের গণ্ডদ্বয় সিক্ত হয়ে যায়। তারপর মাথা সোজা করে কান্নাভেজা কণ্ঠে তিনি বলেনঃ আবু সাইব, আমি তোমার থেকে পৃথক হয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ তোমার ওপর রহম করুন! দুনিয়া থেকে তুমি এমনভাবে বিদায় নিলে যে, তার থেকে তুমি কিছুই নিলে না এবং দুনিয়াও তোমার থেকে কিছুই নিতে পারেনি।'

হযরত উসমানের (রা) মৃত্যুর পরও রাসুল (সাঃ) তাঁকে ভুলে যাননি। রাসুলাল্লাহর (সাঃ) কন্যা হযরত রুকাইয়্যা মারা গেলে তিনি কন্যাকে সম্বোধন করে বলেন, 'যাও আমাদের উত্তম অগ্রগামী উসমান ইবনে মাজউনের সাথে গিয়ে মিলিত হও।'

হযরত উসমান ইবনে মজউন যখন মারা যান তখন মদীনায় মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট কোন গোরস্থান ছিল না। উসমানের ওফাতের পর রাসুল (সাঃ) মদীনার 'বাকী' নামক স্থানকে গোরস্থানের জন্য নির্বাচন করেন। রাসুল্লাল্লাহর (সাঃ) সাহাবীদের মধ্যে সর্বপ্রথম তিনিই এখানে সমাহিত হন। রাসুল (সা) নিজেই জানাযার নামায পড়ান এবং কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দাফন কাজ তত্ত্বাবধান করেন। তারপর কবরের ওপর কোন একটি জিনিস চিহ্ন হিসেবে পুতে দিয়ে বলেন, 'এখন কেউ মারা গেলে এর আশে পাশেই দাফন কড়া হবে।'

উসমান ইবনে মজউনের (রাঃ) চারিত্রিক মান

হযরত উসমানের চারিত্রিক মান অত্যন্ত উঁচু পর্যায়ের ছিল। জাহিলী যুগেই তিনি ছিলেন শরাবের প্রতি বিতৃষ্ণ। লজ্জা ছিল তাঁর স্বভাব বৈশিষ্ট্য।

রুহবানিয়্যাত বা বৈরাগ্যের প্রতি তাঁর গভীর ঝোঁক ছিল। একবার ইচ্ছা করলেন প্রবৃত্তির কামনা বাসনা ধ্বংস করে মরুচারী রাহিব বা সংসার-ত্যাগী হয়ে যাবেন। কিন্তু রাসুল (সাঃ) জানতে পেয়ে তাঁকে এ উদ্দেশ্য থেকে বিরত রাখেন। তিনি বলেন, 'আমি কি তোমার জন্য সর্বোত্তম আদর্শ নই? আমি আমার স্ত্রীর সাথে মিলিত হই, গোশত খাই, রোযা রাখি এবং ইফতারও করি। রোযাই হলো আমার উম্মাতের খাসি বা নিবীর্য হওয়া। সুতরাং সে খাসি করবে বা খাসি হবে সে আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত নয়।' ইবাদাত বা শবগোজারী ছিল তাঁর প্রিয়তম কাজ। সারা রাত তিনি নামায আদায় করতেন। বছরের অধিকাংশ দিনে রোযা রাখতেন। বাড়ীর একটা ঘর ইবাদাতের জন্য নির্দিষ্ট করেছিলেন। রাত দিনে সেখানে ইতিকাফ করতেন। একদিন রসুল (সাঃ) এই ঘরের চৌকাঠ ধরে দুই অথবা তিনবার বলেছিলেন, 'উসমান, আল্লাহ আমাকে রুহবানিয়্যাত বা বৈরাগ্যের জন্য পাঠাননি। সহজ সরল দ্বীনে হানিফ সকল দ্বীন থেকে আল্লাহর প্রিয়তম।

ইবাদাতের প্রবল আগ্রহ স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি তাঁকে উদাসীন করে তোলে। একদিন তাঁর স্ত্রী নবী-গৃহে আসেন। নবীর (সাঃ) সহধর্মিণী তার মলিন বেশ-ভূষা দেখে জিজ্ঞেস করেনঃ

‘তোমার এ অবস্থা কেন ? তোমার স্বামী তো কুরাইশদের মধ্যে একজন ধনী ব্যাক্তি ।' জবাবে তিনি বললেনঃ তাঁর সাথে আমার কি সম্পর্ক। তিনি সারা রাত নামায পড়েন, দিনে রোযা রাখেন । “উম্মুল মুমিনীনগণ বিষয়টি রাসূলুল্লাহর (সাঃ) গোচরে আনেন। রাসূল (সাঃ) তখনই উসমান ইবন মাজউনের বাড়ীর দিকে ছুটে যান এবং তাকে ডেকে বলেনঃ 'উসমান, আমার নিজের জীবন কি তোমার জন্য আদর্শ নয় ?' উসমান বললেন, আমার মা-বাবা আপনার প্রতি কুরবান হোক' । রাসুল (সাঃ) বললেন 'তুমি সারা রাত ইবাদাত কর, অধিকাংশ দিন রোযা রাখ।' বললেন হাঁ, এমনটিই করে থাকি । ইরশাদ হলো, এরূপ করবে না। তোমার ওপর তোমার চোখের, তোমার দেহের উপর তোমার পরিবার পরিজনের হক বা অধিকার আছে। নামায পড়, আরাম কর, রোযা ও রাখ এবং ইফতার কর ।' এই হিদায়াতের পর তাঁর স্ত্রী একদিন নবী গৃহে আসলেন । তখন কিন্তু তাঁকে নব বধুর সাজে সজ্জিত দেখাচ্ছিল। তাঁর শরীর থেকে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল।

হযরত খাদীজার (রাঃ) ইনতিকালের পর হযরত 'উসমান ইবন মাজউনের স্ত্রী হযরত খাওলা বিনতু হাকীম, হযরত আয়িশা ও হযরত সাওদার সাথে বিয়ের প্রস্তাবটি রাসূলুল্লাহর (সাঃ) নিকট পেশ করেছিলেন । তাঁরই মধ্যস্থতায় মূলতঃ রাসূলুল্লাহর (সাঃ) এ দু'টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল । (হায়াতুস সাহাবা – ২/৬৫৩)





**************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url