মা’আরেফুল কোরআন - ৬৮ || সূরা আল-বাকারাহ, ১৮৫ || রমজানের রোযা ফরজ হওয়া প্রসঙ্গ







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ১৮৫


 شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵

সূরা আল-বাকারাহ ১৮৫ নং আয়াতের অর্থ


(১৮৫) রমযান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না- যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ্ তা'আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর ।

সূরা আল-বাকারাহ ১৮৫ নং আয়াতের তাফসীর

   

তাফসীরের সার-সংক্ষেপ
রোযার দিন নির্দিষ্টকরণঃ উপরে বলা হয়েছিল যে, সামান্য কয়েক দিন তোমাদের রোযা রাখতে হবে। সে সামান্য কয়েক দিনের বিষয়ই এখানে বর্ণনা করা হয়েছে।

(সে সামান্য কয়েক দিন যাতে রোযা রাখার হুকুম করা হয়েছে, তা হলো) রমযান মাস, যাতে এমন বরকত বিদ্যমান রয়েছে যে, এরই এক বিশেষ অংশে (অর্থাৎ শবে-কদরে) কোরআন মজীদ (লওহে মাহফুয থেকে দুনিয়ার আকাশে) পাঠানো হয়েছে। তার (একটি) বৈশিষ্ট্য এই যে, (এটা) মানুষের জন্য হেদায়েতের উপায় এবং (অপর এক বৈশিষ্ট্য এই যে, হেদায়েতের পন্থা বাতলাবার জন্যও এর প্রতিটি অংশ) প্রমাণস্বরূপ। (আর এ দু’টি বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে এটাও মূলত সেসব আসমানী কিতাবেরই অনুরূপ, যেগুলো এসব বৈশিষ্ট্যে মণ্ডিত অর্থাৎ) হেদায়েত তো বটেই তৎসঙ্গে (যে কোন বিষয়ের উপর প্রকৃষ্ট প্রমাণ উপস্থাপনকারী হওয়ার দরুন) সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্য বিধানকারীও বটে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যেসব লোক এ মাসে বিদ্যমান থাকবে, তাদের জন্য রোযা রাখা অপরিহার্য কর্তব্য। (এতে ’ফিদইয়া’ বা বদলার যে অনুমতির কথা উপরে বলা হয়েছিল তা রহিত হয়ে গেল। তবে অসুস্থ ও মুসাফিরের জন্য যে আইন ছিল অবশ্য এখনও তেমনিভাবে তা বলবৎ রয়েছে যে) যে লোক ( এমন) রোগাক্রান্ত (বা অসুস্থ ) হবে, (যাতে রোযা রাখা কঠিন কিংবা ক্ষতিকর) অথবা (যে লোক শরীয়তসম্মত) সফরে থাকবে, (তার জন্য রমযান মাসে রোযা না রাখারও অনুমতি রয়েছে এবং রমযানের দিনসমূহের পরিবর্তে অন্য মাসের (তত দিন) গুণে রোযা রাখা ওয়াজিব। আল্লাহ্ তা’আলা (হুকুম আহকামের ব্যাপারে) তামাদের সাথে সহজ ব্যবহার করতে চান। (কাজেই তিনি এমন আহকামই নির্ধারণ করেছেন, যা তোমরা সহজভাবে সম্পাদন করতে পার। সুতরাং সফর ও অসুস্থতার সময়ের জন্য এমন সহজ আইন সাব্যস্ত করেছেন। তাছাড়া) তিনি তোমাদের সাথে (হুকুম-আহকাম ও আইন-কানুনের ব্যাপারে কোন বকম) জটিলতা সৃষ্টি করতে চান না। বস্তুত (উল্লিখিত হুকুম-আহকামও আমি বিভিন্ন তাৎপর্যের ভিত্তিতেই নির্ধারণ করেছি। কাজেই প্রথমত নির্ধারিত সময়ে রোযা রাখার এবং কোন বিশেষ ওযর থাকলে সে রোযাগুলো অন্য দিনে কাযা করে নেওয়ার হুকুমও সে ভিত্তিতেই দেওয়া হয়েছে, যাতে তোমরা (নির্ধারিত দিনের কিংবা কাযার) দিনের গণনা সম্পূর্ণ করে নিতে পার (এবং যাতে সওয়াবের কোন কমতি না থাকে)। আর কাযার হুকুমও এজন্য করা হয়েছে, যাতে তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার মহত্ত্ব (কীর্তন) কর (এ কারণে যে, তিনি তোমাদিগকে এমন এক পন্থা বাতলে দিয়েছেন, যাতে তোমরা রোযার দিনের বরকত ও ফল লাভে বঞ্চিত না হও। পক্ষান্তরে কাযা করা যদি ওয়াজিব না হতো, তবে কে এসব রোযা রেখে পরিপূর্ণ সওয়াব অর্জন করতে পারত ?) আর (ওযরের কারণে বিশেষভাবে রমযানে রোযা না রাখার অনুমতি এজন্য দেওয়া হয়েছে) যাতে তোমরা (এই সহজ করে দেওয়ার কারণে) আল্লাহ্ তা’আলার শুকরিয়া আদায় কর (এ অনুমতি যদি না হতো, তবে সে বিষয়টি আদায় করা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে পড়ত)।

সূরা আল-বাকারাহ ১৮৫ নং আয়াতের বিষয় বস্তু

আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়

আসমানী কিতাব নাযিলের মাস

এ আয়াতে পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত আয়াতের বিশ্লেষণও করা হয়েছে এবং তৎসঙ্গে রমযান মাসের উচ্চতর ফযীলতও বর্ণনা করা হয়েছে। পূর্ববর্তী আয়াতে أَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ বাক্যটি ছিল সংক্ষিপ্ত। তারই ব্যাখ্যা করা হয়েছে এ আয়াতে যে, সে কতিপয় দিন হলো রমযান মাসের দিনগুলো। আর এর ফযীলত হলো এই যে, আল্লাহ্ তা’আলা এ মাসটিকে স্বীয় ওহী এবং আসমানী কিতাব নাযিল করার জন্য নির্বাচন করেছেন। সুতরাং কোরআনও (প্রথম) এ মাসেই অবতীর্ণ হয়েছে। মসনদে আহমদ গ্রন্থে হযরত ওয়াসেলাহ ইবনে আসকা থেকে রেওয়ায়েত করা হয়েছে যে, রাসূলে করীম (সা) বলেছেন, হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সহীফা রমযান মাসের ১লা তারিখে নাযিল হয়েছিল। আর রমযানের ৬ তারিখে তওরাত, ১৩ তারিখে ইঞ্জীল এবং ২৪ তারিখে কোরআন নাযিল হয়েছে। হযরত জাবের (রা)-এর রেওয়ায়েতে উল্লেখ রয়েছে যে, ’যবুর’ রমযানের ১২ তারিখে এবং ইঞ্জীল ১৮ তারিখে নাযিল হয়েছে। (ইবনে কাসীর)


উল্লিখিত হাদীসে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের অবতরণ সম্পর্কিত যেসব তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব তারিখে সেসব কিতাব গোটাই নাযিল করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোরআনের বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, তা সম্পূর্ণভাবে রমযানের কোন এক রাতে লওহে মাহফুয থেকে পৃথিবীর আকাশে অবতীর্ণ করে দেওয়া হলেও হুযূর আকরাম (সা)-এর উপর ধীরে ধীরে তেইশ বছরে তা অবতীর্ণ হয়।

কোরআন নাযিল হয়েছে শবে কদরে

রমযানের যে রাতে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল কোরআনেরই ব্যাখ্যা অনুযায়ী তা ছিল শবে কদর। বলা হয়েছে। إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ (অবশ্যই আমি তা নাযিল করেছি কদরের রাতে)। উল্লিখিত হাদীসে এ রাতটি ২৪শে রমযানের রাত ছিল বলে বলা হয়েছে। আর হযরত হাসান (রা)-এর মতে ২৪তম রাতটি হলো শবেকদর। এভাবে এ হাদীসটিও কোরআনের আয়াতের অনুরূপ। পক্ষান্তরে যদি এই সামঞ্জস্যকে সমর্থন করা না হয়, তবে কোরআনের ব্যাখ্যাই এ ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য অর্থাৎ যে রাতে কোরআন নাযিল করা হয়েছিল, সে রাতই শবে কদর হবে। এ আয়াতের মর্মও তাই। فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ এই একটি মাত্র বাক্যে রোযা সম্পর্কিত বহু হুকুম-আহকাম ও মাস’আলা-মাসায়েলের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। شَهِدَ শব্দটি شُهُوْدٌ থেকে গঠিত-এর অর্থ উপস্থিতি ও বর্তমান থাকা । আরবী অভিধানে الشهر অর্থ মাস। এখানে অর্থ হলো রমযান মাস। কাজেই বাক্যটির অর্থ দাঁড়াল এই যে, তোমাদের মধ্য থেকে যে লোক রমযান মাসে উপস্থিত থাকবে অর্থাৎ বর্তমান থাকবে, তার উপর গোটা রমযান মাসের রোযা রাখা কর্তব্য। ইতিপূর্বে রোযার পরিবর্তে ফিদইয়া দেওয়ার যে সাধারণ অনুমতি ছিল, এ বাক্যের দ্বারা তা মনসূখ বা রহিত করে দিয়ে রোযা রাখাকেই ওয়াজিব বা অপরিহার্য কর্তব্য করে দেওয়া হয়েছে।

রমযান মাসে উপস্থিত বা বর্তমান থাকার মর্ম হলো রমযান মাসটিকে এমন অবস্থায় পাওয়া যাতে রোযা রাখার সামর্থ্য থাকে। অর্থাৎ মুসলমান, বুদ্ধিমান, সাবালক, মুকীম এবং হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র অবস্থায় রমযান মাসে বর্তমান থাকা।

সে জন্যই পূর্ণ রমযান মাসটিই যার এমন অবস্থায় অতিবাহিত হয়ে যায়, যাতে তার রোযা রাখার আদৌ যোগ্যতা থাকে না – যেমন কাফির, নাবালক, উন্মাদ প্রভৃতি, তখন সে লোক এই নির্দেশের আওতাভুক্ত হয় না। তাদের উপর রমযানের রোযা ফরয হয় না। পক্ষান্তরে যাদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে রোযা রাখার যোগ্যতা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও কোন বিশেষ ওযরবশত বাধ্য হয়ে রোযা পরিহার করতে হয়, যেমন—স্ত্রীলোকের হায়েয-নেফাসের অবস্থা কিংবা রোগ-শোক, অথবা সফর অবস্থা প্রভৃতি। তখনও তাদের রোযা রাখার যোগ্যতার ক্ষেত্রে রমযান মাসে বর্তমান বলেই গণ্য হবে। কাজেই তাদের উপর আয়াতে বর্ণিত হুকুম বর্তাবে। কিন্তু সাময়িক ওযরবশত সে সময়ের জন্য রোযা মাফ বলে গণ্য হবে। অবশ্য পরে তা কাযা করতে হবে।

রোযা ফরজ হওয়ার শর্ত

মাস’আলাঃ এ আয়াতের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, রমযানের রোযা ফরয হওয়ার জন্য রোযার যোগ্য অবস্থায় রমযান মাসের উপস্থিতি একটা শর্ত। এমতাবস্থায় যে লোক পূর্ণ রমযান মাসকে পাবে, তার উপর গোটা রমযান মাসের রোযা ফরয হয়ে যাবে— যে লোক এ অবস্থায় কিছু কম সময় পাবে, তার উপর ততদিনই ফরয হবে। কাজেই রমযান মাসের মাঝে যদি কোন কাফির ব্যক্তি মুসলমান হয়, কিংবা কোন নাবালেগ যদি বালেগ হয়, তবে তার উপর পরবর্তী রোযাগুলোই ফরয হবে। বিগত দিনগুলোর রোযা কাযা করার প্রয়োজন হবে না। অবশ্য উন্মাদ ব্যক্তি মুসলমান ও বালেগ হওয়ার প্রেক্ষিতে যেহেতু ব্যক্তিগত যোগ্যতার অধিকারী হয়, সেহেতু সে যদি রমযানের কোন অংশে সুস্থ হয়ে ওঠে, তবে এ রমযানের বিগত দিনগুলোর কাযা করাও তার উপর অবশ্য কর্তব্য হয়ে পড়বে। তেমনিভাবে হায়েয-নেফাসগ্রস্ত স্ত্রীলোক যদি রমযানের মাঝে পাক হয়ে যায় অথবা কোন অসুস্থ লোক যদি সুস্থ হয়ে ওঠে কিংবা কোন মুসাফির যদি মুকীম হয়ে যায়, তবে বিগত দিনগুলোর রোযা কাযা করা তার পক্ষে জরুরী হবে।

চাঁদ দেখার মাস’আলা

মাস’আলাঃ রমযান মাসের উপস্থিতি তিন পন্থায় প্রমাণিত হয়ঃ (১) রমযানের চাঁদ নিজের চোখে দেখা, (২) বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষীর মাধ্যমে চাঁদ প্রমাণিত হওয়া এবং (৩) এতদুভয় পন্থায় প্রমাণিত না হলে শাঁবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর রমযান মাস আরম্ভ হয়ে যাবে।

মাস’আলাঃ শা’বান মাসের ২৯ তারিখের সন্ধ্যায় যদি মেঘ প্রভৃতির দরুন চাঁদ দেখা না যায় এবং শরীয়তসম্মত কোন সাক্ষীও উপস্থিত না হয়, তাহলে পরবর্তী দিনটিকে বলা হয় ? يوم الشك (ইয়াওমুশ্ শক) বা সন্দেহজনক দিন। কারণ এতে প্রকৃতই চন্দ্রোদয়ের সম্ভাবনাও থাকে, কিন্তু চাঁদ দেখার স্থানটি পরিষ্কার না থাকায় তা হয়তো দেখা যায় না। তাছাড়া এদিন চাঁদ আদৌ উদয় না হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এ দিনে যেহেতু চন্দ্রোদয় প্রমাণিত হয় না, কাজেই সেদিনের রোযা রাখাও ওয়াজিব হয় না, বরং তা মরূহ হয়। ফরয ও নফলের মাঝে যাতে সংমিশ্রণ ঘটতে না পারে সেজন্য হাদীসে এর নিষিদ্ধতা রয়েছে। —(জাসসাস)

মাস’আলাঃ যেসব দেশে রাত ও দিন কয়েক মাস দীর্ঘ হয়ে থাকে সেসব দেশে বাহ্যত মাসের উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করা যায় না অর্থাৎ রমযান মাসের প্রকাশ্য আগমন ঘটে না, কাজেই সে দেশের অধিবাসীদের উপর রোযা ফরয হওয়াই উচিত। হানাফী মাযহাব অবলম্বী ফিকহবিদগণের মধ্যে হালওয়ানী, কেবালী প্রমুখ নামাযের ব্যাপারেও এমনি ফতোয়া দিয়েছেন যে, তাদের উপর নিজেদের দিন-রাত অনুযায়ী নামাযের হুকুম বর্তাবে অর্থাৎ যে দেশে মাগরিবের সাথে সাথেই সুবহে সাদিক হয়ে যায়, সে দেশে এশার নামায ফরয হয় না। –(শামী)

এর তাগাদা হলো এই যে, যে দেশে ছয় মাসে দিন হয়, সেখানে শুধু পাঁচ ওয়াক্তের নামায ফরয হবে। রমযান আদৌ আসবে । হযরত হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী (র)-ও ’এমদাদুল-ফাতাওয়া’ গ্রন্থে রোযা সম্পর্কে এ মতই গ্রহণ করেছেন।

فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ

আয়াতে রুগ্ন কিংবা মুসাফিরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে যে, সে তখন রোযা না রেখে বরং সুস্থ হওয়ার পর অথবা ’সফর শেষ হওয়ার পর ততদিনের রোযা কাযা করে নেবে। এ হুকুমটি যদিও পূর্ববর্তী আয়াতেও উল্লেখ করা হয়েছিল, কিন্তু এ আয়াতে যেহেতু রোযার পরিবর্তে ফিদ্ইয়া দেওয়ার ঐচ্ছিকতাকে রহিত করে দেওয়া হয়েছে, কাজেই সন্দেহ হতে পারে যে, হয়তো রুগ্ন কিংবা মুসাফিরের বেলায়ও হুকুমটি রহিত হয়ে গেছে। সুতরাং এখানে তার পুনরুল্লেখ করা হয়েছে।





*********************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url