মোবাইল ফোন ব্যবহারের ইসলামিক রীতিনীতি || মসজিদে মোবাইল ফোন ব্যবহার






মোবাইল ফোন ও মসজিদ


বর্তমানে প্রায় সব মসজিদেই দেখা যায়, মসজিদের ভেতরে লেখা থাকে, ‘নামাজের সময় মোবাইল বন্ধ রাখুন।’ আবার জামাতের জন্য কাতার সোজা করার নির্দেশনা দেওয়ার সময় মাইকে ইমাম সাহেবের কণ্ঠ থেকে ঘোষণা ভেসে আসে, ‘যাদের কাছে মোবাইল আছে, দয়া করে মোবাইল বন্ধ করি।’

   

সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, মোবাইল বন্ধ করা প্রয়োজন শুধু নামাজের জন্য। জামাতের সময় ছাড়া অন্য সময় মসজিদের ভেতর মোবাইল বেজে উঠলে সমস্যা নেই। অথচ হাদিস, ফিকাহ, যুক্তি ও সামাজিক প্রথার দাবি শুধু নামাজের সময় নয় বরং মসজিদের ভেতর যে কোনো সময় মোবাইল বেজে উঠা আপত্তিকর ও ক্ষতিকর। আসুন দেখে নেই মসজিদে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ইসলামিক রীতিনীতি।


মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই মোবাইল/রিংটোন বন্ধ করা জরুরি


নামাজ অন্যান্য ইবাদত থেকে একটু ভিন্নতর ইবাদত। এই ইবাদত হলো সরাসরি মহান আল্লাহর সাথে কথা বলার এক চমৎকার মাধ্যম। এ কারণেই নামাজ অবস্থায় একাগ্রতা ও খুশু-খুযুর প্রতি যেরূপ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে অন্য কোনো ইবাদতের বেলায় তেমনটি করা হয়নি। যেমন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন,

قد أفلح الْمُؤْمِنُونَ (۱) الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ (۲) (المؤمنون : ١-٢)

ঐসব ঈমানদার সফলতা লাভ করেছে, যারা স্বীয় নামাজে একাগ্রচিত্ত ও বিনয়-নম্র। (সূরা মুমিনুন: ১-২) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَوَيْلٌ لِلْمُصَلِّينَ (٤) الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلاتِهِمْ سَاهُونَ (٥) الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ (1) ( الماعون : ٤-٦)

যেসব নামাজি স্বীয় নামাজের ব্যাপারে অমনোযোগী এবং লোক দেখানো নামাজ পড়ে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। (সূরা মাউন: ৪-৬)

হাদিস শরিফে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যারা খুশু-খুযু অর্থাৎ আল্লাহর ভয় অন্তরে ধারণ করে একাগ্রচিত্তে বিনয়ের সাথে নামাজ আদায় করে তাদের জন্য আকাশের দরজা খুলে যায় এবং নামাজির জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করে।

মোটকথা নামাজের খুশু-খুযুর প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাই প্রতিটি মুসলির জন্য মসজিদে প্রবেশের আগেই মোবাইল একেবারে বন্ধ না করলেও রিংটোন বন্ধ করে দেওয়া আবশ্যক। কারণ, মসজিদের ভিতর রিংটোন বেজে উঠলে শুধু স্বীয় একাগ্রতাই নষ্ট হবে না, অন্য নামাজিদের একাগ্রতাও নষ্ট হবে । [মাসিক আল কাউসার, মে' ০৮ সংখ্যা, পৃষ্ঠাঃ ১৮]

মসজিদের ভিতর মোবাইল ভাইব্রেশন দিয়ে রাখা


মসজিদের ভিতর মোবাইলে ভাইব্রেশন দিয়ে রাখাও ঠিক নয়। কারণ এতে অন্যের ক্ষতি না হলেও নিজের খুশু-খুযু তথা মনোযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোনো মোবাইলের ভাইব্রেশনের ক্ষীণ আওয়াজ পার্শ্ববর্তী লোকদের কানেও পৌঁছে। তদুপরি ভাইব্রেশন চলাকালে মোবাইলটি যদি কোনোভাবে অন্যের গা স্পর্শ করে তবে তো কোনো কথাই নেই। তখন তো অবশ্যই উভয়ের মনোযোগ নষ্ট হবে। তাই মোবাইল নিয়ে মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো, হয়তো মোবাইল একেবারে বন্ধ করে দেয়া নয়তো আওয়াজ সাইলেন্ট করে রাখা। যাতে নামাজ শেষ করার পর বুঝা যায়, কে কল করেছে। [মাসিক আল কাউসার, মে'০৮ সংখ্যা, পৃষ্ঠা : ১৮]

মসজিদে একজনের মোবাইলে রিং বেজে উঠলে অন্যরা কী করবে?


পূর্বে বলা হয়েছে, মসজিদের ভিতর যেন রিংটোন না বাজে এবং কারো নামাজে কোনোরূপ বিঘ্নতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রত্যেকের উচিত মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই মোবাইল বন্ধ করা এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকা। কিন্তু এ বিষয়ে পূর্ণ সতর্কতা বজায় রাখা সত্ত্বেও কোনো কোনো সময় ভুলবশতঃ মোবাইল বন্ধ না করার কারণে তাতে রিং বেজে উঠে। আর এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই এক্ষেত্রে অন্যান্য মুসল্লিদের উচিত হলো, নামাজ শেষে তাকে এভাবে বুঝিয়ে দেওয়া যে- 'ভাই! মসজিদে ঢুকার পূর্বে অনুগ্রহপূর্বক খেয়াল করে মোবাইলটা বন্ধ করে আসলে ভালো হয়'। এরূপ বলাই নিয়ম । এভাবে বলাই সুন্নত ও ভদ্রতা । মসজিদের ভিতরে একজন মুসলমানকে সতর্ক করার জন্য এর চেয়ে বেশি বলার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু আশ্চর্যের কথা হলো, কারো দ্বারা এমন ভুল ঘটে গেলে মসজিদে অধিকাংশ সময় এমনকিছু আপত্তিকর কথা বলা হয় যা সত্যিই দুঃখজনক ও অনাকাক্সিখত। অথচ মনে রাখা দরকার, অন্যায় বা অসৎ কাজের প্রতিকারও অবশ্যই ন্যায়সঙ্গতভাবে হতে হবে। অন্যথায় লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি।


আচ্ছা বলুন তো, সতর্ক থাকা সত্ত্বেও ভুলক্রমে কোনো কোনো সময় মোবাইল বন্ধ না করাটা কি অন্যায়? আমি মনে করি, এটা মোটেও অন্যায় নয়। কেননা ভুল করা বা ভুলে যাওয়া মানুষের স্বভাব। আর যদি ধরেও নিই যে, এটা অন্যায় তাই বলে কি অন্যায়ের প্রতিকার এভাবে করা যাবে যদ্বারা আরো বড় অন্যায় হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়? চিন্তা করে দেখুন তো, মসজিদের ভিতর নামাজের মাঝে যে লোকটির মোবাইল বেজে উঠে, যার অসতর্কতার বিষয়টি হঠাৎ মুসল্লিদের কাছে প্রকাশ পেয়ে যায়, লজ্জায় ও অনুশোচনায় তো এমনিতেই তিনি সংকোচিত হয়ে যান, নামাজ শেষে তার দিকে কে কী ভাবে তাকাবে, কে কী বলবে— এই চিন্তায়ই তো তার মনটা ছোট হয়ে আসে; এর উপর কোনো ভদ্রলোক যদি গোটা মসজিদ কাঁপিয়ে চিৎকার করে তাকে ধমক দিতে শুরু করেন, তাহলে ওই লোকটির অবস্থা কী দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ভেবে দেখা দরকার, সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবে, হঠাৎ অসতর্কতার কারণে কোনো মুসলমানের প্রতি এমন আচরণ অমানবিক ও দুঃখজনক নয় কি? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি আমাদেরকে এ শিক্ষাই দিয়ে গেছেন? না, মোটেই নয়। তিনি আমাদেরকে এমনটি কখনো শিক্ষা দেননি। বরং তিনি এরূপ ক্ষেত্রে এমন উত্তম ও কালজয়ী শিক্ষা দিয়ে গেছেন যা চিরদিন অমর অক্ষয় হয়ে থাকবে। যেমন হাদিস শরিফে আছে-

একদিন এক গ্রাম্য লোক মসজিদের ভিতর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে পেশাব করতে শুরু করল। এমতাবস্থায় বারণ করার জন্য উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম দৌড়ে ছুটলেন। কিন্তু নবীজি তাদেরকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, তাকে তার কাজ শেষ করতে দাও। যখন পেশাব করা শেষ হলো নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিলেন। বললেন, এটা নামাজের জায়গা। ইবাদত-বন্দেগীর জায়গা, পেশাবের জায়গা নয়। অবশেষে মসজিদের যে জায়গায় সে পেশাব করেছে তা পবিত্র করে নেওয়ার জন্য সাহাবিদের নির্দেশ দিলেন ।

মোটকথা অসতর্কতার দরুণ মসজিদের ভিতর কারো মোবাইলে রিং বেজে উঠলে আশেপাশের মুসল্লিদের করণীয় হলো,

প্রথমত: ধৈর্যধারণ করা এবং পরে সঠিক মাসআলা জানা থাকলে সুযোগমতো সুন্দরভাবে তার সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে (কোনো আলেমের বরাত দিয়ে) মাসআলা বলে দেওয়া। তা না করে তাৎক্ষণিকভাবে হৈ চৈ করে বকাঝকা শুরু করে দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক নয়, শরিয়তও এমন কাজ সমর্থন করে না। কেননা এভাবে হৈ চৈ করার দ্বারা একদিকে যেমন মসজিদের আদব চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়, তেমনি একজন মুসলমানকেও অন্যায়ভাবে কষ্ট দেওয়া হয়। তাই সবাইকে এরূপ অন্যায় থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন ।

মসজিদের ভিতর মোবাইলে দুনিয়াবী কথাবার্তা বলা যাবে কি?


মসজিদ আল্লাহর ঘর। পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা। নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির, তালীম প্রভৃতি ইবাদতের জন্যই মসজিদের সৃষ্টি। এখানে অন্য ইবাদতকারীর ক্ষতি করে বৈধ কথাবার্তা বলাও নাজায়েয। তাই মসজিদে অবস্থানকালে সরাসরি কিংবা মোবাইলে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা না বলাই উচিত। মসজিদকে দুনিয়াবী কথাবার্তা ও কাজকর্মের স্থান বানানো অথবা এ উদ্দেশ্যে মসজিদে একত্রিত হওয়া মারাত্মক পাপ। কারো মতে মাকরূহে তাহরীমি, কারো মতে হারাম। অবশ্য ইবাদতের উদ্দেশ্যে এসে অন্য ইবাদতকারীর ক্ষতি না করে সরাসরি বা মোবাইলে ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করা বা প্রয়োজনীয় কোনো কথা বলা দোষণীয় নয়। [ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, খণ্ডঃ ৫, পৃষ্ঠাঃ ৩২১ # আপ কি মাসায়িল আউর উনকা হল, খণ্ড ১২ পৃষ্ঠাঃ ১১৩ # ফতোয়ায়ে শামী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৬৬২ # এলামুস সাজিল, পৃষ্ঠাঃ ৩২৬ # আল মুহাল্লা, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠাঃ ১৬০ # শরহুল মুনইয়া, পৃষ্ঠাঃ ৪ ৬১০ # আল মাস ফী মাআরিফাতিল হাদীসিল মাওজু, পৃষ্ঠাঃ ৯২ # ফতহুল বারী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠাঃ ৬৫৩]

মসজিদে এতেকাফ অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার


দুনিয়ার সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন থেকে তার প্রিয়পাত্র হওয়ার উদ্দেশ্যেই ইতিকাফ করা হয়। তাই ইতিকাফকারীর জন্য পূর্ণ সময় অর্থাৎ খানাপিনা, ঘুম ও ইস্তেঞ্জার সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকী সময় নামাজ, জিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদতে মশগুল থাকাই কাম্য। সুতরাং খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এতেকাফ অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার না করাই ভাল। তবে একান্ত ঠেকায় পড়ে প্রয়োজনীয় কথা বলার জন্য মোবাইল যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে খুব ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে যাতে অন্য কোনো মুসল্লি বা ইবাদতকারীর ক্ষতি না হয়। মোটকথা এতেকাফ অবস্থায় মোবাইলে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলার অবকাশ আছে। [আল বাহরুর রায়েক, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা ঃ ৩০৪ [] ফাতাওয়া তাতারখানিয়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ঃ ৪১২

মসজিদের ছাদে মোবাইলের টাওয়ার বসানো


মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের নিজ নিজ টাওয়ার স্থাপনের জন্য বিল্ডিংয়ের ছাদ ভাড়া নিয়ে থাকে। অনেক সময় তারা মসজিদ কমিটিকেও মসজিদের ছাদ ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এখন জানার বিষয় হলো, টাওয়ার স্থাপনের জন্য মসজিদের ছাদ ভাড়া দেওয়ার অনুমতি আছে কি-না?

এ ব্যাপারে শরিয়তের ফয়সালা হলো, টাওয়ার স্থাপনের জন্য মসজিদের ছাদ ভাড়া দেওয়া জায়েয নয় এবং কোনো কোম্পানি কর্তৃক মসজিদের ছাদে মোবাইল টাওয়ার স্থাপনও জায়েয নয়। কেননা, মসজিদ আল্লাহর ঘর। এর যথাযথ সম্মান করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কোনো স্থানে মসজিদ হয়ে গেলে তার উপর নিচ সম্পূর্ণটাই মসজিদে পরিগণিত হয়ে যায়। মসজিদের ছাদও যেহেতু মসজিদের অংশবিশেষ তাই তা ভাড়া দেওয়া শরিয়তসম্মত নয়। [আল বাহরুর্ রায়েক, খণ্ড : ৫, পৃষ্ঠা : ২৫০ [] ফাতাওয়া খানিয়া, খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ২৯৩ [ আল মুহীতুল বুরহানী, খণ্ড : ৯, পৃষ্ঠা : ১২৭, রদ্দুল মুহতার, খণ্ড ৪ পৃষ্ঠা : ৩৫৮ ফাতাওয়া হিন্দিয়া খণ্ড : ২ পৃষ্ঠা : ৪৫৫]

মসজিদের বিদ্যুৎ দ্বারা মোবাইল চার্জ করা


মসজিদের বিদ্যুৎ মসজিদের প্রয়োজন ও ইবাদতের সময় ছাড়া অন্য সময় বা অন্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা জায়েয নেই। তাই মসজিদের বিদ্যুৎ দিয়ে মোবাইল চার্জ না করাই ভালো। তবে একান্ত অপারগ হয়ে মোবাইল চার্জ করতে হলে চার্জ করার পর কিছু টাকা মসজিদ ফাণ্ডে জমা করে দেওয়া আবশ্যক। এই হুকুম মুকীম (স্থানীয় লোক) ও মুসাফির উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। [ফাতাওয়ায়ে শামী : খণ্ড : ৯, পৃষ্ঠা : ৫৬৭ ] ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ১১০]

এতেকাফকারীর মোবাইল দ্বারা ব্যবসা করা


মসজিদে এতেকাফ অবস্থায় মোবাইলের সাহায্যে ব্যবসায়িক লেনদেন করা জায়েয আছে। অনুরূপভাবে এতেকাফকারীর কাছ থেকে তার ম্যানেজার বা কর্মচারী ব্যবসায়িক কোনো বিষয়ে পরামর্শ বা সম্মতি নেওয়াতেও কোনো অসুবিধা নেই। তবে এতেকাফে বসে মসজিদের মধ্যে এ ধরনের দুনিয়াবী লেনদেন না করাই উত্তম। [বাহরুর রায়েক, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৩০৩]

* মুফীজুল ইসলাম আব্দুল আযীয এর লেখা “মোবাইল ফোন ব্যবহারঃ বৈধতার সীমা কতটুকু?” গ্রন্থ অবলম্বনে







***************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url