মা’আরেফুল কোরআন - ৮৪ || সূরা আল-বাকারাহ, ২২২-২২৩ || হায়েয বা ঋতুকালে স্ত্রী সহবাসের অবৈধতা, ইদ্দত ও ইদ্দত প্রত্যাহার







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ২২২-২২৩


 وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ هُوَ اَذًی ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ ۙ وَ لَا تَقۡرَبُوۡهُنَّ حَتّٰی یَطۡهُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَهَّرۡنَ فَاۡتُوۡهُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ ﴿۲۲۲   نِسَآؤُکُمۡ حَرۡثٌ لَّکُمۡ ۪ فَاۡتُوۡا حَرۡثَکُمۡ اَنّٰی شِئۡتُمۡ ۫ وَ قَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ مُّلٰقُوۡهُ ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۲۳

সূরা আল-বাকারাহ ২২২-২২৩ নং আয়াতের অর্থ

(২২২) আর আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দিন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।  (২২৩) তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভর করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহ্র সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।

   

সূরা আল-বাকারাহ ২১৯ নং আয়াতের তাফসীর

তাফসীরের সার-সংক্ষেপ

হায়েয বা ঋতুকালে স্ত্রী সহবাসের অবৈধতা এবং পবিত্রতার শর্তসমূহ


وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ………وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ এবং মানুষ আপনার নিকট হায়েয (অবস্থায় স্ত্রী-সহবাসের বিষয়) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন তা (হায়েয) অপবিত্রতার বস্তু। সুতরাং হায়েয অবস্থায় স্ত্রীর সাথে (সহবাস থেকে) বিরত থাক এবং (এ অবস্থায়) তাদের সাথে সহবাস করো না, যতক্ষণ না তারা (হায়েয থেকে) পবিত্র হয়ে যায়। পরে যখন সে (স্ত্রী) ভালভাবে পবিত্র হয়ে যায় (অপবিত্রতার সন্দেহ না থাকে) তখন তার কাছে এস। (তার সাথে সহবাস কর) যে স্থান দ্বারা আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে অনুমতি দান করেছেন (অর্থাৎ সামনে দিয়ে।) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা তওবাকারীদেরকে (অর্থাৎ ঘটনাচক্রে অথবা অসতর্ক মুহূর্তে হায়েয অবস্থায় সহবাস করে ফেললে পরে অনুতপ্ত হয়ে যারা তওবা করে) এবং যারা পাক-পবিত্র ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসেন। (হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা থেকে বিরত থাকা এবং পবিত্রাবস্থায় সঙ্গমের অনুমতি দান, আবার সামনের রাস্তায় এ জন্য যে) তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য জমিনতুল্য। (যাতে শুক্র বীজস্বরূপ এবং সন্তান তার ফসলতুল্য) সুতরাং স্বীয় জমি যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার কর। (যেভাবে জমি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে তেমনিভাবে স্ত্রীগণকে পবিত্রাবস্থায় সর্বভাবে ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে) এবং আগত দিনের জন্য কিছু (নেক আমল সঞ্চয়) করতে থাক এবং আল্লাহকে (সর্বাবস্থায়) ভয় করতে থাক। আর এ বিশ্বাস রেখো যে, তোমরা অবশ্যই আল্লাহর দরবারে নীত হবে এবং [হে মুহাম্মদ (সা) ! এ জন্য] ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে (যারা নেক কাজ করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং আল্লাহর নিকট উপনীত হওয়ার কথা বিশ্বাস করে) সুসংবাদ দিয়ে দিন (যে, পরকালে তারা বিভিন্ন রকমের নেয়ামত পাবে)।
এবং আল্লাহর নামকে (নিজেদের কসমের দ্বারা) সেসব কাজের যবনিকায় পরিণত করো না যে, তোমরা নেকী ও পরহেযগারী এবং মানুষের মধ্যে সংশোধনের কাজ করবে না। (আল্লাহর নামে শপথ এমন করবে না যে, আমি নেক কাজ করবো না) এবং আল্লাহ্ তা’আলা সব কিছু শুনেন ও জানেন। (সুতরাং কথা বলতে সাবধানে বল এবং অন্তরে মন্দ চিন্তার স্থান দিও না)
পরকালে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের শপথের জন্য প্রশ্ন করবেন না, তবে সে সব মিথ্যা শপথের জন্য যাতে তোমাদের অন্তর মিথ্যা বলার ইচ্ছা করছে (এসব বেহুদা শপথের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করবেন)। এবং তিনি ধৈর্যশীল ক্ষমাকারী (যে, ইচ্ছাকৃত মিথ্যা শপথকারীকে পরকাল পর্যন্ত অবকাশ দান করেন)।
ঈলার হুকুম لِلَّذِينَ يُؤْلُونَ থেকে سَمِيعٌ عَلِيمٌ পর্যন্ত। অর্থাৎ যারা (কোন সময়সীমা নির্ধারণ ছাড়া অথবা চার মাস কিংবা তারও বেশি সময়ের জন্য) নিজেদের স্ত্রীগমন ব্যাপারে শপথ করে বসে, তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে। সুতরাং যদি (চার মাসের মধ্যে) এরা নিজেদের শপথ ভঙ্গ করে স্ত্রীগণের প্রতি প্রত্যাবর্তন করে, তাহলে তো বিয়ে যথারীতি বজায় থাকবে এবং আল্লাহ্ তা’আলা (এমন ধরনের কসম ভঙ্গ করার পাপ কাফ্ফারার মাধ্যমে) ক্ষমা করে দেবেন (এবং যেহেতু এ সময় স্ত্রীর হকসমূহ আদায়ে ব্যস্ত হবে, সেহেতু তার প্রতি) রহমতও করবেন। আর যদি স্ত্রীকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করারই দৃঢ় সংকল্প করে নিয়ে থাকে (এবং সে জন্যই চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙে স্ত্রীকে ফিরিয়ে না নেয়,) তখন (চার মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার তালাক হয়ে যাবে। আর) আল্লাহ্ তা’আলা (তাদের কসমও) শুনেন (আর তাদের দৃঢ় সংকল্পও) জানেন (আর সেজন্যই এ ব্যাপারে যথার্থ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে)।

তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর ইদ্দত এবং প্রত্যাহারের সময় সীমা

وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ…….إِنْ أَرَادُوا إِصْلَاحًا আর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীরা (যাদের মধ্যে এ গুণগুলো থাকবে যে, তাদের সাথে তাদের স্বামী সহাবস্থান কিংবা সহবাস করে থাকবে, তাদের ঋতুস্রাব হয়ে থাকবে, তারা স্বাধীন হবে অর্থাৎ ইসলামী শরীয়তের নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী তারা ক্রীতদাসী হবে না)। নিজেকে (বৈবাহিক বন্ধন থেকে) বিরত রাখবে তিন ঋতু (শেষ হওয়া) পর্যন্ত (একেই বলা হয় ইদ্দত)। আর এসব স্ত্রীর পক্ষে একথা বৈধ নয় যে, আল্লাহ্ যা কিছু তাদের জরায়ুতে সৃষ্টি করে থাকবেন (তা গর্ভই হোক অথবা ঋতুস্রাব) সেগুলোকে গোপন করবে-(কারণ, এসব বিষয় গোপন করতে গেলে ইদ্দতের হিসাব ভুল হয়ে যাবে)। যদি সেসব স্ত্রী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের বিচার দিনের প্রতি বিশ্বাসী হয়। (এ কারণে যে, এ বিশ্বাসের তাগাদা হচ্ছে, আল্লাহর প্রতি ভীত থাকা যে, নাফরমানীর ফলে না জানি আবার শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়)। আর যে স্ত্রীদের স্বামীগণ (তাদের সে তালাক যদি ‘রাজঈ’ হয়ে থাকে- যার আলোচনা পরে করা হবে- পুনর্বিবাহ ছাড়াই) তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার সংরক্ষণ করে (অবশ্য তা সে ইদ্দতের মধ্যেই হতে হবে। আর এ ফিরিয়ে নেওয়া বা প্রত্যাহারকেই ‘রাজ’আত বলা হয়) তার শর্ত হচ্ছে যে, (স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে গিয়ে) সংশোধনের উদ্দেশ্য রাখবে। (আর জ্বালাতন করা বা কষ্ট দেওয়ার জন্য রাজ’আত করা সম্পূর্ণ অর্থহীন। অবশ্য তাতে রাজ’আত বা প্রত্যাহার কার্যত হয়ে যাবে) আর (সংশোধনের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার কারণ হচ্ছে যে,) স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে (পুরুষদের উপর) যেমন (ওয়াজিব হিসাবে) তাদেরই অধিকারের অনুরূপ, সেই স্ত্রীদের উপর পুরুষদের রয়েছে (যা শরীয়তের রীতি অনুযায়ী পালন করতে হবে)। আর (এটুকু কথা অবশ্যই আছে যে,) তাদের তুলনায় পুরুষদের মর্যাদা সামান্য বেশি (তার কারণ, তাদের অধিকারের প্রকৃতি স্ত্রীদের অধিকারের প্রকৃতির তুলনায় কিছুটা অগ্রবর্তী)। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী (শাসক), মহাজ্ঞানী।

স্বামী-স্ত্রীর যৌনতার সাথে সম্পৃক্ত কতিপয় মাস’আলা


(১) চরম যৌন উত্তেজনাবশত ঋতুকালীন অবস্থায় সহবাস অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে খুব ভাল করে তওবা করে নেওয়া ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। তার সাথে সাথে কিছু দান-খয়রাত করে দিলে তা উত্তম।
(২) পশ্চাৎ পথে (অর্থাৎ যোনিপথ ছাড়া গুহ্যদ্বার দিয়ে) নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও হারাম।
(৩) ‘লাগভ্-কসম’-এর দু’টি অর্থ- একটি হচ্ছে এই যে, কোন অতীত বিষয়ে মিথ্যা শপথ অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ থেকে বেরিয়ে পড়া কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে বলা বিষয়টিকে নিজের ধারণামত সঠিক বলেই মনে করে না। উদাহরণত- নিজের জ্ঞান ও ধারণা অনুযায়ী কসম করে বসল যে, ’যায়েদ এসেছে’। কিন্তু বাস্তবে সে আসেনি। অথবা কোন ভবিষ্যত বিষয়ে এভাবে কসম করে বসলো যে, উদ্দেশ্য ছিল অন্য কিছু, অথচ অনিচ্ছা সত্ত্বেও ’কসম’ বেরিয়ে গেছে এরকম- এতে কোন পাপ হবে না। আর সে জন্যই একে ’লাগভ্’ বা ’অহেতুক’ বলা হয়েছে। আখিরাতে এজন্য কোন জবাবদিহি করতে হবে না। যেসব কসমের জন্য জবাবদিহির কথা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে সেই সব কসম যা ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা জেনেই করা হয়। একে বলা হয় ‘গমূস’। এতে পাপ হয়। তবে ইমাম আজম আবূ হানীফা (র)-এর মতের প্রেক্ষিতে কোন কাফ্ফারা দিতে হয় না। আর উল্লিখিত অর্থে ‘লাগভ্’ কসমের জন্যেও কোন কাফ্ফারা নেই। এ আয়াতে এ দু’রকমের কসম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে।
লাগভ্’-এর দ্বিতীয় অর্থটি হচ্ছে, যাতে কাফ্ফারা দিতে হয় না। আর একে ’লাগভ’ (অহেতুক) এজন্য বলা হয় যে, এতে পার্থিব কোন কাফ্ফারা বা প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় না। এ অর্থে ‘গমূস’ কসমও এরই অন্তর্ভুক্ত। কারণ তাতে পাপ হলেও কোন রকম কাফ্ফারা দিতে হয় না। এতদুভয়ের তুলনায় যে কসমের প্রেক্ষিতে কাফ্ফারা বা প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়, তাকে বলা হয় ’মুনআকেদাহ’। এর তাৎপর্য হলো যে, কেউ যদি ’আমি অমুক কাজটি করব’ কিংবা ‘অমুক বিষয়টি সম্পাদন করব’ বলে কসম খেয়ে তার বিপরীত কাজ করে, তাহলে তাতে তাকে কাফ্ফারা দিতেই হবে।
(৪) যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে।
প্রথমত, কোন সময় নির্ধারণ করলো না।
দ্বিতীয়ত, চার মাস সময়ের শর্ত রাখলো। 
তৃতীয়ত, চার মাসের বেশি সময়ের শর্ত আরোপ করলো। অথবা 
চতুর্থত, চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুত ১ম, ২য় ও ৩য় দিকগুলোকে শরীয়তে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফ্ফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কসম না ভাঙে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতয়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে অর্থাৎ পুনর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ঐকমত্যে পুনরায় বিয়ে করে নিলেই জায়েয হয়ে যাবে। আর চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফ্ফারা দেওয়া ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথভাবে অটুট থাকবে।-(বয়ানুল-কোরআন)







*********************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url