দ্বীনি বিষয়ে জিজ্ঞাসা ও জবাব || ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব - ০৩)






বিয়ের পর নাকফুল পরা


প্রশ্ন-১৮: বিয়ের পর নাকফুল, চুড়ি বা গলায় কিছু না পরলে কি গোনাহ হবে?

উত্তর: এই যে নাকফুলকে আমরা বিয়ের সাথে সম্পৃক্ত করি- এই চিন্তাটাই ভারতীয় । যেটাকে আমরা হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি বলি । হিন্দু ধর্মে বিয়ের সাথে মাথার সিঁদুর, হাতের শাখা এগুলোর সম্পর্ক। ইসলামে এগুলো নারীর সৌন্দর্য। বিয়ের সাথে এর কোনোই সম্পর্ক নেই । বিয়ের পরে আপনি পরতে পারেন, নাও পারেন। তবে স্বামীর জন্য, সৌন্দর্যের জন্য অলঙ্কার পরা, সাজগোজ করা ইবাদত এবং ছওয়াবের কাজ। এমনকি বিধবাদের জন্যও এই সৌন্দর্যে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বিয়ের আগেও এগুলো পরাতে কোনো দোষ নেই। আবার বিয়ের পর না পরাতেও কোনো সমস্যা নেই ।


রমাযানে তারাবীহ ও কুরআন খতম


প্রশ্ন-১৯: অনেকেই রোযা রাখে না। মদ খায়, অশ্লীল কাজ করে। তারাবীহর নামাযে এদের কুরআন শরীফ খতম করা জায়েয আছে কি না? হাফেয সাহেবরা তাদেরকে বলেন, রমাযানে তারাবীহ পড়লে, কুরআন খতম করলে জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়। হাফেয সাহেবদের এসব বলা বন্ধ করা উচিত কি না জানাবেন ।

উত্তর: আমরা সবাই জানি রোযা না রাখা মহাপাপ। আর ইসলামে অন্যের কর্মে আরেক জনের মুক্তির কোনো সুযোগ নেই । আপনি স্বেচ্ছায়, মনের আগ্রহে যে পাপ করবেন সেটা আপনার পাপ। আবার যে পূণ্য করবেন সেটা আপনার পূণ্য । কাজেই তারা যদি এই পাপ থেকে তাওবা করেন, কোনো বান্দার হক থাকলে ফিরিয়ে দেন, আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে অনুতপ্ত হয়ে আর করবেন না সিদ্ধান্ত নেন- তাহলে ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ মাফ করবেন। আর যদি এই অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন তাহলে ব্যাপারটা আল্লাহ তাআলার উপরে চলে যাবে। আর দ্বিতীয় কথা হল, ইসলামে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে যে, নেক আমলের মাধ্যমে পাপ মাফ হয় । আবার অন্যান্য আয়াত ও হাদীসে বলা হয়েছে অমুক অমুক গোনাহ কখনো মাফ হয় না অথবা তাওবা ছাড়া মাফ হয় না । আমরা অনেক সময় বলি সন্তানেরা মায়ের সব কথা শুনতে পারে না । কারণ মা সন্তানের এতো ভালো চান, প্রতি পদে তাকে গাইডেন্স দেন। ফলে সব মানা যায় না । কিছু ভুলভ্রান্তি হয়ে যায়। এর জন্য কিন্তু মায়ের সাথে দূরত্ব তৈরি হয় না । ঠিক তেমনি আল্লাহ তার বান্দার এতো ভালো চান, তাকে অনেক রকম গাইডেন্স দিয়েছেন। এর ভেতর কিছু আছে পালন না করলে ছোট গোনাহ হয়। সেটা নেক আমল, রোযা, তারাবীহ, ওযু, পাঁচওয়াক্ত সালাত ইত্যাদি দ্বারা মাফ করে দেন । আর কিছু পাপ আছে বড় পাপ- কবীরা গোনাহ। এগুলো তাওবার মাধ্যমে মাফ হয় । আবার কিছু পাপ আছে যেটা বান্দার সাথে জড়িত । মদের গোনাহ তাওবায় মাফ হয় । কিন্তু কারো গীবত করা হয়েছে, কারো হোটেলে খেয়ে টাকা দেয়া হয় নি- এটা ওই ব্যক্তি ক্ষমা না করলে পূর্ণ ক্ষমা হবে না ।


মৃত্যু ও কবরের চিন্তা


প্রশ্ন-২০: আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, মারা গেলে আমি কবরের ভেতর কীভাবে থাকব। এই চিন্তাটা ভালো না খারাপ?

উত্তর: মৃত্যুর চিন্তা করা অবশ্যই ভালো। আমরা একদিন এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেব- এই চিন্তাটা খুবই ভালো । আমরা দুনিয়া নিয়ে এই যে মারামারি করছি, হিংসা- প্রতিহিংসা, স্বার্থপরতা করি- মৃত্যুচিন্তা এটা থেকে আমাদের ফিরিয়ে আনে । এক সময় তো আমাদের চলেই যেতে হবে। যে কয়দিন থাকি, ভালো থাকি। পরের জীবনটাকে ভালো করি । তবে এজন্য দুশ্চিন্তা বা হতাশা নয়, আমরা যখন আগের জগতে ছিলাম আমাদের মায়ের পেটে, দুনিয়া কেমন জানতাম না । তাই দুনিয়াতে এসেই ভয়ে কেঁদে ফেলেছিলাম । পরের জগতটাও ইনশাআল্লাহ, ভালোই হবে আমরা যদি ভালো করতে পারি । এজন্য প্রস্তুতি নেয়া ভালো, দুশ্চিন্তা এবং হতাশা ভালো নয় ।


স্বামী নামায রোযা করে না


প্রশ্ন-২১: আমার স্বামী, ছেচল্লিশ বছর বয়স, কিন্তু সে নামায রোযা কিছুই করে না । কী করলে তার এই গোনাহ মাফ হবে? কী করলে আল্লাহ তার হেদায়াত করবেন?

উত্তর: এই দুশ্চিন্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্ত্রী অন্যায় করলে স্বামী গোনাহগার হন । কিন্তু স্বামী অন্যায় করলে স্ত্রী গোনাহগার হন না । তারপরেও আপনার এই দুশ্চিন্তা করাটা আপনার ধার্মিকতা এবং স্বামীর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ । আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীকে আল্লাহ একই সাথে জান্নাতে রাখবেন । কাজেই এই দুনিয়ায় আপনাদের যে ইউনিটি, এটা জান্নাতেও বজায় থাকুক এটা আমরাও চাই । আপনার আদর-সোহাগ-ভালোবাসা এবং আপনার স্ত্রীত্ব দিয়ে আপনি আপনার স্বামীকে কাছে টানবেন । অল্প অল্প করে তাকে দীনের কথা বলবেন। বোঝাবেন । আমরা দুআ করি, আপনিও দুআ করবেন, কুরআনে আল্লাহ যে দুআটা শিখিয়েছেন:

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ

সূরা ফুরকানের ৭৪ নাম্বার আয়াতের যে দুআটা- এটা আপনি সিজদায় গিয়ে এবং অন্য সময় বারবার করবেন, স্বামীর জন্য হেদায়াত চাইবেন, আমরাও দুআ করি- আল্লাহ আপনাদের দুনিয়া এবং আখিরাতে সুন্দর একটি দাম্পত্যজীবন দান করুন । 


৫০ হাজার টাকার যাকাত


প্রশ্ন-২২: আমার একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা আছে । ওটার যাকাত দিতে হবে কি না?

উত্তর: জি, আপনার এই পঞ্চাশ হাজার টাকা যদি পূর্ণ বছর থাকে, ৩৫৪ দিনের চান্দ্র বছর যদি অতিক্রম করে তাহলে আপনাকে যাকাত দিতে হবে । কারণ যাকাতের নিসাব সোনা বা রূপা দ্বারা হয় । এবং রূপার দাম যেহেতু কম এজন্য রূপাকেই আমরা বেজ ধরব। তাতে আপনি যাকাত দানকারী হয়ে যাবেন আর গরিবেরও অধিকার বেড়ে যাবে । এজন্য সাধারণভাবে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা আমাদের বর্তমান বাজারে ত্রিশ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। তাই পঞ্চাশ হাজার টাকা থাকলে আপনাকে যাকাত দিতে হবে ।


প্রাণির ছবিযুক্ত পোশাকে নামায


প্রশ্ন-২৩: প্রাণির ছবিযুক্ত পোশাক পরে নামায হবে কি না?

উত্তর: অবশ্যই ক্ষতি হবে। শুধু প্রাণির ছবি নয় যে কোনো পূজ্য বিষয় যেমন পোশাকে বা গায়ে যদি ক্রুশের চিহ্ন থাকে; ক্রুশ কিন্তু কোনো প্রাণির ছবি নয়, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ ওটাকে পূজার বিষয় মনে করে । এই ধরনের যে কোনো ছবি, প্রাণির ছবি শরীরে বা পোশাকে থাকলে সালাত মাকরুহ হবে । অত্যন্ত গোনাহের কাজ হবে । যেটা হাদীস এবং ফিকহে বারবার বলা হয়েছে।


কষ্টের জন্য রোযা না রাখা


প্রশ্ন-২৪: কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কারণবশত রোযা রাখতে না পারে, হয়তো তার কষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে কাফফারা দিলে কি আদায় হবে?

উত্তর: আসলে কষ্ট বলতে আপনি কী বোঝাচ্ছেন! কষ্টের মাত্রা রয়েছে। একটা হল আমার কষ্ট হচ্ছে । আরেকটা হল আমার শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। সেরেফ কষ্টের জন্য তো রোযা ছাড়া যাবে না। কিছু কষ্ট তো করতেই হবে। কষ্টের মাধ্যমেই আমাদের ইবাদত করতে হয় আমাদের নিজেদের কল্যাণের জন্য । কষ্ট করে শরীরচর্চা না করলে মেদ হয়ে যায় । কষ্ট করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ না করলে অসুস্থ হয়ে পড়ব। এই কষ্টের জন্য রোযা বাদ দেয়ার প্রশ্ন ওঠে না। তবে যদি ক্ষতি হয়, রোগ বেড়ে যায়, অসুস্থতা আসে, সেক্ষেত্রে তিনি রোযা ছেড়ে দেবেন। যদি সামনে ভালো হওয়ার আশা থাকে তাহলে রোযাগুলোর কাজা করবেন। না হলে প্রতিটি রোযার বিনিময়ে একজন দরিদ্রকে দুই বেলা খাওয়াবেন । অথবা একটা রোযার জন্য একটা ফিতরা পরিমাণ খাদ্য বা অর্থ দরিদ্রকে দিয়ে দিবেন ।


মাযহাব মানা বা না মানা


প্রশ্ন-২৫: মাযহাব সম্পর্কে জানতে চাই । মাযহাব মানাটা ফরয, ওয়াজিব নাকি সুন্নাত? যদি মাযহাবই মানতে হয় তাহলে মুহাম্মাদ সা. যেভাবে নামায পড়েছেন ওই নামাযটা কেন ফলো করি না। মুহাম্মাদ সা. কোন মাযহাবে ছিলেন?

উত্তর: আসলে মাযহাব নিয়ে আমরা অকারণে তিলকে তাল বানিয়ে ফেলেছি । মাযহাব মানে হল- মত । দীনকে বোঝার জন্য কোনো না কোনো একজন মানুষের মতামতের উপর নির্ভর করতে হয়। যারা মাযহাব মানার কথা বলছেন তারা কেউই আসলে মাযহাব মানেন না । ইমাম আবূ হানীফা রাহ. এর কথা বলি। আমাদের সমাজের হানাফিরা কিন্তু এক নয়। এক হানাফি আরেক হানাফিকে কাফের বলছে। আমরা সবাই যদি হানাফি হতাম তাহলে কেন একজন আরেক জনকে কাফের বলছি! তার অর্থ হল আমরা আসলে কোনো না কোনো একজন আলেমের মত মানি। আমরা অনেক সময় মাযহাবকে ব্যবহার করি। আমরা নিজেকে হানাফি বলি। আবার নিজেরাই আবূ হানীফার অনেক মতের বিরোধিতা করি। এ জন্য মূল কথা হল, আমাদের দীন হল কুরআন এবং সুন্নাহ মেনে চলা । কুরআন সুন্নাহ মানার জন্য সাধারণ মানুষকে অবশ্যই কোনো না কোনো প্রাজ্ঞ আলেমের উপর নির্ভর করতে হবে । এমন কি আমরা যারা হাদীস মানতে চাই তারাও তো হাদীস বুঝি না । এই হাদীসটা সহীহ- আমাকে এই কথাটা বলতে গেলে বলতে হয় এটা শায়খ আলবানি বলেছেন, নয়তো গোনাহগার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলেছেন । অথবা অন্য কেউ বলেছে । তার মানে আপনি আমার মাযহাব অনুসারে হাদীসটাকে সহীহ বললেন। তাই দীন বোঝার জন্য মাযহাবের সহায়তা নেয়া । মাযহাব একটা উপকরণ । এটাকে দীন মনে করার কোনো সুযোগ নেই । আবার কাউকেই মানব না তাহলে আমরা কুরআন সুন্নাহ বুঝব কী করে! এটা নিয়ে প্রান্তিকতা আমরা পরিহার করি। আরেকটা ব্যাপার আপনি জিজ্ঞেস করেছেন । আমরা কেন রাসূল সা. এর মতো সালাত আদায় করছি না! এটা নিয়েও আমরা প্রান্তিকতায় চলে গিয়েছি । হানাফি মাযহাবে যে সালাত আদায় করা হয়, আমরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রাসূল সা. এর আমলের বিপরীত কোন আমলটা করি? শুধু ৭/৮ বিষয়ে মতভেদ আছে। এক্ষেত্রেও উভয়পক্ষের হাদীস রয়েছে। হয়তো কেউ একটাকে জোরালো বলেছেন, কেউ অন্যটাকে জোরালো বলেছেন। কাজেই হানাফিরা অথবা শাফেয়িরা কিংবা আহলে হাদীসরা বা হাম্বলিরা রাসূল সা.এর সালাত আদায় করছেন না- এটা ঠিক কথা নয়। সালাতের ভেতরে কয়েকশ বা হাজারখানেক সুন্নাত আমল আছে । এর ভেতরে মতভেদ মাত্র ৭/৮ জায়গায় । এই মতভেদের ক্ষেত্রেও একাধিক হাদীস রয়েছে । কাজেই আমরা প্রান্তিক না হই । আমাদের হৃদয়কে উদার করি । অন্তত হাদীস যতগুলো সহীহ আছে সবগুলোকে স্বীকৃতি দিই ।


জামাআতে সালাত আদায়ে সূরা ফাতিহা পড়া


প্রশ্ন-২৬: জামাআতে সালাত আদায় করার সময় ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে কি না? অনেক সময় দেখা যায় ফাতিহা পড়তে গেলে আমার পড়ার আগেই ইমাম সাহেব রুকুতে চলে যান । সেক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি?

উত্তর: ইমামের পেছনে সুরা ফাতিহা- এক্ষেত্রে পড়া, না পড়া এবং কোনো কোনো সময় পড়া- তিন রকম হাদীস রয়েছে । নিরপেক্ষ বিচারে হাদীসগুলোকে অস্বীকার করা ঠিক নয় । আপনি যেটা প্রশ্ন করেছেন তার সহজ, সংক্ষিপ্ত উত্তর হল, যে সালাতে কিরাআত জোরে পড়া হয়- ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমুআ, ঈদ- এই সকল সালাতে আমরা সূরা ফাতিহা পড়ব না। আর যেসকল সালাতে কিরাআত আস্তে পড়া হয়, সেখানে আমরা সূরা ফাতিহা পড়ব। সুযোগ পেলে অন্য সূরাও পড়ব । হাদীসের আলোকে এবং ফিকহি ইমামগণের মতের আলোকে এটা অত্যন্ত সুন্দর, নির্ভরযোগ্য এবং সমন্বিত মত। ফকীহদের ভেতরে বাংলাদেশের খুব প্রসিদ্ধ আলেম শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ. এটাকে খুব জোর দিয়েছেন । মুহাদ্দিসদের ভেতরে শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানি এটাকেই জোর দিয়েছেন । আর অন্যান্য পুরনো মত তো আছেই । এটাই সমন্বিত ও সুন্দর মত ।


তারাবীহ না পড়া


প্রশ্ন-২৭: তারাবীহ না পড়লে রোযার কোনো ক্ষতি হবে কি না?

উত্তর: জি, না । রোযা রমাযান মাসের একটা ফরয ইবাদত । তারাবীহ রমাযান মাসের একটা সুন্নাত ইবাদত । দুটো সম্পূর্ণ পৃথক ইবাদত। একই মাসে আমরা করি । কেউ যদি তারাবীহ পড়তে না পারেন বা কম পড়েন অথবা একা পড়েন বা মোটেও না পড়েন এর জন্য রোযার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে রমাযান মাসের একটা অত্যন্ত নেক আমল থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন।



***************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url