ভারতের মুসলিম নিধনের ইতিহাস শুনলে আপনার অন্তর কেঁপে উঠবে | প্রতিদিনই ভারতে মুসলিম নিধন হচ্ছে।

ভারতে মুসলিম নিধনের ইতিহাস সুপ্রাচীন


মুসলিমরা ভারতের বৃহত্তম ধর্মীয়-সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়গুলি প্রায়শই হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা সহিংস আক্রমণ ও হামলার শিকার হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। অতীতে, এই আক্রমণগুলিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং হিন্দু ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব হিসাবে চিহ্নিত হত। তবে, বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়ার পরে হিন্দু-জাতীয়তাবাদের উত্থানের সাথে সাথে আক্রমণগুলি আরও নিয়মতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে এবং মুসলিম নিধনের এই সহিংস হামলাগুলো রাষ্ট্র-অনুমোদিত কার্য্যক্রমের আকার নিয়েছে। সারা বিশ্বে সবচেয়ে উগ্রবাদী ও সহিংস জঙ্গী দল হিসেবে ভারতের বিজেপি এখন অনেকের কাছেই কুখ্যাত।

ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা মুসলিম নিধনের এই ইতিহাস আসুন আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে আনার চেষ্টা করি।

হিন্দু দগরা নীতিতে মুসলিম নিধন

১৮৩৭ সালে মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের অনুগত রাজা গুলাব সিং পশতুন গোত্রের বড় অংশ ইউসুফজাই গোত্রের বিদ্রোহ দমনের জন্য অভিযান শুরু করেন। তিনি তার পায়ের কাছে এনে ফেলা প্রতিটি ইউসুফজাই পুরুষের মাথার জন্য এক রূপি পুরস্কার ঘোষণা করেন। কাতুহাতে সদরদপ্তর স্থাপন করে তিনি মুসলমান পশতুন গোত্র নিধন শুধু করেন। অল্প কিছু মহিলাকে ছেড়ে দিলেও অধিকাংশ মুসলিম রমনীকে রাজা গুলাব সিংয়ের হারেমে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদেরকে দাসী হিসেবে লাহোর এবং জম্মুতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই অভিযানে ১০ হাজার পশতুন বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয় এবং হাজার খানিক মহিলাকে দাসী হিসেবে বিক্রি করা হয়। কাশ্মির চুক্তির মাধ্যে জম্মু কাশ্মির দখল করে নেয়। তবে শিখ গোত্রসমুহের মধ্যে এই দগরা নীতি চলতে থাকে। 

১৮৬৩ সালের মুসলিম গণহত্যা

১৮৬৩ সালে রাজ্যে ঘৃণ্যতম মুসলিম গণহত্যা সংঘটিত হয়। দগরা শাসক মহারাজা রনবীর সিং সেনাপতি হুশিয়ারা সিংকে ৩০০০ সৈন্য সহ ইয়াসিন এবং হুঞ্জা অঞ্চলের মুসলমান বিদ্রোহীদের শাস্তি দিতে প্রেরণ করেন। দগরারা সকল পুরুষকে বন্দী করেন। অনেক দগরা সৈন্য মান্দুরি পাহাড়ের পেছন অংশে প্রবেশ করে যেখানে নারী এবং শিশুরা লুকিয়ে ছিলো। এই সব নারীদের মধ্যে যারা আহত ছিলো তাদেরকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। ২০০০ ইয়াসিন গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়। প্রায় ৫০০০ ইয়াসিনিকে শ্রীনগরে নিয়ে আসা হয় শ্রমিক হিসেবে এবং জীবন্ত সকল নারীকে দোগরা সৈন্যদের হারেমে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৬৪ সালে কলকাতা দাঙ্গায় মুসলিম নিধন

হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গায় শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল, ৪৩৮ জন আহত হয়েছিল। ৭০০০ এরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ৭০ হাজারেরও বেশি মুসলমান তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং ৫৫,০০০ ভারতীয় সেনা তাদের সুরক্ষা দিয়েছে। এই দাঙ্গার পরে কলকাতার মুসলমানরা আগের চেয়ে আরও বেশি ঘৃণ্য হয়ে উঠল। পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং সেখান থেকে শরণার্থীদের প্রবাহ দ্বারা দাঙ্গা উস্কে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ এ গ্রামেও সহিংসতা দেখা গেছে।

১৯৮৩ সালে নেলী গণহত্যায় মুসলিম নিধন

১৯৮৩ সালে আসাম রাজ্যে নেলি গণহত্যার ঘটনা ঘটে। নেলি হত্যাকাণ্ড বা নেলি হত্যাযজ্ঞ বা নেলি গণহত্যা ভারতের আসামে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়-ঘণ্টাব্যাপী সংঘটিত এক হত্যাযজ্ঞ। এই গণহত্যা কেড়ে নেয় নগাঁও জেলার ১৪টি গ্রামের- আলিসিংহ, খুলাপাথর, বসুন্ধরি, বুগ্দুবা বিল, বুগ্দুবা হাবি, বর্জলা, বুতুনি, ইন্দুরমারি, মাটি পর্বত, মুলাধারী, মাটি পর্বত নং ৮, সিলভেতা, বর্বুরি এবং নেলির ২,১৯১ জন মানুষের জীবন। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা ৫,০০০-এরও বেশি। আক্রান্তদের অধিকাংশ ছিলেন বাংলাভাষী, যারা ঐ অঞ্চলে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন এমন অভিযোগ ছিল। ঐ অঞ্চল পরিভ্রমণকারী একদল গণমাধ্যম কর্মী এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। পরবর্তীকালে শুভশ্রী কৃষ্ণান পিএসবিটি ইন্ডিয়া দ্বারা প্রযোজিত একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। সেখানে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে যারা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তারা দেখিয়েছেন যে তাদের কাছে নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি ছিল। এই হত্যাযজ্ঞ ছিল ১৯৮৩ সালের আসাম আন্দোলনের (Assam Agitation) মধ্যবর্তি কুখ্যাত নির্বাচন চলাকালীন অনেকগুলো লোমহর্ষক ঘটনার মধ্যে অন্যতম।

১৯৬৯-১৯৮৯ সালের মুসলিম নিধনের চিত্র

১৯৬৯ সালের গুজরাত দাঙ্গার সময় অনুমান করা হয় যে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে। ১৯ ১৯৭০-এর ভাওয়ান্দি দাঙ্গা ছিল মুসলিম বিরোধী সহিংসতার একটি উদাহরণ যা ৭ ই মে থেকে ৮ ই মে ভারতের ভিবান্দি, জলগাঁও এবং মাহাদ শহরে সংঘটিত হয়েছিল। সেখানে মুসলিম মালিকানাধীন সম্পদের ব্যাপক পরিমাণে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছিল। ১৯৮০ সালে মুরাদাবাদে আনুমানিক ২,৫০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। সরকারী হিসাবে আনুমানিক ৪০০ এবং অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের অনুমান ১৫০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে। স্থানীয় পুলিশকে সহিংসতার পরিকল্পনার জন্য সরাসরি জড়িত করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে ভাগলপুরে, অযোধ্যা বিতর্কের ফলে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ সহিংস হামলায় প্রাণ হারান বলে ধারণা করা হয়, এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সতর্ক করে শক্তি প্রদর্শন করার জন্য ভিএইচপি নেতাকর্মীদের দ্বারা মিছিল করা নিয়ে যে উত্তেজনা হয়েছিল, তার ফলস্বরূপ বলে মনে করা হয় ।

১৯৮৭ সালে হাশিমপুরায় মুসলিম নিধন

১৯৮৭ সালের ২২ শে মে, ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মিরাট শহরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় হাশিমপুরা গণহত্যা ঘটেছিল, যখন প্রাদেশিক সশস্ত্র কনস্টাবুলারি (পিএসি) -এর ১৯ জন সদস্যকে হাশিমপুরা মহল্লা ( লোকাল ) থেকে ৪২ জন মুসলিম যুবককে আটক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহর, তারা ট্রাকে করে গাজিয়াবাদ জেলার মুরাদ নগরের নিকটে, উপকণ্ঠে নিয়ে যায়, যেখানে তাদের গুলি করা হয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহ জলের খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিছু দিন পরে খালগুলিতে লাশগুলি ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেল।

১৯৯২ সালের বোম্বাই দাঙ্গায় মুসলিম নিধন

হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ফলে ১৯৯২ সালের বোম্বাই দাঙ্গা সরাসরি হয়েছিল। দ্য হিন্দু ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিনে গরি উইন্টার নামে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, "আনুষ্ঠানিকভাবে, পুলিশের দ্বারা জনতা দাঙ্গা ও গুলি চালিয়ে ৯০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ২,০৩৬ জন আহত এবং হাজার হাজার অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।" বিবিসির সংবাদদাতা তোরাল ভারিয়া দাঙ্গাগুলিকে "একটি পূর্বপরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা" বলে আখ্যায়িত করেছিলেন যা ১৯৯০ সাল থেকে চলছে, এবং বলেছিল যে মসজিদ ধ্বংস "চূড়ান্ত উসকানি"।

২০০২ সালে গুজরাট সহিংসতায় মুসলিম নিধন

দেশ বিভাগের পর থেকে মুসলিম সম্প্রদায় গুজরাটে সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে। ২০০২ সালে "ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস" হিসাবে চিহ্নিত একটি ঘটনায় হিন্দু উগ্রবাদীরা মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছিল। ‘গোদরা ট্রেনে মুসলিম যুবকরা আগুন লাগিয়েছে’ এই মিথ্যা অভিযোগে বিজেপির উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলিমদের নিধন করতে এই ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল। এই ঘটনার সময়, অল্প বয়সী মেয়েদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল, আগুনে পোড়ানো বা কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় শুধুমাত্র সরকারী হিসেব অনুসারেই ৭৯০ জন মুসলিম এবং ২৫৪ জন হিন্দু নিহত হওয়া সহ ২ হাজার মুসলমান মারা গিয়েছিল এবং ২ লাখ মুসলমান বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। ভারতীয় সরকার বিজেপির সেই কুখ্যাত সন্ত্রাসীদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছিল।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ২০০২ সালে গুজরাতে সহিংসতা পূর্ব পরিকল্পনা ছিল এবং পুলিশ এবং রাজ্য সরকার এই সহিংসতায় অংশ নিয়েছিল।

মুজাফফরনগর সহিংসতায় মুসলিম নিধন

২০১৩ সালে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুজাফফরনগর জেলায় হিন্দু ও মুসলমান দুটি প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল। এই দাঙ্গার ফলে ৪২ জন মুসলমান ও ২০ হিন্দুসহ কমপক্ষে ৬২ জন মারা গিয়েছিল এবং ২০০ জন আহত হয়েছে এবং ৫০,০০০ এরও বেশি মুসলিমকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল। মুসলমানদেরকে বাস্তুচ্যুত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই দাঙ্গা সৃষ্টি করা হয়েছিল।

২০২০ সালে দিল্লির দাঙ্গায় মুসলিম নিধন

২০২০ সালে দিল্লির দাঙ্গাও সংঘটিত হয়েছিল হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারে প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায়। এই দাঙ্গার ফলে ৫৩ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছিল। সমালোচকদের দ্বারা মুসলিম বিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হিন্দুত্ববাদীদের অধিকার সংরক্ষণের অংশ হিসাবে একটি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল।

ভারতে মুসলিম নিধনে সংঘটিত দাঙ্গার পরিসংখ্যান

১৯৬১ সাল থেকে ভারতে মুসলিম নিধনে বড় বড় দাঙ্গার একটি পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে উগ্র হিন্দুতাবাদীদের দ্বারা নির্মম যুলুমের শিকার ভারতের মুসলমানরা কি ধরনের সুখে আছে!

দাঙ্গার সাল ও স্থানঃ
১৯৬১-এর অক্টোবরে আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬২-তে মধ্য প্রদেশের জাবালপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৪-তে মহারাষ্ট্রের ভিভান্ডিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৭-তে বিহারের রানচিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৯-তে গুজরাটের আহমেদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭০-এ মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি, জালগন ও মালাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭১-এ বিহারে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-৮০ সাল পর্যন্ত বিহারের জামশেদপুর ও উত্তর প্রদেশের  ভানারসিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮০-তে উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮১-তে আলিগড়ের মিনাকশিপুরাম ও বিহারাশরীফে মুসলিম  নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮২-তে উত্তর প্রদেশে মিরাটে মুসলিম  নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে আসামে মুসলিম  নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে কর্নটকের ভাটাকালে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৬-তে বিহারে নেওয়াদাতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৭-তে উত্তর প্রদেশের মিরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৯-তে বিহারের ভাগলপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯০-৯১-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯২-৯৩-এ মুম্বাই, সুরাট, আহমদাবাদ, কানপুর, দিল্লিসহ সমগ্র   ভারতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯৭-এ তামিলনাড়–তে মুসলিম  নিধনে দাঙ্গা;
২০০০-এ আহমদাবাদসহ বেশ কয়েক এলাকা মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০১-এ কানপুর, মালিগাও তে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০২-এ গুজরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।

আরেকটি হিসেব:
২০০৩-এ মুসলিম নিধনে মোট ৭১১টি দাঙ্গা
২০০৪-এ মুসলিম নিধনে মোট  ৬৭৭টি দাঙ্গা
২০০৫-এ মুসলিম নিধনে মোট  ৭৭৯টি দাঙ্গা
২০০৬-এ মুসলিম নিধনে মোট ৬৯৮টি দাঙ্গা সংঘটিত হয়।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সেখানে মুসলিম নিধনে লক্ষাধিক দাঙ্গা সংঘটিত  হয়েছে, যেখানে মারা গেছে কয়েক কোটি মুসলমান। কিন্তু  সে হিসেবে বাংলাদেশের হিন্দুরা কি একটা দাঙ্গার উদাহরণ  দেখাতে পারবে- যেখানে হিন্দু নিধন করা হয়েছে? কখনোই পারবে না। যে হিন্দুরা বলে, ‘বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে,’ তারা আসলেই মিথ্যাবাদী। ভারতে মুসলিম নিধনে ৪৮  বছরে দাঙ্গা ২০ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে তা কোথায়? ভারতে মুসলিম নিধনে যে কত নিকৃষ্ট  কার্যক্রম চলেছে তার সঠিক কোন হিসেব নেই। এক্ষেত্রে ভারত সরকার  যে হিসেব দিয়েছে তা-ই মাথা ঘুরিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট।  দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনাললের হিসেবে অনুযায়ী দেশবিভাগের পর ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৩৯ বছরে মুসলিমবিরোধী বড় ধরনের দাঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১৩,৩৫৬টি। ২০০১-২০০৯ পর্যন্ত ৬,৫৫৪টি। সর্বশেষ ২০১২ সালে দাঙ্গার সংখ্যা ৫৬০টি। সেই হিসেবে সম্মিলিত হিসেব পাওয়া না গেলেও মোট ৪৮ (৩৯+৮+১) বছরে দাঙ্গার সংখ্যা দাড়ায় ২০,৪৭০টি। অর্থ্যাৎ গড়ে প্রতিদিন একটিরও বেশি।)

১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ দাঙ্গা, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা, ২০১২ সালে আসাম দাঙ্গায়  সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শহীদ করা হয় লক্ষ লক্ষ মুসলমান।



💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url