ইসরাইলের ট্যাঙ্কসহ ২৯ সামরিক যান ধ্বংস, বহু সেনা নিহত, ইসরাইলি জাহাজে ইয়েমেনের আক্রমণ

গত ২৪ ঘন্টায় ইসরাইলের ট্যাঙ্কসহ ২৯ সামরিক যান ধ্বংস বহু সেনা নিহত


গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের ট্যাঙ্কসহ ২৯ সামরিক যানে আঘাত, বহু সেনা নিহত। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরাইলের ট্যাঙ্কসহ ২৯টি সামরিক যানে আঘাত হেনেছে এবং অনেক ইসরাইলী সেনাকে হতাহত করেছে।

হামলার ফলে এসব সামরিক যান ধ্বংস অথবা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কাস্সাম ব্রিগেড। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়ায় একটি ট্যাঙ্কেও ইয়াসিন-১০৫ রকেটের সাহায্যে আঘাত হানা হয়েছে।
এদিকে, কাস্সাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা নতুন করে ইহুদিবাদী সেনাদের লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে হামলা করেছে। এর ফলে ইসরাইলের বেশ কয়েক জন সেনার মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া গাজার যেসব পয়েন্টে ইসরাইলি সেনারা অবস্থান নিয়েছে সেগুলোতে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যেও হামলা চালানো হয়েছে।

কাস্সাম ব্রিগেড আরেক ঘোষণায় বলেছে, টানেল ব্যবহার করে বেইত হানুন এলাকায় একটি সফল অভিযান সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখানে ইহুদিবাদী সেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালানোর ফলে বেশ কয়েক জন ইহুদিবাদী সেনা হতাহত হয়েছে।

ইয়েমেনের পানি সীমা হবে ইসরাইলি জাহাজগুলোর কবরস্থান

আমাদের পানি সীমা হবে ইসরাইলি জাহাজগুলোর কবরস্থান, বলেছে ইয়েমেনের কোস্ট গার্ড। ইয়েমেনের কোস্ট গার্ডের প্রধান মোহাম্মাদ আলী আল কাদেরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইয়েমেনের পানি সীমা ইসরাইলি জাহাজগুলোর কবরস্থানে পরিণত হবে।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এর আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছি। আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি গাজায় হামলা বন্ধ না হলে দখলদার ইসরাইল ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সব জাহাজকে আমরা বৈধ টার্গেট বলে গণ্য করব।'

ইসরাইলি জাহাজে ইয়েমেনের আক্রমণ


গতকাল বাব আল-মান্দেব প্রণালিতে ‘ইউনিটি এক্সপ্লোরার' ও ‘নাম্বার নাইন' নামক দু'টি ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এরপর ইয়েমেনের সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, তারা আমেরিকা ও ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের মধ্যে আছেন এবং গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

গত অক্টোবরের শুরুতে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর বিমান হামলা শুরু করার পর থেকে দক্ষিণ ইসরাইল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী। এরপর গত ১৯ নভেম্বর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের মালিকানাধীন একটি জাহাজ আটক করে।

ইরাক ও সিরিয়ায় আমেরিকান সেনা ক্যাম্পে ড্রোন হামলা


ইরাক ও সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ওপর ড্রোন হামলা করা হয়েছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, সিরিয়ার তেলসমৃদ্ধ দির আজ জৌরের ওমার এলাকার গ্রিন ভিলেজে মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানো হয়েছে।

এই এলাকাটি ইরাক সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ সংগ্রামীরা জানিয়েছেন, তারা এই হামলা চালিয়েছে এবং ড্রোনটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বের আল-খাদারা গ্রামে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতেও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

এছাড়া ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ সংগ্রামীরা জানিয়েছেন, তারা ইরাকের পশ্চিমে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আইন আল আসাদে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তারা আজকের হামলাকে অত্যন্ত সফল হিসেবে ঘোষণা করে বলেছে, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার জবাবে মার্কিন অবস্থানে হামলা হয়েছে।

দুই দিন আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন জানিয়েছে, ১৭ অক্টোবর থেকে তাদের ওপর ৭৪ দফা হামলা হয়েছে। গতকালও ইরাকের ইরবিলে মার্কিন ঘাঁটি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরাকি গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের উপর ভয়াবহ যৌন নির্যাতন


একটি আন্তর্জাতিক নারীবাদী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগঠন সতর্ক করে বলেছে যে, ফিলিস্তিনি নারী ও পুরুষরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের কারাগারে ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সংগঠনটি বিভিন্ন সূত্র ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। 

ইসরা জাবিস নামে এক ফিলিস্তিনি নারী ইসরাইলি জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বলেন, “আমি জেলখানায় আমার তিন ছোট মেয়েদের কাঁদতে কাঁদতে রেখে এসেছি। কারণ সেখানে তাদের সাথে অকল্পনীয় ব্যাপার ঘটছে। ইসরাইলি সৈন্যদের হাতে অকল্পনীয় জিনিস ঘটছে।”

লামা খাতের নামে মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি নারী জানান, তাকে চোখ বেঁধে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে অন্য একজন মুক্তিপ্রাপ্ত নারী বন্দীর কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ১৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ইসরাইলি সেনারা তাদের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করতে চেয়েছিল। 

নারীবাদী সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার সেনারা এমনকি অপহরণকারীদের মুক্তির পরও তাদের ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ধর্ষণের ভিডিও টেপ রেখে দিয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এমনকি ফিলিস্তিনি পুরুষ বন্দীরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। 

‘ফ্রিড প্রিজনার্স’-এর নেতা রামজি আল-আব্বাসি বলেন, “ইসরাইলি কারাগারের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বন্দীদের লাঞ্ছিত করা হয়। প্রতিনিয়ত তাদের মারধর করা হয়। তারা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তারা ধর্ষিত হচ্ছে।

>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url