হামাসের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা, বাব-আল-মান্দেব প্রণালী বন্ধের হুমকি এবং মার্কিন ভিসা নীতি- মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের হালচাল
বড় ধরণের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার ছক এঁকেছে হামাস
হামাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান আলী বারাকা আরো বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে, এই যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হবো। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে, প্রতিরোধ ফ্রন্টের কাছে সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্ত করার প্রয়োজনীয় শক্তি রয়েছে।”
লেবাননের আল-অহেদ নিউজ ওয়েবসাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আলী বারাকা এসব কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনারা প্রায় দুই মাস ধরে গাজার ওপরে অব্যাহতভাবে ভয়াবহ বিমান হামলা ও অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত তারা তাদের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের যোদ্ধারা তাদের অসম সাহসিকতা দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাদেরকে গাজায় আটকে দিয়েছে এবং ইহুদিবাদীদের চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লেবানন ইয়েমেন এবং ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নানা পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছে। ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদের ভূমিকার কারণে ইহুদিবাদী ইসরাইল এখন বাব আল-মান্দেব দিয়ে জাহাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে অসহায় হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন আলী বারাকা।
বাব-আল-মান্দেব প্রণালী বন্ধ করে দিবে ইয়েমেন
গতকাল (মঙ্গলবার) ইয়েমেনের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আল-এজ্জি সামাজিক মাধ্যম এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে বলেন, সানা “পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ” বাক্যাংশটি লিখতে পারে তবে এটি চায় না। একথার মধ্যদিয়ে তিনি বাব আল-মান্দেব প্রণালী বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইয়েমেনের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “আমি আবারো যেকোন উসকানি এড়ানোর পরামর্শ দেবো এবং কোনো বাহিনী গঠনের আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পায়ের নিচ থেকে আপনাদের আন্তর্জাতিক আইন তুলে নিন।”
আল-এজ্জি সতর্ক করে বলেন, “ইয়েমেনের সাথে যেকোনো উত্তেজনা শত্রুকে ৫০ বছরের ক্লান্তিকর সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে। তবে শেষ কথা হলো আমরা গাজাকে ছেড়ে যাব না, যতক্ষণ আপনারা গাজার ওপর আপনাদের আগ্রাসন বন্ধ না করেন।"
ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য উগ্র ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল (মঙ্গলবার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ভিসা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, পশ্চিম তীরে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বানচাল করার জন্য বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর একদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা যে হামলা চালায় এবং তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে তা ঠেকাতে ইসরাইল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয় নি। ফলে যে সমস্ত ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ওই সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আমেরিকার অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসরাইলকে বারবার সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের যে সহিংসতা চলছে তা বন্ধ করার জন্য ইসরাইলকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে হামাসের অভিযানের পর থেকে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা বেড়েছে।
এদিকে, খোদ আমেরিকার মানবাধিকার কর্মীরা মার্কিন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলেছেন, আমেরিকার এই পদক্ষেপের বড় কোনো প্রভাব ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর পড়বে না। কারণ এসব বসতি স্থাপনকারীর বেশিরভাগই মার্কিন নাগরিক এবং তাদেরকে ভিসা দিতে বাধ্য আমেরিকা।
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url