৯ দিনে ইসরাইলের শতাধিক সেনা নিহত, এ পর্যন্ত ৫ হাজার ইসরাইলি সেনা আহত, ইসরাইল বন্দী সেনাদের ছাড়িয়ে নিতে চায় না


গত ৯ দিনে ইসরাইলের শতাধিক ইহুদি সেনা নিহত

ফিলিস্তিন ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের এক পদস্থ নেতা বলেছেন: গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য নিহত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

আল-জাজিরা নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য মোহাম্মদ নিজাল বলেছেন: গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর গত ৯ দিনে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের শত শত সেনা নিহত হয়েছে।
নিজাল আরও বলেন: দখলদার ইহুদিবাদী সেনারা কল্পনাও করতে পারে নি তাদের এই পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে। সামরিক মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিরোধ শক্তি এই যুদ্ধে বিজয়ী হিসেবে বিবেচিত বলেও নিজাল মন্তব্য করেন।

হামাসের এই পদস্থ নেতা বলেন: ইহুদিবাদী শত্রুদের সঙ্গে আলোচনা কেবল পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতির পরই হতে পারে। তার আগে গাজা থেকে একজন বন্দি ইহুদিবাদীরও জীবিত বের হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন: নেতানিয়াহু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় এজন্য যে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং জার্মানি মনে করে এই মুহূর্তে যুদ্ধ বিরতিতে গেলে তেলআবিবের পরাজয় ঘটবে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যানে স্থল অভিযানে তাদের ১০২ সেনা নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪২৫ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। যদিও হামাস বলছে নিহত ইসরাইলি সেনাদের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

ইসরাইল গাজায় বন্দী সেনাদের ছাড়িয়ে নিতে চায় না

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের যেসব সেনা গাজা উপত্যকায় বন্দী রয়েছে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে চায় না তেল আবিব। শুধু তাই নয়, বন্দী মুক্তির বিষয়ে তাদের আদৌ কোনো ইচ্ছা আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় বন্দী সেনাদের উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকজন সেনা হতাহত হওয়ার পর হামাস এ কথা বলল।

সংগঠনটি বলেছে এ ঘটনার মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে- ইসরাইল তাদের সেনাদের আদৌ মুক্তি চায় না। দখলদাররা মনে করেছে, বেহিসেবি অভিযান চালিয়ে তারা তাদের বন্দীদের মুক্ত করতে পারবে কিন্তু সেদিনের ব্যর্থ অভিযান আরেকবার প্রমাণ করেছে যে, ইহুদিবাদী সরকার গাজায় বন্দি থাকা ব্যক্তিদের জীবনের পরোয়া করে না এবং তারা তাদের মুক্তির ব্যাপারে মোটেও আন্তরিক নয়।

গাজায় বন্দী ইসরাইলি সেনাদের উদ্ধার কিংবা তাদের কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রশংসা করা হয়েছে এই বিবৃতিতে। হামাস বলেছে, কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা তাদের দৃঢ়তা এবং সতর্কতার বিষয়টি আরো একবার প্রমাণ করেছে। এছাড়া, গাজা উপত্যকাকে ঘিরে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে সমস্ত পরিকল্পনা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে তার কোনটাই সফল হবে না বলে হামাস প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

গাজায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে

চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলের পাঁচ হাজার সেনা আহত হয়েছে। আহত পাঁচ হাজার সেনার মধ্যে দুই হাজারেরই অঙ্গহানি ঘটেছে। এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিউত আহরোনোত।

ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরও লিখেছে, যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে এখনও প্রতিদিন গড়ে ৬০ জন আহত সেনা ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের বেশিরভাগই গুরুতর জখম নিয়ে সেখানে আসছে। 

গত শুক্রবার ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৯৭ জন ইসরাইলি সেনা প্রাণ হারিয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, ইসরাইল তাদের হতাহত সেনাদের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না। সামরিক বাহিনীর মনোবল ধরে রাখতে এবং জনরোষ ঠেকাতে তারা হতাহতের সংখ্যা অনেক কম বলে প্রচার করছে।

ইসরাইলের টিভি চ্যানেল-টুয়েলভ জানিয়েছে, ইসরাইলের সেনাবাহিনী হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে তারা যেন সমন্বয় না করে আহতের সংখ্যা কাউকে না জানায়।

>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url