গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদ

কুর্দিস্তানের এরবিলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা



উত্তর ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের এরবিলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

আজ (শুক্রবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সেনাদের ওই ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যে বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে তার প্রতিবাদে এই হামলা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। এরবিলের মার্কিন ঘাঁটিতে যে হামলা হয়েছে তাতে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

পিএমইউ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে এ ধরনের হামলা চলতেই থাকবে। এর আগেও ইরাকের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর জোট পিএমইউ ইরাক ও সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে আবারও ড্রোন হামলা



ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে ড্রোন ব্যবহার করে সিরিয়ায় অবস্থিত আমেরিকার হেমো সামরিক ঘাঁটিতে আবারও হামলা চালিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে লেবাননের আল মায়াদিন টিভি চ্যানেল আরো জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক হামলার একই সময়ে সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হল। এতে আরো বলা হয়েছে, আমেরিকার গুপ্তচর বৃত্তির আখড়া হিসাবে পরিচিত এই ঘাঁটি "কামেশলি" বিমানবন্দরের পশ্চিমে অবস্থিত এবং সেখান ইসরাইলের কর্মকর্তাদেরও উপস্থিতি রয়েছে।

ইরাকি সংবাদমাধ্যম ‘সাবরিন নিউজ' জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন যুদ্ধ শুরুর পর হেমো ঘাঁটিতে এটি দ্বিতীয় হামলা। তবে মার্কিন অবস্থানে এই হামলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি।

এর আগেও ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট ড্রোন ও রকেট হামলার মাধ্যমে সিরিয়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে এবং ইরাকের পশ্চিম ও উত্তরে আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ইরাকি প্রতিরোধ ফ্রন্টের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জন্য আমেরিকা দায়ী এবং গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা মার্কিন অবস্থানে হামলা অব্যাহত রাখবে।

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা


ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার পশ্চিমদের সমর্থনপুষ্ট গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদর দফতরে হামলা চালায়।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গতকাল ভোরের দিকে ইরাকের ইরবিলে ইহুদিবাদী ইসরাইলে গুপ্তচর সংস্থা 'মোসাদ' ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদর দফতর এবং সিরিয়ার তাকফিরি গোষ্ঠীগুলোর ঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসী ও তাকফিরি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত থাকবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে ইরানের সেনাবাহিনীর অভিযান মূলত আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলকে লক্ষ্য করে, যারা এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও সংকট সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। ইরানের এ পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায়, তারা যেকোনো আগ্রাসন বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট এবং উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধেও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে সর্বোত্তম সামরিক পন্থা অবলম্ব করবে।

সিরিয়ায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক কাপুরুষোচিত হামলা এবং ইরানের সামরিক উপদেষ্টা সৈয়দ রেজা মুসাভির শাহাদত এবং কেরমানে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনা সন্ত্রাসী এবং তাদের পশ্চিমা সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে যার জবাবে ইরান এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আইআরজিসি দেশের সীমানা ও ইরানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর এবং এ কারণে যে কোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড ও সশস্ত্র বাহিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডের এমনভাবে তড়িৎ জবাব দিয়েছে যে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা এবং তাদের পশ্চিমা সমর্থকরাও বিস্মিত হয়েছে। আইআরজিসির ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বোঝা যায় যে, ইরান তার সমস্ত শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না।  সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঠিক অবস্থানে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে আইআরজিসির পারদর্শিতা আমেরিকা এবং এই অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পশ্চিমা সমর্থকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী ব্যক্তিরা এর আগেও পশ্চিমাদের সমর্থনপুষ্ট  সন্ত্রাসীদেরকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ৭ জুন দায়েশ বা আইএস জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইরানের সংসদ চত্ত্বরে হামলা চালিয়ে অনেক লোককে হত্যা করেছিল। তখন ইরান জবাব দিয়েছিল। এ ছাড়া জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে শাহাদাতের পরও ইরান পাল্টা জবাব দিয়েছিল। এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায় ইরান জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা প্রশ্নে কোনা ছাড় দেয়া না।

যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার বদলা নেয়া হবে

সিরিয়া ও ইরাকে হামলার বিস্তারিত বিবরণ


সিরিয়ায় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের [আইএস] আস্তানা এবং ইরাকে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আখড়ায় সোমবার রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি।

এক বিবৃতিতে ওই বাহিনী বলেছে, ইরাকের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুর্দিস্তান অঞ্চলে মোসাদের আখড়া এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে দায়েশের আস্তানায় মোট ২৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় যেগুলোর প্রত্যেকটি নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সূক্ষ্মভাবে আঘাত হানে।

তিনটি আলাদা প্রদেশ থেকে একসঙ্গে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় খুজিস্তান প্রদেশ থেকে সিরিয়ার ইদলিবকে লক্ষ্য করে চারটি এবং ইরাকের কুর্দিস্তানকে লক্ষ্য করে কেরমানশাহ ও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে থেকে যথাক্রমে চারটি ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সিরিয়ার অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানায় আরো নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। 

আইআরজিসির বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, ইরানে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেয়া হবে।

ইরানের কেরমান ও রাস্ক শহরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সিরিয়া-ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানার পাশাপাশি ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি গুপ্তচরবৃত্তির আখড়ায় সোমবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের কেরমানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ১০০ জন এবং রাস্কের সন্ত্রাসী হামলায় ১১ জন ইরানি নিহত হয়েছিলেন।

আইআরজিসির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কুর্দিস্তানের হামলায় মোসাদের আখড়াটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ওই আখড়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিশেষ করে ইরানের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হতো। অন্যদিকে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে চালানো হামলায় আল-কায়েদা গোষ্ঠীর সাবেক কমান্ডাার আজহি আমিন নিহত হয়েছে। 

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হিজবুল্লাহ


লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। লেবাননের কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা শুরুর পর থেকেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে লেবাননের হিজবুল্লাহও। গাজায় প্রতিরোধ সংগ্রামীদের ওপর চাপ কমাতে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ। অবশ্য এরিমধ্যে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহ'র বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি হিজবুল্লাহকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু হিজবুল্লাহ বলেছে মার্কিন প্রস্তাবের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

দৈনিক আল-আখবার এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে লিখেছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আমেরিকা লেবানন সীমান্তবর্তী ইহুদি উপশহরগুলোর বাসিন্দাদের ফিরে আসার পরিবেশ তৈরি করতে চায়। কিন্তু গাজায় হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লেবানন সীমান্তে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হবে না। আগে গাজা যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে, এরপরই কেবল রাজনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের বিষয়টি সামনে আসতে পারে।

আমেরিকা বলছে ড্রোন হামলা ইয়েমেন বলেছে ক্ষেপণাস্ত্র



এডেন সাগরে মার্কিন জাহাজে সরাসরি আঘাত; স্বীকার করেছে সেন্টকম। ইহুদিবাদী ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলার শিকার গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবার সরাসরি একটি মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করেছে ইয়েমেন।  দেশটির হুথি সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, মার্কিন জাহাজটির নাম ‘আমেরিকান জেঙ্কো পিকার্ডি’ এবং এডেন সাগরে এটির ওপর হামলা চালানো হয়েছে।  ‘কয়েকটি উপযুক্ত নৌ ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করে হামলাটি চালানো হয়েছে এবং হামলা ‘লক্ষ্যভেদ করেছে’ বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন।

জেনারেল সারি বলেন, “ইয়েমেনের আত্মরক্ষার স্বার্থে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে আরব সাগর ও লোহিত সাগরে সব ধরনের হুমকির উৎসে আঘাত হানতে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী দ্বিধা করবে না।”

এদিকে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী- সেন্টকম। এক বিবৃতিতে এটি বলেছে, বুধবার সানার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে নিক্ষিপ্ত একটি আত্মঘাতী ড্রোন এডেন সাগরে মার্কিন-মালিকানাধীন ‘জেঙ্কো পিকার্ডি’ জাহাজে আঘাত হেনেছে। হামলায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী মার্কিন-মালিকানাধীন বাল্ক জাহাজটির কোনো নাবিক হতাহত হয়নি- দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় জাহাজটির ‘কিছু ক্ষতি’ হলেও এটি সাগরে তার চলার গতি অব্যাহত রেখেছে।

ইয়েমেনের হামলার শিকার বাল্ক জাহাজটি নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জেঙ্কো শিপিং এন্ড ট্রেডিং লিমিটেডের বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী গত দু’মাস ধরে ইসরাইলি-মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দেশটি তাদের হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ইসরাইলের পাশাপাশি আমেরিকা ও ব্রিটেনের জাহাজগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

মোসাদের মূল হোতা তেল টাইকুন নিহত



ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের এরবিল শহরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সোমবার যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে নিহত হয়েছেন কুর্দি তেল টাইকুন পেশরা মাজিদ অগা দিজায়ি। তিনি ছিলেন ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ট।

দিজায়ি ইরাক থেকে অবৈধভাবে ইসরাইলের কাছে তেল রপ্তানি করে নিজের ভাগ্য গড়েছেন।

আইআরজিসি মোসাদের সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দিজায়ি নিহত হওয়ার ঘটনা থেকে একথা প্রমাণ হয় যে, যখন আইআরজিসির হামলা হয়েছে তখন সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছিল।

কুর্দি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিজায়ি ফ্যালকন গ্রুপের প্রধান ছিলেন যে গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কুর্দিস্তান অঞ্চলের নিরাপত্তা, তেল, গ্যাস, নির্মাণ এবং কৃষি বিষয়ক ব্যবসা। 

মজার বিষয় হচ্ছে- এই কোম্পানির ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, তারা ইরাকি কুর্দিস্তানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং অনেক আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিকে নিরাপত্তা সেবা দিতে পেরে সন্তুষ্ট"। এই কথা মূলত বিভিন্ন নিরাপত্তা কোম্পানির সাথে ফ্যালকন গ্রুপের প্রধানের গভীর যোগসূত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে যা তাকে মোসাদের কাছাকাছি নিয়ে আসে।

মূলধারার গণমাধ্যমের ফোকাস বেশিরভাগ সময়ই দিজায়ির বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এবং কুর্দিস্তানের শাসক বারজানি পরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে ছিল। সে কারণে ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থার সাথে তার ঘনিষ্ঠতা আড়ালেই থেকে গেছে। 

ইরানের প্রেস টিভি কিছু ছবি পেয়েছে যা দিজায়ির সাথে মোসাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে। ইরাকি কুর্দিস্তানে ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থার অপারেশনে কীভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তা ছবিতে স্পষ্ট হয়েছে। মোসাদের এসব তৎপরতা মূলত ইরানকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়। 

একটি ছবিতে পেশরা মজিদ অগা দিজায়ী, ইলান নিসিম যিনি ইরাকি কুর্দিস্তানে মোসাদের রিক্রুটিং এজেন্ট এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ফ্রিডম পার্টির মহাসচিব হোসেইন ইয়াজদানপানাহকে দেখা যায়।

💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url