নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ নেই, বলছে আমেরিকা

বন্দিদের ফেরত আনার দাবি

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরাইলে বিশাল বিক্ষোভ



ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিব, সিজারিয়া এবং জেরুজালেম শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের ফেরত আনারও দাবি জানান।

৭ অক্টোবরের অভিযানে হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা যেসব ইসরাইলিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তার মধ্যে এখনো ১৩০ জনের বেশি আটক রয়েছে।

‘হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এখনই গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানান এবং হামাসের সাথে চুক্তির মাধ্যমে বন্দীদের ফিরিয়ে আনার কথা বলেন।

এদিকে, তেল আবিব ও জেরুজালেম শহরে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে আলাদা দুটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। ইহুদি আমেরিকান র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে অনুষ্ঠিত প্রধান মিছিলের উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি বলেন, “সমস্ত বন্দীর মুক্তি চাই আমি এবং আশা করি আপনারাও সবাই আমার সাথে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলাবেন।”

মিছিল পূর্ব সমাবেশে বন্দি পরিবারের অনেক সদস্য বক্তব্য রাখেন এবং তাদের অনেকেই কান্নাকাটি করেন।

ইসরাইলিদের এ ধরনের বিক্ষোভ মিছিলের পরেও নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অনেক বিশ্লেষক বলছেন, যুদ্ধ বন্ধ করলেই নেতানিয়াহু পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। গাজা যুদ্ধের ব্যর্থতা এবং অন্যান্য দুর্নীতিতে তাকে দ্রুতই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছেন না।


মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য

ইসরাইলের যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব, হামাস এখনো পূর্ণশক্তিতে সক্রিয়


আমেরিকার কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে হামাসের যত যোদ্ধা নিহত হয়েছে তাতে ইসরাইলের ঘোষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। ইসরাইল প্রথম থেকেই বলে আসছে, তারা হামাসকে নির্মূল এবং গাজা উপত্যকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে।

এক গোপন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক মাসে ইসরাইল চলমান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে হামাসের ২০ থেকে ৩০ ভাগ সদস্যকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মার্কিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে গোলাবারুদ ও অস্ত্র রয়েছে যা দিয়ে কয়েক মাস ধরে তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে। এছাড়া হামাস গাজা শহরের কিছু অংশে পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।”

ইসরাইলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, গাজায় আক্রমণাত্মক বিমান ও স্থল অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা সত্ত্বেও তারা হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

ইসরাইলি জাহাজে শহীদ সোলাইমানি ও আবু মাহদির ছবি টানালো ইয়েমেনিরা


গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী 'গ্যালাক্সি লিডার' নামে যে ইসরাইলি জাহাজ আটক করেছে তার ডেক থেকে একটি নতুন ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।

জাহাজের ডেকে ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল শহীদ কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ শাবির সেকেন্ড ইন কমান্ড শহীদ আবু মাহদি আল মোহান্দেস-এর ছবি টাঙানো হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে আরবিতে লেখা হয়েছে, "আপনাদের রক্ত একটি ঝড়"।  

‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের ১৮৯ মিটার দীর্ঘ একটি গাড়ি বহনকারী কার্গো জাহাজ। এটি তুরস্ক থেকে ভারতে যাচ্ছিল। এ সময় আনসারুল্লাহ হুতি যোদ্ধারা ছোট আকারের স্পিডবোট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ইয়েমেনের জাহাজটি আটক করেন। পরে জাহাজটি ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিরিয়ায় ইরানের আরো ৪ সামরিক উপদেষ্টা ইসরাইলি গুপ্ত হত্যার শিকার


ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের আরো ৪ সামরিক উপদেষ্টা ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন।

আজ (শনিবার) এক বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, ইরানের চার সামরিক উপদেষ্টা শহীদ হওয়ার পাশাপাশি সিরিয়ারও কয়েকজন সেনা মারা গেছেন।

রাজধানীর মেজ্জা এলাকার একটি তিন তলা বাড়িতে ইহুদিবাদী ইসরাইল ওই হামলা চালায়। মেজ্জা এলাকায় বেশ কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। ইহুদিবাদ ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

আইআরজিসি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, আবারো বর্বর ও অপরাধী ইহুদিবাদী সেনারা দামেস্ক শহরের ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে এবং এতে ইরানের চারজন সামরিক উপদেষ্টা ও সিরিয়ার কয়েকজন সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন।” গত ২৫ ডিসেম্বর সিরিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তহত্যার শিকার হন ইরানের কুদস ফোর্সের শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার ব্রিগেডের জেনারেল সাইয়্যেদ রাজি মুসাভি। এর কিছুদিনের মধ্যেই এই হামলা হলো।

গাজায় ইসরাইলের ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ নেই, বলছে আমেরিকা


আমেরিকা দাবি করেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি এবং বিষয়ে কোনো প্রমাণও নেই। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি করেন।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন এবং যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি মেক্সিকো ও চিলি যে আহ্বান জানিয়েছে সে সম্পর্কে জন কারবি বলেন, “আমেরিকা এখনো আরো তথ্য সংগ্রহ করছে যে এতে কী অন্তর্ভুক্ত হবে।" 

জন কারবি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই যা গাজায় ইসরাইলের ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বহন করে।”

গত সাড়ে তিন মাসের আগ্রাসনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদার সেনারা গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে যার শতকরা ৭০ ভাগের বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া, ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে যাদের অনেকেই চিরজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করবে। এছাড়া, ইসরাইলি আগ্রাসনে লাখ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি ইহুদিবাদী সেনারা গাজার হাসপাতাল, চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, মসজিদ, গির্জাসহ সব ধরনের বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে।

এছাড়া, নিরপরাধ মানুষের কাছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে আসা মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করেছে। এত জঘন্য অন্যায় অপরাধ এবং বর্বরতা চালানোর পরেও আমেরিকা বলছে- ইহুদিবাদী ইসরাইল কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। অথচ এরই মধ্যে বিশ্বের বহু দেশ ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘঠনের অভিযোগ এনেছে এবং এই অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি হেগের আদালতে মামলার প্রাথমিক শোনানি হয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়ে প্রলাপ বকছে মার্কিন সেনারা


মার্কিন সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডা বা সেন্টকম বলেছে, আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট হাশদ আশ-শাবির যোদ্ধারা ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরে বহুসংখ্যক আমেরিকান সেনা মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছে। এখন তাদের ব্রেইন ইনজুরির বিষয়টি নিবিড়ভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় হাশদ আশ-শাবির যোদ্ধারা ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশের আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র চালায় এবং এই হামলার বিষয়টি সেন্টকম এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে। আঘাতপ্রাপ্ত মার্কিন সেনারা অনেকেই ব্রেইন ইনজুরির শিকার হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবোল তাবোল বকছে। তবে এই ব্যাপারে সেন্টকম বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছে।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যেসব সেনা ব্রেইন ইনজুরির শিকার হয়েছে তাদের কারোর অবস্থা গুরুতর নয়। ওই কর্মকর্তা জানান, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীরও বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

টেলিগ্রামে চ্যানেলে প্রচারিত এক বিবৃতিতে হাশদ আশ-শাবি আইন আল-আসাদ ঘাঁটির ওপর হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। সংগঠনটি বলেছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হেনেছে।

ইরাকের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আইন আল-আসাদ ঘাঁটির উপর প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

আমেরিকা ও ব্রিটেনের সেনারা বাব আল-মান্দেব প্রণালী পার হতে পারবে না


ইয়েমেনের হুথি আনসারুলাহ আন্দোলনের পলিট ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেছেন, এডেন উপসাগরের বাব আল-মান্দেব প্রণালী দিয়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনের সেনারা আর চলাচল করতে পারবে না। আমেরিকা ও ব্রিটেন সম্প্রতি ইয়েমেনের ওপর আগ্রাসন চালানোর পর এই ঘোষণা দিলেন বুখাইতি।

তিনি বলেন, নতুন বিস্ময় দেখানোর জন্য তাদের সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার উন্নতি ঘটাচ্ছে। শিগগিরই এই চমক দেখানো হবে বলে তিনি জানান।

বুখাইতি আরো বলেন, প্রতিরোধ অক্ষ এ অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। ইয়েমেনের ওপর আমেরিকা যে হামলা চালিয়েছে তাতে তারা অনুতপ্ত হবে এবং তারা পরাজিত হবে। তিনি বলেন, ইয়েমেনের সেনারা আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে এবং লোহিত সাগরের পানিপথে আমেরিকা ও ইসরাইলের পথ বন্ধ করে দেয়া হবে।

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সেনারা ইয়েমেনের কয়েকটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এ হামলার প্রতি সমর্থন দিয়েছে বাহরাইন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নেদারল্যান্ড।

হামলার পর আনসারুল্লাহ আন্দোলন এবং তাদের সমর্থিত সামরিক বাহিনী পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।

ইয়েমেনের ওপর আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো আমেরিকা


যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের ওপর আবারো হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই আগ্রাসনে ব্রিটেনের যুদ্ধবিমানও অংশ নেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ইয়েমেনের ওপর এ নিয়ে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী চতুর্থ দফা হামলা চালালো।

ইয়েমেনের বার্তা সংস্থা সাবা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জানিয়েছে, আল-হুদাইদাহ, ধামার, আল-বাইদা এবং সা’দা প্রদেশে বিমান হামলা চালানো হয়। এই আগ্রাসনে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে বলে সাবা জানায়।

মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বা সেন্টকম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইয়েমেন সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের সময় এই হামলা চালানো হয়। সেন্টকম দাবি করেছে, ইয়েমেন থেকে হামলার জন্য ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল; এসব ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

সেন্টকম তাদের বিবৃতিতে আরো দাবি করেছে, এসব হামলার পাশাপাশি অন্য যে হামলা হয়েছে তাতে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোর ওপর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর হামলার সক্ষমতা কমিয়ে দেবে।

হামলা সম্পর্কে দুজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং একটি সাবমেরিন থেকে ক্রুজ দিয়ে ইয়েমেনের ওপর হামলা চালানো হয়।

গতকাল মার্কিন সরকার ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে নতুন করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে। একইদিন ইয়েমেনের ওপর আমেরিকা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল বর্বর আগ্রাসন শুরু করলে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরাইলি জাহাজ এবং ইসরাইল অভিমুখী জাহাজে হামলা শুরু করে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের এই রুখে দাঁড়ানোকে আমেরিকা ভালো চোখে দেখছে না। এজন্য তারা লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার অজুহাত তুলে ইয়েমেনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তবে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীও আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে এবং এরই মধ্যে আমেরিকার কয়েকটি জাহাজে হামলা করেছে।

💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url