গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের সেনারা বিপর্যয়কর অবস্থায়, ইসরাইলের ২২০ সেনা নিহত, চলছে প্রচণ্ড লড়াই

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রুলিং

গাজায় গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ ইসরাইলকে  



হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার রুলিংয়ে আদালত এই নির্দেশ দিল।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ডিসেম্বরে এই মামলা দায়ের করে। মামলার রুলিংয়ে আদালত ইসরাইলকে অবশ্যই গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে তবে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলেনি।

এদিকে, আদালতের এই রুলিংয়ের পর হামাসের অন্যতম মুখপাত্র সামি আবু জহুরি একে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের এই রুলিংয়ের কারণে ইহুদিবাদী ইসরাইল আরো বেশি এক ঘরে হয়ে পড়বে এবং তারা যে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে তা উন্মোচিত হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জুহরি বলেন, আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য দখলদারকে এখন বাধ্য করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এই মামলা দায়ের করলে ইসরাইল মামলা ঠেকানোর জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চেষ্টা করেছে। এছাড়া, তারা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে। মামলার রুলিংয়ে আদালত বলেছে, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার আর্জির সাথে একমত এবং এই মামলা করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে। আদালত আরো বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা যে অভিযোগ করেছে, গণহত্যা কনভেনশন অনুযায়ী তার অনেক কিছুই গাজায় ঘটছে। কিন্তু আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের সাথে একমত হয়ে ইসরাইলকে সরাসরি গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দেয়নি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা শুরু করে। ইসরাইলের আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এছাড়া বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন যাদের ব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে- ধ্বসে পড়া বিভিন্ন ভবনের নিচেই তারা চাপা পড়ে মারা গেছেন।


গাজায় আরো এক রিজার্ভ সেনা নিহত

ইসরাইলের ২২০ সেনা নিহত, খান ইউনুসে প্রচণ্ড লড়াই চলছে



ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আরো এক ইসরাইলি রিজার্ভ সেনা নিহত হয়েছে। এর ফলে গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে এ পর্যন্ত ২২০ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হলো। নিহত রিজার্ভ সেনার নাম সার্জেন্ট মেজর এলিরান ইয়েগের।

গাজার দক্ষিণে ইসরাইলের এ সেনা নিহত হয়েছে বলে ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তবে কোথায় মারা গেছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলেনি। গাজার খান ইউনুস শহরে দখলদার সেনা ও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে।

অবশ্য, ইসরাইলের প্রকাশিত এই সংখ্যার সাথে দ্বিমত করে আসছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। হামাস বলছে, তাদের হাতে এ পর্যন্ত ইসরাইলের প্রকাশিত সংখ্যা চেয়ে অনেক বেশি সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া, ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরাইলের স্বীকারোক্তি মতে প্রায় ৫০০ সেনা নিহত হয়েছে। 

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, তিনি বছরব্যাপী দীর্ঘ যুদ্ধের প্রতি সমর্থন দেবেন না। ইসরাইলের হিব্রু ভাষার গণমাধ্যম ওয়ালা এ খবর দিয়েছে। গত সপ্তাহে এক টেলিফোন আলাপে নেতানিয়াহুকে এ কথা বলেন বাইডেন। সে সময় বাইডেন বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ইসরাইল কোন কৌশল অনুসরণ করছে তিনি তা বুঝতে পারছেন না। যুদ্ধের পর নেতানিয়াহুর কী পরিকল্পনা রয়েছে সে ব্যাপারেও তিনি জবাব চেয়েছেন।

গাজায় ইসরাইল পরাজিত, বলেছেন তেহরানের খতিব


ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রভাবশালী আলেম ও তেহরানের জুমার নামাজের খতিব হুজ্জাতুল ইসলাম জাওয়াদ হাজ আলী আকবারি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় পরাজিত হয়েছে এবং তারা তাদের একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি।

তিনি আজ তেহরানে জুমার নামাজের খুতবায় এ কথা বলেন।

তিনি গাজা পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে করে বলেন, গাজা থেকে যেসব খবর আসছে তা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার সহযোগীদের পরাজয় এবং গাজা তথা ফিলিস্তিনের জনগণ ও যোদ্ধাদের বিজয়ের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

জুমার নামাজের ইমাম আরও বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং পাল্টা আঘাত হেনেছে। এ কারণে ইহুদিবাদী ইসরাইল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

ইরানের আসন্ন সংসদ ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইরানি জনগণ সব সময় শত্রুদের ষড়যন্ত্র নস্যাতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এই নির্বাচনেও তাই হবে। কারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা একজন নাগরিকের ইসলামি ও জাতীয় দায়িত্ব। তিনি বলেন, ইরানের নির্বাচন বিশ্বের সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচনগুলোর একটি।


শত্রু ভুল করামাত্র কঠোর জবাব

শত্রুকে বিপর্যয়কর জবাব দিতে প্রস্তুত ইরানের সেনাবাহিনী



ইরানের সেনাবাহিনীর স্থলবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওমার্স হায়দারি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শত্রুর যেকোনো হুমকির ‘বিপর্যয়কর জবাব’ দিতে তার বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আজ ইরানের খুজিস্তান প্রদেশে একদল জুনিয়র কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জেনারেল হায়দারি বলেন, “ইরানের সেনাবাহিনী বর্তমানে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও সক্ষমতা ধারন করে রয়েছে। কাজেই দ্বিধাহীন চিত্তে শত্রুর যেকোনো হুমকির বিপর্যয়কর জবাব দেয়া হবে।”

তিনি বলেন, সারাদেশে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং শত্রু বিন্দুমাত্র ভুল করামাত্র তাকে কঠোর জবাব দেয়া হবে। ইরানের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিটগুলিও পূর্ণ মাত্রায় প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে বলে জানান এই সিনিয়র সেনা কমান্ডার।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ এবং এর ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য যখন উত্তেজনাকর অবস্থায় রয়েছে তখন এ হুমকি দিলেন ইরানের স্থলবাহিনীর কমান্ডার।

ইরানের সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অত্যাধুনিক নানা সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামে সজ্জিত হয়েছে। এর ফলে সামরিক সক্ষমতার দিক দিয়ে এদেশের সেনাবাহিনী নজিরবিহীন উচ্চতায় অবস্থান করছে। ইরানের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বলে এসেছেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রচলিত যেকোনো অস্ত্র উৎপাদন করতে তেহরান দ্বিধা করবে না।


গাজার প্রতি সমর্থন

ইসরাইলের আয়রন ডোমে ড্রোন হামলা চালালো হিজবুল্লাহ


অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের ওপর আবারো ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

আল-মানার টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের কাফ্‌র ব্লুম ইহুদি বসতির কাছে মোতায়েন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর দুটি কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। 

হিজবুল্লাহ আন্দোলন সরাসরি বলেছে, গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ এর আগেও কয়েক দফা ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর হামলা চালিয়েছে।

এদিকে, লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা লেবাননের তায়ের হারফা এলাকার একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, ধাইরা শহরের আলমা আশ-শাহাব এলাকায় ইসরাইল ফসফরাস বোমা দিয়ে হামলা করেছে। 

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে ইতিহাসের নজিরবিহীন অভিযান চালায়। এরপর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর ভয়াবহতম নৃশংসতা চালাচ্ছে। এর জবাবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা উত্তর ইসরাইল সীমান্তে দখলদার সেনাদের অবস্থানে প্রতিদিন হামলা চালিয়ে আসছে। এরইমধ্যে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার উল্লেখযোগ্য সংঘর্ষ হয়েছে।


এডেন উপসাগরে ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ

মার্কিন যুদ্ধ জাহাজকে ফিরে যেতে বাধ্য করলো ইয়েমেন


ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী এডেন উপসাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে একাধিক মার্কিন যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন এ খবর জানিয়ে বলেছে, গতকাল (বুধবার) যেসব মার্কিন যুদ্ধজাহাজে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার ছিল।

এসব যুদ্ধজাহাজ ওই পানিসীমা দিয়ে যাতায়াতকারী দু’টি মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল। গাজা উপত্যকার নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে তৎপরতা চালাচ্ছে।

ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশেই ভূপাতিত করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও সেগুলো সফলভাবে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।” বিবৃতিতে বলা হয়, “একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে এবং এর ফলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো ফিরে যেতে বাধ্য হয়।” এসব সংঘর্ষ ‘দুই ঘণ্টা ধরে চলে’ বলে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে।

ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষিত বুধবারের এই সমুদ্র সংঘাতের ব্যাপারে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন সন্ত্রাসী মার্কিন সেনাবাহিনী সেন্টকম দাবি করেছে, হুথিদের পক্ষ থেকে নিক্ষিপ্ত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের দু’টি আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটি সাগরে পতিত হয়েছে। দুই মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজ তাদের গতিপথ পরিবর্তন করে ফিরে গেছে বলে যেকথা ইয়েমেন জানিয়েছে সে সম্পর্কে সেন্টকমের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য প্রকাশিত হয়নি।

ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের সমর্থিত সরকার গত অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি ভয়াবহ গণহত্যার জবাবে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে ইসরাইলি মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী হুথিদের অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর ইয়েমেনের সেনাবাহিনী হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।


হুথি প্রধানের ঘোষণা

ইসরাইলের সাথে সম্পর্কযুক্ত জাহাজে হামলা অব্যাহত থাকবে


ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের প্রধান আব্দুল মালেক আল-হুতি বলেছেন, লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজের ওপর হামলা অব্যাহত থাকবে। তিনি সুস্পষ্ট করে বলেছেন, গাজা উপত্যকার উপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চলবে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আব্দুল মালেক আল-হুতি বলেন, ইহুদিবাদীদের অপরাধ অব্যাহত রাখার প্রধান কারণ হচ্ছে মার্কিন সরকারের অবস্থান।

তিনি বলেন, “আমেরিকা জোর দিয়ে বলে যে, গাজা সম্পূর্ণ অবরোধের মধ্যে থাকবে এবং রাফাহ ক্রসিং বন্ধ থাকবে। আমেরিকার কারণেই ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য এবং ত্রাণ সরবরাহ গাজায় প্রবেশ করছে না। 

আনসারুল্লাহ প্রধান বলেন, ইহুদিবাদীদের অপরাধ অব্যাহত রাখার জন্য আমেরিকা তার সেনা কর্মকর্তাদের এই অঞ্চলে পাঠিয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের চলমান অনাহারের সাথে আমেরিকা সরাসরি জড়িত। তারা গাজাবাসীকে হত্যার জন্য তারাই ইসরাইলকে বোমা দিচ্ছে।”

আব্দুল মালেক আল-হুতি আরো বলেন, আমেরিকা শুধু গজায় ওষুধ ও খাদ্যপ্রবেশে বাধা দিচ্ছে না, তারা ইয়েমেনের সাথেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।

ইয়েমেন ইস্যুতে আমেরিকাকে কঠোর বার্তা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী


ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমেরিকা ও ব্রিটেন কৌশলগত ভুল করছে। এ বিষয়ে আমেরিকাকে কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়া হয়েছে।

তিনি সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিতে নিউ ইয়র্ক সফর করেন। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহিয়ান আরও বলেন, ব্রিটেনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়েমেনে মার্কিন হামলার পরিণতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাদের এসব পদক্ষেপ গোটা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে এবং এর ফলে যুদ্ধের পরিধি আরও বাড়বে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়েমেনে ইঙ্গ-মার্কিন হামলার পর স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে লোহিত সাগরে ২৩০টি বাণিজ্যিক ও তেলবাহী জাহাজ তাদের পথ অতিক্রম করছে। এটা থেকে প্রমাণিত হয় ইয়েমেন কেবল ঐসব জাহাজকে থামাচ্ছে যেগুলো দখলদার ইসরাইলের বিভিন্ন বন্দরের দিকে যাচ্ছে।

গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী দখলদার ইসরাইল অভিমুখী জাহাজগুলো থামিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলের পৃষ্ঠপোষক ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী।

💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url