আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ | সুরা আন নাবা’এর বাংলা অনুবাদ | সুরা আন নাবা | Surah An Naba | النّبا


সুরা আন নাবা’এর বাংলা অনুবাদ

সুরা আন নাবা, মক্কায় অবতীর্ণ আয়াত ৪০, রুকু ২

সুরা আন নাবা



রহমান রহীম আল্লাহ তা'আলার নামে

১. কোন বিষয় সম্পর্কে তারা একে অপরকে জিজ্ঞেস করছে?

২. (তারা কি) সেই (গুরুত্বপুর্ণ) মহাসংবাদের ব্যাপারেই (একে অপরকে জিজ্ঞেস করছে),

৩. যে ব্যাপারে তারা নিজেরাও বিভিন্ন মত পোষণ করে;

৪. না, (তা আদৌ ঠিক নয়, সঠিক ঘটনা) এরা তো অচিরেই জানতে পারবে,

৫. আবারও (তোমরা শুনে রাখো, কেয়ামত আসবেই এবং) অতি সত্বরই তারা (এ সম্পর্কে) জানতে পারবে।

৬. (তোমরা কি আমার সৃষ্টি কৌশল সম্পর্কে ভেবে দেখোনি?) আমি কি এ ভূমিকে বিছানার মতো করে তৈরী করে রাখিনি?

৭. (ভূমিকে স্থির রাখার জন্যে) আমি কি পাহাড়সমূহকে (এর গায়ে) পেরেকের মতো গেড়ে রাখিনি?

৮. (সৃষ্টির ধারা অব্যাহত রাখার জন্যে) আমি তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় পয়দা করেছি,

৯. তোমাদের ঘুমকে আমি শান্তির উপকরণ বানিয়েছি,

১০. আমি রাতকে (তোমাদের জন্যে) আবরণ করে দিয়েছি,

১১. তার পাশাপাশি) দিনগুলোকে জীবিকা অর্জনের জন্যে (আলোকোজ্জ্বল করে) রেখেছি,

১২. আমি তোমাদের ওপর সাতটি মযবুত আসমান বানিয়েছি,

১৩. (এতে স্থাপন করেছি একটি প্রোজ্জ্বল বাতি,

১৪. মেঘমালা থেকে আমি বর্ষণ করেছি অবিরাম বৃষ্টিধারা,

১৫. যেন তা দিয়ে আমি (শ্যামল ভূমিতে) উৎপাদন করতে পারি (নানা রকমের) শস্যদানা ও তরিতরকারি, 

১৬. এবং সুনিবিড় বাগবাগিচা ;

১৭. (সব কিছুর শেষে) এর (সিদ্ধান্তদানকারী একটি) দিনও সুনির্দিষ্ট (করে রাখা) হয়েছে।

১৮. যেদিন শিংগায় ফুঁ দেয়া হবে, (প্রলয়ংকরী ফুঁর সাথে সাথে) তোমরা দলে দলে আসবে,

১৯. (যখন) আসমান খুলে দেয়া হবে এবং তা অনেকগুলো খোলা দরজায় পরিণত হয়ে যাবে,

২০. পর্বতমালাকে সরিয়ে দেয়া হবে অতঃপর তা মরীচিকার মতো হয়ে যাবে,

২১. নিশ্চয়ই জাহান্নাম (পাপীদের জন্যে) এক (গোপন) ফাঁদ,

২২. বিদ্রোহীদের জন্যে তা হবে (নিকৃষ্টতম) আবাসস্থল,

২৩. সেখানে তারা কালের পর কাল ধরে পড়ে থাকবে,

২৪. সেখানে তারা কোনো ঠান্ডা ও পানীয় (জাতের) কিছুর স্বাদ ভোগ করবে না,

২৫. (সেখানে) ফুটন্ত পানি, পুঁজ, দুর্গন্ধময় রক্ত, ক্ষত ছাড়া (ভিন্ন) কিছুই থাকবে না,

২৬. (এই হচ্ছে তাদের) যথাযথ প্রতিফল;

২৭. (কারণ) এরা হিসাব-নিকাশের (দিন থেকে কিছুই) আশা করেনি,

২৮. (বরং) তারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে;

২৯. আমি তো (তাদের) যাবতীয় কর্মকান্ডের রেকর্ড সংরক্ষণ করে রেখেছি,

৩০. অতএব তোমরা আযাব উপভোগ করতে থাকো, (আজ) আমি তোমাদের জন্যে শাস্তির মাত্রা ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করবো না ।

৩১. (অপরদিকে) পরহেযগার লোকদের জন্যে রয়েছে (পরম) সাফল্য,

৩২. (তা হচ্ছে সুসজ্জিত) বাগবাগিচা, আংগুর (ফলের সমারোহ),

৩৩. (আরো রয়েছে) পুর্ণ যৌবনা সমবয়সী সুন্দরী তরুণী,

৩৪. এবং উপচে পড়া পানপাত্র;

৩৫. এখানে তারা কোনো বাজে কথা ও মিথ্যা শুনতে পাবে না,

৩৬. তোমার মালিকের তরফ থেকে (এটা হচ্ছে) তাদের জন্যে যথাযথ পুরস্কার,

৩৭. (এ পুরস্কার তাঁর) যিনি আসমানসমুহ, যমীন ও এদের উভয়ের মাঝখানে যা কিছু আছে তার মালিক দয়াময় আল্লাহ তা'আলা তাঁর সাথে কেউই বিতর্ক করার ক্ষমতা রাখে না,

৩৮. সেদিন (পরাক্রমশালী মালিকের সামনে) রূহ (জিবরাঈল) ও অন্যান্য ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে, করুণাময় আল্লাহ তা'আলা যাদের অনুমতি দেবেন তারা ছাড়া (সেদিন) অন্য কেউই কথা বলতে পারবে না এবং সে (অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিও যখন বলবে তখন) সঠিক কথাই বলবে।

৩৯. এ দিনটি সত্য, (তাই) কেউ ইচ্ছা করলে (এখনো) নিজের মালিকের কাছে নিজের জন্যে একটা আশ্রয় খুঁজে নিতে পারে।

৪০. আমি আসন্ন আযাব সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করে দিলাম, সেদিন মানুষ দেখতে পাবে তার হাত দুটি এ দিনের জন্যে কী কী জিনিস পাঠিয়েছে, (এ দিনকে) অস্বীকারকারী ব্যক্তি তখন বলে উঠবে (ধিক এমনি এক জীবনের জন্যে), হায়, কতো ভালো হতো যদি মানুষ (না হয়ে) আমি (আজ) মাটি হতাম!



💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url