শিক্ষনীয় - ২ || পবিত্র কুরআনে বর্ণিত নমরুদ কর্তৃক ইব্রাহিমকে (আঃ) আগুনে নিক্ষেপের কাহিনী






কুরআনের গল্প

ইব্রাহিমকে (আঃ) আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা

আমি তো এর পূর্বে ইব্রাহিমকে (আঃ) সৎপথের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্বন্ধে ছিলাম সম্যক অবগত। যখন সে তার পিতা তার সম্প্রদায়কে বললো, এই মুর্তিগুলি কি, যাদের পূজায় তোমরা রত রয়েছো? তারা বললো, আমরা আমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে এদের পূজা করতে দেখেছি। সে বললো, তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পিতৃ-পুরুষরাও রয়েছো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে। তারা বললো, তুমি কি আমাদের নিকট সত্য এনেছো, না তুমি কৌতুক করছো? সে বললো, না, তোমাদের প্রতিপালকতো আকাশমণ্ডলী পৃথিবীর প্রতিপালক, যিনি ওগুলি সৃষ্টি করেছেন এবং এই বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী। শপথ আল্লাহর, তোমরা চলে গেলে আমি তোমাদের মূর্তিগুলি সম্বন্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা অবলম্বন করবো।

ইব্রাহিম আঃ কর্তৃক মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনাঃ

অতঃপর সে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল মূর্তিগুলিকে, তাদের বড় (প্রধান) মূর্তিটি ব্যতীত, যাতে তারা তার দিকে ফিরে আসে। তারা বললো, আমাদের উপাস্যগুলির প্রতি এরূপ করলো কে? সে নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী। কেউ কেউ বললো, আমরা এক যুবককে ওদের সমালোচনা করতে শুনেছি, তার নাম ইব্রাহিম (আঃ) তারা বললো, তাকে উপস্থিত কর লোক সম্মুখে, যাতে তারা সাক্ষ্য দিতে পারে।

তারা বললো, হে ইব্রাহিম (আঃ)! তুমিই কি আমাদের উপাস্যগুলির উপর এরূপ করেছো? সে বললো, সে-ইতো এটা করেছে, এইতো এদের প্রধান; এদেরকে জিজ্ঞেস কর যদি এরা কথা বলতে পারে।


তখন তারা মনে মনে চিন্তা করে দেখলো এবং একে অপরকে বলতে লাগলো, তোমরাই তো সীমালংঘনকারী। অতঃপর তাদের মস্তক অবনত হয়ে গেলো এবং তারা বললো, তুমি তো জানই যে, এরা কথা বলে না। সে বললো, তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত কর যারা তোমাদের কোন উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না? ধিক্ তোমাদেরকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদেরকে! তবে কি তোমরা বুঝবে না?

তারা বললো, তাকে পুড়িয়ে দাও এবং সাহায্য কর তোমাদের দেবতাগুলিকে যদি তোমরা কিছু করতে চাও। আমি বললাম, হে অগ্নি! তুমি ইব্রাহিমের (আঃ) জন্য শীতল নিরাপদ হয়ে যাও। তারা তার ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করেছিল; কিন্তু আমি তাদেরকে করে দিলাম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ।


আর আমি তাকে লুতকে (আঃ) উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই দেশে (সিরিয়ায়) যেথায় আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য। এবং আমি ইব্রাহিমকে (আঃ) দান করেছিলাম ইসহাক (আঃ) এবং অতিরিক্ত পৌত্ররূপে ইয়াকুবকে (আঃ); আর আমি প্রত্যেককেই করেছিলাম সৎকর্ম পরায়ণ। আর আমি তাদেরকে করেছিলাম নেতা; তারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথপ্রদর্শন করতো; তাদের কাছে আমি অহি প্রেরণ করেছিলাম সৎকর্ম করতে, নামাজ কায়েম করতে এবং যাকাত প্রদান করতে; তারা আমারই ইবাদত করতো।
সূরাঃ আম্বিয়া: আয়াতঃ ৫১-৭৩ 



সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আরও বেশি মানুষের কাছে ইসলামের জ্ঞান পৌঁছে দিতে শেয়ার ও কমেন্ট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url