বিশ্ববিখ্যাত কারী আব্দুল বাসিতের সাথে কুরআন পড়ুন || আরবী দেখে ও শুনে কণ্ঠ মিলিয়ে কুরআন পড়ুন || সূরা আদ দোহা, আস শুরা ও, আত-তীন ||

সূরা আদ দোহা, আস শুরা ও, আত-তীন

কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ

ডিজিটাল পদ্ধতিতে খুব সহজে পবিত্র কুরআন শুদ্ধ করে শিখতে এখানে ক্লিক করুন
আসুন কুরআন শুনি ও পড়ি
বিস্ময়কর সুন্দর তেলাওয়াত
আল কুরআন শুনুন এবং কণ্ঠ মিলিয়ে পড়ুন
সহীভাবে কুরআন তেলাওয়াতের চমৎকার সুযোগ

সূরা আদ-দুহার পরিচয়ঃ

সূরা আদ-দুহা কোরআন মাজিদের ৯৩ তম সূরা। এই সূরার মোট আয়াত সংখ্যা ১১ টি। সূরা আদ-দুহা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা আদ-দুহা কথার অর্থ- সকালের সময়। 

সূরা আশ-শুরার পরিচয়ঃ

সূরা আশ-শুরা কোরআন মাজিদের ৪২ নম্বার সূরা। এই সূরার মোট আয়াত সংখ্যা ৫৩ টি। সূরা আশ-শুরা এর বাংলা অর্থ- পরামর্শ। সূরা আশ-শুরা মাক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। 

সূরা আত-তীন-এর পরিচয়ঃ

সূরা আত-তীন কোরআন মাজিদের ৯৫ নম্বার সূরা। এই সূরার মোট আয়াত সংখ্যা ৮ টি। সূরা আত-তীন এর বাংলা অর্থ- ডুমুর। সূরা আত-তীন মাক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। 

কারী আব্দুল বাসিতের সংক্ষীপ্ত পরিচিতি

আবদুল বাসিত মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, যিনি ক্বারী আব্দুল বাসেত নামে পরিচিত। عبد الباسط عبد الصمد ছিলেন একজন মিশরীয় ক্বারী। তিনি ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকে তিনটি বিশ্ব কিরা'আত প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। আবদুস-সামাদ ছিলেন প্রথম হাফেজ, যিনি তার কুরআন পাঠ্যক্রমের বাণিজ্যিক রেকর্ডিং করেন, এবং তিনি ছিলেন মিশরের ক্বারী পরিষদের প্রথম সভাপতি।

ক্বারী আব্দুল বাসেত ১৯২৭ সালে আরমান্ত, হেরমানথিস, মিসরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পেশাগতভাবে ক্বারী, ইমাম ও শায়খ ছিলেন। অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠে তেলাওয়াতের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করেন। তার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি - ৫ ফু ১১ ইঞ্চি। ক্বারী আব্দুল বাসেত এর উপাধি ছিল ‘সোনালী কন্ঠস্বর’। তাঁর তিনজন সন্তান ইয়াসির, হিশাম ও তারিক । 

সোনালী কন্ঠস্বরের ক্বারী আবদুল বাসিত মিশরের বাইরে বহুদেশ ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তানের লাহোরে বাদশাহী মসজিদ এবং সেই সময় তৎকালীন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা আল-জমিয়াতুল আহ্ লিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সফর করেন এবং তাঁর কণ্ঠে কুরআন আবৃত্তি করে এদেশের ইসলামী আলেম সমাজকে বিমোহিত করেন। তিনি এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহদেশ সফর করেন এবং কুরআনের আবৃত্তি প্রচার করেন।

ক্বারী আব্দুল বাসিত ১৯৮৮ সালের ৩০ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। অনেকেই মনে করেন তিনি দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। তিনি শারিরীক অসুস্থতার জন্য লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং ৭ দিন চিকিৎসার পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্র সন্তান রেখে যান। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এক পুত্র ইয়াসির কুরআন পাকের ক্বারী হন।



******************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url