বিশ্ববিখ্যাত কারী আব্দুল বাসিতের সাথে কুরআন পড়ুন || সূরা বনি ইসরাইল, আল-হাদিদ, আল-হাশর, আস-সাফ, জুমুআ, আল-তাগাবুন, আল-আলা ||

নামাজের সাত দেয়াল

সূরা বনি ইসরাইল, সূরা আল-হাদিদ, সূরা আল-হাশর, সূরা আস-সাফ, সূরা জুমুআ, সূরা আল-তাগাবুন, সূরা আল-আলা

কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ

নামাজের সাত দেয়াল
কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ
বিস্ময়কর সুন্দর তেলাওয়াত
আল কুরআন শুনুন এবং কণ্ঠ মিলিয়ে পড়ুন
সহী ভাবে কুরআন তেলাওয়াতের চমৎকার সুযোগ

সূরা বনী-ইসরাঈল বা সূরা ইসরা’র পরিচয়ঃ

বনী-ইসরাঈল বা সূরা ইসরা (سورة الإسراء) আল কুরআনের ১৭ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১১ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১২ টি। বনী-ইসরাঈল সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরা মুহাম্মাদ (সা:) এর মেরাজের কথা, পিতা-মাতার ও আত্মীয়-স্বজনের হক, এতীমদের সম্পর্কে, ওয়াদা করা সম্পর্কে, নামায সম্পর্কে, রূহু সম্পর্কে কুরাইশদের প্রশ্ন, ইত্যাদি বিষয়ে বলা হয়েছে।

মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত সফরকে 'ইসরা' বলা হয় এবং সেখান থেকে আসমান পর্যন্ত যে সফর হয়েছে, তার নাম মে'রাজ। ইসরা অকাট্য আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। আর মে'রাজ সূরা নাজমে উল্লেখিত রয়েছে এবং অনেক মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মে'রাজে গিয়ে মুহাম্মাদ তার উম্মতের জন্য প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্তের নামাজ ফরয হওয়ার নির্দেশ হয়। অতঃপর তা হ্রাস করে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেয়া হয়। এ দ্বারা সব এবাদতের মধ্যে নামাজের বিশেষ গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। হরবী বলেনঃ ইসরা ও মে'রাজের ঘটনা রবিউস সানি মাসের ২৭ তম রাত্রিতে হিজরতের এক বছর পূর্বে ঘটেছে। ইবনে কাসেম (রা:) বলেনঃ নবুওয়ত প্রাপ্তির আঠারো মাস পর এ ঘটনা ঘটেছে। মুহাদ্দেসগণ বিভিন্ন রেওয়ায়েত উল্লেখ করার পরে কোন সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করেননি। কিন্তু সাধারণভাবে খ্যাত এই যে, রজব মাসের ২৭ তম রাত্রি মে'রাজের রাত্রি।

সূরা আল-হাদীদ‌-এর পরিচয়ঃ

সূরা আল-হাদীদ‌ (الحديد) আল কুরআনের ৫৭ তম সূরা। এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৯ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৪। সূরা আল-হাদীদ‌ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

এই সূরাটির ২৫ নং আয়াতের وَأَنْزَلْنَا الْحَدِيدَ বাক্যাংশের الْحَدِيدَ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে حديد (‘হাদীদ‌’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

সর্ব সম্মত মতে এটি মদীনায় অবতীর্ণ সূরা। এ সূরার বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে মনে হয় সম্ভবত উহুদ যুদ্ধ ও হুদায়বিয়ার সন্ধির মধ্যবর্তী কোন এক সময় এ সূরা নাযিল হয়েছে। এটা সে সময়ের কথা যখন কাফেররা চারদিক থেকে ক্ষুদ্র এ ইসলামী রাষ্ট্রটিকে তাদের আক্রমণের লক্ষস্থল বানিয়েছিল এবং ঈমানদারদের ক্ষুদ্র একটি দল অত্যন্ত সহায় সম্বলহীন অবস্থায় সমগ্র আরবের শক্তির মোকাবিলা করে যাচ্ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে ইসলাম তার অনুসারীদের কাছে শুধু জীবনের কুরবানীই চাচ্ছিলো না বরং সম্পদের কুরবানীর প্রয়োজনীয়তাও একান্তভাবে উপলব্ধি করেছিলো। এ ধরনের কুরবানী পেশ করার জন্য এ সূরায় অত্যন্ত জোরালো আবেদন জানানো হয়েছে। সূরার ১০ আয়াত এ অনুমানকে আরো জোরালো করছে।

সূরা আল-হাশর‌ এর পরিচয়ঃ

সূরা আল-হাশর‌ (الحشْر) আল কুরআনের ৫৯ তম সূরা। এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৪। সূরা আল-হাশর‌ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এই সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতের أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ বাক্যাংশের الْحَشْرِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الْحَشْرِ (‘হাশর‌’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

সূরা আস-সাফ‌ এর পরিচয়ঃ

সূরা আস-সাফ‌ (الصّفّ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬১ তম সূরা। এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৪ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আস-সাফ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল জানা যায় না। কিন্তু এর বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে অনুমান করা যায় যে, সূরাটি সম্ভবত ওহোদ যুদ্ধের সমসাময়িককালে নাযিল হয়ে থাকবে। কারণ এর মধ্যে যেসব পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। তা সেই সময়ের সাথেই সংশ্লিষ্ট।

সূরা আল-জুমুআ‌’র পরিচয়ঃ

সূরা আল-জুমুআ‌ ( الجمعة) আল কুরআনের ৬২-তম সূরা। এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১১ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আল-জুমুআ মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

এই সূরাটির নবম আয়াতের إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ বাক্যাংশের الْجُمُعَةِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الجمعة (‘জুমুআ‌’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

সূরা আত-তাগাবুন‌ এর পরিচয়ঃ

সূরা আত-তাগাবুন‌ (আরবি ভাষায়: التّغابن) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬৪ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২। সূরা আত-তাগাবুন মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

এই সূরাটির নবম আয়াতের ذَلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ বাক্যাংশের التَّغَابُنِ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে التّغابن (‘তাগাবুন‌’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

সূরা আল আ'লা এর পরিচয়ঃ

সূরা আল আ'লা পবিত্র কুরআনের ৮৭ তম সূরা। এতে আয়াত সংখ্যা ১৯টি এবং রূকুর সংখ্যা ১টি। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।


*******************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url