বিশ্ববিখ্যাত কারী আব্দুল বাসিতের সাথে কুরআন পড়ুন || আরবী দেখে ও শুনে কণ্ঠ মিলিয়ে কুরআন পড়ুন || সুরা বাকারা ||

সূরা বাকারা

কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ

সুরা বাকারা শুনি ও পড়ি
বিস্ময়কর সুন্দর তেলাওয়াত
আল কুরআন শুনুন এবং কণ্ঠ মিলিয়ে পড়ুন
সহীভাবে কুরআন তেলাওয়াতের চমৎকার সুযোগ

সুরা বাকারা’র পরিচয়ঃ

আল বাকারা ( سورة البقرة) আল কুরআনের দ্বিতীয় সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ৪০ টি। আল বাকারা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

বাকারাহ মানে গাভী। এ সূরার ৬৭ থেকে ৭৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত হযরত মুসা এর সময়কার বনি ইসরাইল এর গাভী কুরবানীর ঘটনা উল্লেখ থাকার কারণে এর এই নামকরণ করা হয়েছে। কুরআন মাজীদের প্রত্যেকটি সূরার এত ব্যাপক বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যার ফলে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে তাদের জন্য কোন পরিপূর্ণ ও সার্বিক অর্থবোধক শিরোনাম উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়। শব্দ সম্ভারের দিক দিয়ে আরবি ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ হলেও মূলত এটি তো মানুষেরই ভাষা আর মানুষের মধ্যে প্রচলিত ভাষাগুলো খুব বেশি সংকীর্ণ ও সীমিত পরিসর সম্পন্ন। সেখানে এই ধরনের ব্যাপক বিষয়বস্তুর জন্য পরিপূর্ণ অর্থব্যাঞ্জক শিরোনাম তৈরি করার মতো শব্দ বা বাক্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ জন্য নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী কুরআনের অধিকাংশ সূরার জন্য শিরোনামের পরিবর্তে নিছক আলামত ভিত্তিক নাম রেখেছেন। এই সূরার নামকরণ আল বাকারাহ করার অর্থ কেবল এতটুকু যে, এটি এমন সুরা যেখানে গাভীর কথা বলা হয়েছে।

এ সূরার বেশীর ভাগ মহানবী-এর মদীনায় হিজরতের পর মাদানী জীবনের একেবারে প্রথম যুগে নাযিল হয়। আর এর কিছু অংশ পরে নাযিল হয়। বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য ও সাদৃশ্যের সম্পর্কিত যে আয়াতগুলো নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ে নাযিল হয় সেগুলোও এখানে সংযোজিত করা হয়েছে। যে আয়াতগুলো দিয়ে সূরাটি শেষ করা হয়েছে সেগুলো হিজরাতের আগে মক্কায় নাযিল হয়। কিন্তু বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যের কারণে সেগুলোকেও এ সূরার সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আসুন প্রতিদিন একঘন্টা কারী আব্দুল বাসেত এর সাথে কুরআন পড়ি

বিশ্ব বিখ্যাত কারী শেখ আব্দুল বাসেত আব্দুস সামাদ এর সুললিত কণ্ঠে অত্যন্ত শান্তি ও মাধুর্য্যময় ভঙ্গীতে তেলাওয়াত করা পুরো ত্রিশ পারা কুরআনের ভিডিও আমরা এখানে আপলোড করছি। ভিডিওগুলো দেখে যেকেউ কারী আব্দুল বাসেতের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে পুরো কুরআন শরীফ বিশুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে পারেন। এটা একটা মহা সুযোগ। যেকেউ প্রতিদিন একঘন্টা করে কারী আব্দুল বাসেত এর সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে কুরআন পড়তে পারেন। এতে আপনার পাঠ আরও বিশুদ্ধ হবে, সুর আরও মাধুর্য্যমন্ডিত হবে, কুরআন পাঠে আপনার হৃদয়ের আকাঙ্খা আরও বৃদ্ধি পাবে। সর্বেোপরি আপনার ঈমান ও তাকওয়া আরও বৃদ্ধি পাবে ইন শা আল্লাহ। 



*****************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url