বিশ্ববিখ্যাত কারী আব্দুল বাসিতের কন্ঠে সুরা ফাতিহা || আরবী দেখে ও শুনে কণ্ঠ মিলিয়ে কুরআন পড়ুন || সুরা আল ফাতিহা ||






সুরা আল ফাতিহা

কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ



সুরা আল ফাতিহার বিস্ময়কর সুন্দর তেলাওয়াত


সুরা ফাতিহার পরিচয়ঃ
সূরা ফাতিহার নাম ‘সূরা-ই-আল ফাতিহাহ্। কোন কিছু আরম্ভ করার নাম ‘ফাতিহাহ’ বা উদ্ঘাটিকা। কুরআন কারীমের মধ্যে প্রথম সূরা ফাতিহা লিখা হয়েছে বলে একে সূরা-ই-আল ফাতিহাহ্ বলা হয়।

তাছাড়া নামাযের মধ্যে সূরা ফাতিহার দ্বারাই কিরাআত আরম্ভ করা হয় বলেও একে সূরা ফাতিহা নামে অভিহিত করা হয়েছে। উম্মুল কিতাব’ও সূরা ফাতিহার অপর একটি নাম। 

সূরা ফাতিহা কে সূরাতুস সালাত এবং সূরাতুল কাজও বলা হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), কাতাদাহ (রঃ) এবং আবুল আলিয়া (রঃ) বলেন যে, এই ফাতিহা সূরাটি মাক্কী। 

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ), মুজাহিদ (রঃ), আতা’ বিন ইয়াসার (রঃ) এবং ইমাম যুহরী (রঃ) বলেন যে, এই ফাতিহা সূরাটি মাদানী। এটাও একটি অভিমত যে, এই সূরা ফাতিহা দুইবার অবতীর্ণ হয়েছে। 

একবার মক্কায় এবং অন্যবার মদীনায়। কিন্তু প্রথমটিই বেশী সঠিক ও অভ্রান্ত। কেননা অন্য আয়াতে আছে যে ‘আমি তোমাকে সাবআ মাসানী (বারবার আবৃত্ত সাতটি আয়াত) প্রদান করেছি (১৫:৮৭)।  সূরা ফাতিহা কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে আল্লাহ তা'আলাই এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী জানেন।

বিশ্ব বিখ্যাত কারী শেখ আব্দুল বাসেত আব্দুস সামাদ এর সুললিত কণ্ঠে অত্যন্ত শান্তি ও মাধুর্য্যময় ভঙ্গীতে তেলাওয়াত করা পুরো ত্রিশ পারা কুরআনের ভিডিও আমরা এখানে আপলোড করছি। ভিডিওগুলো দেখে যেকেউ কারী আব্দুল বাসেতের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে পুরো কুরআন শরীফ বিশুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে পারেন। এটা একটা মহা সুযোগ। যেকেউ প্রতিদিন একঘন্টা করে কারী আব্দুল বাসেত এর সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে কুরআন পড়তে পারেন। এতে আপনার পাঠ আরও বিশুদ্ধ হবে, সুর আরও মাধুর্য্যমন্ডিত হবে, কুরআন পাঠে আপনার হৃদয়ের আকাঙ্খা আরও বৃদ্ধি পাবে। সর্বেোপরি আপনার ঈমান ও তাকওয়া আরও বৃদ্ধি পাবে ইন শা আল্লাহ। 

কারী আব্দুল বাসিতের সংক্ষীপ্ত পরিচিতি

আবদুল বাসিত মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, যিনি ক্বারী আব্দুল বাসেত নামে পরিচিত। عبد الباسط عبد الصمد ছিলেন একজন মিশরীয় ক্বারী। তিনি ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকে তিনটি বিশ্ব কিরা'আত প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। আবদুস-সামাদ ছিলেন প্রথম হাফেজ, যিনি তার কুরআন পাঠ্যক্রমের বাণিজ্যিক রেকর্ডিং করেন, এবং তিনি ছিলেন মিশরের ক্বারী পরিষদের প্রথম সভাপতি।

ক্বারী আব্দুল বাসেত ১৯২৭ সালে আরমান্ত, হেরমানথিস, মিসরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পেশাগতভাবে ক্বারী, ইমাম ও শায়খ ছিলেন। অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠে তেলাওয়াতের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করেন। তার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি - ৫ ফু ১১ ইঞ্চি। ক্বারী আব্দুল বাসেত এর উপাধি ছিল ‘সোনালী কন্ঠস্বর’। তাঁর তিনজন সন্তান ইয়াসির, হিশাম ও তারিক । 

সোনালী কন্ঠস্বরের ক্বারী আবদুল বাসিত মিশরের বাইরে বহুদেশ ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তানের লাহোরে বাদশাহী মসজিদ এবং সেই সময় তৎকালীন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা আল-জমিয়াতুল আহ্ লিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সফর করেন এবং তাঁর কণ্ঠে কুরআন আবৃত্তি করে এদেশের ইসলামী আলেম সমাজকে বিমোহিত করেন। তিনি এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহদেশ সফর করেন এবং কুরআনের আবৃত্তি প্রচার করেন।

ক্বারী আব্দুল বাসিত ১৯৮৮ সালের ৩০ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। অনেকেই মনে করেন তিনি দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। তিনি শারিরীক অসুস্থতার জন্য লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং ৭ দিন চিকিৎসার পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্র সন্তান রেখে যান। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এক পুত্র ইয়াসির কুরআন পাকের ক্বারী হন।



*********************** 
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url