//]]>

Win a Prize

Mohammadia Foundation https://www.mohammadiafoundationbd.com/2022/03/Surah-Ibrahim.html

বিশ্ববিখ্যাত কারী আব্দুল বাসিতের সাথে কুরআন পড়ুন || সুরা আল ইবরাহিম || Surah Ibrahim || কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ ||




সুরা আল ইবরাহিম

কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ

বিস্ময়কর সুন্দর তেলাওয়াত
আল কুরআন শুনুন এবং কণ্ঠ মিলিয়ে পড়ুন
সহী ভাবে কুরআন তেলাওয়াতের চমৎকার সুযোগ

সূরা ইব্রাহীম এর পরিচয়, নামকরণ, সূরার বিশেষত্ব, মূল বিষয়বস্তু, সূরা ইব্রাহিম নাযিলের সময়কাল ও সূরা ইব্রাহিমের আলোচ্য বিষয়-

সূরা ইব্রাহীম এর পরিচয়

সূরা ইব্রাহীম , (سورة ابراهيم‎‎) নবী ইব্রাহিম। এটি আল কুরআনের চৌদ্দতম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৫২ টি। বিচ্ছিন্ন অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া ২৯টি সূরার ন্যয় এই সূরাটি ‘আলিফ লাম্‌ র’ দিয়ে শুরু হয়েছে। 

সূরা ইব্রাহীম এর নামকরণ

এই সূরার ৩৫ নং আয়াতে উল্লেখিত وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا বাক্যাংশ থেকে পবিত্র সূরার নামকরণ করা হয়। পবিত্র এ সূরায় ইব্রাহীম (আ:) এর জীবন বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে।অন্যান্য সূরার ন্যায় এখানেও আলামত হিসেবে এ নাম ব্যবহৃত হয়েছে।

সূরা ইব্রাহীম এর বিশেষত্ব

এই সুরার বিশেষত্ব হচেছ এই সুরাটি পূর্বোক্ত (সুরা রাদ) সুরাটির শেষ অংশ বিশেষ হিসেবে ধরা যায়। এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কি ভাবে স্বার্থান্ধ লোকের স্বার্থপরতা সত্বেও, সত্য তার নিজস্ব শক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সত্যকে উপস্থাপন করার জন্য হযরত মুসা ও হযরত ইব্রাহিমের জীবন কাহিনীকে উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। এই সুরার মর্মার্থ হচেছ হযরত ইব্রাহীম এর প্রার্থনা।

সূরা ইব্রাহীম এর মূল বিষয়

সমস্ত মানবজাতির কাছে আল্লাহর পরিচয় ও তাঁর বাক্য প্রকাশ করেছেন, যা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত।

সূরা ইব্রাহীম নাযিলের সময়কাল

সূরাটির সাধারণ বর্ণনা পদ্ধতি মক্কার শেষ যুগের সূরাগুলোর মতো। তাই এটি সূরা রা’আদের নিকটবর্তী কালে অবতীর্ণ বলে মনে হয়। বিশেষ করে ১৩ নং আয়াতের (আরবী) এবং অস্বীকারকারীরা নিজেদের রসূলদের বললো, তোমাদের ফিরে আসতে হবে আমাদের ধর্মীয় জাতিসত্তার মধ্যে, অন্যথায় আমরা তোমাদের বের করে দেবো আমাদের দেশ থেকে শব্দাবলী থেকে পরিষ্কার ইংগিত পাওয়া যায় যে, সে সময় মক্কায় মুসলমানদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। মক্কাবাসীরা অতীতের কাফের জাতিগুলোর মতো তাদের দেশের মুমিন সমাজকে দেশ থেকে উৎখাত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। এ জন্য অতীতে তাদের মতো যেসব জাতি একই কর্মনীতি অবলম্বন করেছিল তাদেরকে যে ধরনের হুমকি দেয় হয়েছিল তাদেরকেও সেই একই হুমকি দেয়া হয়। অতীতের কাফের জাতিসমূহকে হুমকি দেয়া হয়েছিল, (আরবী) (আমি জালেমদেরকে ধবংশ করে ছাড়বো)। অন্যদিকে মুমিনদেরকে তাদের পূর্ববর্তীদের মতো একই সান্ত্বনা দেয়া হয়। তাদেরকে বলা হয়ঃ (আরবী) অর্থাৎ এ জালেমদেরকে খতম করার পর আমি এ ভূখন্ডে তোমাদের বসতি স্থাপন করাবো।

এভাবে শেষ রুকূ’র আলোচ্য বিষয় থেকেও অনুমান করা যায় যে, এ সূরাটি মক্কার শেষ যুগের সাথে সম্পর্ক রাখে।

সূরা ইব্রাহীম এর আলোচ্য বিষয়

যারা নবী (সা) এর রিসালাত মেনে নিতে অস্বীকার করছিল এবং তাঁর দাওয়াতকে ব্যর্থ করে দেবার জন্য সব রকমের নিকৃষ্টতম প্রতারণা ও চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের প্রতি উপদেশ ও সতর্কবাণী এ সূরার কেন্দ্রীয় বক্তব্য। কিন্তু উপদেশের তুলনায় এ সূরায় সতর্কীকরণ, তিরষ্কার হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের ভাবধারাই বেশী উচ্চকিত। এর কারণ, এর আগের সূরাগুলোতে বুঝাবার কাজটা পুরোপুরি এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপরও কুরাইশ কাফেরদের হঠকারিতা, হিংসা, বিদ্বেষ, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, অনিষ্টকর ক্রিয়াকর্ম ও জুলুম-নির্যাতন দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছিল ।



*******************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।


অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

CLICK n WIN

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া