হজ্জ ও উমরা সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর ৬





হজ্জ ও উমরা সম্পর্কে মাসালা মাসায়েল

এক সফরে একাধিক উমরাহ

এক সফরে একাধিক উমরাহ করা যায় কি? প্রথমে মীকাত থেকে একবার এবং পরে আয়েশা মসজিদ থেকে ইহরাম বেঁধে বরাবর উমরাহ শুদ্ধ হবে কি?

একই সফরে বারবার উমরাহ; একবার মায়ের জন্য, দ্বিতীয়বার বাবার জন্য, তৃতীয়বার দাদীর জন্য এবং একইভাবে আর কারো জন্য (বা নিজের জন্য) তানঈম থেকে আসা যাওয়া করে আদায় করা বিধিসম্মত নয়। তাছাড়া মৃতের নামে হজ্জ করার চেয়ে দুআ করাই উত্তম। ৪১২ (ঐ ২/১৯৮, ২৬৬)

“ইবাদতে মৌলিক দুটি শর্ত পূরণ হওয়া জরুরী; ইখলাস ও মুহাম্মাদি তরীকা। (যারা এক সফরে বার বার উমরাহ করে)তারা কি সাহাবা থেকেও ভাল কাজে বেশী আগ্রহী? আল্লাহ্‌র কসম! না। তারা তাঁদের থেকে বেশী আগ্রহী নয়। আল্লাহ্‌র শরীয়তের ব্যপারে সাহাবা থেকে বেশী জ্ঞানী নয়। তারা একটি হাদিস পেশ করে প্রমাণ করুক যে, সাহাবাগন রমযান অথবা অরমযানে বরাবর উমরাহ করতেন। জেনে রাখুন, এ ব্যপারে কোন সহীহ অথবা যয়ীফ একটি হরফ ও নেই, যাতে প্রমাণ হয় যে, সাহাবাগন রমযান বা অন্য মাসে বরাবর উমরাহ করেছেন। অথবা কেউ উমরাহ থেকে হালাল হলে আবার তানঈম গিয়ে আর একটি উমরাহ করবে। এমনকি মক্কাবাসীদের ফাক্বীহ ইমাম আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ)বলেছেন, ‘জানি না যে, যারা তানঈম গিয়ে উমরাহ করেছে, তারা গোনাহগার হবে, নাকি সওয়াব পাবে!’ অর্থাৎ, তাঁদের এ কাজে কষ্ট আছে, কোন সওয়াব নেই; আল্লাহ্‌র পানাহ। যেহেতু তারা শরীয়তের বহির্ভূত কাজ করে।” ৪১৩ (ইউঃ আল-লিক্বাউশ শাহরী ৪১/১)

আর বিদিত যে, সে যুগে সফর অতিশয় কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও মহানবী (সঃ) তথা সাহাবাগন এক সফরে একাধিক উমরার সুযোগ গ্রহণ করেননি। তাহলে এ যুগে সফর সহজ হওয়া সত্ত্বেও সে সুযোগ গ্রহণ করার কি যুক্তি থাকতে পারে?

কারো সহযোগিতায় হজ্জ করলে

আমরা সঊদি আরবে অল্প বেতনে কাজ করি। হজ্জ করার মত টাকা জমাতে পারি না। ইসলামিক দাওয়াত সেন্টারের সহযোগিতায় আমরা হজ্জ করেছি। পরবর্তীতে নিজে হজ্জ করার মতো সামর্থ্য হয়েছে। এখন আমাদের হজ্জের ফরয আদায় হয়ে গেছে, নাকি দ্বিতীয়বার নিজের টাকায় হজ্জ করতে হবে?

হজ্জ করার জন্য কেউ অর্থ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করলে তা গ্রহণ করা বৈধ এবং দানের টাকায় হজ্জ করলেও ফরয আদায় হয়ে যায়।

পিতা, শ্বশুর অথবা স্ত্রীর টাকায় হজ্জ

পিতা, শ্বশুর অথবা স্ত্রীর টাকায় হজ্জ করলে ফরয আদায় হবে কি?

পিতার পয়সায় হজ্জ করলে পুত্রের ফরয আদায় হয়ে যাবে। অনুরূপ অন্যের পয়সাতে হজ্জ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। ৪১৪ (ঐ ২/১৮৮)

অপরের ইহসানী গ্রহণ করে হজ্জ

আমার উপর হজ্জ ফরয নয়। কেউ আমার প্রতি ইহসানী করে হজ্জের খরচ দিতে এলে তা গ্রহণ করা কি জরুরী। তাঁর ফলে কি আমার উপর হজ্জ ফরয হয়ে যাবে?

অপরের ইহসানী গ্রহণ করা জরুরী নয় এবং তাঁর ফলে হজ্জ ফরযও হয় না। তবে দাতা যদি বাপ বা ভাই হয়, তাহলে তা গ্রহণ করে হজ্জ করা উচিৎ। কারণ বাপ ভাই ইহসানী করে কিছু দেয় না। ৪১৫ (ইবনে উষাইমীন)

ফরয হওয়া সত্ত্বেও হজ্জ না করে মারা গেলে

ফরয হওয়া সত্ত্বেও পিতা হজ্জ না করে মারা গেলে পুত্র বা ওয়ারেসের কি করা উচিত?

ফরয হওয়া সত্ত্বেও পিতা হজ্জ না করে মারা গেলে পুত্র বা ওয়ারেসের উচিৎ, নিজের হজ্জ আদায় করে তাঁর তরফ থেকে হজ্জ করা, অথবা পিতার ছেড়ে যাওয়া অর্থ থেকে কোন হাজীকে খরচ দিয়ে তাঁর তরফ থেকে হজ্জ করার দায়িত্ব দেওয়া। ৪১৬ (ঐ ২/১৯৪)যেমন ছেলে হজ্জ ফরয রেখে মারা গেলে তাঁর পিতা বা অভিভাবকের উচিৎ, তাঁর তরফ থেকে ফরয হজ্জ পালন করে দেওয়া। ৪১৭ (ঐ ২/১৯৫)

নফল হজ্জ বনাম জিহাদ

কোনটা বেশি উত্তম? নফল হজ্জ করা, নাকি সেই অর্থ জিহাদের খাতে দান করা?

নফল হজ্জ উমরাহ করতে অর্থ ব্যয় করার চেয়ে ঐ অর্থ জিহাদের খাতে ব্যয় করা অধিক উত্তম। ৪১৮(ঐ ২/১৯৫)

শিশুর ফিদয়্যাহ ওয়াজেব

শিশুকে হজ্জ করালে, শিশু যদি এমন কাজ করে বসে যাতে ফিদয়্যাহ ওয়াজেব, তাহলে অভিভাবককে কি তা আদায় করতে হবে?

শিশুকে হজ্জ করালে, শিশু যদি এমন কাজ করে বসে যাতে ফিদয়্যাহ ওয়াজেব, তাহলে অভিভাবককে তাঁর তরফ থেকে তা আদায় করতে হবে। ৪১৯ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৮২)

হজ্জ করে কিন্তু পাপাচার বর্জন করে না

অনেক হাজী আছে, যার পয়সার জোরে হজ্জ তো করে, কিন্তু পাপাচার বর্জন করতে পারে না। তাদের হজ্জের অবস্থা কি?

পাপকর্মে অটল থেকে হজ্জ করলে হজ্জ শুদ্ধ, তবে অসম্পূর্ণ। পাপ থেকে তওবা জরুরী। শিরক করা অবস্থায় হজ্জ করলে তো তা মকবূলই নয়। ৪২০ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৪/ ১৪০)

বেনামাযীর হজ্জ

নামায পড়ে না। কিন্তু অর্থশালী বলে হজ্জ করে ‘হাজী সাহেব’ হয়েছে। বেনামাযীর হজ্জ কি কবুল হবে?

কোন বেনামাযী হাজীর হজ্জ গৃহীত নয়। যেহেতু বেনামাযী আসলে ‘মুসলিম’ থাকে না। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “মানুষ ও কুফরীর মধ্যে (পর্দা) হল, নামায ত্যাগ করা।” ৪২১ (মুসলিম)

তিনি আর বলেছেন, “যে চুক্তি আমাদের ও তাদের (কাফেরদের) মধ্যে বিদ্যমান, তা হচ্ছে নামায (পড়া)। অতএব যে নামায ত্যাগ করবে, সে নিশ্চয় কাফের হয়ে যাবে।” ৪২২ (তিরমিযী)

শাক্বীক ইবনে আব্দুল্লাহ তাবেঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “মুহাম্মাদ (সঃ)এর সহচরবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরীমূলক কাজ বলে মনে করতেন না।” ৪২৩ (তিরমিযী)(ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৮৭)

মৃত বেনামাযীর বদলী হজ্জ

আমার আব্বা মারা গেছেন। আমি তাঁর তরফ থেকে হজ্জ করলে তাঁর উপকার হবে কি? উল্লেখ্য যে, তিনি বেনামাযী ছিলেন। কেবল জুমআর নামায পড়তেন।

মৃত বেনামাযীর তরফ থেকে হজ্জ গৃহীত হবে না। যেহেতু সঠিক মতে বেনামাযী কাফের। ৪২৪ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৮৬)

অর্থ উপার্জনের জন্য হজ্জ

অনেক হাজী আছে, যারা কেবল অর্থ উপার্জনের জন্য বদল-হজ্জ করে। অনেক হজ্জ করতে গিয়ে মাল নিয়ে গিয়ে, নিয়ে এসে ব্যবসা করে। তাদের হজ্জ শুদ্ধ হবে কি?

হজ্জের নামে উদ্দেশ্য ভিন্ন হলে হজ্জ হয় না। ৪২৫ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৩/৬৮)

মহানবী (সঃ) বলেছেন, “যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাঁর প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (স্বদেশত্যাগ) আল্লাহ্‌র (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রসূলের জন্য হবে; তাঁর হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তাঁর হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।” ৪২৬ (বুখারী মুসলিম)

তিনি আর বলেছেন, “যে ব্যক্তি আখেরাতের কর্ম দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে করবে, তাঁর জন্য আখেরাতের কোন ভাগ থাকবে না।” ৪২৭ (আহমাদ)

তবে আসল উদ্দেশ্য হজ্জ হলে এবং তাঁর সাথে কিছু ক্রয় বিক্রয় ও বৈধ ব্যবসা করলে হজ্জের কোন ক্ষতি হয় না। মহান আল্লাহ বলেছেন, “(হজ্জের সময়) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ কামনায় (ব্যবসা বানিজ্যে) কোন দোষ নেই। যখন তোমরা আরাফাত (প্রান্তর)হতে প্রত্যাবর্তন করবে, তখন (মুযদালিফায়) মাশআরুল হারামের নিকটে পৌঁছে আলাহকে স্মরণ কর এবং তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবে তাকে স্মরণ কর; যদিও পূর্বে তোমরা বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।”(বাকারাহঃ ১৯৮)

অবৈধ ব্যবসা করে হজ্জ

বিড়ি ফ্যাক্টরি, তামাক ফ্যাক্টরি, মদ্য ভাটি প্রভৃতি অবৈধ ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকরা হজ্জ করতে আসে। তাদের হজ্জ কি শুদ্ধ হয়?

হজ্জ করার জন্য হালাল উপায়ে অর্জিত অর্থ হওয়া জরুরী। বিড়ি সিগারেট প্রভৃতি মাদকদ্রব্যের ব্যবসার অর্থে হজ্জ হয় না। ৪২৮ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৬/ ১১৬)

বিকলাঙ্গ মানুষের ইহরাম

বিকলাঙ্গ হওয়া দরুন অথবা অন্য কোন কারণে যদি কোন পুরুষ ইহরামের কাপড় পড়তে না পারে, তাহলে কি যে কাপড় পরে আছে, সেই কাপড়েই হজ্জ উমরাহ শুদ্ধ হবে?

হজ্জ উমরাহ হয়ে যাবে। কিন্তু ইহরামের নিষেধ অমান্য করার দরুন তাকে তিনটির মধ্যে একটি করতে হবে; মক্কায় একটি ছাগল বা ভেড়া কুরবানী দিতে হবে অথবা ছয়টি মিসকীন খাওয়াতে হবে অথবা তিনটি রোযা রাখতে হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “যে পর্যন্ত কুরবানীর (পশু) তাঁর যবেহস্থলে উপস্থিত না হয়, তোমরা মস্তক মুণ্ডন করো না (হালাল হয়ো না)। অতএব তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে, অথবা মাথায় কোন ব্যাধি থাকলে (এবং তাঁর জন্য মস্তক মুণ্ডন করতে হলে, তাঁর পরিবর্তে) সে রোযা রাখবে কিংবা সাদকাহ করবে, কিংবা কুরবানী দ্বারা তাঁর ফিদইয়া(বিনিময়) দেবে।” (বাকারাহঃ ১৯৬)

ইহরাম অবস্থায় মাথা ঢেকে রাখলে

আমি হজ্জ করতে যাব, কিন্তু আমার মাথায় টাক আছে। তাঁতে রোদ সইতে পারি না। সুতরাং আমি ইহরাম অবস্থায় যদি মাথা ঢেকে থাকি, তাহলে কোন ক্ষতি আছে কি?

অবশ্যই ক্ষতি আছে। ইহরামের নিষেধ অমান্য করার দরুন আপনাকে তিনটির মধ্যে একটি করতে হবে; মক্কায় একটি ছাগল বা ভেড়া কোরবানী দিতে হবে অথবা ছয়টি মিসকীন খাওয়াতে হবে অথবা তিনটি রোযা রাখতে হবে।

হজ্জে আন্ডার প্যান্ট পরা

হজ্জে বেশি হাঁটাহাঁটির ফলে মোটা মানুষদের দু’পায়ের জঙ্গে লেগে ছিলে যায় এবং জ্বালাপোড়া শুরু হলে হাঁটতে বড় কষ্ট হয়। এদের জন্য কি আন্ডার-প্যান্ট পরা জায়েয হবে?

তাদের জন্য আন্ডার প্যান্ট পরা জায়েয় হবে না। তবে পট্টি বেঁধে নিতে পারে। আন্ডার প্যান্ট পড়তেই হলে ফিদয়্যাহ লাগবে; মক্কায় একটু ছাগল বা ভেড়া কুরবানী দিতে হবে অথবা ছয়টি মিসকীন খাওয়াতে হবে অথবা তিনটি রোযা রাখতে হবে। ৪২৯ (ইবনে উষাইমীন)

হজ্জে মাথা নেড়া

আমার মাথায় মোটেই চুল নেই। তাহলে হজ্জে মাথা নেড়া করতে কি শুধু ব্লেড বুলিয়ে নিলে হবে?

মাথায় কোন চুল না থাকলে, মাথা নেড়া করা ওয়াজেব নয়। ব্লেড বুলানোও বিধেয় নয়। ৪৩০ (ইবনে উষাইমীন)

তাশরীকের রাত্রি মিনায় বাস করা

মক্কা ও জিদ্দার হাজীরা কি তাশরীকের রাত্রি মিনায় বাস করে দিনে নিজ নিজ বাসা বা ব্যবসায় ফিরে আসতে পারে?

তাশরীকের দিনগুলিতে মিনায় রাত্রিবাস ওয়াজেব। দিনবাস করা ওয়াজেব নয়। সুতরাং প্রয়োজনে মক্কা বা জিদ্দা গিয়ে ফিরে এসে মিনায় রাত্রিবাস করলে যথেষ্ট। তবে অবশ্যই মিনায় তাশরীকের দিনগুলিও বাস করা সুন্নত। অপ্রয়োজনে তা ছাড়া উচিৎ নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) ঐ দিনগুলিতে মিনায় বাস করেছেন। ৪৩১ (ইবনে উষাইমীন)

বিদায়ী তওয়াফ

১১ তারিখের কোন সময়ে কোন জরুরী প্রয়োজনে যদি জিদ্দা বা অন্য কোথাও যেতে হয়, তাহলে কি বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে?

না। বিদায়ী তওয়াফ হজ্জের সমস্ত কাজ শেষ করে একেবারে মক্কা ত্যাগ করার সময় ওয়াজেব। ৪৩২ (ইবনে বায)

ঈদের দিন কোথাও যাওয়া

 ঈদের দিন কোন জরুরী প্রয়োজনে জিদ্দা বা অন্য কোথাও যেতে হয়, তাহলে তা বৈধ কি?

না। ঈদের দিন হাজীর জিদ্দা বা অন্য কোথাও যাওয়া বৈধও নয়। ৪৩৩ (ইবনে বায)

মক্কার বাইরে থেকে কুরবানী

মক্কার বাইরের অন্য জায়গা থেকে কুরবানী কেনা বৈধ কি?

মক্কার বাইরের যে কোন জায়গা থেকে কুরবানী কেনা বৈধ। তবে যবেহ হতে হবে মক্কায়। ৪৩৪ (ইবনে বায)




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url