বিষয় ভিত্তিক আয়াত (পর্ব - ১৮) || আল কুরআনে মানব সৃষ্টির রহস্য ||





মানব সৃষ্টির রহস্য

আল্লাহ মানুষকে কেন সৃষ্টি করেছেন? তিনি কিভাবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন? মানব সৃষ্টির পিছনে কি তার রহস্য? পবিত্র কুরআন পাকে কমপক্ষে ৮২টি আয়াতে আল্লাহ পাক তাঁর শ্রেষ্ট সৃষ্টি মানব সৃষ্টির রহস্য উম্মোচন করেছেন। আমরা ধারাবাহিকভাবেমানব সৃষ্টির রহস্যনিয়ে এখানে প্রতিটি আয়াতের বাংলা ইংরেজি অর্থ এবং এর ব্যাখ্যা বা তাফসীর নিয়ে আলোচনা করবো। জ্ঞানীদের জন্য এসব আয়াতে রয়েছে আল্লাহ পাকের নির্দশন ইন শা আল্লাহ।

সূরা ওয়াকিয়া, আয়াতঃ ৫৭-৬০

৫৬:৫৭ نَحۡنُ خَلَقۡنٰکُمۡ فَلَوۡ لَا تُصَدِّقُوۡنَ
৫৬:৫৮ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تُمۡنُوۡنَ
৫৬:৫৯ ءَاَنۡتُمۡ تَخۡلُقُوۡنَهٗۤ اَمۡ نَحۡنُ الۡخٰلِقُوۡنَ
৫৬:৬০ نَحۡنُ قَدَّرۡنَا بَیۡنَکُمُ الۡمَوۡتَ وَ مَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوۡقِیۡنَ

৫৭. আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না?
৫৮. তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীর্যপাত করছ সে সম্পর্কে?
৫৯. তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা?
৬০. আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না,
আল-বায়ান

57. We have created you, so why do you not believe? 
58. Have you seen that which you emit?
59. Is it you who creates it, or are We the Creator?
60. We have decreed death among you, and We are not to be outdone
Sahih International


৫৭. আমরাই(১) তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তবে কেন তোমরা বিশ্বাস করছ না?

(১) আলোচ্য আয়াতসমূহে এমন পথভ্রষ্ট মানুষকে হুশিয়ার করা হচ্ছে, যারা মূলত কেয়ামত সংঘটিত হওয়ায় এবং পুনরুজীবনেই বিশ্বাসী নয়। [ইবন কাসীর; কুরতুবী]

৫৮. তোমরা ভেবে দেখেছ তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে?

৫৯. সেটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমরা সৃষ্টি করি?(১)

(১) ছোট্ট এ বাক্যে মানুষের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে। মানুষের জন্ম পদ্ধতি তো এছাড়া আর কিছুই নয় যে, পুরুষ তার শুক্র নারীর গর্ভাশয়ে পৌছে দেয় মাত্র। কিন্তু ঐ শুক্রের মধ্যে কি সন্তান সৃষ্টি করার এবং নিশ্চিত রূপে মানুষের সন্তান সৃষ্টি করার যোগ্যতা আপনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে? অথবা মানুষ নিজে সৃষ্টি করেছে? না আল্লাহ সৃষ্টি করেছে? এ যুক্তির সঙ্গত জওয়াব একটিই। তা হচ্ছে, মানুষ পুরোপুরি আল্লাহর সৃষ্টি। [তাবারী, আদওয়াউল-বায়ান]

৬০. আমরা তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারিত করেছি(১) এবং আমাদেরকে অক্ষম করা যাবে না—

(১) অর্থাৎ তোমাদেরকে সৃষ্টি করা যেমন আমার ইখতিয়ারে তেমনি তোমাদের মৃত্যুও আমার ইখতিয়ারে। [কুরতুবী] কে মাতৃগর্ভে মারা যাবে, কে ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্র মারা যাবে এবং কে কোন বয়সে উপনীত হয়ে মারা যাবে সে সিদ্ধান্ত আমিই নিয়ে থাকি। [ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া

সূরা ওয়াকিয়া, আয়াতঃ ৬২-৬৭

৫৬:৬২ وَ لَقَدۡ عَلِمۡتُمُ النَّشۡاَۃَ الۡاُوۡلٰی فَلَوۡ لَا تَذَکَّرُوۡنَ 
৫৬:৬৩ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تَحۡرُثُوۡنَ
৫৬:৬৪ ءَاَنۡتُمۡ تَزۡرَعُوۡنَهٗۤ اَمۡ نَحۡنُ الزّٰرِعُوۡنَ
৫৬:৬৫ لَوۡ نَشَآءُ لَجَعَلۡنٰهُ حُطَامًا فَظَلۡتُمۡ تَفَکَّهُوۡنَ
৫৬:৬৬ اِنَّا لَمُغۡرَمُوۡنَ 
৫৬:৬৭ بَلۡ نَحۡنُ مَحۡرُوۡمُوۡنَ

৬২. আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না? 
৬৩. তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে,
৬৪.
 তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি?
৬৫. 
আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে-
৬৬. 
(এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’।
৬৭. ‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’।
আল-বায়ান

62. And you have already known the first creation, so will you not remember? 
63. And have you seen that [seed] which you sow?
64. Is it you who makes it grow, or are We the grower?
65. If We willed, We could make it [dry] debris, and you would remain in wonder,
66. [Saying], "Indeed, we are [now] in debt;
67. Rather, we have been deprived."
Sahih International

৬২. আর অবশ্যই তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা উপদেশ গ্ৰহণ করা না কেন?(১)

(১) অর্থাৎ কিভাবে তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছিল তা তোমরা অবশ্যই জান। যে শুক্র দ্বারা তোমাদের অস্তিত্বের সূচনা হয়েছে তা পিতার মেরুদণ্ড থেকে কিভাবে স্থানান্তরিত হয়েছিল, মায়ের গর্ভাশয় যা কবরের অন্ধকার থেকে কোন অংশে কম অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল না তার মধ্যে কিভাবে পর্যায়ক্রমে তোমাদের বিকাশ ঘটিয়ে জীবিত মানুষে রূপান্তরিত করা হয়েছে। [কুরতুবী] কিভাবে একটি অতি ক্ষুদ্র পরমাণু সদৃশ কোষের প্রবৃদ্ধি ও বিকাশ সাধন করে এই মন-মগজ, এই চোখ কান ও এই হাত পা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং বুদ্ধি ও অনুভূতি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, শিল্প জ্ঞান ও উদ্ভাবনী শক্তি, ব্যবস্থাপনা ও অধীনস্ত করে নেয়ার মত বিস্ময়কর যোগ্যতাসমূহ দান করা হয়েছে? [দেখুন: ইবন কাসীর] এটা কি মৃতদের জীবিত করে উঠানোর চেয়ে কম অলৌকিক ও কম বিস্ময়কর? অতএব, তা থেকে এ শিক্ষা কেন গ্ৰহণ করছে না যে, আল্লাহর যে অসীম শক্তিতে দিন রাত এসব আশ্চর্য বিষয়াদি সংঘটিত হচ্ছে তার ক্ষমতায়ই মৃত্যুর পরের জীবন, হাশর নাশার এবং জান্নাত ও জাহান্নামের মত বিষয়াদি সংঘটিত হতে পারে? [দেখুন: মুয়াস্‌সার]

৬৩. তোমরা যে বীজ বপন কর সে সম্পর্কে চিন্তা করেছ কি?(১)

(১) মানব সৃষ্টির গুঢ়তত্ত্ব উদঘাটিত করার পর এখন এই খাদ্যের স্বরূপ সম্পর্কে প্রশ্ন রাখা হয়েছেঃ তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছি কি? এই বীজ থেকে অংকুর বের করার ব্যাপারে তোমাদের কাজের কতটুকু দখল আছে? চিন্তা করলে এছাড়া জওয়াব নেই, কৃষক ক্ষেতে লাঙ্গল চালিয়ে সার দিয়ে মাটি নরম করেছে মাত্র, যাতে দুর্বল অংকুর মাটি ভেদ করে সহজেই গজিয়ে উঠতে পারে। বীজ বপনকারী কৃষকের সমগ্র প্রচেষ্টা এই এক বিন্দুতেই সীমাবদ্ধ। চারা গজিয়ে উঠার পর সে তার হেফাযতে লেগে যায়। কিন্তু একটি বীজের মধ্য থেকে চারা বের করে আনার সাধ্য তার নেই। সে চারাটি তৈরি করেছে বলে দাবিও করতে পারে না। কাজেই প্রশ্ন দেখা দেয় যে, সুবিশাল মটির স্তুপে পতিত বীজের মধ্য থেকে এই সুন্দর ও মহোপকারী বৃক্ষ কে তৈরি করল? জওয়াব এটাই যে, সেই পরম প্ৰভু অপার শক্তিধর আল্লাহ তা'আলার অত্যাশ্চর্য কারিগরিই এর প্রস্তুতকারক। [দেখুন: আদওয়াউল-বায়ান]

৬৪. তোমরা কি সেটাকে অংকুরিত কর, না আমরা অংকুরিত করি?

৬৫. আমরা ইচ্ছে করলে এটাকে খড় কুটোয় পরিণত করতে পারি, তখন হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে তোমরা;

৬৬. (এই বলে) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্ৰস্ত হয়ে পড়েছি,

৬৭. বরং আমরা হৃত-সর্বস্ব হয়ে পড়েছি।
তাফসীরে জাকারিয়া

সূরা ওয়াকিয়া, আয়াতঃ ৬৮-৭৪


৫৬:৬৮ اَفَرَءَیۡتُمُ الۡمَآءَ الَّذِیۡ تَشۡرَبُوۡنَ
৫৬:৬৯ ءَاَنۡتُمۡ اَنۡزَلۡتُمُوۡهُ مِنَ الۡمُزۡنِ اَمۡ نَحۡنُ الۡمُنۡزِلُوۡنَ
৫৬:৭০ لَوۡ نَشَآءُ جَعَلۡنٰهُ اُجَاجًا فَلَوۡ لَا تَشۡکُرُوۡنَ 
৫৬:৭১ اَفَرَءَیۡتُمُ النَّارَ الَّتِیۡ تُوۡرُوۡنَ
৫৬:৭২ ءَاَنۡتُمۡ اَنۡشَاۡتُمۡ شَجَرَتَهَاۤ اَمۡ نَحۡنُ الۡمُنۡشِـُٔوۡنَ
৫৬:৭৩ نَحۡنُ جَعَلۡنٰهَا تَذۡکِرَۃً وَّ مَتَاعًا لِّلۡمُقۡوِیۡنَ 
৫৬:৭৪ فَسَبِّحۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الۡعَظِیۡمِ

৬৮. তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল। 
৬৯. বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বর্ষণ কর, না আমি বৃষ্টি বর্ষণকারী?
৭০. ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না?
৭১. তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল,
৭২. তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি?
৭৩. একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু।
৭৪. অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।
আল-বায়ান

68. And have you seen the water that you drink? 
69. Is it you who brought it down from the clouds, or is it We who bring it down?
70. If We willed, We could make it bitter, so why are you not grateful?
71. And have you seen the fire that you ignite?
72. Is it you who produced its tree, or are We the producer?
73. We have made it a reminder and provision for the travelers,
74. So exalt the name of your Lord, the Most Great.
Sahih International

৬৮. তোমরা যে পানি পান কর তা সম্পর্কে আমাকে জানাও(১)

(১) অর্থাৎ শুধু তোমাদের ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থাই নয় তোমাদের পিপাসা মেটানোর ব্যবস্থাও আমিই করেছি। তোমাদের জীবন ধারণের জন্য যে পানি খাদ্যের চেয়েও অধিক প্রয়োজনীয় তার ব্যবস্থা তোমরা নিজেরা কর নাই। আমিই তা সরবরাহ করে থাকি। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর]। আমি তোমাদেরকে শুধু অস্তিত্ব দান করেই বসে নাই। তোমাদের প্রতিপালনের এত সব ব্যবস্থাও আমি করছি যা না থাকলে তোমরা বেঁচেই থাকতে পারতে না। [আদওয়াউল-বায়ান]

৬৯. তোমরা কি সেটা মেঘ হতে নামিয়ে আন, না আমরা সেটা বর্ষণ করি?

৭০. আমরা ইচ্ছে করলে তা লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?

৭১. তোমরা যে আগুন প্ৰজ্বলিত কর সে ব্যাপারে আমাকে বল—

৭২. তোমরাই কি এর গাছ সৃষ্টি কর, না আমরা সৃষ্টি করি?

৭৩. আমরা এটাকে করেছি স্মারক(১) এবং মরুচারীদের প্রয়োজনীয় বস্তু।(২)

(১) মুজাহিদ বলেন, এর অর্থ, আমরা এ আগুনকে স্মরণিকা করেছি, এ আগুন আখেরাতের আগুনকে স্মরণ করিয়ে দিবে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের এ আগুন যা তোমরা জালিয়ে থাক তা জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ। সাগর দিয়ে দু’বার এটাকে ঠাণ্ডা করা হয়েছে। যদি তা না হতো তবে তা থেকে কেউ উপকৃত হতে পারত না। [মুসনাদে আহমাদ ২/২৪৪, সহীহ ইবনে হিব্বান ৭৪৬৩, মুসনাদে হুমাইদী ১১২৯, অনুরূপ বর্ণনা বুখারী ৩২৬৫, মুসলিম: ২৮৪৩]

(২) উপসংহারে সবগুলোর সার-সংক্ষেপ এরূপ বৰ্ণিত হয়েছে যে, “আমরা এটাকে করেছি স্মারক এবং পথচারীদের জন্য উপভোগ্য”। আয়াতে مُقْوِينَ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ভাষাভিজ্ঞ পণ্ডিতগণ এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন মরুভূমিতে উপনীত মুসাফির বা পথচারী। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন ক্ষুধার্ত মানুষ। কারো কারো মতে এর অর্থ হচ্ছে, সেসব মানুষ যারা প্রান্তরে অবস্থান করে খাবার পাকানো, আলো পাওয়া কিংবা তা গ্ৰহণ করার কাজে আগুন ব্যবহার করে সে সমস্ত মুসাফিরদেরকে বোঝানো হয়েছে। কারণ এ সমস্ত মরুচারী ও মুসাফিররা খাবারের জন্য যেমন আগুনের প্রয়োজন বোধ করে তেমনি নিজের শরীরের তাপমাত্ৰা ঠিক রাখার জন্যও আগুনের প্রতি বেশী মুখাপেক্ষী। আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, এসব সৃষ্টি আমার শক্তি-সামর্থ্যের ফসল। সুতরাং তোমরা ভেবে দেখা কার গুণ-গান করবে। [কুরতুবী]

৭৪. কাজেই আপনি আপনার মহান রবের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন।(১)

(১) পূর্ববর্তী যে সমস্ত নেয়ামতের কথা উল্লেখ হলো এবং এটা স্পষ্ট হলো যে, এগুলো একমাত্ৰ মহান আল্লাহই সম্পন্ন করে থাকেন। এর অবশ্যম্ভাবী ও যুক্তিভিত্তিক পরিণতি এই যে, মানুষ আল্লাহ তা'আলার অপার শক্তি ও তৌহীদে বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং মহান পালনকর্তার নামের পবিত্ৰতা ঘোষণা করবে। সুতরাং হে নবী! আপনি সে পবিত্র নাম নিয়ে ঘোষণা করে দিন যে, কাফের ও মুশরিকরা যেসব দোষত্রুটি, অপূর্ণতা ও দুর্বলতা তাঁর ওপর আরোপ করে তা থেকে পবিত্র এবং কুফর ও শির্কমূলক সমস্ত আকীদা ও আখেরাত অস্বীকারকারীদের প্রতিটি যুক্তি তর্কে যা প্রচ্ছন্ন আছে তা থেকেও মহান আল্লাহ সম্পূর্ণরূপে পবিত্র। [দেখুন: কুরতুবী; ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া




******************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url