রাহে আমল - ২১ || সন্তানদের অধিকার || সৎ সন্তান এক মহা মূল্যবান সম্পদ ||




সন্তানদের অধিকার

উত্তম শিক্ষাই উত্তম উপহার

إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَمَا نَحَلَ وَالِدٌ وَلَدَهُ مِنْ نُحَلِ أَفْضَلَ مِنْ آدَبٍ حَسَنٍ.

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : পিতা সন্তানকে যা কিছুই উপহার দিক, সবচেয়ে ভালো উপহার হলো তাকে উত্তম শিক্ষা দান। মেশকাত) 

সাত বছর বয়সেই নামাযের আদেশ

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلوةِ وَهُمْ أَبْنَاء سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْابْنَاهُ عَشْرِ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়স থেকেই নামায পড়ার আদেশ দাও। আর দশ বছর বয়সে নামাযের জন্য প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও ।

ব্যাখ্যা : এ হাদীসের সারকথা এই যে, ছেলেমেয়েদের বয়স সাত বছর হলেই তাদেরকে নামাযের নিয়ম শেখানো ও নামায পড়তে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। আর দশ বছর বয়সে যদি নামায না পড়ে তবে সেজন্য তাদেরকে মারপিঠও করা যেতে পারে। তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, তোমরা নামায না পড়লে আমরা অসন্তুষ্ট হই । এই বয়সে পৌঁছার পর শিশুদের বিছানাও পৃথক করে দেয়া উচিত। এক সাথে একই খাটে বা চৌকিতে একাধিক ছেলেমেয়েকে শুতে দেয়া উচিত নয় ।

সৎ সন্তান এক মহা মূল্যবান সম্পদ

 إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلَهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ، صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ او علم ينتفع به او ولدِ صَالِحِيدَعُولَة (مسلم)

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। কেবল তিন রকমের আমল রয়েছে, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে। (১) সে যদি সদকায়ে জারিয়া করে যায়। (২) সে যদি এমন কোন জ্ঞান বা বিদ্যা রেখে যায়, যা দ্বারা জনগণ উপকৃত হতে থাকবে, (৩) সে যদি কোন সৎ সন্তান রেখে যায়, যে তার জন্য দোয়া করতে থাকবে।

ব্যাখ্যা : সদকায়ে জারিয়া দ্বারা সেই সদকাকে বুঝানো হয়, যা দীর্ঘকাল চালু থাকে। যেমন, খাল বা কুয়া খনন করে দেয়া, প্রবাসীদের বাসস্থান বানিয়ে দেয়া। পথের পার্শ্বে গাছ লাগিয়ে দেয়া, কোন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী পুস্তকাদি দান করা ইত্যাদি। যতদিন মৃত জনসাধারণ এসব কাজ দ্বারা উপকৃত হতে থাকবে, ততদিন ব্যক্তি এর সওয়াব পেতে থাকবে। অনুরূপভাবে, সে যদি কাউকে বিদ্যা শিক্ষা দিয়ে যায়, অথবা ধর্মীয় পুস্তকাদি লিখে রেখে যায়, তবে তার সওয়াবও সে পেতে থাকবে ।

তৃতীয় যে জিনিসটির সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে, তাহলো তার নিজ সন্তান, যাকে সে প্রথম থেকেই উত্তম শিক্ষা দিয়েছে এবং সেই শিক্ষার ফলে সে খোদাভীরু ও পরহেযগার হিসাবে গড়ে উঠেছে। এই সন্তান যতদিন দুনিয়ায় বেঁচে থাকবে, ততদিন তার যাবতীয় সৎকাজের সওয়াব তার বাবা মা কবরে বসে পেতে থাকবে। উপরন্তু সে যেহেতু নেককার সন্তান, তাই তার বাবা মায়ের জন্য তো সে দোয়া করতেই থাকবে এবং তাদ্বারাও বাবা মা উপকৃত হতে থাকবে ।

ইয়াতীম ও মেয়ে সন্তান লালন পালনের ফযীলত

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَوَى يَتِيمَا إِلَى طَعَامِهِ وَشَرَابِهِ أَوْجَبَ اللهُ لَهُ الْجَنَّةَ الْبَتَّةَ إِلَّا أَنْ يَعْمَلَ ذَنْبًا لَّا يَغْفِرُ، وَمَنْعَالَ ثَلَثَ بَنْتِ أَوْ مِثْلَهُنَّ مِنَ الْاَخَوَاتِ فَادَّبَهُنَّ وَرَحِـ حَتَّى يُغْنِيَهُنَّ الله أَوْجَبَ اللَّهُ لَهُ الْجَنَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَوِ اثْنَتَيْنِ؟ قَالَ أَوِ اثْنَتَيْنِ حَتَّى لَوْ قَالُواأَوْ وَاحِدَةً لَقَالَ وَاحِدَةً وَمَنْ أَذْهَبَ اللَّهُ كَرِيْمَتَيْهِ وَجَبَتْلَهُ الْجَنَّةُ قِيلَ يَارَسُولَ اللَّهِ وَمَا كَرِ يُمَتَاهُ؟ قَالَ عَيْنَاهُ

ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন : যে ব্যক্তি কোন এতীমকে আশ্রয় দেবে এবং নিজের খানাপিনায় শরীক করবে, নিশ্চয় আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবধারিত করে দেবেন। অবশ্য সে যদি ক্ষমার অযোগ্য কোন গুনাহ করে থাকে তাহলে স্বতন্ত্র কথা। আর যে ব্যক্তি তিনটে মেয়ে অথবা তিনটে বোনের লালন পালন ও অভিভাবকত্ব করবে, তাদের লেখাপড়া করাবে, প্রশিক্ষণ দেবে এবং তাদের সাথে সদয় আচরণ করবে, যাতে তারা অন্যের মুখাপেক্ষী না থাকে, তার জন্য আল্লাহ বেহেশত অবধারিত করে দেবেন। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, যদি বোন বা মেয়ে মাত্র দুটোই হয়, তাহলেও? রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন দুটো মেয়ের অভিভাবকত্বের জন্যও একই রকম পুরস্কার। ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, লোকেরা যদি একজনের কথা জিজ্ঞেস করতো, তবে তিনি একজনের ব্যাপারেও এরূপ সুসংবাদই দিতেন। আর যে ব্যক্তির দুটো অতি প্রিয় জিনিস আল্লাহ নিয়ে নেন, তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যাবে। জিজ্ঞেস করা হলো: হে রাসূলুল্লাহ, দুটো অতি প্রিয় জিনিস কী? তিনি জবাব দিলেন : তার দুটো চোখ।

এ হাদীসে যে বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম হলো : কারো যদি শুধুই মেয়ে হয়, তবে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা উচিত নয়, বরং তাদের যথাযথ অভিভাবকত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত। তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া উচিত এবং তাদের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে দয়া, স্নেহ ও মমতাপূর্ণ আচরণ করা উচিত। যে ব্যক্তি এরূপ করবে, তাকে রাসূল (সা) বেহেশতের সুসংবাদ দিয়েছেন। অনুরূপ কোন ভাই-এর কাছে যদি কয়েকটি ছোট বোন থাকে । তবে তারও উচিত ঐ বোনগুলোকে যেন গলার কাঁটা না মনে করে। বরং সাধ্যমত তাদের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা উচিত। তাদেরকে ইসলামী শিক্ষা ও দ্বীনদারীর প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত এবং বিয়ে হওয়া পর্যন্ত সদয় ব্যবহার করা উচিত।

পুরুষ সন্তান ও মেয়ে সন্তানের বৈষম্য করা

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَتْ لَهُ أُنْثَى فَلَمْ يَدِهَا وَلَمْ يُهِنْهَا وَلَمْ يُؤْثِرُ وَلَدَهُ عَلَيْهَايعْنِي الذَّكُورَ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ.

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন যে ব্যক্তির মেয়ে সন্তান জন্মে এবং সে জাহেলী প্রথা অনুসারে তাকে জীবিত মাটিতে পুতে ফেলে না, তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা করে না কিংবা তার ওপর ছেলে সন্তানকে অগ্রাধিকার দেয় না, তাকে আল্লাহ বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।

ভালো ব্যবহার করলে মেয়ে সন্তান দোযখ থেকে রক্ষা করবে

"عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَ تْنِي امْرَأَةٌ وَمَعَهَا ابْنَتَانِ لَهَا تَسَأَلْنِي فَلَمْ تَجِدْ عِنْدِي غَيْرَ تَمْرَةٍ وَاحِدَةٍ فَاعْطَيْتُهَا إِيَّاهَا فَقَسَمَتْهَا بَيْنَ ابْنَتَيْهَا وَلَمْ تَأْكُلُ مِنْهَا ، ثُمَّ قَامَتْ فَخَرَجَتْ فَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ مَنِ ابْتُلِيَ مِنْ هَذِهِ الْبَنَاتِ بِشَيْفَاحْسَنَ إِلَيْهِنَّ كُنَّ لَهُ سِتْرَامِنَ النَّارِ . (بخاری)

হযরত আয়েশা (রা) বলেন : আমার কাছে দু'টো মেয়েসহ এক মহিলা সাহায্য চাইতে এল। আমার কাছে তখন একটা খেজুর ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমি সেটাই তাকে দিলাম। মহিলা সেই খেজুরটি তার দুই মেয়েকে ভাগ করে দিল এবং নিজে কিছুই খেল না। তারপর সে উঠলো ও চলে গেল। এরপর যখন রাসূল (সা) আমার কাছে এলেন তখন আমি তাকে সেই মহিলার ঘটনা জানালাম (যে সে নিজে ক্ষুধার্ত হয়েও নিজে না খেয়ে নিজের মেয়ে দুটিকে খাওয়ালো।) রাসূল (সা) বললেন এইসব মেয়ে সন্তান দ্বারা পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েও যে ব্যক্তি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে, মেয়েগুলো তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবে ।

অর্থাৎ আল্লাহ যাকে শুধুই মেয়ে সস্তান দেন, তার জন্য মেয়ে সন্তানও একটি মূল্যবান উপহারস্বরূপ হয়ে থাকে। আল্লাহ দেখতে চান, মা বাবা এসব মেয়ে সন্তানের সাথে কেমন আচরণ করে। মেয়ে সন্তানরা আয় উপার্জন করেও মা বাবাকে দেয় না, তাদেরকে সেবা করার জন্য তাদের কাছে আজীবন থাকে না । তথাপি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে তারা মা বাবার গুনাহ মাফ করানোর ওসীলা হয়ে যাবে।

সন্তানদেরকে উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে সাম্য

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّ أَبَاهُ أَتَى بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هذَا غُلَامًا كَانَ لِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا ؟ فَقَالَ لَا، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَارْجِعُهُ، وَفِي رِوَايَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفَعَلْتَ هَذَا بِوَلَدِكَ كُلِهِمْ؟ قَالَ لَا، قَالَ اتَّقُوا اللَّهَ وَاعْدِلُوا فِي أَوْلَادِكُمْ فَرَجَعَ أَبِي فَرَدَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ فَلَا تَشْهِدُ نِي إِذَا، فَإِنِّي لَا أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ، وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ ايَسرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي الْبِرِّسَوَاء؟ قَالَبلى، قَالَ فَلَااذا . (بخاري، مسلم)

নুমান বিন বশীর (রাঃ) বলেন, আমার বাবা (বশীর) আমাকে সাথে নিয়ে রাসূল (সা)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল, আমার কাছে একটা ক্রীতদাস ছিল, তা এই ছেলেকে দিয়েছি। রাসূল (সা) বললেন, তোমার সব ছেলেকেই কি দিয়েছ? বাবা বললেন : না। রাসূল তাহলে ক্রীতদাসটি ফেরত নাও। অপর বর্ণনায় বলা হয়েছে, রাসূল (সাঃ) বললেন: তুমি কি তোমার সকল সন্তানের সাথে এরূপ আচরণ করেছ? বাবা বললেন, না। রাসুল (সাঃ) বললেন: আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজের সন্তানদের সাথে সমান আচরণ কর। এরপর বাবা বাড়ী ফিরে আমাকে দেওয়া ক্রিতদাসটি ফিরিয়ে নিলেন। অপর বর্ণনায় আছে, রাসূল (সাঃ) বললেন, তাহলে আমাকে সাক্ষী বানিও না। আমি যালিমের সাক্ষী হবো না।

আরও একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, রাসূল (সাঃ) বললেন, তুমি কি চাও যে সকল ছেলে তোমার সাথে সমান আচরণ করুক? বাবা বললেন, হ্যা। রাসূল (সাঃ) বললেন, তাহলে এরূপ করো না।

এ হাদীস থেকে জানা গেল যে, সন্তানদের সাথে সমান আচরণ করা উচিত। নচেৎ তা জুলুম হবে। সমান আচরণ না করলে তাদের মন খারাপ হবে এবং যে সন্তানরা বঞ্চিত হবে বা কম পাবে তাদের মনে বাবার প্রতি বিদ্বেষের সৃষ্টি হবে।

শিশু সন্তানের লালন পালনের খাতিরে পুনরায় বিয়ে না করা

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَامْرَأَةٌ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ كَهَاتَيْنِ يَوْمَ الْقِيمَةِ وَاوْ مَا يَزِيدُ بن زُرَيْعٍ إِلَى الْوُسْطَى وَالسَّبَّابَةِ، اِمْرَأَةٌ أُمَتْ مِنْ زَوْجِهَادَاتٌ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ حَبَسَتْ نَفْسَهَا عَلَى يَتَامَا
هَا حَتَّى بَانُوا أَوْ مَاتُوا. (أبو داؤد، عوف بن مالك)

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন আমি ও ঝলসে যাওয়া মুখমণ্ডলধারিনী কেয়ামতের দিন এই দু'আঙ্গুলের মত থাকবো। (বর্ণনাকারী সাহাবী এযীদ বিন যারী' নিজের লাগোয়া দুই আঙ্গুল দেখান) অর্থাৎ যে মহিলার স্বামী মারা গেছে এবং সে সম্ভ্রান্ত বংশীয় ও সুন্দরীও বটে, কিন্তু সে তার মৃত স্বামীর সন্তানদের খাতিরে পুনরায় বিয়ে করে না এবং তারা তার কাছ থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া বা মৃত্যু বরণ করা পর্যন্ত সে তাদের কাছেই থাকে । (আবু দাউদ, আওফ বিন মালেক থেকে বর্ণিত)

এ হাদীসের মর্ম এই যে, কোন মহিলা যদি বিধবা হয়, তার ছোট ছেলে মেয়ে থাকে এবং লোকেরা তাকে বিয়ে করতে আগ্রহীও হয়। কিন্তু সে তার সেই এতীম শিশুদের লালনপালনের খাতিরে পুনরায় বিয়ে করে না এবং সতীত্ব ও সম্ভ্রম রক্ষা করে জীবন যাপন করে, তবে এ ধরনের মহিলা কেয়ামতের দিন রাসূল (সা)-এর নৈকট্য লাভ করবে ।

তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের ভরণ পোষণ


إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى أَفْضَلِ الصَّدَقَةِ ابْنَتُكَ مَرْدُودَةٌ إِلَيْكَ لَيْسَ لَهَاکاسِبٌ غَيْرُكَ. (ابن ماجه)

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন : সর্বোত্তম সদকা কী, তা কি আমি বলে দেব? তা হচ্ছে তোমার সেই মেয়ে, যাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তুমি ছাড়া তার আর কোন উপার্জনকারী নেই ।

অর্থাৎ কদাকার বা শরীরিক খুঁত থাকার কারণে যে মেয়ের বিয়ে হয় না, কিংবা বিয়ের পর তালাকপ্রাপ্ত হয় এবং মা অথবা বাবা ছাড়া তার ভরণ পোষণকারী আর কেউ নেই। তার পেছনে যা কিছু করা হবে, তা হবে আল্লাহর দৃষ্টিতে সর্বোত্তম সদকা।




******************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url