আবু বকর (রাঃ) ও রাফে বিন আমর আত্তাঈ এর ইসলাম গ্রহণ




আবু বকর (রাঃ) ও রাফে বিন আমর আত্তাঈ

নবম হিজরীতে রাসূল (সাঃ) হযরত আমর বিন আ'স (রাঃ) -কে গোয়েন্দা বাহিনী হিসেবে তায়ীতে প্রেরণ করেন। আরবদের মধ্যে যে ব্যক্তি মুসলমান হবে তাকে সিরিয়ার দিকে রওনা করে রোমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্যে আহ্বান করতে রাসূল (সাঃ) এই আদেশ দিলেন এবং যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি তাদের সাথে বন্ধুত্বের মতো আচরণ করতে যেন তারা শত্রুদের দলে যোগ না দেয় ।

সেই দলের মধ্যে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ও ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ)সহ আরো অনেক উল্লেখযোগ্য সাহাবিগণ ছিলেন।
তাঁরা চলতে চলতে তায়ী পাহাড়ে পৌঁছলেন। সেখানে তাঁদের কাছে পথ অচেনা মনে হলো। তাঁরা ভয় করতে লাগলেন রাস্তা না চেনার কারণে তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন।

তখন হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) বললেন, আমাদেরকে এমন একজন লোক এনে দাও যে আমাদের অচেনা পথের দিশারী হবে।

তখন তাদেরকে বলা হলো, তোমাদের জন্যে রাফি বিন উমাইর আত্তায়ী-ই আছে। কেননা সেই এ পানিহীন মরুর পথ সবচেয়ে বেশি চিনে।

এতে তাঁরা হযরত রাফি বিন আত্তায়ীকে নিজেদের পথের দিশারী হিসেবে বেছে নিলেন।
হযরত রাফি বিন উমাইর (রাঃ) রাসূল (সাঃ) -এর মহান সাহাবীদেরকে পথ দেখিয়ে দিতে কিছুদিন তাঁদের সাথে কাটালেন। আর তাঁরাও তাঁদেরকে আদেশ করা কাজ শেষ করলেন।
হযরত রাফি রাসূল (সাঃ) -এর সাহাবীদের সাথে থাকার কারণে তাঁদের সুন্দর ব্যবহার, উত্তম আখলাক ও মহান চরিত্র দেখতে পান যা তাঁর অন্তরে তাঁদের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে।

তিনি তাঁদেরকে দেখতেন তাঁরা রাতের বেলা ইবাদতে মশগুল থাকতেন আর দিনের বেলা ঘোড়ার পৃষ্ঠে থাকতেন।

তাঁরা দুনিয়া বিরাগী ও আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম প্রতিদান পাওয়ার আশায় থাকত ।

কিন্তু তাঁদের সাথে থাকার সময় হযরত রাফিয়ের অবস্থা ছিল অন্যরকম যা তিনি নিজেই বলেন.......

আমি যখন তাঁদের থেকে আলাদা থাকতাম তখন তাঁদেরকে নিয়ে ভাবতাম । বিশেষ করে আবু বকরের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আমি তাঁকে সবার থেকে বেশি সম্মান করতাম, সবার থেকে বেশি প্রাধান্য দিতাম।
আমরা আমাদের পূর্বের স্থানে ফিরে আসার জন্যে রওনা করলাম, কিন্তু আমি তাঁদের থেকে আলাদা হয়ে নিজের পথের দিকে যখন পা বাড়াব তখন আমি অনুভব করলাম তাঁরা আমার হৃদয় নিয়ে চলে যাচ্ছেন।

আমার মনের এ অবস্থার কারণে আমি আবু বকরের নিকটে এসে বলি-

হে কল্যাণের বন্ধু! আমি আপনাকে ভালো হিসেবে জানি এবং আপনার বন্ধুদের থেকে আপনাকেই পছন্দ করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে এমন উপদেশ দিন যা পালন করলে আমি আপনাদের একজন হতে পারব এবং আপনাদের মতো হতে পারব।
তিনি বললেন, তুমি কি তোমার পাঁচটি আঙুল সংরক্ষণ করতে পারবে?
আমি বললাম, হ্যাঁ।
হযরত আবু বকর বললেন, তাহলে সেই আঙুল দ্বারা গণনা কর-
আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল তুমি
একথার সাক্ষ্য দেবে।
নামায আদায় করবে।
যদি তোমার সম্পদ থাকে তাহলে যাকাত দেবে ।
রমজান মাসে রোযা রাখবে ....
এবং মক্কায় গমন করার সক্ষমতা থাকলে হজ্ব করবে।
এরপর বললেন, তুমি কি এগুলো সংরক্ষণ করেছ?
আমি বললাম, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ
আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
আর আমি কখনও নামায ছাড়ব না,
যদি আমার সম্পদ থাকে তাহলে যাকাত দেব,
রমজান মাসে আমি জীবিত থাকলে রোযা রাখব,
এবং যদি আল্লাহ চায় আর আমি সক্ষম হই তাহলে আমি হজ্ব আদায় করব।





***************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.

Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url