অনর্থক গুনাহ -১ || অনর্থক ও অনুপোকারী কথা কিংবা কর্ম হতে গুনাহ ||

অনর্থক ও অনুপোকারী কথা কিংবা কর্ম
(১) মুফিদ তথা লাভজনক, যার মধ্যে পার্থিব বা পরকালীন উপকার নিহিত আছে।
(২) ক্ষতিকারক যাতে ইহকাল ও পরকালের ক্ষতি বিদ্যমান রয়েছে।
(৩) উপকারীও নয় অপকারীও নয়, যার মধ্যে কোন উপরকার নেই অপকারও নেই।
এই তৃতীয় প্রকারকে হাদীছ শরীফে لا يعنى শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়েছে। কিন্তু যদি একটু চিন্তা করা হয়, তাহলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এই তৃতীয় প্রকারও বস্তুতঃভাবে দ্বিতীয় প্রকারে অর্থাৎ ক্ষতিকারকে অন্তর্ভুক্ত। কেননা ঐ সময়টুকু যাতে এ প্রকার কথায় কিংবা কাজে ব্যয় করা হয়, তাতে যদি একবার ‘সুবহানাল্লাহ' বলা হতো, তাহলে আমলের পাল্লা অর্ধেক পূর্ণ হয়ে যেত। যদি অন্য কোন লাভজনক আমল করা হতো, তাহলে গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পরকালে নাজাতের ওসীলা কিংবা অন্ততঃ দুনিয়ার প্রয়োজনের ব্যাপারে চিন্তাহীন থাকার কারণ হতো। এই মূল্যবান সময়টাকে অনুপকারী কাজে বা কথায় ব্যয় করা এইরূপ যে, কাউকে এখতিয়ার দেয়া হলো যে, তুমি ইচ্ছা করলে স্বর্ণ রৌপ্য ও মণি মুক্তার একটি খনি কিংবা একটি মাটির ঢেলা নিতে পারে, সে খনির পরিবর্তে মাটির ঢেলা উঠিয়ে নিল। এতে যে তার বিরাট লোকসান ও ক্ষতি হলো তা খুবই প্রকাশিত; তা বলার অবকাশ রাখে না। এ জন্যই হাদীছ শরীফে আছে, যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসে এবং উক্ত মজলিসে আল্লাহর যিকির না হয়, তবে কিয়ামতের দিবসে এই মজলিস তার জন্য আক্ষেপ ও লজ্জার কারণ হবে।
وہ علم جهل هے جو دکھائی نه راه درست ۔
مجلس وه هے وبال جهان یاد حق نه هو
هر دم از گرا می هست گنج بے بدل
می رود گنجے چنین هر لحظ بیکار آه آه .
অর্থাৎ যেই জ্ঞান মানুষকে সঠিক রাস্তা প্রদর্শন না করে, সে জ্ঞান অজ্ঞতা, যেই মজলিসে আল্লাহর যিকির নেই সেই মজলিস তার জন্য দুর্ভাগ্য।
অমূল্য জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অমূল্য ঐশ্বর্য। এ অমূল্য ধন ভান্ডার প্রতি মুহূর্তে অর্থহীনভাবে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, হায় আফসুস শত আফসুস!”
এ জন্যই নিরর্থক কর্ম ও কথাকে এবং অনুপোকারী বন্ধুবান্ধবের মজলিসে বসাকে দূরদর্শী ব্যক্তিগণ গুনাহর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কতক হাদীছ শরীফের রিওয়ায়ত দ্বারা এর সমর্থন পাওয়া যায়। হাদীছে শরীফে আছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “কোন ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণ সহীহ-শুদ্ধ হওয়ার একটি নিদর্শন হচ্ছে অনুপকারী কর্মসমূহকে পরিত্যাগ করা।” (তিরমিযী ইবনে মাজা) ।
অন্য এক হাদীছ শরীফে আছে, একদা হযরত কা'ব বিন উজরাহ (রাযিঃ) কয়েকদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি লোকদের কাছে তাঁর কথা জিজ্ঞাসা করলেন। বলা হলো যে, তিনি অসুস্থ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অবস্থা জানার জন্য তাশরীফ নিয়ে গেলেন। তাঁর অবস্থা শোচনীয় দেখে তিনি ইরশাদ করলেন, হে কা’ব! তোমার জন্য সুসংবাদ। তখন তার মাতা বলে ফেললেন, হে কা'ব ! তোমার জান্নাত নসীব হবে। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন যে, আল্লাহ তা'আলার ব্যাপারে কসম খেয়ে হস্তক্ষেপকারী সে কোন ব্যক্তি? হযরত কা'ব বললেন, তিনি আমার মাতা। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন। তুমি কি জান ? হয়তো কা'ব কখনো لا يعنى অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় কথা বলেছে বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতে কৃপণতা করেছে। কাজেই কারো সম্বন্ধে জান্নাতের ফায়সালা করার অধিকার কার আছে? এর বাহ্যিক মমার্থ হলো যে, অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজের হিসাব হবে। আর যার থেকে হিসাব নেয়া হবে এবং যে জবাবদিহীর সম্মুখীন হবে তার নাজাত অনিশ্চিত। –(ইহইয়াউল উলূম)
কোন মুসলমানের সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাস করা
ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাস করা কবীরা গুনাহ। ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীর এতে কোন পার্থিব এবং সামাজিক উপকার নেই। কিন্তু সাধারণ মুসলমান অসাবধানতায় দ্বিধাহীনভাবে এতে লিপ্ত রয়েছে।
কুরআন মজীদে ইরশাদ হচ্ছেঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۱۱
“হে ঈমানদারগণ, কোন সম্প্রদায় যেন অপর কোন সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোন নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতইনা নিকৃষ্ট! আর যারা তাওবা করে না, তারাই তো যালিম।”
(সূরা হুজরাত -১১)
استهزاء শব্দের অর্থ হচ্ছে কারো অপমান ও ঘৃণা এবং তার দোষ-ত্রুটি অপরের সামনে এমনভাবে প্রকাশ করা যার ফলে লোকেরা হাসি তামাশা করে । উপহাস বিভিন্নভাবে হতে পারে-
(১) কারো চলাফেরা, হাসা, বলা ইত্যাদি নকল করা বা দেহের উচ্চতা, গঠন, আকার আকৃতির নকল করা
(২) কারো কথায় হাসা.
(৩) হাত, পা কিংবা চোখের ইঙ্গিতে কারো দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা। এগুলো এমন গুনাহ যাতে কোন উপকার নেই এবং স্বাদহীনও যা বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যে মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করেছে। জনসাধারণ থেকে শুরু করে বিশেষ ব্যক্তিবর্গ পর্যন্ত সবাই এতে লিপ্ত রয়েছে। অথচ কুরআন মজীদের উপরোল্লিখিত আয়াতে উহাকে স্পষ্টভাবে হারাম বলেছে। অন্যত্র উল্লেখ আছে অর্থাৎ “প্রত্যেক বিদ্রূপকারী এবং দোষ অন্বেষণকারীর জন্য ধ্বংস।”
অন্য আয়াতে করীমায় আছে যে,
یَقُوۡلُوۡنَ یٰوَیۡلَتَنَا مَالِ هٰذَا الۡکِتٰبِ لَا یُغَادِرُ صَغِیۡرَۃً وَّ لَا کَبِیۡرَۃً اِلَّاۤ اَحۡصٰهَا
-
অর্থাৎ “তারা বলবেঃ হায় আফসোস, এ কেমন আমলনামা, এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি - সবই এতে রয়েছে।” -(সুরা কাহফ-৪৯)
এ আয়াতের তাফসীরে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আয়াতে صَغِیۡرَۃً দ্বারা মর্মার্থ হচ্ছে, কোন মুসলমানকে নিয়ে ঠাট্টা-রূপে মুচকি হাসা। আর کَبِیۡرَۃً দ্বারা মমার্থ হলো এতে অট্টহাসি হাসা।
হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রাঃ) বলেন যে, একদা আমি কোন এক ব্যক্তির নকল করলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করে ইরশাদ করেন যে, যদি আমাকে বিরাট ধন-সম্পদ দেয়া হয় তবুও আমি কারো কোন বিষয় নকল করব না। এতে এদিকেও ইঙ্গিত হতে পারে যে, ইহা এমন এক স্বাদহীন ও অনুপকারী গুনাহ যার মধ্যে উপকার নেই। যদি ধরে নেয়া হয় যে, তাতে উপকার আছে তবুও তার নিকটে যাওয়া উচিত নয়। হযরত হাসান (রাঃ) বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যারা অন্য মানুষকে উপহাস করে পরকালে তার জন্য জান্নাতের একটি দরওয়ায়া খোলে তাকে সেদিকে ডাকা হবে সে তাড়াহুড়া করে সেখানে পৌঁছবে সঙ্গে সঙ্গে দরওয়াযা বন্ধ করে দেয়া হবে। পরে দ্বিতীয় একটি দরওয়াযা খোলা হবে এবং তার দিকে ডাকা হবে। যখন সে সেখানে পৌছবে বন্ধ করে দেয়া হবে এমনিভাবে জান্নাতের দরওয়ায়াসমূহ অনবরত খোলা হবে এবং বন্ধ করা হবে এ পর্যন্ত যে, সে নিরাশ হয়ে যাবে এবং পরে তাকে ডাকা হলেও দরওয়াযার দিকে সে যাবে না। -(বায়হাকী)।
এক ব্যক্তির গুহ্যদ্বার দিয়া বায়ু আওয়াযের সঙ্গে বের হলে অন্যেরা হাসতে লাগল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধমকের স্বরে উপদেশ দিয়ে বললেন, যে কাজ তোমরা সকলেই করে থাক তাতে হাসি কেন?
হযরত মা'আয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি অন্যকে তার কৃত গুনাহর জন্য লজ্জা দিবে সে ব্যক্তি যে পর্যন্ত ঐ গুনাহতে লিপ্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না । আহমদ বিন মুনিয়া (রাঃ) বলেন, এখানে গুনাহর অর্থ সেই গুনাহ, যার থেকে তাওবা করে ফেলেছে। (তিরমিযী)
সতর্ক বাণীঃ কেহ কেহ অজ্ঞতা ও অমনোযোগিতার কারণে উপহাস এবং ঠাট্টাকে কৌতুকের অন্তর্ভুক্ত মনে করে এতে লিপ্ত হয়ে যায়। অথচ উভয়ের মধ্যে বিরাট ব্যবধান রয়েছে। কৌতুক জায়েয, যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও প্রমাণিত আছে, তবে শর্ত হলো কোন কথা যেন অবাস্তব না হয় এবং কারো অন্তরে কষ্ট না পায়, ইহা যেন অভ্যাস এবং পেশায় পরিণত না হয়, ঘটনাক্রমে যেন হয়। –(ইহইয়ায়ুল উলূম)
যে ঠাট্টা বা পরিহাসের দ্বারা কারো মনোকষ্ট নিশ্চিত হয় তা হারাম, এতে সকলেই একমত। -(যাওয়াজের ২ খণ্ড ১৮ পৃষ্ঠা)।
দোষ অন্বেষন করা, ত্রুটি খোঁজা এবং অপমান করা
কুরআন শরীফে ইরশাদ হচ্ছে- ولا تجسسوا অর্থাৎ “কারো গোপনীয় দোষ অন্বেষণ করো না।” হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসে খুত্বায় ইরশাদ করলেন, যে ব্যক্তি শুধু মুখে মুসলমান হয়েছে কিন্তু তাঁর অন্তরে ঈমান বদ্ধমূল হয় নাই সে যেন কোন মুসলমানকে কষ্ট না দেয়, তাদের গোপনীয় দোষের পিছনে না পড়ে। কাউকেও বিগত গুনাহর জন্য লজ্জা দিওনা। কেননা, যে ব্যক্তি কোন মুসলমান ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করে, আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করবেন এবং আল্লাহ তা'আলার যার দোষ অনুসন্ধান করবেন অনতিবিলম্বে তাকে অপমান করবেন যদিও সে নিজের বাড়িতে গোপন থাকুক । -(তিরমিযী, জময়ূল ফাওয়ায়েদ)
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) একদা আল্লাহ তা'আলার ঘরের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন, হে আল্লাহর ঘর! তোমার মাহাত্ম্য কত বড়, তোমার মর্যাদা কত উঁচু। মু'মিনের মর্যাদা ও সম্মান আল্লাহ তা'আলার নিকট তোমার চেয়ে অধিক । -(তিরমিযী, জময়ুল ফাওয়ায়েদ)
হাদীছ শরীফে আছে, “এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, তাই তার উপর অত্যাচার করা, তার দোষ অনুসন্ধান করা উচিত নয়। যে ব্যক্তি নিজের ভাইয়ের কোন কাজে সাহায্য করবে আল্লাহ তা'আলা তার কাজে সাহায্য করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিবসে তার দোষ গোপন রাখবেন।” -(তিরমিযী)
বর্তমানে কবীরা গুনাহ মহামারীর ন্যায় ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সকল শ্রেণীর মানুষ এতে লিপ্ত হয়ে গেছে। মানুষের গোপনীয় দোষের অনুসন্ধান, কোন একটি বিষয় পেলেই তার প্রচার করা, কাউকেও অপমান করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কারো মনের মধ্যে একটুও বাঁধে না যে এতে আমি কোন গুনাহ করছি কি না? এটিই স্বাদহীন গুনাহ যার মধ্যে কারো পার্থিব উপকার নেই, যদি সারা জীবন না করে, তাহলেও কোন ক্ষতির আশংকা নেই। কিন্তু অনুভূতিহীনতা এবং অসৎচরিত্রের কারণে এর মধ্যে আস্বাদন এবং স্বাদ অনুভব করে । আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমিন ।
*************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.