তাফসীরে ইবনে কাসীর - ২৭ || সূরা বাকারা - ১৭ || আল্লাহর অস্তিত্ব সম্বন্ধে দলীলসমূহ || পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা || জগত সৃষ্টির মোট সময়





کَیۡفَ تَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ کُنۡتُمۡ اَمۡوَاتًا فَاَحۡیَاکُمۡ ۚ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡکُمۡ ثُمَّ اِلَیۡهِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۲۸

সূরা আল বাকারা ২৮নং আয়াতের অর্থ

   
২৮। কিরূপে তোমরা আল্লাহকে অবিশ্বাস করছ? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন? অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে সঞ্জীবিত করেছেন, পুনরায় তিনি তোমাদেরকে নির্জীব করবেন। অবশেষে তোমাদেরকে তাঁরই দিকে প্রত্যাগমন করতে হবে।

আল্লাহর অস্তিত্ব সম্বন্ধে দলীলসমূহ

আল্লাহ তা'আলা বিদ্যমান রয়েছেন, তিনি ব্যাপক ক্ষমতবান এবং তিনিই সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি প্রমাণ করার পর এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 'কেমন করে তোমরা আল্লাহর অস্তিত্বকে অবিশ্বাস করছ? অথচ তোমাদেরকে অস্তিত্বহীনতা থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী তো একমাত্র তিনিই।' যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

اَمۡ خُلِقُوۡا مِنۡ غَیۡرِ شَیۡءٍ اَمۡ هُمُ الۡخٰلِقُوۡنَ ﴿ؕ۳۵  اَمۡ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ بَلۡ لَّا یُوۡقِنُوۡنَ ﴿ؕ۳۶

তারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? না কি তারা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? বরং তারা তো অবিশ্বাসী। (সূরা তূর, ৫২ ঃ ৩৫- ৩৬) অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছেঃ

هَلۡ اَتٰی عَلَی الۡاِنۡسَانِ حِیۡنٌ مِّنَ الدَّهۡرِ لَمۡ یَکُنۡ شَیۡئًا مَّذۡکُوۡرًا ﴿۱

কাল-প্রবাহ মানুষের উপর এক সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিলনা। (সূরা ইনসান/দাহর, ৭৬ : ১) এ ধরনের আরও বহু আয়াত রয়েছে। কুরআনুম মাজীদে বলা হয়েছেঃ

قَالُوۡا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثۡنَتَیۡنِ وَ اَحۡیَیۡتَنَا اثۡنَتَیۡنِ فَاعۡتَرَفۡنَا بِذُنُوۡبِنَا فَهَلۡ اِلٰی خُرُوۡجٍ مِّنۡ سَبِیۡلٍ ﴿۱۱

তারা বলবেঃ হে আমাদের রাব্ব! আপনি আমাদেরকে প্রাণহীন অবস্থায় দুইবার রেখেছেন এবং দুইবার আমাদেরকে প্রাণ দিয়েছেন। (সূরা মু'মিন, ৪০ : ১১)
   
আবদুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ এবং এই আয়াতের ভাবার্থ একই যে, তোমরা তোমাদের পিতার পৃষ্ঠে মৃত ছিলে। অর্থাৎ কিছুই ছিলেনা। তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, আবার তোমাদেরকে মৃত করবেন। অর্থাৎ মৃত্যু একদিন অবশ্যই আসবে। আবার তিনি তোমাদেরকে কাবর হতে উঠাবেন। এভাবেই মরণ দু'বার এবং জীবন দু'বার।


هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ٭ ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ فَسَوّٰىهُنَّ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ ؕ وَ هُوَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۲۹

২৯। পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনঃসংযোগ করেন, অতঃপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন; এবং তিনি সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।

আল্লাহর ক্ষমতা সম্বন্ধে দলীল

পূর্বের আয়াতে মহান আল্লাহ ঐ দলীলসমূহ বর্ণনা করেছেন যা স্বয়ং মানুষের মধ্যে রয়েছে। এখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই পবিত্র আয়াতে ঐ দলীলসমূহের বর্ণনা দিচ্ছেন যা দৈনন্দিন মানুষের চোখের সামনে ভাসছে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, প্রত্যেক জিনিস সম্বন্ধে তাঁর জানা আছে। যেমন তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ألا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ

যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেননা? (সূরা মূলক, ৬৭ : ১৪)

পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা

এ আয়াতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে সূরা ফুচ্ছিলাতে (হা মীম সাজদাহ)। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেনঃ

قُلۡ اَئِنَّکُمۡ لَتَکۡفُرُوۡنَ بِالَّذِیۡ خَلَقَ الۡاَرۡضَ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ وَ تَجۡعَلُوۡنَ لَهٗۤ اَنۡدَادًا ؕ ذٰلِکَ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۚ﴿۹  وَ جَعَلَ فِیۡهَا رَوَاسِیَ مِنۡ فَوۡقِهَا وَ بٰرَکَ فِیۡهَا وَ قَدَّرَ فِیۡهَاۤ اَقۡوَاتَهَا فِیۡۤ اَرۡبَعَۃِ اَیَّامٍ ؕ سَوَآءً لِّلسَّآئِلِیۡنَ ﴿۱۰  ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ وَ هِیَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَ لِلۡاَرۡضِ ائۡتِیَا طَوۡعًا اَوۡ کَرۡهًا ؕ قَالَتَاۤ اَتَیۡنَا طَآئِعِیۡنَ ﴿۱۱  فَقَضٰهُنَّ سَبۡعَ سَمٰوَاتٍ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ وَ اَوۡحٰی فِیۡ کُلِّ سَمَآءٍ اَمۡرَهَا ؕ وَ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡیَا بِمَصَابِیۡحَ ٭ۖ وَ حِفۡظًا ؕ ذٰلِکَ تَقۡدِیۡرُ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ ﴿۱۲

বলঃ তোমরা কি তাকে অস্বীকার করবেই যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাতে চাও? তিনি তো জগতসমূহের রাব্ব। তিনি স্থাপন করেছেন অটল পর্বতমালা ভূপৃষ্ঠে এবং তাতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চার দিনে ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের সমভাবে, যাঞ্চাকারীদের জন্য। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধূম্রপুঞ্জ বিশেষ। অতঃপর তিনি ওটাকে এবং পৃথিবীকে বললেনঃ তোমরা উভয়ে এসো স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বললঃ আমরা এলাম অনুগত হয়ে। অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশে উহার বিধান ব্যক্ত করলেন এবং আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং করলাম সুরক্ষিত। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। (সূরা হা-মীম সাজদাহ ৪১ : ৯-১২)

এ আয়াত দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, মহান আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সাতটি আকাশ নির্মাণ করেছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি, অট্টালিকা নির্মাণের এটাই নিয়ম যে, প্রথমে নির্মাণ করা হয় নীচের অংশ এবং পরে উপরের অংশ। মুফাসিরগণ এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা ইনশাআল্লাহ এখনই আসছে। কিন্তু এটা বুঝে নেয়া উচিত যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা অন্য স্থানে বলেনঃ

ءَاَنۡتُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمِ السَّمَآءُ ؕ بَنٰهَا ﴿ٝ۲۷ ءَاَنۡتُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمِ السَّمَآءُ ؕ بَنٰهَا ﴿ٝ۲۷  وَ اَغۡطَشَ لَیۡلَهَا وَ اَخۡرَجَ ضُحٰهَا ﴿۪۲۹  وَ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ ذٰلِکَ دَحٰىهَا ﴿ؕ۳۰  اَخۡرَجَ مِنۡهَا مَآءَهَا وَ مَرۡعٰهَا ﴿۪۳۱  وَ الۡجِبَالَ اَرۡسٰهَا ﴿ۙ۳۲ مَتَاعًا لَّکُمۡ وَ لِاَنۡعَامِکُمۡ ﴿ؕ۳۳

তোমাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, নাকি আকাশ সৃষ্টি? তিনিই এটা নিৰ্মাণ করেছেন। তিনি এটাকে সুউচ্চ ও সুবিন্যস্ত করেছেন। এবং তিনি ওর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং ওর জ্যোতি বিনির্গত করেছেন। এবং পৃথিবীকে এরপর বিস্তৃত করেছেন। তিনি ওটা হতে বহির্গত করেছেন ওর পানি ও তৃণ, আর পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রোথিত করেছেন; এ সবই তোমাদের ও তোমাদের জন্তুগুলির ভোগের জন্য। (সূরা নাযি'আত, ৭৯: ২৭-৩৩) এ আয়াতে আল্লাহ বলেন যে, তিনি আকাশের পরে যমীন সৃষ্টি করেছেন।
   
কেহ কেহ বলেছেন যে, পরবর্তী আয়াতটিতে আসমানের সৃষ্টির পরে যমীন বিছিয়ে দেয়া ইত্যাদি বর্ণিত হয়েছে, সৃষ্টি করা নয়। তাহলে ঠিক আছে যে, প্রথমে যমীন সৃষ্টি করেছেন, পরে আসমান। অতঃপর যমীনকে ঠিকভাবে সাজিয়েছেন। এতে আয়াত দু'টি পরস্পর বিরোধী আর থাকলনা। এ দোষ হতে মহান আল্লাহর কালাম সম্পূর্ণ মুক্ত।

আসমানের পূর্বে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে

هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্ত ই তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুজাহিদ (রহঃ) বলেন যে, আকাশ সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তা'আলা পৃথিবী সৃষ্টি করেন। ওর থেকে ধূম্রের সৃষ্টি। ইবন মাসউদ (রাঃ), ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) এবং আরও কয়েকজন সাহাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তা'আলার আরশ পানির উপরে ছিল। এর পূর্বে তিনি কোন কিছু সৃষ্টি করেননি। অতঃপর যখন তিনি অন্যান্য জিনিস সৃষ্টি করার ইচ্ছা করেন তখন তিনি পানি হতে ধূম্র বের করেন এবং সেই ধূম্র উপরে উঠে যায়। তা হতে তিনি আকাশ সৃষ্টি করেন। তারপর পানি শুকিয়ে যায় এবং ওকে তিনি যমীনে পরিণত করেন। এবং পরে পৃথক পৃথকভাবে সাতটি যমীন সৃষ্টি করেন। যমীন কাঁপতে থাকলে আল্লাহ তার উপর পাহাড় স্থাপন করেন, তখন তা থেমে যায়। আল্লাহ তা'আলার এ কথার অর্থ এটাই ঃ 'আমি ভূ-পৃষ্ঠে পর্বতমালা স্থাপন করেছি, যেন তা তাদেরকে নিয়ে টলমল করতে না পারে। পাহাড়, যমীনে উৎপাদিত শস্য এবং যমীনের প্রত্যেকটি জিনিস মঙ্গল ও বুধ এই দু'দিনে সৃষ্টি করেন। এরই বর্ণনা পূর্বে বর্ণিত আয়াতটিতে রয়েছে। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছেঃ

ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ وَ هِیَ دُخَانٌ

অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধূম্রপুঞ্জ বিশেষ । (সূরা হা-মীম সাজদাহ, ৪১ : ১১) এরপর বলা হয়েছেঃ

ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ وَ هِیَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَ لِلۡاَرۡضِ ائۡتِیَا طَوۡعًا اَوۡ کَرۡهًا ؕ قَالَتَاۤ اَتَیۡنَا طَآئِعِیۡنَ অতঃপর তিনি আকাশের প্রতি মনঃসংযোগ করেন, অতঃপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন। অর্থাৎ এক একটি আকাশের উপর আর একটি আকাশ এবং এক একটি যমীনের নীচে যমীন সৃষ্টি করে মোট সাতটি আকাশ ও সাতটি যমীন সৃষ্টি করেন। আকাশে তিনি মালাইকাকে সৃষ্টি করেন, যার জ্ঞান তিনি ছাড়া আর কারও নেই। দুনিয়ার আকাশকে তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত করেন এবং ওগুলিকে শাইতান হতে নিরাপত্তা লাভের মাধ্যম বানিয়ে দেন। এসব সৃষ্টি করার পর বিশ্বপ্রভু আরশের উপর অধিষ্ঠিত হন। এ আয়াত ঐ আয়াতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা সূরা সাজদায় (৪১ : ১১) বর্ণিত হয়েছে।

জগত সৃষ্টির মোট সময়

তাফসীর ইব্‌ন জারীরে রয়েছে: আবদুল্লাহ ইবন সাঈদ (রাঃ) বলেন যে, রোববার হতে মাখলূকের সৃষ্টিকাজ আরম্ভ হয়। দু'দিনে সৃষ্টি করা হয় যমীন, দু'দিনে যমীনের সমস্ত জিনিস এবং দু'দিনে আসমান সৃষ্টি করা হয়। শুক্রবারের শেষাংশে আসমানের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ঐ সময়েই আদমকে (আঃ) সৃষ্টি করা হয় এবং ঐ সময়েই কিয়ামাত সংঘটিত হবে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন যে, মহান আল্লাহ পৃথিবীকে আকাশের পূর্বে সৃষ্টি করেছেন। ওটা হতে যে ধোঁয়া উপরের দিকে উঠেছে তা হতে আকাশ নির্মাণ করেন যা একটির উপর আর একটি এভাবে সাতটি এবং যমীনও একটির নীচে আরেকটি এভাবে সাতটি। এ আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে যে, পৃথিবীকে আকাশের পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন সূরা সাজদাহয় রয়েছে। আলেমগণ এ বিষয়ে একমত। সহীহ বুখারীতে আছে, ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন যে, যমীন তো আকাশসমূহের পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু বিছানো হয়েছে পরে। (ফাতহুল বারী ৮/৪১৭) সাধারণ আলেমদেরও উত্তর এটাই। অতীতের এবং বর্তমানের অনেক তাফসীরকারক একই রকম বর্ণনা করেছেন যা সূরা নাযি'আত এর তাফসীরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে 'দুহা' শব্দটিরও বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

وَ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ ذٰلِکَ دَحٰىهَا ﴿ؕ۳۰ اَخۡرَجَ مِنۡهَا مَآءَهَا وَ مَرۡعٰهَا ﴿۪۳۱  وَ الۡجِبَالَ اَرۡسٰهَا ﴿ۙ۳۲

এবং পৃথিবীকে এরপর বিস্তৃত করেছেন। তিনি ওটা হতে বহির্গত করেছেন ওর পানি ও তৃণ, আর পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রোথিত করেছেন। (সূরা নাযি'আত, ৭৯ : ৩০-৩২)
   
কুরআন মাজীদে ..... শব্দটি আছে এবং এর পরে পানি, চারা, পাহাড় ইত্যাদির বর্ণনা আছে। এ শব্দটির ব্যাখ্যা যেন নিম্নরূপ : মহান আল্লাহ যে যে জিনিসের বৃদ্ধির ক্ষমতা এই যমীনে রেখেছিলেন, ঐ সবকে প্রকাশ করে দিলেন এবং এর ফলে বিভিন্ন আকারের ও বিভিন্ন শ্রেণীর উৎপাদন বেরিয়ে এলো। এভাবেই আকাশেও স্থির ও গতিশীল তারকারাজি ইত্যাদি নির্মাণ করলেন। আল্লাহই অধিক জ্ঞাতা ।




*****************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url