রমযানের সওগাত - ০২ || প্রতিদিন রমযান বিষয়ক ১০টি সহীহ হাদিস




চাঁদ দেখে সাওম শুরু, চাঁদ দেখে ইফতার বন্ধ


’আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের কথা আলোচনা করে বললেনঃ চাঁদ না দেখে তোমরা সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করবে না এবং চাঁদ না দেখে ইফতার বন্ধ করবে না। যদি মেঘাছন্ন থাকে তাহলে তাঁর সময় (ত্রিশ দিন) পরিমান পূর্ণ করবে।

* সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৮৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯০৬

’আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাস ঊনত্রিশ রাত বিশিষ্ট হয়। তাই তোমরা চাঁদ না দেখে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) শুরু করবে না। যদি আকাশ মেঘাবৃত থাকে তাহলে তোমরা ত্রিশ দিন পূর্ন করবে।
   
* সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৮৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯০৭

রমযানের আগে সাওম শুরু না করা

মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেউ রমজানের একদিন কিংবা দুই দিন আগে থেকে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সাওম করতে পারবে।

* সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৯৩, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯১৪

সিয়ামের রাতে স্ত্রীসম্ভোগ বৈধ

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ সিয়ামের রাতে তোমাদের স্ত্রীসম্ভোগ বৈধ হয়েছে। তাঁরা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা ও তাঁদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ জানতেন, তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছিলে, তারপর তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হয়েছেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুতরাং এখন তোমরা তাঁদের সাথে সঙ্গত হও এবং আল্লাহ যা তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন তা কামনা কর। (২ঃ ১৮৭)

’উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগন অবস্থা এই ছিল যে, যদি তাঁদের কেউ সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতেন, ইফতারের সময় হলে ইফতার না করে ঘুমিয়ে গেলে সে রাতে এবং পরের সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুই খেতেন না। কায়স ইবনু সিরমা আনসারী (রাঃ) সাওম পালন করেছিলেন। ইফতারের সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট কিছু খাবার আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে আমি যাচ্ছি, দেখি আপনার জন্য কিছু তালাশ করে আনি। তিনি কাজে রত থাকতেন। তাই ঘুমে তাঁর চোখ বুজে গেল। এরপর স্ত্রী এসে যখন তাকে দেখলেন, তখন তাঁকে বললেন, হায়, তুমি বঞ্ছিত হয়ে গেলে! পরদিন দুপুর হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ ঘটনাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করা হলে এ আয়াতটি নাযিল হয়ঃ সিয়ামের রাত্রে তোমাদের স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হয়েছে। এ হুকুম সমন্ধে অবহিত হয়ে সাহাবীগন খুবই আনন্দিত হলেন। এরপর নাযিল হলঃ তোমরা পানাহার কর যতক্ষন রাতের কাল রেখা হতে (ভোরের) সাদা রেখা স্পষ্ট তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।

* সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৯৪, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯১৫

সেহরীতে পানাহার কতক্ষণ

হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ... ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হলঃ‏حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ‏ ’’তোমরা পানাহার কর রাত্রির কাল রেখা হতে সাদা রেখা যতক্ষন স্পষ্টরুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়্‌ তখন আমি একটি কাল এবং একটি সাদা রশি নিলাম এবং উভয়টিকে আমার বালিশের নিচে রেখে দিলাম। রাতে আমি এগুলোর দিকে বারবার তাকাতে থাকি। কিন্তু নিকট পার্থক্য প্রকাশিত হল না। তাই সকালেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে এ বিষয় বললাম। তিনি বললেনঃ এতো রাতের আধার এবং দিনের আলো।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৯৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯১৬
-   

সা’ঈদ ইবনু আবূ মারইয়াম (রহঃ) ... সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হলঃ‏وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ‏ ’’তোমরা পানাহার কর, যতক্ষন না কাল রেখা সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। কিন্তু তখনোمِنَ الْفَجْرِ কথাটি নাযিল হয় নি। তখন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতে ইচ্ছুক লোকেরা নিজেদের দুই পায়ে একটি কাল এবং একটি সাদা সুতলি বেধে নিতেন এবং সাদা কাল এই দুইটির পার্থক্য না দেখা পর্যন্ত তাঁরা পানাহার করতে থাকতেন। এরপর আল্লাহ তা’আলা শব্দটি নাযিল করলে সকলেই বুঝতে পারলেন যে, এ দ্বারা উদ্দেশ্য হল রাত (এর আধার) এবং দিন (এর আলো)।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৯৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯১৭

সাহরী ও ফজরের সালাতের মাঝে ব্যবধান


মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য দাঁড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আম জিজ্ঞেসা করলাম আযান ও সাহরীর মাঝে কতটিকু ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমাণ।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৯৯, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯২১

দিনের বেলা রোজার নিয়ত


وَقَالَتْ أُمُّ الدَّرْدَاءِ كَانَ أَبُو الدَّرْدَاءِ يَقُولُ عِنْدَكُمْ طَعَامٌ فَإِنْ قُلْنَا لاَ. قَالَ فَإِنِّي صَائِمٌ يَوْمِي هَذَا. وَفَعَلَهُ أَبُو طَلْحَةَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَحُذَيْفَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ

উম্মুদ দারাদা (রাঃ) বলেন যে, আবুদ দারাদা (রাঃ) তাকে এসে জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কাছে কিছু খাবার আছে? আমরা যদি বলতাম, নেই, তাহলে তিনি বলতেন, আমি আজ সাওম পালন করব। আবু তালহা, আবু হুরায়রা, ইবন আব্বাস এবং হুযায়ফা (রাঃ) অনুরূপ করতেন।

আবূ ’আসিম (রহঃ) ... সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ’আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন, যে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৮০২, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯২৪

জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় ভোর হওয়া

১৮০৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসআলা (রহঃ) ... আবূ বকর ইবনু ’আবদুর রাহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ’আয়িশা (রাঃ) এবং উম্মে সালামা (রাঃ) এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবূল ইয়ামান (রহঃ) মারওয়ান থেকে বর্ণিত যে, ’আয়িশা (রাঃ) এবং উম্মে সালামা (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতেন। মারওয়ান (রহঃ) ’আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রহঃ) কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান মদিনার গভর্ণর ছিলেন।

আবূ বকর (রহঃ) বলেন মারওয়ান এর কথা ’আবদুর রাহমান (রহঃ) পছন্দ করেন নি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হয়ে যাই। সেখানে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর একখন্ড জমি ছিল। আবদুর রাহমান (রহঃ) আবূ হুরায়রা কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তাহলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না।

তারপর তিনি ’আয়িশা (রাঃ) ও উম্মে সালামা (রাঃ) এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন, ফাযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবহিত। হাম্মাম (রহঃ) এবং ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত এরূপ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওম ত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক থেকে বিশুদ্ধ।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৮০৩, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯২৫ - ১৯২৬

রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে স্পর্শ করা


وَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا يَحْرُمُ عَلَيْهِ فَرْجُهَا

আয়িশা (রাঃ) বলেন, সায়িমের জন্য তার স্ত্রীর লজ্জাস্থান হারাম।

১৮০৪। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) অবস্থায় চুমু খেতেন এবং গায়ে গা লাগাতেন। তবে তিনি তাঁর প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চাইতে অধিক সক্ষম ছিলেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন,اربٌ মানে হাজত বা চাহিদা। তাউস (রহঃ) বলেন,غير ‏أُولِي الإِرْبَةِ মানে বোধহীন, যার মেয়েদের প্রতি কোন খাহিশ নেই।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৮০৪, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯২৭

রোজা অবস্থায় চুমু খাওয়া


وَقَالَ جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ إِنْ نَظَرَ فَأَمْنَى يُتِمُّ صَوْمَهُ

জাবির ইবন যাইদ (রহঃ) বলেন, (স্ত্রীলোকের দিকে) তাকালে যদি বীর্যপাত ঘটে, তাহলেও সাওম পূর্ণ করবে।

মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না এবং ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সায়িম অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন কোন স্ত্রীকে চুমু খেতেন। (একথা বলে) ’আয়িশা (রাঃ) হেসে দিলেন।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৮০৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯২৮
   

মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে একই চাঁদরে আমি ছিলাম। এমন সময় আমার হায়য শুরু হল। তখন আমি আমার হায়যের কাপড় পরিধান করলাম। তিনি বললেনঃ তোমার কি হল? তোমার কি হায়য দেখো দিয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ; তারপর আমি আবার তাঁর সঙ্গে চাঁদরের ভিতর ঢুকে পড়লাম। তিনি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্র থেকে গোসল করতেন এবং সায়িম অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে চুমু দিতেন।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৮০৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯২৯

রোজা অবস্থায় গোসল

সাওমরত অবস্থায় ইবন উমর (রাঃ) একটি কাপড় ভিজালেন এরপর তা গায়ে দেওয়া হলো। সাওমরত অবস্থায় শা’বী (রহঃ) গোসলখানায় প্রবেশ করেছেন। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, হাঁড়ি থেকে কিছু বা অন্য জিনিস চেটে স্বাদ দেখায় কোন দোষ নেই। হাসান (রহঃ) বলেন, সাওম পালনকারীর কুলি করা এবং ঠাণ্ডা লাগান দূষণীয় নয়। ইবন মাসউদ (রাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ সাওম পালন করলে সে যেন সকালে তেল লাগায় এবং চুল আঁচড়িয়ে নেয়। আনাস (রাঃ) বলেন, আমার একটি হাউজ আছে, আমি সায়িম অবস্থায় তাতে প্রবেশ করি। নবী (সাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি সায়িম অবস্থায় মিসওয়াক করতেন। ইবন উমর (রাঃ) সায়িম অবস্থায় দিনের প্রথমভাগে এবং শেষভাগে মিসওয়াক করতেন। আতা (রহঃ) বলেন, থুথু গিলে ফেললে সাওম ভঙ্গ হয়েছে বলা যায় না। ইবন সীরীন (রহঃ) বলেন, কাঁচা মিসওয়াক ব্যাবহারে কোন দোষ নেই। প্রশ্ন করা হল কাঁচা মিসওয়াকে তো স্বাদ রয়েছে? তিনি বললেন, পানিরও তো স্বাদ রয়েছে, অথচ এ পানি দিয়েই তুমি কুলি কর। আনাস (রাঃ), হাসান (রহঃ) এবং ইবরাহীম (রহঃ) সায়িমের সুরমা ব্যাবহারে কোন দোষ মনে করতেন না।

আহমদ ইবনু সালিহ (রহঃ) ... ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমজান মাসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভোর হত ইহতিলাম ব্যতীত (জুনুবী অবস্থায়)। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতেন।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৮০৭, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯৩০


ইসমা’ঈল (রহঃ) ... আবূ বকর ইবনু ’আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে রওয়ানা হয়ে ’আয়িশা (রাঃ) এর নিকট পৌছলাম। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি ইহতিলাম ছাড়া স্ত্রী সহবাসের কারণে জুনুবী অবস্থায় সকাল পর্যন্ত থেকেছেন এবং এরপর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তারপর আমরা উম্মে সালামা (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তিনিও অনুরূপ কথাই বললেন। আবূ জা’ফর বলেন, ’আবদুল্লাহ (রহঃ) কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন ব্যাক্তি সাওম ভঙ্গ করলে সে কি স্ত্রী সহবাসকারীর মত কাফফারা আদায় করবে? তিনি বললেন, না; তুমি কি সে হাদীসগুলো সম্পর্কে জানো না যাতে বর্ণিত আছে যে, যুগ যুগ ধরে সাওম পালন করলেও তার কাযা আদায় হবে না?

* ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৮০৮, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৯৩১ - ১৯৩২




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url