কাদিয়ানীরা নিজেরাই নিজেদেরকে ইসলাম থেকে পৃথক বা আলাদা করে নিয়েছে






কাদিয়ানীদের প্রথম খলীফা হাকীম নূরুদ্দীনের ফতোয়া

কাদিয়ানীদের প্রথম খলীফা, যার খলীফা হওয়ার ব্যাপারে কাদিয়ানীদের উভয় গ্রুপ একমত, সেই নূরুদ্দীন বলছে- "রাসূলের উপর ঈমান যদি না আনা হয়, তাহলে কোন লোক মুমিন ও মুসলমান হতে পারেনা। আর রাসূলের উপর ঈমান আনার কোন সীমাবদ্ধতা নেই, বরং তা ব্যাপক। নবী আগে আসুন বা পরে, ভারতে আসুন বা অন্য কোন দেশে যে কোন আল্লাহর প্রত্যাদিষ্ট ব্যক্তিকে অস্বীকার করাই কুফরী। আমাদের বিরোধীরা হযরত মির্জা সাহেবের প্রত্যাদিষ্ট হওয়াকে অস্বীকার করে। তাহলে তোমরাই বলো, এ মতপার্থক্য মৌলিক হবেনা কেন?" মজমুয়া ফতওয়ায়ে আহমদীয়া, ১ম খন্ড ২৭৫ পৃষ্টা )
   

দ্বিতীয় খলীফা মির্জা মাহমুদ আহমদের ফতোয়া

কাদিয়ানীদের দ্বিতীয় খলীফা মির্জা বশীরুদ্দীন মাহমুদ বলেছে- "যে লোক আহমদী ভিন্ন অন্য কারো নিকট মেয়ে বিয়ে দেয়, সে নিশ্চয় মসীহ মাওউদকে বুঝতে সক্ষম হয়নি আর আহমদী হওয়ার অর্থও সে বুঝে নাই। আহমদীদের মধ্যে এমন কোন বেধীন লোক কি আছে যে তার মেয়েকে কোন হিন্দু বা খৃষ্টানের নিকট বিয়ে দিয়েছে? তোমরা তাদের অর্থাৎ অ আহমদীদের কাফের বলো, অথচ তারা এ ব্যাপারে তোমাদের চাইতে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তারা কাফের হওয়া সত্ত্বেও অন্য কাফেরের নিকট কন্যা সম্প্রদান করেনা। আর তোমরা আহমদী হয়ে কাফেরকে কন্যা প্রমান করেছো। তোমরা কি এ জন্য বিবাহ দিয়েছো যে, তারা তোমাদেরই জাতির লোক? কিন্তু যেদিন তোমরা আহমদী হয়েছো সেদিন থেকে তোমাদের জাতি হলো আহমদীয়া। পরিচিতি বা স্বতন্ত্রতার জন্য যদি কেউ তোমাদের জিজ্ঞেস করে তাহলে তোমরা নিজেদের জাতি বা দলের পরিচয় দিতে পার তা না হলে তোমাদের জাতি, গোত্র, তোমাদের ব্যক্তিসত্তা সবই এখন আহমদী, এরপর আহমদীদের বাদ দিয়ে অ-আহমদীদের মাঝে কেন নিজ জাতির সন্ধান করো? মুমিনের কাজ তো হচ্ছে, যখন সত্য এসে পড়ে তখন বাতিল ও অসত্যকে সে ছেড়ে দেয়। - মালাইকাতুল্লাহঃ ৪৬

“আনোয়ারে খেলাফত" নামক গ্রন্থে সে লিখছে- “আমাদের কর্তব্য হচ্ছে আমরা অ-আহমদীদের মুসলমান বলে স্বীকার করবো না এবং তাদের পিছনে নামাজও পড়বো না। কেননা, আমাদের নিকট তারা খোদা তাআলার এক নবীকে অস্বীকার করা দল। এটা সম্পূর্ণই ধর্মীয় ব্যাপার, এতে নিজের পক্ষ থেকে কিছু করার কারো কোন অধিকার নেই। (প্রাগুক্ত, পৃঃ ৯০)

“আয়েনায়ে সাদাকত “ গ্রন্থে তো আরো অগ্রসর হয়ে এ পর্যন্তও লেখা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি গোলাম আহমদের নামই শুনে নাই, সেও কাফের। যেমন, “যত মুসলমান, যারা মসীহ মাওউদের আনুগত্যের গন্ডীতে আসেনি, তারা মসীহ মাওউদের নামও যদি না শুনে থাকে, তাহলেও তারা কাফের এবং ইসলামের আওতা বহির্ভূত। (প্রাগুক্তঃ পৃঃ ৩৫) 

মির্জা বশীর আহমদ এম, এ-এর বক্তব্য

   
মির্জা গোলাম আহমদের মধ্যম পুত্র মির্জা বশীর আহমদ লিখেছে, “যে লোক মুসা (আঃ)-কে নবী বলে স্বীকার করলেও ঈসা (আঃ)-কে স্বীকার করেনা, অথবা ঈসা (আঃ)-কে স্বীকার করলেও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নবী বলে স্বীকার করেনা, অথবা মুহাম্মদ (সাঃ)-কে স্বীকার করলেও মসীহ মাওউদকে স্বীকার করেনা, সে শুধু কাফেরই নয়, বরং পাক্কা কাফের এবং ইসলামের গন্ডীর বাইরে।” (কালিমাতুল ফাল, ১১০ পৃঃ) এ বইয়ের অন্যত্র লিখেছে-"মসীহ মাওউদের এই দাবী যে, তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্ট এবং আল্লাহ তাঁর সাথে কথাবার্তা বলেন, দুটো অবস্থার সৃষ্টি করেছে হয়তো নাউজুবিল্লাহ; তিনি তার দাবীতে মিথ্যুক, আল্লাহ সম্পর্কে মনগড়া মিথ্যা কথা বলেছেন, তাহলে তিনি এ অবস্থায় শুধু কাফেরই নয়, বরং বড় কাফের বলে বিবেচিত হবেন। অথবা মসীহ মাওউদ তাঁর ইলহামের দাবীতে সত্যবাদী এবং আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে নিজেই এরশাদ করেছেন এখন তোমাদের ইচ্ছা, হয়ত মসীহ মাওউদের অস্বীকারকারীদের মুসলমান বলে মসীহ মাওউদের উপর কুফরীর ফতোয়া লাগাতে পারো অথবা মসীহ মাওউদকে সত্যবাদী বলে তাঁর অস্বীকারকারীদের কাফের বলে বিশ্বাস করবে। কিন্তু এমন কখনোই হবেনা যে তোমরা উভয় দলকে মুসলমান বলে বিশ্বাস রাখবে। কেননা, কুরআনের আয়াত সুস্পষ্ট ভাবে এ কথা বুঝাচ্ছে যে, যদি নবী দাবীকারী কাফের না হয় তাহলে তাকে অস্বীকারকারী অবশ্যই কাফের হবে। তাই আল্লাহর ওয়াস্তে মুনাফেকী ছাড় এবং সত্যিকারভাবে কোন একটা ফয়সালা করে নাও।”
- (কালিমাতুল ফাল, পৃঃ১২৩ )

মুহাম্মদ আলী লাহোরীর কথা

কাদিয়ানীদের লাহোরী উপদলের আমীর মুহাম্মদ আলী লাহোরী "রিভিউ অব রিলিজিয়ন্স' এ লিখেছে- “আহমদী আন্দোলন ইসলামের সাথে ঠিক সেই সম্পর্ক রাখে, ইহুদী ধর্মের সাথে খৃষ্ট ধর্ম যে সম্পর্ক রাখে।" - (রাওয়ালপিন্ডি বিতর্ক ২৪০ পূঃ হতে সংকলিত)

এ বক্তব্যটিতে মুহাম্মদ আলী লাহোরী আহমদীয়াতকে ইসলাম থেকে ভিন্ন ধর্ম হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে যেভাবে খৃষ্ট ধর্ম ইহুদী ধর্মের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধর্ম। 'রিভিউ অব রিলিজিয়ন্স'-এর ৫ম খন্ডের ৩১৮ পূঃ সে লিখছে: "ঐ সব মুসলমানের জন্য বড়ই আফসোস, যারা হযরত মির্জা সাহেবের বিরোধিতায় অন্ধ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ঐসব আপত্তিই উত্থাপন করছে যেগুলো খৃষ্টানরা নবী করীম (সাঃ) -এর বিরুদ্ধে উত্থাপন করে। ঠিক সে ভাবেই যেভাবে খৃষ্টানরা নবী করীম (সাঃ)-এর বিরেধিতায় অন্ধ হয়ে ঐ সব আপত্তিকে মজবুত করে তুলছে ও বার বার উত্থাপন করছে যেগুলো ইহুদীরা হযরত ঈসা (আঃ)-এর বিরুদ্ধে উত্থাপন করেছিল। সত্য নবীর এই এক বড় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নিদর্শন যে, তার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা হয় যা সকল নবীর বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। ফলে কোন লোক এমন আল্লাহর প্রত্যাদিষ্ট কাশিয়ানী ফিতনা ও মুসলিম মিল্লাতের অবস্থান বান্দাকে অস্বীকার করার দরূণ সে নবুওয়তের ধারাকেই যেন অস্বীকার করে। (তাবদীলিয়ে আকায়েদ, পৃঃ ৪২)।
   
এখানে একটি কথা প্রণিধানযোগ্য, তা হলো মির্জা গোলাম আহমদ বা তার অনুসারীদের লেখায় কোন কোন স্থানে তাদের বিরোধিতাকারীদের জন্য মুসলমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে গেছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে মালিক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ কাদিয়ানী 'রিভিউ অব রিলিজিয়ন্স' গ্রন্থের এক প্রবন্ধে লিখেছে : “তিনি তার বিরোধিতাকারীদের প্রকাশ্য নামের কারণে তাদের জন্য মুসলমান শব্দ ব্যবহার করেছেন। কেননা, কারো কোন নাম ব্যাপকতা লাভ করলে তখন তাতে নামের অর্থ বিদ্যমান না থাকলেও তাকে সেই নামেই ডাক দেওয়া হয়।" - (আহমদিয়াত কে ইমতিয়াযী মাসায়েল, 'রিভিউ অব রিলিজিয়ন্স'-এর প্রবন্ধ)

মুসলমানদের সাথে সম্পর্কচ্যুতি

পূর্বে উল্লেখিত আক্বীদা বিশ্বাসের দরুণ কাদিয়ানীরা নিজেদেরকে স্বতন্ত্র জাতি হিসাবে পরিগণিত করে। আর তাই মুসলমানদের সাথে তারা কোন প্রকার সম্পর্কও রাখতে রাজী নয়। কোন মুসলমানের সাথে আত্মীয়তা করা বা কোন মুসলমানের পিছনে নামায পড়া ইত্যাদি যে কোন কাজে তারা মুসলমানদের সাথে সম্পর্ক রাখা অবৈধ মনে করে। তেমনিভাবে কোন মুসলমানের জানাযার নামায পড়তেও তারা রাজী নয়।

অ-আহমদীর পিছনে নামায

মির্জা গোলাম আহমদ লিখেছে- যারা আমাদেরকে কাফের বলে এবং অস্বীকারের রাস্তা অবলম্বন করেছে তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি। তাই, তাদের কারো এতটুকু যোগ্যতা নেই যে, আমাদের কেউ তাদের পিছনে নামায পড়বে। জীবিত লোক কি কোন মৃত লোকের পিছনে নামায পড়তে পারে? তাই মনে রেখো, খোদা তাআলা আমাকে যেমন জানিয়েছেন, তোমাদের জন্য হারাম এবং অকাট্যভাবে হারাম যে কোন মুকাফফির ও অস্বীকারকারী বা কোন দ্বিধান্বিত ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়বে। বরং তোমাদের জন্য করণীয় এই যে, তোমাদের নামাযে ইমাম হবে তোমাদেরই দলভুক্ত কোন লোক। বোখারী শরীফের এক হাদীসের অংশবিশেষে এরই দিকে ইশারা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যখন মসীহ পৃথিবীতে এসে যাবেন, তখন অন্য যারাই ইসলামের দাবী করবে তাদের পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দিতে হবে এবং তোমাদের ইমাম তোমাদের লোক হবে। অতএব, তোমরা এমনটাই করো। তোমরা কি চাও যে, খোদার বিধান তোমাদের মাথায় নেমে আসুক এবং তোমাদের সকল আমল ইবাদত বিনষ্ট হয়ে যাক?"

অ-আহমদীনের সাথে বিবাহ

মির্জা বশীরুদ্দীন মাহমুদ লিখেছে : “হযরত মসীহ মাওউদ ঐ আহমদী ব্যক্তির উপর অত্যধিক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন অ- আহমদীর নিকট তার কন্যার বিবাহ দেয়। এক লোক তাঁর নিকট বারবার এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে এবং কতগুলো অসুবিধাও পেশ করেছে, কিন্তু তিনি তাকে এ কথাই বলেছেন যে, মেয়েকে বাড়ীতে বসিয়ে রাখ তবুও অ-আহমদীর নিকট বিয়ে দিও না। তাঁর মৃত্যুর পর লোকটি অ-আহমদীর ছেলের নিকট তার মেয়েকে বিয়ে দেয়। ফলে ১ম খলীফা তাকে আহমদীদের ইমামতি করা থেকে সরিয়ে দেন এবং দল থেকে বহিষ্কার করেন। তিনি তাঁর খেলাফতের ছয় বছরের মধ্যে একবারও তার তওবা কবুল করেননি। অথচ সে বারবারই তওবা করতে ছিল। (এখন আমি তার খাঁটি তওবা দেখে তা কবুল করে নিচ্ছি।) (আনোয়ার খেলাফত, ৯৪ খৃঃ)
এ আলোচনার শেষে সে লিখেছে: “কাউকে দল থেকে বের করে দেবার অভ্যাস আমার নেই, কিন্তু কেউ যদি এ হুকুম অমান্য করে তাহলে আমি তাকে দল থেকে বের করে দেবো”।- (পূর্বোক্ত)

অবশ্য মুসলমানের মেয়ে বিয়ে করা তাদের জায়েয রাখা হয়েছে। এর কারণ বর্ণনা করে মির্জা বশীর লিখেছে "যদি বলো, আমাদের তো তাদের মেয়ে নেয়ার অনুমতি রয়েছে, তাহলে আমি বলবো, খৃষ্টান মেয়েকেও বিয়ে করার অনুমতি রয়েছে”। (কালিমাতুল ফাল, ১৬৯ পৃঃ) 

অ আহমদীদের জানাযার নামায

মির্জা বশীরুদ্দীন মাহমুদ লিখেছে- “এখন আরো একটি প্রশ্ন অবশিষ্ট থাকে। তাহলো, অ-আহমদী ব্যক্তি যেহেতু হযরত মসীহ মাওউদকে কাদিয়ানী ফিতনা ও মুসলিম মিল্লাতের অবস্থান অস্বীকার করে অতএব, তার জানাযা না পড়া উচিত। কিন্তু যদি কোন অ-আহমদীর ছোট বাচ্চা মারা যায়, তাহলে তার জানাযা কেন পড়া হবে না? সে তো আর মসীহ মাওউদকে অস্বীকার করে নাই। আমি এই প্রশ্নকারীকে জিজ্ঞাসা করি যদি তাই হয়, তাহলে হিন্দু এবং খৃষ্টানদের বাচ্চা ও শিশুদের জানাযা কেন পড়া হয় না? তাদের জানাজা পড়ে এমন ক'জন লোক আছে? মূল কথা হলো, পিতামাতার যে ধর্ম, শরীয়ত তাদের সন্তানের জন্য সেই ধর্মই নির্ধারণ করেছে। তাই অ- আহমদীর শিশুও অ-আহমদী। সুতরাং তাদের জানাযাও পড়া হবে না। - (আনোয়ারে খেলাফত, ৯৩ পৃঃ)।

কায়েদে আযমের জানাযার নামায

পাকিস্তানের স্থপতি কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মারা গেলে তাঁর জানাযার নামাযে ইমামতি করেন আল্লামা শিব্বির আহমদ উসমানী (রঃ)। সে সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল চৌধুরী জাফরুল্লাহ খান সে কাদিয়ানী হওয়ার দরুন কায়েদে আযমের জানাযায় অংশ নেয়নি। পরবর্তীতে মুনির ইনকোয়ারি কমিশনের নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে খান সাহেব উত্তর দেন "নামাযে জানাযায় ইমামতি করেছেন যিনি (শিব্বির আহমদ উসমানী) তিনি আহমদীদের কাফের, ধর্মচ্যুত এবং হত্যার যোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই যে নামাযে তিনি ইমামতি করেছেন তাতে আমি যোগ দেবার ফয়সালা করতে পারিনি।" (অনুসন্ধান কমিটি রিপোর্ট, পাঞ্জাব আলাপন) ।

কিন্তু আদালতের বাইরে যখন তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, আপনি আমাকে কাফের প্রশাসনের মুসলমান মন্ত্রী বলে ভাবতে পারেন অথবা মুসলিম প্রশাসনের কাফের কর্মচারী - ('জমিনদার লাহোর' ৮ ফেব্রু, ১৯৫০ সংখ্যা)

যখন পত্র পত্রিকায় তার এ কথা প্রচারিত হলো, তখন আসন্ন নাজুক পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কাদিয়ানীদের পক্ষ থেকে বলা হলো- জনাব চৌধুরী মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান সাহেবকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কায়েদে আযমের জানাজা কেন পড়েন নাই। সারা দুনিয়া জানে, কায়েদে আযম আহমদী ছিলেন না, তাই আহমদী জামাতের কোন লোক তার জানাজা না পড়া কোন আপত্তির কিছু নয়। 
   

কাদিয়ানীদের পত্রিকা 'আল ফজল' এ প্রশ্নের জবাবে লিখেঃ এটা কি বাস্তব নয় যে, আবু তালেবও কায়েদে আযমের মত মুসলমানদের অনেক উপকার করেছে। কিন্তু তার জানাযা তো মুসলমান কেউ পড়েনি, এমনকি রাসূল (সাঃ)ও পড়েননি। (২৮-অক্টোবর, ১৯৫২ সংখ্যা)। অনেকে চৌধুরী জাফরুল্লাহ খানের এই কাজে আশ্চর্য হন। কিন্তু বাস্তবে তা আশ্চর্যজনক কোন কাজ বা সংবাদ নয়। কেননা তিনি যে ধর্মগ্রহণ করেছেন তার স্বাভাবিক চাহিদাই ছিল এরূপ। তার ধর্ম, তার বিশ্বাস, তার জীবন যাপন সব কিছুই ইসলামের বিপরীত, এ অবস্থায় শিব্বির আহমদ উসমানী (রঃ) এর ইমামতিতে জাফরুল্লাহ খান নামায পড়বে কিভাবে?




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url