তাফসীর ফী যিলালিল কোরআন - ৯ || সূরা বাকারার সংক্ষিপ্ত আলোচনা || সূরা বাকারাহ ১-৩৯ নং আয়াতের অর্থ ||





সূরা আল বাকারা

আয়াত ২৮৬ রুকু ৪0 মদীনায় অবতীর্ণ

সূরা বাকারা, ১-৩৯ আয়াতের অর্থ



রুকু ১
রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে-
১. আলিফ লাম মীম। ২. (এই) সেই (মহা) গ্রন্থ (আল কোরআন), তাতে (কোনো ) সন্দেহ নেই, যারা (আল্লাহ তায়ালাকে) ভয় করে, (এই কেতাব কেবল) তাদের জন্যেই পথপ্রদর্শক, ৩. যারা না দেখে (আল্লাহ তায়ালাকে) বিশ্বাস করে, যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, তাদের আমি যা কিছু দান করেছি তারা তা থেকে (আমারই নিদের্শিত পথে) ব্যয় করে, ৪. যারা তোমার ওপর যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তার ওপর ঈমান আনে, (ঈমান আনে) তোমার আগে (নবীদের ওপর) যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তার ওপর, (সর্বোপরি ) তারা পরকালের ওপরও দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। ৫. (সত্যিকার অর্থে) এ লোকগুলোই তাদের মালিকের (দেখানো) সঠিক পথের ওপর রয়েছে এবং এরাই হচ্ছে সফলকাম, ৬. যারা (এ বিষয়গুলো) অস্বীকার করে, তাদের তুমি (পরকালের কথা বলে) সাবধান করো আর না করো, (কার্যত) উভয়টাই (তাদের জন্যে) সমান (কথা), এরা কখনো ঈমান আনবে না। ৭. (ক্রমাগত কুফরী করার কারণে) আল্লাহ তায়ালা তাদের মন মগ ও শ্রবণশক্তির ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন, এদের দৃষ্টিশক্তির ওপরও (এক ধরনের) আবরণ পড়ে আছে এবং তাদের জন্যে (পরকালের) কষ্টদায়ক শান্তি রয়েছে।
২ সূরা আল বাকারা




রুকু ২
৮. মানুষদের মাঝে কিছু (লোক এমনও) আছে যারা (মুখে) বলে, আমরা আল্লাহ তায়ালা ও পরকালের ওপর ঈমান এনেছি, কিন্তু (এদের কর্মকান্ড দেখলে তুমি বুঝতে পারবে) এরা (মোটেই) ঈমানদার নয় । ৯. (মুখে ঈমানের দাবী করে) এরা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর নেক বান্দাদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে, (মূলত এ কাজের মাধ্যমে) তারা অন্য কাউকে নয়, নিজেদেরই ধোকা দিয়ে যাচ্ছে, যদিও (এ ব্যাপারে) তাদের কোনো প্রকারের চৈতন্য নেই। ১০. (আসলে) এদের মনের ভেতর রয়েছে মারাত্মক ব্যাধি, (প্রতারণার কারণে) অতপর আল্লাহ তায়ালা (এদের সে) ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পীড়াদায়ক আযাব, কেননা, তারা মিথ্যা বলছিলো। ১১. তাদের যখন বলা হয়, তোমরা (এই শান্তিপূর্ণ) যমীনে অশান্তি (ও বিপর্যয়) সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, না, আমরাই তো হচ্ছি বরং সংশোধনকারী। ১২. (অথচ) এরাই হচ্ছে (যমীনে যাবতীয় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী, যদিও তারা (এ ব্যাপারে) কোনো চৈতন্য রাখে না। ১৩. তাদের যখন বলা হয়, অন্য লোকেরা যেমন ঈমান এনেছে তোমরাও তেমনিভাবে ঈমান আনো, তারা বলে (হে নবী, তুমি কি চাও), আমরাও নির্বোধ লোকদের মতো ঈমান আনি? (আসলে) নির্বোধ তো হচ্ছে এরা নিজেরাই, যদিও তারা (এ কথাটা) জানে না। ১৪. (মোনাফেকদের অবস্থা হচ্ছে,) তারা যখন ঈমানদার লোকদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি, (আবার) যখন একাকী তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সাথেই আছি, (ঈমানের কথা বলে ওদের সাথে) আমরা ঠাট্টা করছিলাম মাত্র!




১৫. (মূলত) আল্লাহ তায়ালাই তাদের সাথে ঠাট্টা করে যাচ্ছেন, আল্লাহ তায়ালা তাদের অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, তারা তাদের বিদ্রোহে উদ্ভ্রান্তের ন্যায়ই ঘুরে বেড়াচ্ছে। ১৬. এরা (জেনে বুঝে) হেদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহী কিনে নিয়েছে, তাদের এ ব্যবসাটা (কিন্তু) মোটেই লাভজনক হয়নি এবং এরা সঠিক পথের অনুসারীও নয়। ১৭. এদের উদাহরণ হচ্ছে সে (হতভাগ্য) ব্যক্তির মতো, যে (অন্ধকারে) আগুন জ্বালাতে চাইলো, যখন তা তার গোটা পরিবেশটাকে আলোকোজ্জ্বল করে দিলো, তখন (হঠাৎ করে) আল্লাহ তায়ালা তাদের (কাছ থেকে) আলোটুকু ছিনিয়ে নিলেন এবং তাদের (এমন) অন্ধকারে ফেলে রাখলেন যে, তারা কিছুই দেখতে পেলো না। ১৮. (এঁদের অবস্থা হচ্ছে, এরা (কানেও শোনে না, (চোখেও) দেখে না, (মুখ দিয়ে) কথাও বলতে পারে না, অতএব এসব লোক (সঠিক পথের দিকে) ফিরে আসবে না। ১৯. অথবা (এদের উদাহরণ হচ্ছে), আসমান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির মতো, এর মাঝে রয়েছে (আবার) অন্ধকার, মেঘের গর্জন ও বিদ্যুতের চমক, বিদ্যুত গর্জন ও মৃত্যুর ভয়ে এরা নিজেদের কানে নিজেদের আংগুল ঢুকিয়ে রাখে (এরা জানে না), আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের (সকল দিক থেকেই) ঘিরে রেখেছেন। ২০. মনে হয় এখনই বিদ্যুত এদের চোখকে নিষ্প্রভ করে দেবে; (এ আতংকজনক অবস্থায়) আল্লাহ তায়ালা যখন এদের জন্যে একটু আলো জ্বালিয়ে দেন তখন এরা সেদিকে চলতে থাকে, আবার যখন তিনি তাদের ওপর অন্ধকার চাপিয়ে দেন তখন এরা (একটু থমকে দাঁড়ায়; অথচ আল্লাহ তায়ালা চাইলে (সহজেই) তাদের শোনার ও দেখার (ক্ষমতা) ছিনিয়ে নিতে পারতেন; নিশ্চয়ই তিনি সর্বশক্তিমান ।




রুকু ৩
২১. হে মানুষ, তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব (স্বীকার) করো, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের আগে যারা ছিলো তাদের (সবাইকে) পয়দা করেছেন, আশা করা যায় (এ ফল) তোমরা (যাবতীয় সংকট থেকে) বেঁচে থাকতে পারবে। ২২. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি যমীনকে তোমাদের জন্যে শয্যা বানালেন, আসমানকে বানালেন ছাদ এবং আসমান থেকে পানি পাঠালেন, তার সাহায্যে তিনি নানা প্রকারের ফলমূল উৎপাদন করে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করলেন, অতপর তোমরা জেনে বুঝে (এ সব কাজে) আল্লাহ | তায়ালার সাথে কাউকে শরীক করো না। ২৩. আমি আমার বান্দার ওপর যে কেতাব নাযিল করেছি, তার (সত্যতার) ব্যাপারে যদি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে যাও- তার মতো (করে) একটি সূরা তোমরাও (রচনা করে) নিয়ে এসো, এক আল্লাহ তায়ালা ছাড়া তোমাদের আর যেসব বন্ধুবান্ধব রয়েছে তাদেরও (প্রয়োজনে সহযোগিতার জন্যে) ডাকো, যদি তোমরা তোমাদের দাবীতে সত্যবাদী হও! ২৪ কিন্তু তোমরা যদি তা না করতে পারো (এবং আমি জানি), তোমরা তা কখনোই করতে পারবে না, তাহলে তোমরা (দোযখের) সেই কঠিন আগুনকে ভয় করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, (আল্লাহ) তায়ালাকে) যারা অস্বীকার করে তাদের জন্যেই (এটা) প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। ২৫. অতপর যারা (এ কেতাবের ওপর) ঈমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, তাদের তুমি (হে নবী) সুসংবাদ দাও এমন এক জান্নাতের, যার নীচ দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত হতে থাকবে; যখনি তাদের (এ জান্নাতের) কোনো একটি ফল দেয়া হবে তখনি তারা বলবে, এ ধরনের (ফল) তো ইতিপূর্বেও আমাদের দেয়া হয়েছিলো, তাদের (মূলত) এ ধরনের জিনিসই




সেখানে দেয়া হবে; তাদের জন্যে (আরো) সেখানে থাকবে পবিত্র সহধর্মী ও সহধর্মিনী এবং তারা সেখানে অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবে। ২৬. (সত্য প্রমাণের জন্যে) আল্লাহ তায়ালা মশা কিংবা তার চাইতে ওপরে যা কিছু আছে তার উদাহরণ দিতেও লজ্জাবোধ করেন না; যারা (আল্লাহর বাণীতে) বিশ্বাস স্থাপন করে তারা জানে, এ সত্য আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছে, আর যারা (আগেই) সত্য অস্বীকার করেছে তারা (একে না মানার অজুহাত দিতে গিয়ে) বলে, আল্লাহ তায়ালা এ উদাহরণ দ্বারা কি বুঝাতে চান? (আসলে) একই ঘটনা দিয়ে আল্লাহ তায়ালা অনেক লোককে গোমরাহীতে নিমজ্জিত করলেও বহু লোককে তিনি (আবার) এ দিয়ে হেদায়াতের পথও দেখান, আর কতিপয় পাপাচারী ব্যক্তি ছাড়া তিনি তা দিয়ে অন্য কাউকে গোমরাহীতে নিমজ্জিত করেন না। ২৭. (এরা হচ্ছে সে সব লোক) যারা আল্লাহর ফরমান মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর তা ভংগ করে, (ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে) আল্লাহ তায়ালা যেসব সম্পর্ক (-এর ভিত) মযবুত করতে বলেছেন তা তারা ছিন্ন করে, (সর্বোপরি) যমীনে অহেতুক বিপর্যয় সৃষ্টি করে; এরাই হচ্ছে (আসল) ক্ষতিগ্রস্ত। ২৮. তোমরা আল্লাহকে কিভাবে অস্বীকার করবে। অথচ তোমরা ছিলে মৃত, তিনিই তোমাদের জীবন দিয়েছেন, পুনরায় তিনি তোমাদের মৃত্যু দেবেন, অতপর (সর্বশেষে) তিনিই আবার তোমাদের জীবন দান করবেন এবং (এভাবেই তোমাদের একদিন তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। ২৯. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি এ পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের (ব্যবহারের) জন্যে তৈরী করেছেন, অতপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন এবং তাকে সাত আসমানে বিন্যস্ত করলেন, তিনি সবকিছু সম্পর্কেই সম্যক অবগত আছেন।




রুকু ৪
৩০. (হে নবী, স্মরণ করো,) যখন তোমার মালিক (তাঁর) ফেরেশতাদের (সম্বোধন করে) | বললেন, আমি পৃথিবীতে (আমার) খলীফা বানাতে চাই; তারা বললো, তুমি কি এমন | কাউকে (খলীফা) বানাতে চাও যে (তোমার) যমীনে (বিশৃংখলা ও) বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং (স্বার্থের জন্যে) তারা রক্তপাত করবে, আমরাই তো তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার তাসবীহ পড়ছি এবং (প্রতিনিয়ত) তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি; আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জানো না। ৩১. আল্লাহ তায়ালা অতপর (তাঁর খলীফা) আদমকে (প্রয়োজনীয়) সব জিনিসের নাম শিখিয়ে দিলেন, পরে তিনি সেগুলো ফেরেশতাদের কাছে পেশ করে বললেন, (তোমাদের আশংকার ব্যাপারে) তোমরা যদি সত্যবাদী হও (তাহলে) তোমরা আমাকে এ নামগুলো বলো তো? ৩২. ফেরেশতারা বললো (হে আল্লাহ তায়ালা), তুমি পবিত্র, আমাদের তো (এর বাইরে আর) কিছুই জানা নেই যা তুমি আমাদের শিক্ষা দিয়েছো; তুমিই একমাত্র জ্ঞানী, একমাত্র কুশলী । ৩৩ আল্লাহ তায়ালা (এবার) আদমকে বললেন, তুমি তাদের কাছে তাদের নামগুলো বলে দাও, অতএব আদম ( আল্লাহর নির্দেশে) তাদের (সামনে) তাদের নামগুলো যখন (সুন্দরভাবে) বলে দিলো, তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি যে, | আমি আসমানসমূহ ও যমীনের যাবতীয় না দেখা বন্ধু জানি এবং তোমরা যা কিছু প্রকাশ | করো আর যা কিছু গোপন করো আমি তাও ভালোভাবে জানি। ৩৪. আল্লাহ তায়ালা যখন ফেরেশতাদের বললেন, তোমরা (সম্মানের প্রতীক হিসেবে) আদমের জন্যে সাজদা করো, অতপর তারা (আল্লাহর আদেশে) আদমের সামনে সাজদা করলো- শুধু ইবলীস ছাড়া; সে




সাজদা করতে অস্বীকার করলো এবং অহংকার করলো এবং সে না-ফরমানদের দলে শামিল থেকে গেলো । ৩৫. আমি বললাম, হে আদম, তুমি এবং তোমার স্ত্রী (পরম সুখে এই বেহেশতে বসবাস করতে থাকো এবং এ (নেয়ামত) থেকে যা তোমাদের মন চায় তাই তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে আহার করো, তোমরা এ গাছটির পাশেও যেও না, তা (না) হলে তোমরা (দুজনই) সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শামিল হয়ে যাবে। ৩৬. (কিন্তু) শয়তান (শেষ পর্যন্ত) সেখান থেকে তাদের উভয়ের পদস্খলন ঘটালো, তারা উভয়ে (বেহেশতের) যেখানে ছিলো সেখান থেকে সে তাদের বের করেই ছাড়লো, আর আমি তাদের বললাম, তোমরা একজন আরেক জনের দুশমন হিসেবে এখান থেকে নেমে পড়ো, তোমাদের (পরবর্তী) বাসস্থান (হবে) পৃথিবী, সেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের জন্যে জীবনের (যাবতীয়) উপকরণ থাকবে। ৩৭. অতপর আদম তার মালিকের কাছ থেকে (হেদায়াত সম্বলিত) কিছু বাণী পেলো, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর ক্ষমাপরবশ হলেন, অবশ্যই তিনি বড়ো মেহেরবান ও ক্ষমাশীল। ৩৮. আমি (তাদের) বললাম, তোমরা সবাই (এবার) এখান থেকে নেমে যাও, তবে (যেখানে যাবে অবশ্যই সেখানে) আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে (জীবন বিধান সম্পর্কিত) হেদায়াত আসবে, অতপর যে আমার (সেই) বিধান মেনে চলবে তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কোনো প্রকার উৎকণ্ঠাও করবেনা। ৩৯. আর যারা (আমার বিধান) অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াতসমূহ মিথ্যা প্রতিপন্ন (করে লাগামহীন জীবন যাপন) করবে, তারা জাহান্নামের বাসিন্দা হবে, তারা সেখানে চিরদিন থাকবে।






******************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url