মা’আরেফুল কোরআন - ৫৮ || সূরা আল-বাকারাহ, ১৬৫ || মুমিন ও মুশরিকদের ঈমানের তুলনামূলক চিত্র







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ১৬৫


وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَهُمۡ کَحُبِّ اللّٰهِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰهِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰهَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵

সূরা আল-বাকারাহ ১৬৫ নং আয়াতের অর্থ

(১৬৫) আর কোন লোক এমনও রয়েছে, যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশি । আর কতই না উত্তম হত যদি এ জালিমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধু আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।

   

সূরা আল-বাকারাহ ১৬৫ নং আয়াতের তাফসীর

অন্য কাউকে আল্লাহর মত ভালবাসা

অনেক শ্রেণীর লোক রয়েছে, যারা আল্লাহ্‌কে ছাড়াও তাঁর খোদায়িত্বে অন্যদের শরীক সাব্যস্ত করে (এবং তাদেরকে নিজের নিয়ন্তা মনে করে)। আর তাদের সাথেও তেমনিভাবে ভালবাসা পোষণ করে, যেমন ভালবাসা (শুধুমাত্র) আল্লাহর সাথেই (পোষণ করা) কর্তব্য। (এ তো গেল মুশরিকদের অবস্থা) আর যারা ঈমানদার (একমাত্র) আল্লাহর সাথেই রয়েছে তাদের গভীর ভালবাসা এবং সে ভালবাসা ওদের ভালবাসার তুলনায় বহুগুণ বেশি। (কারণ, কোন মুশরিকের কাছে যদি একথা প্রমাণিত হয়ে যায় যে, আমার উপাস্যের পক্ষ থেকে আমার কোন ক্ষতি বা অকল্যাণ সাধিত হবে, তাহলে সাথে সাথেই তার সে ভালবাসা রহিত হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে মু’মিনরা আল্লাহকেই কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক বলে বিশ্বাস করে। কিন্তু তথাপি তার ভালবাসা ও সন্তুষ্টিতে কোন পরিবর্তন দেখা দেয় না। এছাড়া অধিকাংশ মুশরিক কঠিন বিপদাপদের সময় নিজেদের কাল্পনিক উপাস্যদের পরিহার করে বসে। কিন্তু কোন মু’মিন কখনও কোন বিপদে আল্লাহ্‌কে পরিহার করে না। (আর পরীক্ষিতভাবেও এ ধরনের পরিস্থিতিতে এ অবস্থার সত্যতা প্রমাণিত)। আর কতইনা উত্তম হতো! যদি এই জালিমরা (অর্থাৎ মুশরিকরা এ পৃথিবীতেই) কোন কোন বিপদাপদ (ও তার ভয়াবহতা) দেখে (এবং সেগুলোর সংঘটনের বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করে একথা) উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধু আল্লাহর হাতে। (আর অন্যান্য সবকিছুই তাঁর সামনে অক্ষম। কাজেই এ বিপদাপদকে না অপর কেউ বাধা দিতে পেরেছে, না দূর করতে পেরেছে, আর নাইবা এমন বিপদাপদের সময় অন্য কারো কথা স্মরণ থাকে)। আর তারা যদি এহেন কঠিন বিপদের বিষয় উপলব্ধি করে (একথা বুঝে নিত, তাহলে কতইনা উত্তম ছিল যে) আল্লাহ্ তা’আলার আযাব আখিরাতের বিচার দিনে আরও কঠিন হবে। (এভাবে বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য করলে তাদের সামনে স্বহস্তে নির্মিত উপাস্যদের অক্ষমতা এবং আল্লাহ্ তা’আলার শক্তি ও মাহাত্ম্য প্রতিভাত হয়ে যেত এবং তাতে করে তারা ঈমান গ্রহণ করে নিত)।






*****************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url