মা’আরেফুল কোরআন - ৬৫ || সূরা আল-বাকারাহ, ১৭৮-১৭৯ || কিসাসের বিধি বিধান ও মাস’আলা







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ১৭৮১৭৯


 یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِصَاصُ فِی الۡقَتۡلٰی ؕ اَلۡحُرُّ بِالۡحُرِّ وَ الۡعَبۡدُ بِالۡعَبۡدِ وَ الۡاُنۡثٰی بِالۡاُنۡثٰی ؕ فَمَنۡ عُفِیَ لَهٗ مِنۡ اَخِیۡهِ شَیۡءٌ فَاتِّبَاعٌۢ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ اَدَآءٌ اِلَیۡهِ بِاِحۡسَانٍ ؕ ذٰلِکَ تَخۡفِیۡفٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ رَحۡمَۃٌ ؕ فَمَنِ اعۡتَدٰی بَعۡدَ ذٰلِکَ فَلَهٗ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۷۸
 وَ لَکُمۡ فِی الۡقِصَاصِ حَیٰوۃٌ یّٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۷۹

সূরা আল-বাকারাহ ১৭৮-১৭৯ নং আয়াতের অর্থ


(১৭৮) হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে 'কিসাস' গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেওয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
(১৭৯) হে বুদ্ধিমানগণ ! কিসাসের মধ্যে তোমাদের জন্য জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার । 

   

সূরা আল-বাকারাহ ১৭৮-১৭৯ নং আয়াতের পূর্বাপর যোগসূত্র

যোগসূত্রঃ পূর্ববর্তী আয়াতগুলোতে উত্তম চরিত্র ও সৎকর্মাবলীর মূলনীতি আলোচনা করা হয়েছে। এরপর সে সমস্ত সৎ কার্যাবলীর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে। অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে একেকটি বিষয়ের স্বতন্ত্র বর্ণনাও দেওয়া হচ্ছে।

সূরা আল-বাকারাহ ১৭৮-১৭৯ নং আয়াতের তাফসীর

তাফসীরের সার-সংক্ষেপ
হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের প্রতি কিসাস (আইন)-এর ফরয করা হয়েছে (ইচ্ছাকৃতভাবে) যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে। (প্রত্যেক) স্বাধীন ব্যক্তি (মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবে) নিহত স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, (এমনিভাবে প্রত্যেক) দাস (নিহত) দাসের বিনিময়ে এবং (অনুরূপভাবে প্রতিটি) স্ত্রীলোক (নিহত) স্ত্রীলোকের বদলায়। (হত্যাকারী যদি বড় পদমর্যাদাসম্পন্ন এবং নিহত ব্যক্তি যদি ছোটও হয়, তবুও প্রত্যেকের তরফ থেকে সমান কিসাস বা বদলা নেওয়া হবে। অর্থাৎ হত্যাকারীকে হত্যার দণ্ডস্বরূপ হত্যা হরা হবে) অবশ্য যদি (হত্যাকারীকে) তার প্রতিপক্ষের তরফ কিছুটা মাফ করে দেওয়া হয় (কিন্তু পুরোপুরিভাবে মাফ করা না হয়) তবে (সে ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেতে পারে। কিন্তু রক্তের বদলাস্বরূপ ’দিয়াত’ অর্থাৎ নির্ধারিত পরিমাণ আর্থিক জরিমানা হত্যাকারীর উপর ওয়াজিব হবে। এমতাবস্থায় উভয় পক্ষের উপরই দু’টি বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরী। প্রথমত নিহত ব্যক্তির ওয়ারিশগণের পক্ষে সঙ্গত উপায়ে (সে মালের) দাবি পূরণ করবে (অর্থাৎ ক্ষমার পর আর হত্যাকারীকে অতিরিক্ত বিব্রত করবে না) এবং (ভালভাবে নির্ধারিত অর্থ) তার (বাদীর নিকট পৌঁছে দেবে অর্থাৎ পরিমাণে যেন কম না দাও কিংবা অনর্থক যেন টালবাহানা না কর।) এটা (ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ দানের বিধান—) তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে (শান্তির ক্ষেত্রে) সহজ পন্থা এবং (বিশেষ) অনুগ্রহ। (অন্যথায়, মৃত্যুদণ্ড ভোগ করা ছাড়া আর কোন পন্থাই থাকতো না)। অতঃপর যে ব্যক্তি এর (এ বিধানের) পর সীমালংঘনের অপরাধে অপরাধী হয় ( যেমন কারো প্রতি হত্যার মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে অথবা ক্ষমা করে দেওয়ার পরও প্রতিশোধ গ্রহণ করার চেষ্টা করে, আখিরাতে) সে লোকের অত্যন্ত কঠিন শাস্তি হবে। জেনে রেখ, কিসাসের (এই বিধানের) মাঝে তোমাদের জীবনের বিশেষ নিরাপত্তা রয়েছে। (কেননা, এই কঠোর আইনের ভয়ে হত্যার অপরাধ সংঘটন করতে গিয়ে মানুষ ভয় পাবে। এতে বহু জীবন রক্ষা পাবে)। আশা করা যায়, তোমরা (এমন শাস্তির আইন লংঘন করার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করবে।

সূরা আল-বাকারাহ ১৭৮-১৭৯ নং আয়াতের জ্ঞাতব্য বিষয়

আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়


قِصَاصَ - (কিসাসুন)-এর শাব্দিক অর্থ সমপরিমাণ বা অনুরূপ। অর্থাৎ অন্যের প্রতি যতটুকু জুলুম করা হয়েছে, তার সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ তার পক্ষে জায়েয। এর চাইতে বেশি কিছু করা জায়েয নয়। এ সূরারই পরবর্তী এক আয়াতে এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ

فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ

অনুরূপ সূরা নাহলের শেষ আয়াতে রয়েছেঃ

وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ

এতে আলোচ্য বিষয়েই আরো বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। সেমতে শরীয়তের পরিভাষায় ‘কিসাস’ বলা হয় হত্যা এবং আঘাতের সে শাস্তিকে, যা সমতা ও পরিমাণের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিধান করা হয়। 

কিসাস বিষয়ের মাস’আলা

মাস’আলা-১
ইচ্ছাকৃত হত্যা বলা হয় কোন অস্ত্র কিংবা এমন কোন কিছুর দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা, যার দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় অথবা হত্যা সংঘটিত হয়। ’কিসাস’ অর্থাৎ ’জানের বদলায় জান’ এ ধরনের হত্যার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

মাস’আলা-২
এ ধরনের হত্যার অপরাধে যেমন স্বাধীন ব্যক্তির হত্যাকারী অন্য স্বাধীন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, তেমনি কোন ক্রীতদাসের বদলায়ও স্বাধীন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। অনুরূপ স্ত্রীলোক হত্যার অপরাধে পুরুষকে এবং পুরুষ হত্যার অপরাধে স্ত্রীলোককেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।

এ আয়াতে স্বাধীন ব্যক্তির বদলায় স্বাধীন ব্যক্তি এবং স্ত্রীলোকের বদলায় স্ত্রী লোককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার যে কথা উল্লিখিত হয়েছে, তা সেই একটা বিশেষ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, যে ঘটনার প্রেক্ষিতে এ আয়াতটি নাযিল হয়।

ইবনে কাসীর ইবনে আবী হাতেমের সনদে বর্ণনা করেছেন যে, ইসলামী যমানার কিছু আগে দু’টি আরব গোত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষ ঘটে। এতে নারী-পুরুষ এবং স্বাধীন ও ক্রীতদাসসহ বহু লোক নিহত হয়। তাদের পরস্পরের মধ্যে এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ইসলামী যমানা শুরু হয়ে যায় এবং এ দু’টি গোত্রই ইসলাম গ্রহণ করে। ইসলাম গ্রহণ করার পর উভয় গোত্রের লোকেরা স্ব স্ব গোত্রের নিহত ব্যক্তিদের কিসাস গ্রহণ করার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু করে। উভয়ের মধ্যে যে গোত্রটি প্রবল ছিল, তারা দাবি করে বসে, যে পর্যন্ত আমাদের নিহত নারী, পুরুষ ও ক্রীতদাসদের বদলায় তোমাদের এক একজন স্বাধীন পুরুষকে হত্যা করা না হবে, সে পর্যন্ত আমরা কোন মীমাংসায় সম্মত হব না। ওদের সে জাহিলিয়তসুলভ দাবির অসারতা প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই এ আয়াত নাযিল হয়। —“স্বাধীন পুরুষের বদলায় স্বাধীন পুরুষ, গোলামের বদলায় গোলাম এবং নারীর বদলায় নারী" --এ বিধান দিয়ে ওদের সে দাবিকেই খণ্ডন করা হয়েছে যে, হত্যাকারী হোক আর নাই হোক একজন গোলামের বদলায় স্বাধীন পুরুষকে এবং একজন নারীর বদলায় পুরুষকে হত্যা করার এ দাবি গ্রহণীয় হতে পারে না। ইসলাম যে ন্যায়নীতির প্রবর্তন করেছে তাতে একমাত্র হত্যাকারীকে হত্যার বদলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। হত্যাকারী যদি নারী হয়ে থাকে, তবে তার বদলায় কোন নিরপরাধ পুরুষকে হত্যা করা কিংবা হত্যাকারী যদি গোলাম হয়ে থাকে, তবে তার বদলায় কোন স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করা এক বিরাট জুলুম ছাড়া আর কিছু নয়। এটা ইসলামী সমাজে কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না।

আয়াতের মর্মার্থ এটাই সাব্যস্ত হয় যে, যে ব্যক্তি হত্যা করেছে, কেবল সে-ই কিসাসে দণ্ডিত হবে। হত্যাকারী গোলাম বা স্ত্রীলোকের স্থলে নিরপরাধ স্বাধীন পুরুষকে দণ্ডিত করা জায়েয নয়।

জানের বদলা জান

অনুরূপ এটাও আয়াতের অর্থ নয় যে, যদি কোন পুরুষ কোন স্ত্রীলোককে হত্যা করে কিংবা কোন স্বাধীন ব্যক্তি কোন ক্রীতদাসকে হত্যার অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়, তবে কিসাসস্বরূপ তাকে হত্যা করা যাবে না। আলোচ্য আয়াতের শুরুতে ’মৃতের ব্যাপারে কিসাস’ শব্দের ব্যবহার এবং অন্য আয়াতে النَّفْسَ بِالنَّفْسِ অর্থাৎ ‘জানের বদলা জান’ - বলে বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।

মাস’আলা-১
ইচ্ছাকৃত হত্যার ক্ষেত্রে যদি হত্যাকারীকে সম্পূর্ণ মাফ করে দেওয়া হয়- যেমন নিহত ব্যক্তির ওয়ারিস মাত্র দুই পুত্র, সে দু’জনেই যদি মাফ করে দেয়, তবে এমতাবস্থায় হত্যাকারীর উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। সে ব্যক্তি সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি পূর্ণ মাফ না হয় অর্থাৎ উপরোক্ত ক্ষেত্রে এক পুত্র মাফ করে, কিন্তু অপর পুত্র তা না করে, তবে এমতাবস্থায় হত্যাকারী কিসাস-এর দণ্ড থেকে অব্যাহতি পাবে সত্য, কিন্তু এক পুত্রের দাবীর বদলায় অর্ধেক দিয়াত প্রদান করতে হবে।

শরীয়তের বিধানে হত্যার বদলায় যে দিয়াত বা অর্থদণ্ড প্রদান করতে হয়, তার পরিমাণ হচ্ছে মধ্যম আকৃতির একশ’ উট অথবা এক হাজার দীনার কিংবা দশ হাজার দিরহাম। বর্তমানকালের প্রচলিত ওজন অনুপাতে এক দিরহাম — সাড়ে তিন মাসা রৌপ্যের পরিমাণ। সেমতে পূর্ণ দিয়াত-এর পরিমাণ হবে দু’হাজার নয়শ’ তোলা আট মাসা রৌপ্য।

মাস’আলা-২
কিসাস-এর আংশিক দাবি মাফ হয়ে গেলে যেমন মৃত্যুদণ্ড মওকুফ হয়ে দিয়াত ওয়াজিব হয়, তেমনি উভয় পক্ষ যদি কোন নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের শর্তে আপস-নিষ্পত্তি করে ফেলে, তবে সে অবস্থাতেও ’কিসাস’ মওকুফ হয়ে অর্থ প্রদান করা ওয়াজিব হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে, যা ফিকাহর কিতাবসমূহে বিস্তারিতভাবে উল্লিখিত হয়েছে।

মাস’আলা-৩
নিহত ব্যক্তির যে ক’জন ওয়ারিস থাকবে, তাদের প্রত্যেকেই ‘মীরাস’এর অংশ অনুপাতে ’কিসাস’ ও দিয়াত-এর মালিক হবে এবং দিয়াত হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ ’মীরাস’-এর অংশ অনুপাতে বণ্টিত হবে। তবে কিসাস যেহেতু বণ্টনযোগ্য নয়, সেহেতু ওয়ারিসগণের মধ্য থেকে যে কোন একজনও যদি কিসাস-এর দাবি ত্যাগ করে তবে আর তার উপর কিসাস ওয়াজিব হবে না, বরং দিয়াত ওয়াজিব হবে এবং প্রত্যেকেই অংশ অনুযায়ী দিয়াতের ভাগ পাবে।

মাস’আলা-৪
’কিসাস’ গ্রহণ করার অধিকার যদিও নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীগণের, তথাপি নিজেরা সে অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। অর্থাৎ নিহত ব্যক্তির বদলায় হত্যাকারীকে তারা নিজেরা হত্যা করতে পারবে না। এ অধিকার আদায় করার জন্য শাসন কর্তৃপক্ষের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে। কেননা, কোন্ অবস্থায় কিসাস ওয়াজিব হয় এবং কোন্ অবস্থায় হয় না— এ সম্পর্কিত অনেক সূক্ষ্ম দিকও রয়েছে যা সবার পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা রাগের মাথায় বাড়াবাড়িও করে ফেলতে পারে, এজন্য আলেম ও ফিকহবিদগণের সর্বসম্মত অভিমত অনুযায়ী ’কিসাস’-এর হক আদায় করার জন্য ইসলামী আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। —(কুরতুবী)





*****************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url