মা’আরেফুল কোরআন - ৬৬ || সূরা আল-বাকারাহ, ১৮০-১৮২ || মৃত্যুর সময় করা ওসীয়তের বিধি বিধান ও মাস’আলা







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ১৮০-১৮২


 کُتِبَ عَلَیۡکُمۡ اِذَا حَضَرَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ اِنۡ تَرَکَ خَیۡرَۨا ۚۖ الۡوَصِیَّۃُ لِلۡوَالِدَیۡنِ وَ الۡاَقۡرَبِیۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ حَقًّا عَلَی الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۸۰ فَمَنۡۢ بَدَّلَهٗ بَعۡدَ مَا سَمِعَهٗ فَاِنَّمَاۤ اِثۡمُهٗ عَلَی الَّذِیۡنَ یُبَدِّلُوۡنَهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۸۱  فَمَنۡ خَافَ مِنۡ مُّوۡصٍ جَنَفًا اَوۡ اِثۡمًا فَاَصۡلَحَ بَیۡنَهُمۡ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۸۲

সূরা আল-বাকারাহ ১৮০-১৮২ নং আয়াতের অর্থ

(১৮০) তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধনসম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে তার জন্য ওসীয়ত করা বিধিবদ্ধ করা হলো, পিতামাতা ও নিকটাত্মীয়দের জন্য ইনসাফের সাথে। পরহেযগারদের জন্য এ নির্দেশ জরুরী। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা সবকিছু শোনেন ও জানেন। 
(১৮১) যদি কেউ ওসীয়ত শোনার পর তাতে কোন রকম পরিবর্তন সাধন করে, তবে যারা পরিবর্তন করে তাদের উপর এর গোনাহ্ পতিত হবে । 
(১৮২) যদি কেউ ওসীরতকারীর পক্ষ থেকে আশঙ্কা করে পক্ষপাতিত্বের অথবা কোন অপরাধমূলক সিদ্ধান্তের এবং তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তবে তার কোন গোনাহ্ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।

সূরা আল-বাকারাহ ১৮০-১৮২ নং আয়াতের তাফসীর

   

তাফসীরের সার-সংক্ষেপ
وصيت - শাব্দিক অর্থে যে কোন কাজ করার নির্দেশ প্রদানকে ওসীয়ত বলা হয়। পরিভাষায়, ব্যক্তি বিশেষের মৃত্যুর পরে সম্পাদন করার জন্য মৃত্যুকালে যে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাকেই ওসীয়ত বলা হয় ।

خير - শব্দের অনেকগুলো অর্থের মধ্যে এক অর্থ ধন-সম্পদ। যেমন, কোরআনে উল্লিখিত হয়েছেঃ وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ এখানে মুফাসসিরগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী خير অর্থ ধন-সম্পদ।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে যতদিন পর্যন্ত ওয়ারিসগণের অংশ কোরআনের আয়াত দ্বারা নির্ধারিত হয়নি, ততদিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল যাত্রী তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ পিতামাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওসীয়ত করে যেতেন। অবশিষ্ট সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে বণ্টিত হতো। সে নির্দেশটিই এ আয়াতে উল্লিখিত হয়েছে। যেমনঃ


তোমাদের উপর ফরয করা হচ্ছে, যখন কারো (লক্ষণাদির দ্বারা) মৃত্যু নিকটবর্তী বলে মনে হয়, অবশ্য যদি সে কিছু সম্পদ পরিত্যক্ত হিসাবে রেখে যায় (নিজের) পিতামাতা ও (অন্যান্য) নিকট আত্মীয়ের জন্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে (মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশের বেশী যেন না হয়) কিছু যেন বলে যায় (এরই নাম ওসীয়ত) যাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় রয়েছে তাদের পক্ষে এটা জরুরী (করা হচ্ছে)। অতঃপর (যেসব লোক ওসীয়ত শুনেছে, তাদের মধ্য থেকে) যে কেউ সেটা (ওসীয়তের বিষয়বস্তু) পরিবর্তন করবে (এবং বণ্টনের সময় মিথ্যা যবানবন্দী করে এবং তার সে যবানবন্দী অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাতে যদি কারো কোন হক নষ্ট হয়) তবে সে (হক বিনষ্ট হওয়ার) গোনাহ্ তাদের উপরই পতিত হবে, যারা (বিষয়বস্তু) পরিবর্তন করবে (বিচারক, সালিস কিংবা মৃত ব্যক্তির কোন গোনাহ্ হবে না। কেননা, আল্লাহ্ তা’আলা তো নিশ্চিতই সবকিছু জানেন, শোনেন। (তিনি পরিবর্তনকারীর কারসাজি সম্পর্কেও জানেন, সালিস বিচারকগণ যে নির্দোষ একথাও জানেন।) তবে হ্যাঁ, (এক ধরনের পরিবর্তনের অনুমতি রয়েছে, তা হচ্ছে) যে ব্যক্তি ওসীয়তকারীর তরফ থেকে (ওসীয়তের ব্যাপারে) কোন ভুল সিদ্ধান্ত অথবা (ইচ্ছাকৃতভাবে ওসীয়ত সম্পর্কিত কোন বিধানের খেলাফ) কোন অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়, (আর বিধানের খেলাফ করার কারণে যদি ওসীয়তকারীর ওয়ারিসদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয় কিংবা আশংকা দেখা দেয়) আর সে ব্যক্তি যদি তাদের মধ্যে আপস-নিষ্পত্তি করে দেয়, তবে বাহ্যত তা ওসীয়ত পরিবর্তন বলে মনে হলেও, সে ব্যক্তির উপর কোন গোনাহ্ হবে না (এবং) সুনিশ্চিতরূপেই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাকারী এবং (গোনাহগারদের প্রতিও) অনুগ্রহশীল। (বস্তুত সে ব্যক্তি তো কোন গোনাহ করেনি। ওসীয়তের পরিবর্তন মীমাংসার উদ্দেশ্যেই করেছে, সুতরাং তার প্রতি অনুগ্রহ কেন হবে না ?)

সূরা আল-বাকারাহ ১৮০-১৮২ নং আয়াতের বিষয় বস্তু

আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়
এ আয়াত মৃত্যুপথযাত্রীর প্রতি (যদি সে কিছু ধন-সম্পদ রেখে যায়,) যে ওসীয়ত ফরয করা হয়েছে, সে নির্দেশের তিনটি অংশ রয়েছেঃ

(এক) মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে সন্তান-সন্ততি ছাড়া অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের কোন অংশ যেহেতু নির্ধারিত নেই, সুতরাং তাদের হক মৃত ব্যক্তির ওসীয়তের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

(দুই) এ ধরনের নিকটাত্মীয়দের জন্য ওসীয়ত করা মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির উপর ফরয। 

(তিন) এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তির বেশি ওসীয়ত করা জায়েয নয়।

উপরোক্ত তিনটি নির্দেশের মধ্যে প্রথম নির্দেশটি অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীগণের মতে ’মীরাস’-এর আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর ’মনসূখ’ বা রহিত হয়ে গেছে। ইবনে কাসীর ও হাকেম প্রমুখ সহীহ্ সনদের সাথে বর্ণনা করেন যে, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা)-এর মতে ওসীয়ত সম্পর্কিত এ নির্দেশটি মীরাস-এর আয়াত দ্বারা রহিত করে দেওয়া হয়েছে। মীরাস সম্পর্কিত আয়াতটি হচ্ছেঃ

لِلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ أَوْ كَثُرَ نَصِيبًا مَفْرُوضًا

হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা)-এর অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, মীরাসের আয়াত সে সমস্ত আত্মীয়দের জন্য ওসীয়ত করা রহিত করে দিয়েছে, যাদের মীরাস নির্ধারিত হয়েছিল। এ ছাড়া অন্য যেসব আত্মীয়ের অংশ মীরাসের আয়াতে নির্ধারণ করা হয়নি, তাদের জন্য ওসীয়ত করার হুকুম এখনো অবশিষ্ট রয়েছে। —(জাসসাস, কুরতুবী)

তবে আলেমগণের সর্বসম্মত অভিমত হচ্ছে, যেসব আত্মীয়ের জন্য মীরাসের আয়াতে কোন অংশ নির্ধারণ করা হয়নি, তাদের জন্য ওসীয়ত করা মৃত্যুপথযাত্রীর পক্ষে ফরয বা জরুরী নয়। সে ফরয রহিত হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজন বিশেষে এটা মুস্তাহাবে পরিণত হয়েছে। —(জাসসাস, কুরতুবী) 

দ্বিতীয় নির্দেশ

মৃত ব্যক্তির ওসীয়ত

ওসীয়ত ফরয হওয়া প্রসঙ্গেঃ ওসীয়ত সম্পর্কিত এ আয়াতের নির্দেশ একাধারে যেমন কোরআনের মীরাস সম্পর্কিত আয়াত দ্বারা রহিত করা হয়েছে, তেমনি বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশের মাধ্যমেও হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা)-এর বর্ণিত হাদীসটি রহিত হয়ে গেছে। বিদায় হজ্জের বিখ্যাত খোতবায় রাসূলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছিলেনঃ

 إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى لِكُلِّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلَا وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ أَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ

অর্থাৎ—আল্লাহ্ তা’আলা প্রত্যেক হকদারের হক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং এখন থেকে কোন ওয়ারিসের পক্ষে ওসীয়ত করা জায়েয নয়। – (তিরমিযী)

একই হাদীসে হযরত ইবনে আব্বাসের বর্ণনায় একথাও যুক্ত হয়েছেঃ

 لا وصية لوارث إلا أن يجيزه الورثة .  

“কোন ওয়ারিসের জন্য সে পর্যন্ত ওসীয়ত জায়েয হবে না, যে পর্যন্ত অন্য ওয়ারিসগণ অনুমতি না দেয়।” -(জাসসাস)

হাদীসের মূল বক্তব্য হচ্ছে এই যে, আল্লাহ্ তা’আলাই যেহেতু প্রত্যেক ওয়ারিসের হিসসা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সুতরাং এখন আর ওসীয়ত করার অনুমতি নেই। তবে যদি অন্য ওয়ারিসগণ ওসীয়ত করার অনুমতি দেন, তবে যে কোন ওয়ারিসের জন্য বিশেষভাবে কোন ওসীয়ত করা জায়েয হবে।

ইমাম জাসসাস বলেন, এ হাদীসটি বহু সংখ্যক সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত এবং উম্মতের ফকীগণ সর্বসম্মতিক্রমে এটি গ্রহণ করেছেন। ফলে এটি ’মুতাওয়াতের’ বা বহুল বর্ণিত হাদীসের পর্যায়ভুক্ত, যে হাদীস দ্বারা কোরআনের আয়াতের হুকুম রহিত করাও জায়েয।

ইমাম কুরতুবী বলেন, উম্মতের আলেমগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই যে, সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর হাদীস, যথাঃ মুতাওয়াতের ও মশহুর বর্ণনা, কোরআনেরই সমপর্যায়ের। কেননা সেটিও আল্লাহ্ তা’আলারই ফরমান। এ ধরনের হাদীস দ্বারা কোরআনের কোন নির্দেশ রহিত হওয়াতে কোন দ্বিধা-সংশয়ের অবকাশ নেই।

অতঃপর বলেন, সংশ্লিষ্ট হাদীস যদি আমাদের নিকট ‘খবরে-ওয়াহেদ’ বা এক ব্যক্তির বর্ণনার মাধ্যমেও পৌঁছে, তবু তাতে সংশয়ের কারণ নেই। পক্ষান্তরে বিদায় হজ্জের বিরাট সমাবেশে এক লাখেরও বেশি সাহাবীর উপস্থিতিতে সে সম্পর্কে হুযূর (সা)-এর ঘোষণা প্রদানের ফলে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, হাদীসে বর্ণিত বিষয়টি সম্পর্কে সাহাবী এবং পরবর্তী পর্যায়ে উম্মতের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এ হাদীস তাদের নিকট অকাট্য দলীল হিসাবে গৃহীত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যথায় কোরআনের আয়াতের মোকাবেলায় এ সম্পর্কে তাঁদের পক্ষে ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভবপর হতো না। 


তৃতীয় নির্দেশ

এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের ওসীয়ত

এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের ওসীয়ত সম্পর্কেঃ আলেমগণের সর্বসম্মত অভিমত অনুযায়ী মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তিগণের পক্ষে এখনো তার মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ ওসীয়ত করা জায়েয। এমনকি উত্তরাধিকারিগণের অনুমতিক্রমে সমগ্র সম্পত্তিও ওসীয়ত করা জায়েয এবং গ্রহণযোগ্য।


মাস’আলা-১
উরোক্ত বর্ণনার ভিত্তিতে সাব্যস্ত হচ্ছে যে, যেসব আত্মীয়ের হিসসা কোরআনে করীম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তাদের জন্য ওসীয়ত করা ওয়াজিব নয়। এমন কি ওয়ারিসগণের অনুমতি ব্যতীত এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের অতিরিক্ত ওসীয়ত করা জায়েযই নয়। তবে যেসব আত্মীয়ের হিসসা কোরআন নির্ধারণ করেনি, তাদের জন্য মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণের মধ্যে ওসীয়ত করার অনুমতি রয়েছে।

মাস’আলা-২
আলোচ্য আয়াতে মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির পক্ষে সাধারণভাবে তার সম্পত্তির ব্যাপারে ওসীয়ত করার বিষয় আলোচিত হয়েছে। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তির উপর অন্যের ঋণ বা আমানত থাকে এবং তা পরিশোধ করার জন্য তার সমগ্র সম্পত্তিও ওসীয়ত করতে হয়, তবুও তার পক্ষে তা করতে হবে এবং সমস্ত সম্পত্তির ওসীয়তই বৈধ হবে। রাসূলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন— কারো উপর অন্যের হক থাকলে তার পক্ষে সে সম্পর্কে লিখিত ওসীয়ত করা ব্যতীত তিনটি রাতও কাটানো উচিত নয় ।

মাস’আলা-৩
এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তিতে ওসীয়ত করার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেরূপ ওসীয়ত করার পর জীবিতাবস্থায় তা পরিবর্তন কিংবা বাতিল করে দেওয়ারও অধিকার রয়েছে। --(জাসসাস)





****************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url