প্রাত্যহিক জীবনে “আল্লাহ’র স্মরণ” || নামাজের সঠিক পদ্ধতি-৪ || নামাজের শেষ বৈঠকে দুআ ও সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা







(শাইখুল ইসলাম মুহিউদ্দীন আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া ইবনে শারফ আন-নববী রহ. রচিত “আল আযকার” গ্রন্থ অবলম্বনে)

শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর দুআ পড়া


শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর দুআ করা সকলের মতেই জায়েয।

* হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাদি. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদেরকে তাশাহুদ শিখানোর পর বলতেন- এরপর তোমরা যে দুআ ইচ্ছা করো। অন্য বর্ণনায় আছে- এরপর তোমরা যা পছন্দ করো তা চাও। অরেক রেওয়ায়েতে আছে- এরপর তোমাদের যা চাওয়ার চাও । 

উল্লিখিত দুআগুলো মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। দুআ লম্বা হওয়া চাই। তবে ইমাম হলে ভিন্ন কথা। ইহকালীন ও পরকালীন বিষয়ে যা ইচ্ছা চাইবে । নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত দুআও পড়তে পারবে বা নিজের পক্ষ থেকে দুআও পড়তে পারবে। তবে রাসুল, সাহাবা থেকে বর্ণিত দুআ পড়াই উত্তম। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ স্থানে পড়ার দুআ বা যে কোন স্থানে পড়ার দুআই পড়া যাবে। তবে এক্ষেত্রেও উত্তম হল, নামাজের এই স্থান তথা শেষ বৈঠকে পড়ার যেসব দুআ বর্ণিত হয়েছে সেগুলো পড়া। নামাজের শেষ বৈঠকে পড়ার জন্য হাদিসে অনেক দুআ বর্ণিত হয়েছে-

*  হজরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا فَرَغَ أَحَدُكُمْ مِنَ التَّشَهُدِ الْآخِرِ، فَلْيَتَعَوَّذُ بِاللهِ مِنْ أَرْبَعِ : مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ.

অর্থ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমাদের কেউ যখন শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে শেষ করে, সে যেন চারটি বিষয়ের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পানাহ চায়। যথা: (১) জাহান্নাম থেকে (২) কবরের শাস্তি থেকে (৩) জীবিত ও মৃত্যুকালীন পরীক্ষা থেকে (8) দাজ্জালের ফিতনা থেকে। ০১

সহিহ মুসলিম শরিফের আরেক বর্ণনায় আছে যে, তোমরা শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর আল্লাহর কাছে চারটি বিষয়ে আশ্রয় চাও। এভাবে বলবে:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ جَهَنَّمَ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নামা, ওয়া মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাত, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ্দাজ্জাল ।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি চাই, কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি চাই, জীবিত ও মৃত্যুকালীন ফিতনা থেকে মুক্তি চাই এবং দাজ্জালের অনিষ্ট ফিতনা থেকে মুক্তি চাই। ০২

*  সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে হজরত আয়েশা রাদি. থেকে বর্ণিত যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজে নিম্নোক্ত দুআ পড়তেন-

اللهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْمَمَاتِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ্দাজ্জাল, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাত । আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মাসামি ওয়াল মাগরাম । 

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি চাই, দাজ্জালের অনিষ্ট ফিতনা থেকে মুক্তি চাই, জীবিত ও মৃত্যুকালীন ফিতনা থেকে মুক্তি চাই এবং মুক্তি চাই অপরাধ ও ঘৃণা থেকে।০৩

*  হজরত আলি রাদি. থেকে বর্ণিত, নামাজের শেষে তাশাহুদের পর সালাম ফিরানোর আগে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত দুআ পড়তেন-

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَرْتُ ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ ، وَمَا أَسْرَفْتُ ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي ، أَنْتَ الْمُقَدَّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخَّرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখখারতু, ওয়া মা আসরার ওয়া মা আলানতু ওয়া মা আসরাফতু ওয়া মা আনতা আলামু বিহি মিন্নি। আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়ানতাল মুআখখির। লা ইলাহা ইল্লা আনতা ।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমার অতীতের গুনাহ মাফ করে দিন। প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দিন। আমার যত অপচয় হয়েছে সে সম্পর্কে আপনি আমার চেয়েও বেশি অবগত। আপনি অনাদি-অনন্ত, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই । ০৪

*  হজরত আবু বকর রাদি. থেকে বর্ণিক আছে। তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনি আমাকে একটি দুআ শিখিয়ে দিন যা আমি নামাজে পড়বো। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত দুআ শিখিয়েছেন-

اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরা, ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আনতা। ফাগফিরলি মাগফিরাতান মিন ইনদিকা, ওয়ারহামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি গুনাহ করে নিজের অনেক অবিচার করে ফেলেছি, আর আপনি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না। সুতরাং আপন অনুগ্রহে আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয় আপনিই মহা ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ।

ইমাম বুখারিসহ অন্যান্য ইমামগণ এই হাদিস দ্বারা নামাজ শেষে উক্ত দুআ পড়ার কথা বলেছেন। তাদের এই হাদিস দ্বারা দলিল পেশ করা শুদ্ধ হয়েছে। কারণ, হাদিসে আসছে— ‘এমন এমন দুআ শিখিয়ে দিন, যা আমি নামাজে পড়ব' যে কথায় সকল নামাজ অন্তর্ভুক্ত।০৫

*  হজরত আবু সালেহ জাকওয়ান রাদি. এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি কিছু সংখ্যক সাহাবি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ব্যক্তিকে বললেন, তুমি নামাজে কী বল? ঐ ব্যক্তি বলল, আমি তাশাহুদ পড়ি। এরপর এই দুআটি পড়ি। তবে আমি আপনার ও মুআজের মতো গুঞ্জরণ করতে পারি না। নবিজি বললেন, এই দুয়ের মাঝেই আমরা গুঞ্জরণ করি । দুআটি এরকম-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা, ওয়া আউজুবিকা মিনান্নার । 

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে জান্নাত কামনা করি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই ।০৬

নিচের দুআটি সর্বত্র পড়া মুস্তাহাব-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ، اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتَّقَى، وَالْعَفَافَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াহ । আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত্তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা । 

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে ক্ষমা ও সুস্থতা কামনা করছি। আপনার কাছে হেদায়াত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও অমুক্ষাপেক্ষিতা চাচ্ছি । ০৭

নামাজ শেষ করার জন্য সালাম দেয়া


নামাজ থেকে বের হওয়ার জন্য সালাম দেয়া নামাজের রুকন ও ফরজ। সালাম ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হবে না। প্রসিদ্ধ তিন ইমাম তথা ইমাম শাফেয়ি, মালেক ও আহমদ রহ. ও অধিকাংশ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উলামায়ে কেরামের মতে সালাম ফরজ । এবিষয়ে সহিহ ও প্রসিদ্ধ হাদিসে বিষয়টি সুস্পষ্ট । ০৮ 

সালামের ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি হল, ডান এবং বাম দিকে ফিরে বলবে-

السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ.

উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।

অর্থ: আপনাদের ওপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক ।

এর সাথে وَبَرَكَاتُهُ (ওয়া বারাকাতুহ: আর তার বরকত) বলা মুস্তাহাব নয়। কেননা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে প্রসিদ্ধ সূত্রে এমনটি বর্ণিত নেই। যদিও সুনানে আবু দাউদের বর্ণনায় তা এসেছে। শাফেয়ি কোন কোন উলামায়ে কেরাম তা পড়ার কথা বলেছেন। যেমন, ইমামুল হারামাইন, জাহের সারাখসি, রুয়ানি। কিন্তু প্রকৃত কথা হল উক্ত রেওয়াতটি শায। প্রসিদ্ধ রেওয়ায়েত হল, তা না বলা ।

ইমাম, মুক্তাদি ও একাকী নামাজি ব্যক্তি, ছোট জামাত বা বড় জামাত, ফরজ বা নফল নামাজে তথা সর্বাবস্থায় উল্লিখিত পদ্ধতিতে দুই সালাম দেবে। সালাম ফেরানোর সময় ডান পাশ ও বাম পাশে ফিরবে।

ওয়াজিব হল, এক সালাম ফেরানো। আর দ্বিতীয় সালামটি সুন্নাত। দ্বিতীয় সালাম না দিলে নামাজের কোন ক্ষতি হবে না।

সালামের যে শব্দ বলা ওয়াজিব


ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আস্সালামু আলাইকুম), এ পর্যন্ত বলা ওয়াজিব। سَلَامٌ عَلَيْكُمْ (সালামুন আলাইকুম) বলে তাহলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী নামাজ হবে না। যদি عَلَيْكُمُ ٱلسَّلَامُ (আলাইকুমুস সালাম) বলে তাহলে নামাজ সঠিক হবে।



আর যদি السَّلَامُ عَلَيْكَ (আসসালামু আলাইকা: তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) বলে অথবা سَلَامِي عَلَيْكَ (সালামি আলাইকাঃ তোমার উপর আমার শান্তি বর্ষণ) বা سَلَامِي عَلَيْكُمْ (সালামি আলাইকুম: তোমাদের ওপর আমার শান্তি বর্ষণ) বা سَلَامُ اللهِ عَلَيْكُمْ (সালামুল্লাহি আলাইকুম : তোমাদের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষন ) বা سَلَامُ عَلَيْكُمْ (সালামু আলাইকুম) তানভিন ছাড়া বা السَّلَامُ عَلَيْهِمْ (আসসালামু আলাইহিম: তাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)  এগুলোর কোনটির মাধ্যমেই সালাম সহিহ হবে না। ইচ্ছাকৃত এমন করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে السَّلَامُ عَلَيْهِمْ (আসসালামু আলাইহিম: তাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) বললে নামাজ নষ্ট হবে না। কেননা এটা দুআ। আর যদি ভুলক্রমে বলে তাহলে নামাজ বাতিল হবে না এবং এর ফলে নামাজ থেকে বেরও হতে পারবে না। বরং নামাজ থেকে বের হওয়ার জন্য নতুন করে সঠিকভাবে সালাম দিতে হবে। যদি ইমাম কেবলমাত্র একদিকে সালাম দেয়, তাহলে মুক্তাদিরা উভয় দিকে সালাম দেবে।

কাজি আবু তাইয়েব তাবারি রহ. বলেন, ইমাম সালাম ফেরানোর পর মুক্তাদিরা চাইলে ইমামের সঙ্গে সালাম ফেরাবে বা দুআ ইত্যাদি পড়ে বৈঠককে আরো দীর্ঘ করবে। ০৯

নামাজি ব্যক্তির সঙ্গে কেউ কথা বললে করণীয় 


* হজরত সাহল বিন সাদ রাদি থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি নামাজের মধ্যে অকস্মাৎ কিছু ঘটে তাহলে বলবে-

 سُبْحَانَ اللهِ

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহ ।

অর্থ: আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

অন্য বর্ণনায় আছে-

إِذَا نَابَكُمْ أَمْرُ فَلْيُسَبِّحُ الرِّجَالُ ، وَلْتَصْفَقِ النِّسَاءُ.

অর্থ: নামাজের মধ্যে অকস্মাৎ কিছু ঘটলে পুরুষরা ‘সুবহানাল্লাহ' বলবে, আর মহিলারা ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের ওপর মারবে।- অন্য বর্ণনায় আছে-

التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيْقُ لِلنِّسَاءِ.

অর্থ: তাসবিহ তথা সুবহানাল্লাহ বলা পুরুষদের জন্য, আর ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের ওপর মারা মহিলাদের জন্য। 


তথ্যসূত্রঃ
০১. সহিহ মুসলিম: ৫৮৯।
০২. সহিহ বুখারি: ১৩৭৭, সহিহ মুসলিম: ৫৮৮, সুনানে আবু দাউদ: ৯৮৩, সুনানে নাসাঈ ৩/৫৮।
০৩. সহিহ বুখারি: ৮৩২, সুনানে মুসলিম: ৫৮৯, সুনানে আবু দাউদ: ৮৮০, সুনানে নাসাঈ ৩/৫৬। 
০৪. সহিহ মুসলিম: ৭৭১, সুনানে তিরমিজি: ৩৪১৭।
০৫. সহিহ বুখারি: ৮৩৪, সহিহ মুসলিম: ২৭০৫, সুনানে তিরমিজি: ৩৫২১, সুনানে নাসাঈ ৩/৫৩।- হানাফি উলামায়ে কেরাম নামাজের শেষে উক্ত দুআটি পড়ার কথাই বলেন। এছাড়া অন্য দুআও পড়তে পারবে। (হেদায়া ১/১১৩)
০৬. সুনানে আবু দাউদ: ৭৯২, সুনানে ইবনে মাজা: ৯১০, মুসনাদে আহমাদ ৩/৪৮৪।
০৭. সুনানে আবু দাউদ: ৫০৭৪, মুসনাদে আহমাদ: ৩৯৫০।
০৮. হানাফিদের নিকট তা ফরজ নয়; বরং ওয়াজিব। তাই সালাম ছাড়া অন্য কোনভাবে নামাজ থেকে বের হলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে ওয়াজিব তরক করার কারণে তাকে পুণরায় নামাজটি পড়া ওয়াজিব। (হেদায়া ১/১১৪)
০৯. হানাফিদের মতে মুক্তাদি ইমামের সঙ্গে সালাম ফেরাবে। কারণ, ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব। তবে যদি মুক্তাদির তাশাহুদ পড়া বাকি থাকে, তাহলে তাশাহুদ শেষ করে সালাম ফেরাবে। কারণ, তাশাহুদও ওয়াজিব।




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url