দ্বীনি বিষয়ে জিজ্ঞাসা ও জবাব || ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব - ০৫)

ক্রীতদাসীর সাথে রিলেশন

প্রশ্ন-৩৯: মুনিবের সাথে ক্রীতদাসীর ফিজিক্যাল রিলেশনের ব্যাপারে ইসলামের বক্তব্য জানতে চাই ।


উত্তর: ইসলামই সর্বপ্রথম দাসপ্রথাকে সীমিত করে। দাসপ্রথা পৃথিবীর প্রায় শুরু থেকেই চলে আসছে । আমরা জানি, যখন থেকে পুঁজিব্যবস্থা তৈরি হয়, সামন্তব্যবস্থা তৈরি হয়, তখন থেকেই দাসপ্রথা জন্ম নেয়। বিভিন্ন ধর্মে, বাইবেলে, বেদে, গীতায় দাসপ্রথাকে সমর্থন করা হয়েছে । আল্লাহ তাআলা দাসপ্রথাকে একেবারে মিটিয়ে দেন নি । কারণ, তখন দাসপ্রথার উপর অর্থনীতির ভিত্তি ছিল। পাশাপাশি দাসদাসী যেন নতুন করে ন৷ হয়, যারা আছে তারা যেন মুক্ত হয় এ জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা দিয়েছেন ।

বাধ্যতামূলক দাস মুক্ত করা, যাদের সামর্থ্য আছে তাদের মুক্ত করে দেয়া.... তারমধ্যে একটা হল, কারো যদি ক্রীতদাসী থাকে, তাকে যদি স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করে এবং তার গর্ভে সন্তান হয়- ওই দাসী আর দাসী থাকে না। সে মুক্ত হয়ে যায়। এই জন্য দাসীকে কেউ স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলে সে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। এবং এর মাধ্যমে তার মুক্তি পাওয়ার একটা পথ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ইসলামের নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে । বিবাহের মতোই। অনেক শর্তসাপেক্ষ । আর যেহেতু দাস প্রথাই নেই, কাজেই কোনো স্বাধীন মানুষকে ক্রয় করা জঘন্যতম হারাম । বিক্রয় করা জঘন্যতম হারাম । এর মাধ্যমে কোনো দাসদাসী হয় না। যেগুলো ছিল তাদেরকে আস্তে আস্তে কমানো হয়েছে। এক পর্যায়ে উঠে গিয়েছে । কাজেই নতুন করে দাস বা দাসী হিসেবে কাউকে গ্রহণ করা, স্বাধীন মানুষকে বিক্রয় করা, ধরে এনে বিক্রয় করা এগুলো জঘন্যতম অপরাধ । এর মাধ্যমে কেউ দাস হিসেবে গণ্য হয় না। ইসলাম এই প্রথাকে খুবই নিরুৎসাহিত করেছে। প্রথমত একটা চৌবাচ্চায় পানি আসে। পানির নালাগুলো বন্ধ করে দিলে পানি আসা বন্ধ হয়ে যাবে । এরপরে যদি বেরোনোর ড্রেন করে দেন, তাহলে আস্তে আস্তে কমতে থাকবে । অনেক সময় আমাদের মনে হয়, মদের মতো দাসপ্রথা একবারে হারাম করে দিলেই তো হত। সমস্যা হয়েছিল যে, তৎকালীন অর্থনীতি, ব্যবসা, বাণিজ্য, ট্রেড- সবকিছু এই দাসব্যবস্থাপনার উপরে ছিল এবং দাসেরাও পরনির্ভর ছিল । আল্লাহ কুরআনে বলেছেনঃ


وَالَّذِينَ يَبْتَغُونَ الْكِتَابَ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا

যদি কোনো ক্রীতদাস মুক্ত হতে চায়, তোমরা যদি তাদের যোগ্যতা পাও, তাদেরকে মুক্ত হতে সাহায্য করো। এবং সর্বশেষ ইনস্টলমেন্টগুলো তোমরা দিয়ে দাও । এটা সূরা নূরে আল্লাহ পাক বলেছেন । (সূরা নূর, আয়াত-৩৩) ।

সুদি ব্যাংকে চাকরি করা

প্রশ্ন-৪০: আমি ব্যাংকে চাকরি করি। কিন্তু বিভিন্ন মানুষ বলে যে ব্যাংকে চাকরি করা সম্পূর্ণ হারাম । সুদের কাজ। আবার অনেকে বলে যে, না, আপনি তো পারিশ্রমিকের বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন। সুদের টাকার সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে আমার ইবাদত- বন্দেগী তো কিছুই কাজে আসবে না। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? এটাকে আমি মনেপ্রাণে ঘৃণা করছি বা অন্য জায়গায় যাওয়ার সুযোগ যদি না থাকে আমার, তাহলে আমি এখন কী করতে পারি?

উত্তর: আল্লাহর রাসূল (*) বলেছেন, আল্লাহ সুদের লেখক, সুদদাতা, সুদগ্রহীতা, সাক্ষী সবাইকে অভিশাপ দেন । আমরা বিশ্বাস করি, মানবতার বিরুদ্ধে যত অপরাধ আছে, সুদ একটা বড় অপরাধ । এটা নেশা এবং অন্যান্য অপরাধের চেয়েও বড় অপরাধ । যা দরিদ্র এবং ধনীর মধ্যে পার্থক্য বাড়ায়। এবং মানুষকে শোষণ করে। এই পাপে আপনি কোনো না কোনোভাবে অংশ নিচ্ছেন, এটা কষ্টকর। এবং আপনার ঈমানও এটা বলছে । তবে বিষয় হল বান্দার অবস্থা আল্লাহ জানেন। আপনি কতটুকু অসহায়, এটা আল্লাহ জানেন। আপনি আপনার অসহায়ত্ব আল্লাহকে বলবেন। চেষ্টা করবেন, দুআ করবেন, আল্লাহ এখান থেকে বের করে অন্য জায়গায় নেন । আর আপনি যে কথাটা বলেছিলেন, আমার ইবাদত কিছুই কবুল হচ্ছে না; বিষয়টা এরকম না । আমরা যে দৈহিক ইবাদত করি এর ফরয আদায় হয়ে যাবে। আর আপনি যে ইনকাম করছেন এর ভেতরে সুদসম্পৃক্ত বিষয়টা হারাম। এই হারাম উপার্জন থেকে আমরা যে দান করি, আর্থিক ইবাদত করি, এটা কবুল হয় না । তবে আমাদের দৈহিক ইবাদত নামায রোযা এগুলো কবুল হয় । হারাম যিনি ভক্ষণ করেন তার দুআ কবুল হয় না । আপনি একটা সমস্যার ভেতরে আছেন- ধর্মীয়ভাবে, মানসিকভাবে । আমরা দুআ করি, আপনিও আল্লাহর কাছে দুআ করেন, অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন, হতাশ হবেন না ।

অসুস্থতার কারণে রোযা রাখতে না পারা

প্রশ্ন-৪১: আমার স্বামী একটি রোযা রেখেছে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরের রোযাগুলো আর রাখতে পারে নি। এক্ষেত্রে আমার স্বামীর করণীয় কী?

উত্তর: যদি কেউ অসুস্থতার কারণে রোযা রাখতে না পারেন, তিনি সুস্থ হওয়ার আশা থাকলে কিছুই করবেন না । সুস্থ হওয়ার পরে রোযাগুলো কাজা করবেন । এতে কোনো গোনাহ হবে না । আর যদি এমন অসুস্থ হন, সুস্থ হয়ে রোযা রাখার আশা আর না থাকে, তাহলে প্রতিটি রোযার বিনিময়ে একজন দরিদ্র মানুষকে দুইবেলা খাওয়াবেন । অথবা একটা ফিতরা সমপরিমাণ টাকা কোনো দরিদ্র মানুষকে দিয়ে দেবেন ।

ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া

প্রশ্ন-৪২: বর্তমানে ঘুষ ছাড়া তো চাকরি হয় না। ঘুষ দেয়া তো হারাম। ঘুষ দিয়ে আমি যদি কোনো চাকরি নিই, সেই চাকরি থেকে আমি যে ইনকাম করব সেটা হারাম হবে কি না ?

উত্তর: ঘুষ দেয়ার দুটো পর্যায় রয়েছে। একটা হল: যোগ্যতা নেই, ঘুষের মাধ্যমে যোগ্যতা ছাড়াই আমি একটা চাকরি নিয়েছি। এক্ষেত্রে ঘুষও হারাম, চাকরিও হারাম । আরেকটা হল: আমার যোগ্যতা আছে । কিন্তু ঘুষ না দিলে চাকরিটা পাচ্ছি না । অথবা আমার একটা প্রাপ্য আছে- ব্যাংকে প্রাপ্য আছে অথবা জমাজমিতে প্রাপ্য আছে- কিন্তু ঘুষ না দিলে আমি পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে আমি মাজলুম। ঘুষ দেয়াটা হারাম। কিন্তু যেহেতু জুলুমের শিকার হয়ে দিচ্ছি, দিতে বাধ্য হচ্ছি, আমরা আশা করছি, তাওবার মাধ্যমে আল্লাহ এটা ক্ষমা করবেন। আর চাকরি বৈধ। চাকরির ব্যাপারে কোনো সমস্যা নেই ।

ফিক্সড ডিপোজিডের যাকাত

প্রশ্ন-৪৩: ফিক্সড ডিপোজিড করলেই কি যাকাত আসবে ?

উত্তর: আপনার সম্পদ, নগদ অর্থ অথবা সোনা অথবা ব্যবসার পণ্য আপনার মালিকানায় যেখানেই থাক, যদি নিসাব পরিমাণ হয়, অন্তত পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে যাকাত দিতে হবে । কাজেই আপনি যদি ফিক্সড করে ব্যাংকে রাখেন অথবা যে কোনোভাবে ব্যাংকে রাখেন, সেই টাকা নিসাব পরিমাণ হলে যদি এক বছর পূর্ণ হয় অবশ্যই যাকাত দিতে হবে।

মসজিদে অবৈধ সংযোগের বিদ্যুৎ নেয়া

প্রশ্ন-৪৪: একটা মসজিদে অবৈধ সংযোগের বিদ্যুৎ নেয়া হয়েছে। সেই মসজিদে আমি যদি নামায পড়ি আমার নামায হবে কি না?

উত্তর: প্রথম কথা হল, যিনি অবৈধ সংযোগ নিয়েছেন, যারা জানেন, সবাই পাপী হবেন । কিন্তু এর কারণে অন্যদের নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না । নামায আপনি যে কোনো জায়গায় পড়ে নিলেই নামায হয়ে যাবে। তবে আপনি যেহেতু জেনেছেন, আমরা অনুরোধ করব, আপনি বিদ্যুতের টাকাটা দিয়ে বৈধ সংযোগ এনে দেন । আমরা সমালোচনা করতে অভ্যস্ত । কোনো ভালো কাজে ইনিশিয়েট করতে, পদক্ষেপ নিতে অনেক সময় অভ্যস্ত না । আপনি দয়া করে অন্যদেরকে বলে, সমালোচনা বা কটূ কথা না বলে মসজিদের জন্য একটা বৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে অনেক জাযা খায়ের (উত্তম প্রতিদান) দিন ।

রোযা রেখে ঘুমের ভিতরে অশ্লীল স্বপ্ন দেখা

প্রশ্ন-৪৫: ঘুমের ভেতরে যদি কোনো অশ্লীল স্বপ্ন দেখা হয় তাহলে কি রোযা ভেঙে যাবে?

উত্তর: আমার প্রশ্ন হল ঘুমের ভেতরে যদি কেউ মানুষ খুন করে তাহলে কি ফাঁসি হবে? আসলে ঘুমের ভেতরের কর্মের জন্য আপনি দায়ী নন। কোনো পাপও হবে না । রোযারও কোনো ক্ষতি হবে না। রাসূল সা. বলেছেন, ঘুমন্ত মানুষ যতক্ষণ ঘুমিয়ে থাকে তার যা কিছু কর্ম... এমনকি ঘুমন্ত মানুষ বিছানা থেকে পড়ে একজন মানুষকে যদি মেরেও ফেলে, এই জন্যও তার কোনো পাপ লেখা হবে না ।

স্বর্ণ আছে কিন্তু যাকাত দেয়ার টাকা নেই

প্রশ্ন-৪৬: আমার স্বর্ণ আছে কিন্তু যাকাত দেয়ার মতো টাকা নেই। আমি কী করব?

উত্তর: মনে করি আপনার আট ভরি সোনা আছে । আট ভরি সোনার দাম হয়তো তিন লক্ষ টাকা । এর যাকাত আসবে ছয় বা সাত হাজার টাকা। তিন লক্ষ টাকার স্বর্ণ আমি ব্যবহার করতে পারি, অথচ এক বছর ধরে আমি ছয় হাজার টাকা আল্লাহর পাওনা দিতে পারব না এটা বাস্তবে মেলে না । আমার একটা সুন্দর বাড়ি আছে, ট্যাক্স হয়েছে বিশ হাজার টাকা । আমি কি বলতে পারব আমার বাড়ি আছে কিন্তু নগদ টাকা নেই, আমি ট্যাক্স দিতে পারব না! সরকার ট্যাক্স নিয়ে ভালো কাজ করেন । খারাপ কাজও করেন । আর আল্লাহ আপনার সম্পত্তির উপরে চেয়েছেন যে আপনি দরিদ্রদেরকে দেবেন। কোনো পুরোহিতকে নয়, আল্লাহকেও দেবেন না। দরিদ্রদেরকে দেবেন, সমাজ বিনির্মাণে দেবেন । আল্লাহ তাআলার কাছে ঋণ হিসেবে জমা থাকবে, তিনি ফিরিয়ে দেবেন আখিরাতে। কাজেই এক্ষেত্রে কৃপণতার সুযোগ নেই । আপনাকে যাকাত দিতেই হবে । অর্থ না থাকলে দুটোর একটা হয় সোনা কমিয়ে নিসাবের নিচে নিয়ে আসুন । অথবা মাসে মাসে জমিয়ে হলেও যাকাত পরিশোধ করে দিন ।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মেয়েদের গজল গাওয়া

প্রশ্ন-৪৭: অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মেয়েরা গজল গায় বা অনেক কিছু পাঠ করে বা বক্তৃতা করে । এটা কি জায়েয?

উত্তর: মেয়েরা মেয়েদের মজলিসে এগুলো করতে পারে। মেয়েরা মেয়েরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন এতে কোনো সমস্যা নেই। পুরুষদের মজলিসে পুরুষদেরকে শুনিয়ে সুললিত গলায় গজল বলা শরীআতে সঠিক নয় । আল্লাহ তাআলা নারী পুরুষের কথা বলতে নিষেধ করেন নি । কিন্তু কথা আকর্ষণীয় করে বলতে নিষেধ করেছেন ।

فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ

কথা স্বাভাবিক বলতে হবে। কাজেই সাধারণ অনুষ্ঠানে মেয়েরা সুন্দর করে গান গাইবে, ইসলামি গান হলেও এটা আসলে শরীআহ সমর্থন করে না । তবে মেয়েদের মজলিসে তারা এটা করতে পারে ।

কত টাকা হলে যাকাত দিতে হবে
প্রশ্ন-৪৮: কত টাকা হলে যাকাত ফরয হয়?

উত্তর: যদি কারো কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার দাম অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনার দাম থাকে, যেটা কম হয়, বর্তমানে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার দাম প্রায় বত্রিশ তেত্রিশ হাজার টাকা। এই পরিমাণ অর্থ যদি কারো কাছে এক বছর থাকে তাহলে যাকাত দিতে হবে। এর যত বেশি হবে পুরো টাকারই যাকাত দিতে হবে ।

ব্যবসা থেকে হাত খরচের টাকা নিতে বাবার অনুমতি

প্রশ্ন-৪৯: আমি বাবার সাথে ব্যবসা করি। তবে হাত খরচের জন্য কখনো কখনো বাবাকে না বলে কিছু টাকা গ্রহণ করি । এটা আমার জন্য বৈধ কি না?

উত্তর: যদি পুঁজি বাবার হয়, সবকিছু বাবার হয়, তাহলে বাবার অনুমতি লাগবে । প্রশ্ন শুনে আপনার কিছু পুঁজি বাবার কিছু পুঁজি এরকম মনে হল না । বাবার ব্যবসা, আপনি সেখানে কর্ম করেন, এমন মনে হল । এখানে একটি কথা বলে রাখি, আমাদের সমাজে ভাইয়ের দোকানে ভাই কাজ করে, বাবার ব্যবসায় ছেলে কাজ করে কিন্তু কোনো চুক্তি থাকে না । বেতনের কথা থাকে না । এটা ঠিক নয় । এতে যিনি কাজ করেন তার উপর জুলুম হয় । সন্তান হলেও পিতার দায়িত্ব- তুমি আমার এখানে কাজ করবে, তোমাকে এই পরিমাণ অর্থ বা হাত খরচ দেয়া হবে, এটা বলা । আমরা সন্তানদেরকে কর্মমুখী করব। পরনির্ভরশীল করব না। আর যদি এই ধরণের কোনো কথা না থাকে তাহলে আপনি বাবাকে না বলে টাকা নিতে পারেন না । বাবাকে বলতে হবে আমি মাঝে মাঝে হাত খরচ নেব ।


>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url