আল আকসার ইতিকথা-১৪ | ইহুদীদের বর্বরতা | ইহুদীদের মনগড়া ধর্ম | জেরুজালেমে খৃস্টান দূতাবাস


আল আকসা মসজিদের ইতিকথা শীর্ষক এই প্রবন্ধগুলো এ এন এম সিরাজুল ইসলামের লেখা “আল আকসা মসজিদের ইতিকথা” গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। সুন্দর তথ্যবহুল এই গ্রন্থটি বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত।

ইহুদীদের বর্বরতা ও মনগড়া ধর্মের সাথে একমত পোষন করে এমন খৃস্টান সংস্থাসমূহ



এখন আমরা বিকৃত তাওরাত এবং মানব রচিত বিভিন্ন গন্থের অনুসারী ইহুদীদের বর্বরতা, বিভিন্ন ধর্মের প্রতি তাদের সীমাহীন ঘৃণা ও বিভিন্ন ধর্মের উপর সরাসরি আক্রমণ, তাদের পাতানো যুদ্ধ বিগ্রহ, সামাজিক ও রাস্ট্রীয় অনাচারকে যেসব খ্রীষ্টান সংস্থাসমূহ সমর্থন করে এবং সাহায্য সহযোগিতা করে এবার তাদের নিয়ে আলোচনা করবো।

গীর্জা

প্রথমতঃ গীর্জার ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। আমেরিকার ইহুদীরা নিজেদের পক্ষে জনমত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে খৃস্টান গীর্জাকে সহায়ক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করে। গীর্জা রেডিও, টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা ও নিজস্ব প্রচারপত্রের মাধ্যমে কোটি কোটি লোকের কাছে বাণী পৌঁছায়। তাছাড়াও গীর্জার প্রভাবাধীন বিরাট সংখ্যক স্কুল রয়েছে।

পাশ্চাত্যে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থা চালু থাকা সত্ত্বেও সেখানে যতটুকু নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ টিকে আছে, তা গীর্জারই অবদান। আমেরিকার মত বৃটেনের গীর্জারও একই অবস্থা। তারা হচ্ছে প্রটেস্ট্যান্ট খৃস্টান। তারা তাওরাতকে মূল কিতাব এবং ইঞ্জিলকে তার শাখা বলে মনে করে। তারাও ইহুদীদের স্বার্থে কাজ করে থাকে। অপরদিকে, ইটালীর ক্যাথলিক গীর্জার অনুসারীরাও ইহুদীদের দাবীর সমর্থক। কেননা, ইটালীর ক্যাথলিক পোপ ইসরাইলের শ্রমিক দলীয় প্রধান শিমুন পেরেজের সাথে আলোচনার পর ইহুদীদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে। পোপ আলোচনায় নিশ্চিত হয়েছে যে, ইহুদীরা হযরত ঈসা (আঃ)-কে হত্যা করেনি। এই হচ্ছে তথাকথিত ইহুদী-খৃস্টান সহযোগিতার ভিত্তি।

যায়নবাদী বাইবেলিস্ট

এরা হচ্ছে, এংলিক্যান গীর্জার অনুসারী ও নিষ্ঠাবান যীশুপন্থী। তাদের মতে, ধর্মের প্রচার-প্রসার জরুরী। তথ্য মাধ্যমগুলো তাদেরকে মৌলবাদী খৃস্টান বলে আখ্যায়িত করে। আমেরিকায় খৃস্টান ধর্মের পুনর্জাগরণের জন্য তারা বিরাট ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারা আমেরিকার সবচাইতে বেশী শক্তিশালী খৃষ্টান সম্প্রদায়। বাইবেলিস্টদের মতে, মাজদু দিবসের যুদ্ধের সাথে হাইকাল নির্মাণের ঘটনা জড়িত। তারপর ইঞ্জিলের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী মাসীহর আগমন ঘটবে। তাই এ সম্প্রদায়টি ইহুদীদের মসজিদে আকসা ভাঙার পরিকল্পনাকে সমর্থন জানায়। তাদের আশংকা হল, এর ফলে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে ।

মার্কিন লেখিকা গ্রেস হালসেলের মতে, এই সম্প্রদায়ের সংখ্যা হল ৮৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৮ কোটি। বাজারে বিক্রীত বইয়ের মধ্যে তাদের বই সংখ্যা হচ্ছে এক -তৃতীয়াংশ এবং তাদের রয়েছে ১৩শ' রেডিও স্টেশন। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী স্কুলের মধ্যে তাদের স্কুলসমূহের ছাত্রসংখ্যা সর্বাধিক। তারা পবিত্র স্থান দেখার আওতায় জেরুসালেমে ধর্মীয় সফরের আয়োজন করে। বাইবেলিস্টদের চিন্তা-ধারার অনুসারী আরো আড়াইশ' সংস্থা আছে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদীদের সহযোগিতায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। এদের মধ্যকার কোন কোন সংস্থা ৩য় হাইকাল নির্মাণে সরাসরি অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে অধিকৃত আরব এলাকায় নিজেদের শাখা কায়েম করেছে। ইহুদী-খৃস্টান মৈত্রীর কারণে কিছুসংখ্যক খৃস্টান ব্যক্তিত্ব ইহুদীদের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। তারা হচ্ছেঃ

ম্যাটরন জিম ডোলস

তিনি নিজে প্রকাশ্যে বলে বেড়ান যে, ইঞ্জিল ইহুদীদের কিতাব । তিনি দাউদ ও রেডক্রসের তারকা খচিত আংটি পরেন এবং কাঁধে আমেরিকা ও ইসরাইলের প্রতীক খচিত পতাকা বহন করেন। তিনি আরো বলেন, আমি খৃস্টান-ইহুদী এবং আমি আমেরিকা ও ইসরাইলের সাথে আছি।

পাদ্রী জিমি সুগার্ট

তিনি একজন প্রধান বাইবেলিস্ট সম্প্রদায়ভুক্ত পাদ্রী। তিনি অনলবর্ষী ও প্রভাবশীল বক্তা। বক্তৃতায় তিনি মুহূর্তের মধ্যে লোকদেরকে হাসাতে ও কাঁদাতে পারেন। তিনি টেলিভিশনে খৃস্টান মিশনারী সম্রাট বলে পরিচিত। তিনি নিজের বাগ্মিতা ও দক্ষতার কারণে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি টিভি দর্শকের অন্তরে নিজ সাম্রাজ্য ও আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তিনি বছরে কমপক্ষে ১৫ কোটি ডলার চাঁদা সংগ্রহ করতে পারেন। তাঁর ধারণা হচ্ছে, মাজদু যুদ্ধ আসন্ন। যত শান্তি চুক্তিই সম্পাদন করা হোক না কেন, তাতে কোন লাভ নেই এবং আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্য আমেরিকায় শান্তি আসতে পারে না। মধ্যপ্রাচের অবস্থা আরো খারাপ রূপ ধারণ করবে। মসজিদে আকসার স্থলে হাইকাল নির্মাণ প্রয়োজন যা হযরত মাসীহর আগনের পথ পরিষ্কার করবে ।

জিমি সুগার্ট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ আহমদ দীদাতের সাথে এক বিতর্কে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন।

পদার্থ বিজ্ঞানী লাগার্ট ডলফিন

ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান। তিনি এমন এক এক্সরে মেশিন আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা জিনিসের ছবি সংগ্রহ করা যায়। তিনি তাঁর এই আবিষ্কারকে ইহুদীদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তিনি স্টানলি গোল্ড ফোট নামক আরেকজন বিজ্ঞানীর সমভিব্যাহারে মসজিদে আকসা ও সাখরার উপর দিয়ে উড়ে যান এবং ছবি সংগ্রহ করেন। উদ্দেশ্য হল, মসজিদে আকসা ও সাখরা হাইকালে সুলাইমানীর উপর প্রতিষ্ঠিত, এই বিষয়টি প্রমাণ করা।

জেরুজালেমে অবস্থিত আন্তর্জাতিক খৃস্টান দূতাবাস

বাইবেলিস্টরা ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেরুজালেমে ঐ দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করে। দূতাবাস প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হল, ইসলাম ও মুসলিমের বিরোধিতা করা। প্রতিষ্ঠার পরপরই দূতাবাস থেকে প্রচারিত এক ইশতাহারে বলা হয়, 'ইসলামের স্পিরিটের বিরুদ্ধে তোমাদের আহ্বান দরকার। তারপর আরো বলা হয় “আরব ও মুসলিম বিশ্বে রূহানী ইবাদতের জন্য ইসলামের খারাপ স্পিরিটই দায়ী। এছাড়াও গোটা বিশ্বের সর্বত্র এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল-বিরোধী ভূমিকার জন্য ইসলামের সেই রূহানিয়াতই দায়ী। ইসলাম আল্লাহর প্রতি বিদ্রূপ করে। কেননা, সবচাইতে পবিত্র পাহাড় সোরিয়ায় তাদের এই মসজিদ অবস্থিত। এটা হাইকালের পবিত্র স্থানে একটি বিরাট লজ্জা ও অপমানের বিষয়।” আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে উক্ত দূতাবাসের ১৫টি কনসুলেট আছে। সেগুলো সর্বদা ইসরাইলের স্বার্থে কাজ করছে। ১৯৮০ সালে জেরুসালেম পোস্ট পত্রিকা এক নিবন্ধে লিখেছে, কনসুলেটগুলো মার্কিন পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন, ফিল্ম, মিটিং এবং ইসরাইলের প্রতি ভালবাসার নৈশ অনুষ্ঠানে ইসরাইলের পক্ষে প্রচারণা চালায়।

সংখ্যাগরিষ্ঠ নৈতিক সংস্থা

১৯৭৯ সালে পাদ্রী জিরী পালওয়েল এই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থা বিশ্বের ৬শ' রেডিও-টেলিভিশন স্টেশনের মাধ্যমে 'ইঞ্জিলের ঘন্টা' শিরোনামে দৈনিক ১ ঘন্টা প্রোগ্রাম প্রচার করে। সংস্থার একটি সাময়িকী আছে এর নাম হচ্ছে, 'খৃস্টান ভয়েস।' মিঃ পালওয়েল তাঁর সংস্থার মাধ্যমে পবিত্র স্থানে সফরের উদ্দেশ্যে মাজদু উপত্যকাসহ তাওরাতে বর্ণিত অন্যান্য স্থানগুলো ভ্রমণের কর্মসূচী হাতে নেন। এক জনমত জরীপে জানা যায়, মার্কিন কংগ্রেসের বাইরে পালওয়েল সর্বাধিক আশ্চর্যজনক ব্যক্তি। তিনি ইসরাইলের নেতৃবৃন্দের ব্যক্তিগত বন্ধু। বিশেষ করে বেগিন ও এসহাক শামীরের বিশেষ বন্ধু। তার একটি মন্তব্য হল, “ইসরাইল নামক এই ছোট দেশটির উপর রাশিয়া তার আরব মিত্রদের সহযোগিতায় পুনরায় আক্রমণ করবে।'

হাযকিয়াল নামক অন্য এক পাদ্রী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, রাশিয়া পরাজিত হবে, আল্লাহ আবারও ইসরাইলকে রক্ষা করবেন ।

ধর্মীয় গোলটেবিল সংস্থা

ডানপন্থী খৃস্টানদের কর্মসূচী সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনেকগুলো বড় বড় সংস্থা এর সাথে যুক্ত আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, 'পবিত্র কিতাবের অনুবাদকগণ' এবং 'মার্কিন গীর্জা সংস্থা'। গোলটেবিল সংস্থার কাজ অত্যন্ত গোপন। এর কাছে বিশ্বের হাজার হাজার মানুষের গোপন ফাইল আছে। ইহুদীদের প্রতি সমর্থন দেয়াকে তারা ধর্মীয় দায়িত্ব মনে করে ।

হাইকাল পাহাড় সংস্থা

টেরি রিজেনিহোভার তাওরাতে বর্ণিত ৩য় হাইকাল পুনঃনির্মাণ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবায়নের জন্য এই সংস্থাটি কায়েম করেন। ইসরাইলের দাফার পত্রিকা ১৯৮৩ সালে এক নিবন্ধে লিখেছে, 'হাইকাল পাহাড় সংস্থা' জেরুসালেমের মুসলিম ওয়াকফ বিভাগের সম্পত্তি কিনে সেখানে ইহুদী বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে সাহায্য করার জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার চাঁদা সংগ্রহ করেছে। উক্ত অর্থ দ্বারা ৩য় হাইকাল নির্মাণেও সহযোগিতা করা হবে। ১৯৮৩ সালে মসজিদে আকসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ইহুদীদেরকে আটক করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজেন হোভার। তিনি তাদের আত্মরক্ষার জন্য মামলা পরিচালনার খরচ পাঠিয়েছেন। রিজেন হোভার একজন বড় ধনী এবং জমিন ও পেট্রোল ব্যবসায়ী। তিনি ইহুদী সংস্থা 'হাইকাল মোকাদ্দাসকে' বিরাট অংকের সাহায্য দিয়েছেন। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, মসজিদে আকসা কি হাইকাল তৈরির পথে বাধা? তিনি উত্তরে বলেন, 'মসজিদে আকসা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।'

জেরুজালেম শহর খৃস্টানদের পবিত্র স্থান

জেরুজালেম শহরে খৃস্টানদের ২টা প্রধান পবিত্র স্থান আছে-
১. বেথেলহেম গীর্জা ও 
২. কেয়ামাহ গীর্জা। কেয়ামাহ গীর্জাকে ইংরেজীতে Holy Sepulchre বলে।

বেথেলহেম গীর্জাঃ হযরত ঈসা (আঃ) পশ্চিম জেরুসালেমের বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। বাইজেনটাইন সম্রাট কনস্ট্যান্টইন ৪র্থ শতাব্দীতে হযরত ঈসার জন্মস্থানে একটি গ্রীক অর্থোডক্স গীর্জ নির্মাণ করেন। বেথেলেহেম একটি ছোট শহর। এটি জেরুসালেম থেকে (৫ মাইল) ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এতে বর্তমানে ৩৫ হাজার লোক বাস করে। শহরের অধিবাসীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আগ্রহী। ১৯৮৭ সালে ফিলিস্তিনী গণ- জাগরণ আন্দোলন শুরুর পর থেকে এ যাবত দীর্ঘ ৫ বছর, ২৫শে ডিসেম্বরের খৃস্টমাস দিবস পালন উপলক্ষে, গণ-জাগরণ আন্দোলনের সমর্থনে খৃস্টমাস প্যারেড ও সম্বর্ধনা মুলতবী রাখে। ফিলিস্তিনের খৃস্টানরা ফিলিস্তিনীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা চায়, অথচ ফিলিস্তিনের বাইরে যায়নবাদী খৃস্টানরা ইহুদীদের জবরদখলের প্রতি সমর্থন জানায় ।

কেয়ামাহ গীর্জাঃ এটি পূর্ব জেরুসালেমে মসজিদে আকসার কাছে অবস্থিত । খৃস্টানদের মতে, মাদ্রাসা উমারিয়া থেকে শুরু করে জালজালায় অবস্থিত কেয়ামাহ গীর্জা পর্যন্ত সড়কটি একটি দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী। যখন ইহুদীরা হযরত ঈসা (আঃ)-কে শূলে চড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নিল, তখন তিনি নিজ পিঠে শূলের কাঠ বহন করে ঐ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান। ঐ রাস্তার ১৪টি পর্যায় বা মনযিল আছে। ৯টি গীর্জার বাইরে এবং ৫টি গীর্জার ভেতর। খৃস্টানরা হযরত ঈসার অনুসরণে ঐ রাস্তা দিয়ে ধর্মীয় কাফেলায় অশংগ্রহণ করে চলতে থাকে ৷ প্রতিটি পর্যায়ে যাত্রাবিরতি করে প্রার্থনা জানায়। কেয়ামাহ গীর্জা জেরুসালেমের সবচাইতে বড় গীর্জা। এতে একসাথে ৮ হাজার লোকের সংকুলান হয়। গীর্জাটি বহু ভাঙা-গড়ার পর বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর ভেতর বহু নকশা ও ডিজাইন আছে। এর ভেতর অনেক জায়গায় গাধার উপর আরোহণরত অবস্থায় হযরত ঈসার ছবি এবং হযরত ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ছবিও রয়েছে।

পুরাতন শহরের দেয়ালের ভেতর ও বাইরে খৃস্টানদের আরো অনেক গীর্জা আছে। জেরুসালেম খৃস্টানদের কাছে আনন্দ ও বেদনা- এই উভয়েরই স্মারক ।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url