আল আকসার ইতিকথা-১৫ | মসজিদে আকসা | সাখরায় ইহুদী আগ্রাসন | বোরাক দেয়াল | আল আকসার ধ্বংস

আল আকসা মসজিদের ইতিকথা শীর্ষক এই প্রবন্ধগুলো এ এন এম সিরাজুল ইসলামের লেখা “আল আকসা মসজিদের ইতিকথা” গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। সুন্দর তথ্যবহুল এই গ্রন্থটি বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত।

মসজিদে আকসা ও সাখরায় ইহুদী আগ্রাসনের নানামূখী তৎপরতা


১৯৬৭ সালের ৫ই জুনের যুদ্ধে জেরুজালেম জবরদখল করার পর থেকে আজ পর্যন্ত অধিকৃত ফিলিস্তিনের পবিত্র স্থানসমূহের উপর ইসরাইলী আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। তাদের আচরণ দ্বারা বুঝা যায়, বাইতুল মাকদিসের ইসলামী চরিত্র পরিবর্তন করে ইহুদীকরণের আগ পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হবার নয়। আর তাদের সেই ইচ্ছা মসজিদে আকসা ও সাখরার চিরস্থায়ী ধ্বংস করার আগ পর্যন্ত পূরণ হতে পারে না ।

মসজিদে আকসা ও সাখরার উপর বার বার ইহুদী হামলার কারণ বিশ্লেষণ করলে যে মারাত্মক চিত্র ফুটে ওঠে, তা হচ্ছে-
১. পরিকল্পিত উপায়ে বিভিন্নভাবে জোরদার আক্রমণ চলছে।

২. ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত পক্ষসমূহের সংখ্যা এবং শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

৩. ঐ সকল আক্রমণ কিংবা ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় আরব ও মুসলিম বিশ্বের ব্যক্ত প্রতিক্রিয়া উপযুক্ত নয়। এর কারণ দুটোর যে কোন একটি হতে পারে। হয় তারা এ বিষয়ে অজ্ঞ, কিংবা বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখছেন।

৪. ইসরাইল সরকার মসজিদে আকসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী দল ও সংস্থাসমূহের জন্য আড়াল হিসেবে কাজ করে। যদি তারা কোন দুর্ঘটনা ঘটায় তখন সরকার বলে, এটা চরমপন্থীদলের কাজ কিংবা প্রত্যাখ্যাত সন্ত্রাস। তখন লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে অপরাধীদের ২/১ জনকে আটক করে এবং পর্দার অন্তরালে তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দান করে। সময় সময় বিশেষ কোন শাস্তির ঘোষণা দিয়েও তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়।

৫. আল্লাহর নিজ কুদরতের বদৌলতে এ যাবত বহু ইহুদী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছেন। মসজিদে আকসা ও সাখরার হেফাজতকারী শুধু জেরুজালেমের নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীরা নয়, বরং গোটা বিশ্ব মুসলিম এর হেফাজতকারী। বাস্তবে ফিলিস্তিনী জনগণ ছাড়া মুসলিম মিল্লাতের অবশিষ্টাংশ ঘুমিয়ে আছে ও নিজ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছে না।

৬. এ ব্যাপারে ইসরাইল রাষ্ট্রের সরকারী নীতি খুবই পরিষ্কার। সরকার দুঃখজনক কোন ঘটনার মাধ্যমে মসজিদে আকসা ও সাখরাকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন কামনা করে, অথবা দায়িত্বহীন কোন দল কিংবা মাতাল


দ্বারা অথবা ভূমিকম্পসহ এ জাতীয় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে মসজিদে আকসা ও সাখরার ধ্বংসনীতিকে অগ্রাধিকার দেয়। এ সকল কারণে ইসরাইলী সরকার মসজিদে আকসার আশেপাশে খনন কার্য অব্যাহত রেখেছে এবং সরকার সরাসরি তা ধ্বংস করতে চায় না বরং ভিন্নভাবে এর ধ্বংস কামনা করে ।

আল আকসাকে ধ্বংস করতে খনন তৎপরতা

ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধের জেরুজালেম জবরদখল করার পর থেকে আজ পর্যন্ত হাইকালে সুলাইমানী সংক্রান্ত এমন একটি নিদর্শন খুঁজে বেড়াচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, মসজিদে আকসা ও সাখরা হাইকালে সুলাইমানীর উপর প্রতিষ্ঠিত। যেন তারা এই অযুহাত দেখিয়ে তা ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারে। এটা তাদের ঘোষিত উদ্দেশ্য হলেও এটাই সব নয়। বরং তাদের অন্যান্য অঘোষিত উদ্দেশ্য রয়েছে। ইহুদী জাতি হচ্ছে ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা ও ধোঁকাবাজ জাতি। তাই আমরা তাদের খনন ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবো। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর এ পর্যন্ত ১০ পর্যায়ে খননকার্য চালানো হয়েছে ।

১ম পর্যায়ঃ জুন যুদ্ধের পর ইসরাইল মাগারেবা এলাকার বসতি উচ্ছেদ করেছে এবং দীর্ঘ ১ বছর যাবত পুরা এলাকায় খননকার্য পরিচালনা করেছে। তারা ১৪ মিটার গভীর পর্যন্ত খননকার্য চালিয়েছে। বাবুল মাগারেব মসজিদে আকসার নিকটবর্তী।

২য় পর্যায়ঃ মসজিদে আকসার পার্শ্ববর্তী মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার মুসলমানদেরকে উৎখাত করা হয়েছে এবং এই পর্যায়ে ১৯৬৯ খৃঃ মসজিদে আকসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মুসলিম বসতিগুলোতে ইহুদী ধর্মীয় স্কুল, ইনস্টিটিউট, পার্ক ও হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে এবং মসজিদে আকসার বেষ্টনী দেয়ালের ৮০ মিটার দূরে খালি করা মুসলিম এলাকায় ব্যাপক খনন কাজ পরিচালনা করা হয়েছে।

৩য় পর্যায়ঃ ১৯৭০ খৃঃ থেকে ১৯৭২ খৃঃ পর্যন্ত সময়ে মসজিদে আকসার বেষ্টনী দেয়ালের নীচে দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে খনন করা হয় এবং মসজিরে আঙিনার নীচ পর্যন্ত ঐ খননকাজ চলতে থাকে। এই পর্যায়ে ইসলামী শরীআহ কোর্টসহ বহু মুসলিম বাড়ী-ঘর দখল করা হয় ।


৪র্থ পর্যায়ঃ ১৯৭৩ খৃঃ মসজিদে আকসার পশ্চিম দেয়ালের কাছে খনন কাজ চালানো হয় এবং দেয়ালের নীচে দীর্ঘ গর্ত খনন করা হয়। গর্তের গভীরতা ছিল ১৩ মিটার ।

৫ম পর্যায়ঃ ১৯৭৪ সালে পশ্চিম দেয়ালের নীচে গর্তকে সম্প্রসারিত করা হয়। ৬ষ্ঠ পর্যায় ১৯৭৫-৭৬ খৃঃ ইহুদী সরকার পশ্চিম দেয়ালের নীচের গর্ত আরো সম্প্রসারিত করে এবং ঐ সময় রাসূলুল্লাহর (সা) প্রখ্যাত সাহাবীদ্বয় উবাদাহ বিন সামেত এবং শাদ্দাদ বিন আওসের (রাঃ) কবর থেকে তাঁদের হাড়গোড় সরিয়ে ফেলে।

৭ম পর্যায়ঃ ১৯৭৭ খৃঃ মসজিদে আকসার আঙিনায় অবস্থিত মহিলাদের মসজিদের নীচ পর্যন্ত খনন করা হয়। তারা ৯ মিটার গভীরে খনন করে। মসজিদের আঙিনার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য মুসলিম বাড়ী-ঘরগুলো ভেঙে সেখানেও খনন কাজ চালানো হয় ।

৮ম পর্যায়ঃ ১৯৭৯ খৃঃ মসজিদে আকসার পশ্চিম দেয়ালের নীচে বোরাক দেয়ালের পাশে খনন করা হয়। ইহুদী সরকার সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গ খনন করে এবং খননকার্য আরো অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে করে পশ্চিম থেকে পূর্বদিক পর্যন্ত মসজিদের পুরো এলাকাব্যাপী উক্ত সুড়ঙ্গ সম্পন্ন হয়। পরে ইহুদীরা সুড়ঙ্গটিকে স্থায়ী করার উদ্দেশ্যে সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে এবং তাতে ছোট একটি ইহুদী উপাসনালয় নির্মাণ করে। ইসরাইলের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী তাকে ইহুদীদের অস্থায়ী ইবাদতগাহ হিসেবে উদ্বোধন করেন । 

৯ম পর্যায়ঃ ১৯৮৬ খৃঃ মসজিদে আকসার চারদিকে খননকাজ করা হয় এবং পুরাতন জেরুজালেম শহর থেকে বিরাটসংখ্যক মুসলিম নাগরিককে উচ্ছেদ করা হয়। সেখানকার ফিলিস্তিনী হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয় ।

১০ম পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে মারাত্মক খননকাজ চালানো হয়। ইহুদীরা মসজিদে আকসার আঙিনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নীচে খনন করতে চাইলে মসজিদের নিরস্ত্র মুসলিম রক্ষীরা তাতে বাধা দেয়। তখন তারা মসজিদের বেষ্টনী দেয়ালের বাইর থেকে খনন কাজ শুরু করে। উল্লেখ্য যে, বেষ্টনী দেয়ালের বাইরের মুসলিম এলাকাগুলো আগেই খালি করা হয়েছে এবং সেগুলো ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখান থেকে তাদের খনন কাজ শুরু করতে বাধা নেই। ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসে, ইহুদীরা মসজিদ সংলগ্ন ওয়াদী এলাকা থেকে মসজিদ আকসাগামী রাস্তার মাঝাবাঝি খনন শুরু করে। মসজিদের মুসলিম রক্ষীরা তাতে বাধা দেয়। কিন্তু খননকারীরা খনন অব্যাহত রাখে। খননকারীদের উক্ত খনন কাজের উদ্দেশ্য ছিল মসজিদে সাখরার নীচের মূল ভিত্তি পর্যন্ত পৌঁছা। তারপর মসজিদে আকসার পূর্ব দেয়ালের নীচে আরেকটা সুড়ঙ্গ খনন করা। জেরুজালেমের ইসলামী ওয়াকফ বিভাগ ষড়যন্ত্রটি বুঝতে পেরে খনন কাজ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে মসজিদের পূর্ব দেয়াল সংলগ্ন বাইরের যমীনের উপর একটা বেড়া নির্মাণ করে। ইসরাইল সরকার বেড়া দেখে তা সরিয়ে ফেলার হুমকি দেয় এবং অজুহাত দেখায় যে, তা বিনা অনুমতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। ইসলামী ওয়াকফ বিভাগের পরিচালক এর জবাবে বলেন, এটা যেহেতু ওয়াকফ বিভাগের সম্পত্তি, সেহেতু তাতে বেড়া দেয়ার জন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। ওয়াকফ বিভাগের ঐ জবাবের প্রেক্ষিতে ইসরাইল সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং সেই মামলা ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকে। ১০ম পর্যায়ের খনন কাজ হচ্ছে সবচাইতে মারাত্মক কাজ। কেননা, এর উদ্দেশ্য হল মসজিদে আকসা ও সাখরার নীচ থেকে সকল মাটি ও পাথর সরিয়ে ফেলা। যাতে করে মসজিদ ২টা কোন রকম দাঁড়িয়ে থাকলেও যে কোন সময় ভূমিকম্প বা অন্য কোন কারণে ধসে পড়ে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইহুদীরা হাইকালে সুলাইমানীর নিদর্শন খুঁজে পাওয়ার জন্য মসজিদে আকসায় যে খননকার্য পরিচালনা করছে, তা কতটুকু যুক্তিসংগত? ইহুদী প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছে, মসজিদে আকসা ও সাখরা এবং এই দুইটির আঙিনার নীচে হাইকালে সুলাইমানীর প্রত্নতাত্ত্বিক কোন নিদর্শনের অস্তিত্ব নেই। কোন কোন ইহুদী প্রত্নতবিদ বলেছে, হাইকাল আছে, তবে কোথায় আছে, তারা তা জানে না। তাহলে, উক্ত খননকার্যের উদ্দেশ্য মসজিদে আকসা ও সাখরা ধ্বংস করা ছাড়া আর কি হতে পারে?

আল আকসা ধ্বংসের লক্ষ্যে যত আগ্রাসন

'৬৭-এর জুন মাসে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইহুদীরা মসজিদে আকসার কয়েকটি জানালা ভেঙে ফেলে মসজিদের ক্ষতিসাধন করে। ১১/৬/১৯৬৭ খৃঃ ইহুদীরা বোরাক দেয়ালের সামনের মুসলিম বসতি ভেঙে ফেলে এবং তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।

২৭/৬/৬৭ খৃঃ জেরুজালেমে হাখাম ইহুদীদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং তারা জেরুজালেম ও হাইকালে সুলাইমানীর বিষয়ে আলোচনা করে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা শীঘ্র ৩য় হাইকাল নির্মাণের উপর জোর দেয় ।

১৫/৮/৬৭ সালে, ইসরাইলের বড় হাখাম এবং ইসরাইলী সেনাবাহিনীর হাখাম শ্লোমোগোরিন ২০ জন সামরিক অফিসারকে সাথে করে সামরিক পোষাকে মসজিদে আকসার আঙিনায় প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলী ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে এবং পরে ইহুদী প্রার্থনা আদায় করে।
প্রায় প্রত্যেক বছর আগস্ট মাসে ইহুদীরা মসজিদে আকসায় আক্রমণ করে। কেননা, ৭০ খৃস্টাব্দের ২১শে আগস্ট, তাইতুস ২য় হাইকাল ধ্বংস করে। ইহুদীরা সেই দুঃখজনক স্মৃতির কারণে আগস্ট মাসে বেশী আক্রমণ চালায় । ১৯৬৭ সালের ৩১শে আগস্ট ইহুদীরা জোর করে মসজিদে আকসার প্রধান গেইট বাবুল মাগরেবার চাবি নিয়ে যায়, যেন তারা যে কোন সময় বোরাক দেয়ালের কাছে যেতে পারে। তারা এটাকে 'মাবকী দেয়াল' বলে। ইহুদীরা ইসরাইলী সেনাবাহিনীর বড় হাখাম শ্লোমোগোরিনের সহায়তায় ঐ চাবি জোর করে হস্তগত করে। এইভাবে তারা মসজিদে আকসার অপবিত্রতা সাধন করে। ১৯৬৯ সালের ২১শে আগস্ট ডেনিস মাইকেল নামক জনৈক অক্টেলিয়ান খৃস্টান মসজিদে আকসায় অগ্নিসংযোগ করে। অন্য এক বর্ণনায় মিখাইল রোহান নামক একজন ইহুদী অগ্নি সংযোগ করে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে মসজিদের আসবাবপত্র, দেয়াল, সালাহউদ্দিনের মিম্বার এবং মসজিদের দক্ষিণাংশ পুড়ে যায়। ইসরাইলী প্রশাসন দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে। আদালত তার রায়ে বলে যে, যা ঘটেছে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন প্রেরিত ব্যক্তির কাজ ও হযরত যাকারিয়ার ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতিফলন মাত্র। অগ্নিসংযোগকারী ব্যক্তি পাগল, তাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি কার্যকর করা যায় না। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা গঠিত হয় ।

১৯৭১ সালের ১১ই মার্চ আল-হারহাশেম দলের নেতা জরশন স্যালমন, গোঁড়া একজন ইহুদী ছাত্রকে সাথে করে মসজিদে আকসায় ইহুদী প্রার্থনা আদায় করে। এর ফলে জেরুজালেমে গোলযোগ সৃষ্টি হয় ।

১৯৭৬ সালের ৩০ শে জানুয়ারী একটি ইসরাইল আদালত মসজিদে আকসার আঙিনায় দিনের যে কোন সময় ইহুদী প্রার্থনা অনুমতি দেয়। এর আগে ৪০ জন ইহুদী জোর করে মসজিদে আকসায় প্রবেশ করে ইহুদী গান গায় ও মুসলমানদের ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এর ফলে মসজিদের আঙিনায় মুসলমানদের সাথে ইহুদীদের সংঘর্ষ হয়।
১৯৭৮ সালের ১৪ই আগস্ট আল-হারহাশেম দলের নেতা জরশন স্যাশমনের নেতৃত্বে একদল ইহুদী মসজিদে আকসায় প্রার্থনা জানায়। এতে মসজিদের


প্রহরীরা বাধা দেয়। ১৯৮০ সালের ১লা মে ইহুদীরা বিস্ফোরণের মাধ্যমে মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। তারা মসজিদের নিকটবর্তী একটি ইহুদী গীর্জার ছাদের উপর এক টনেরও বেশী বিস্ফোরক দ্রব্য রেখে দেয়। ইহুদী স্কুল বাশিফায়ও একই উদ্দেশ্যে তারা আকেবার বিস্ফোরক দ্রব্য রেখে যায়। মুসলমানদের সতর্কতার কারণে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এই অপরাধে সন্ত্রাসবাদী মায়ের কাহানাকে অভিযুক্ত করা হয়।

১৯৮১ সালের ৯ই আগস্ট ইহুদী সংস্থা জোশ ইমুনিয়ামের ৩ শত সদস্য মসজিদের বাবুল হাদীদের তালা ভেঙে তাতে প্রবেশ করে ও মুসলামানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে ইহুদী প্রার্থনা আদায় করে ।

১৯৮১ সালের ২৫শে আগস্ট একটি ইহুদী ধর্মীয় সংস্থা বোরাক দেয়াল থেকে মসজিদের আঙিনা পর্যন্ত একটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করে এবং দাবী করে যে, এর সাথে ২য় হাইকালের সম্পর্ক রয়েছে। এর ভিত্তিতে তারা খননকাজ শুরু করায় মসজিদের দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়।

১৯৮২ সালের ২রা মার্চ হাইকাল পাহাড় সচিবালয় সংস্থার ১৫ জন ব্যক্তি মসজিদে আকসার বাবুস সিলসিলাহ গেইটে সশস্ত্র আক্রমণ করে। তারা ভেতরের রক্ষীদের উপর আক্রমণ চালায় এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একজন মুসলিম রক্ষী পেটের বাম পার্শ্বে ছুরিকাহত হন। পরের দিন মুসলমানগণ এই উত্তেজনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ পুরো জেরুজালেম, অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজ্জা, নাবলুস এবং বেথেলহেমে ধর্মঘট আহবান করে।

১৯৮২ সালের ৩রা মার্চ বাবুল গাওয়ানেমা দিয়ে একদল ইহুদী যুবক মসজিদে আকসায় হামলা চালায় এবং মসজিদের রক্ষীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে একজন মুসলিম রক্ষী আহত হয়। ইসরাইলী পুলিশ আক্রমণকারী ইহুদী যুবকদেরকে আটক না করে আহত রক্ষীকে আটক করে এবং অন্যান্য রক্ষীদের কাছ থেকে উল্টা কৈফিয়ত তলব করে।

১৯৮২ সালের ৮ই এপ্রিল মুসলমানগণ মসজিদের একটি প্রধান গেইটের পেছনে সন্দেহজনক একটি প্যাকেট দেখতে পায়। প্যাকেট খোলার পর তাতে বৈদ্যুতিক তার ও রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র পাওয়া যায়। তা থেকে মসজিদের ওয়াকফ কাউন্সিলের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিও উদ্ধার করা হয়। চিঠিতে লেখা ছিল, “তোমাদের বিরুদ্ধে আমাদের অধিকতর তৎপরতার অপেক্ষা কর।” পরেদিন মুসলমানগণ জুমুআর নামায আদায় করে এবং ঐ হুমকির কারণে তারা মসজিদে অবস্থান করে। ১৯৮২ সালের ১১ই এপ্রিল, এলান গডম্যান নামক একজন ইসরাইলী সৈন্য বাবুল গাওয়ানেমায় এসে রক্ষীর উপর গুলী ছুড়ে তাকে আহত করে। তারপর মসজিদে সাখরার দিকে দৌড়ে যায় ও এলোপাথাড়ি গুলী ছুড়তে থাকে। ফলে, কয়েকজন মুসল্লী আহত হয় ও মসজিদের একজন রক্ষী শহীদ হন। মসজিদের পার্শ্ববর্তী ঘরসমূহের উপর অবস্থান গ্রহণকারী ইহুদী সৈন্যরা মসজিদে সাখরার দিকে লক্ষ্য করে গুলী ছুড়তে থাকে। মসজিদের মুআনি মসজিদের মাইক্রোফোনে মুসলমানদের প্রতি মসজিদের প্রতিরক্ষার জন্য এগিয়ে অসার আহ্বান জানান। মুসলমানগণ দ্রুত প্রতিরক্ষার জন্য এগিয়ে আসে। মসজিদের পার্শ্ববর্তী বাড়ীসমূহের ছাদ থেকে ইসরাইলী সৈন্যরা গুলী ছোড়ে। ফলে প্রায় ১শ' ব্যক্তি আহত হয়। জেরুজালেমের মুফতী শেখ সাদউদ্দিন এলমী ঐ ঘটনার জন্য ইসরাইল সরকারকে দায়ী করেন। তখন তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মানাচেম বেগিনের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'মুফতীর যুগ শেষ হয়ে গেছে এবং সেই যুগ আর ফিরে আসবে না।' বিশ্বব্যাপী এই ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করা হয়। ২০/৪/১৯৮২ সালে বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয় এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে খসড়া নিন্দা প্রস্তাবের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রয়োগের কারণে তা নাকচ হয়ে যায় ৷
১৯৮২ সালের ২৭শে এপ্রিল ইহুদী কাখ আন্দোলনের নেতা হাখাম মায়ের কাহানার নেতৃত্বে ১শ' ব্যক্তি মসজিদে আকসা আক্রমণ করে এবং ফিলিস্তিনী মুসলমানদেরকে তাদের জন্মভূমি থেকে বহিষ্কার করার শ্লোগান দেয় ।

১৯৮২ সালের ২৯শে এপ্রিল, ৩০ জন সশস্ত্র ইহুদী মসজিদে আকসায় জোর করে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু মসজিদের প্রহরীরা বাধা দেয়ায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়নি।

১৯৮২ সালের ৬ই মে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মসজিদে সাখরার গম্বুজের প্রতি গুলী ছুড়তে থাকে। রক্ষীরা মসজিদের দরজা বন্ধ করে দেন। জানা গেছে যে, নব প্রতিষ্ঠিত ইহুদী বসতির একজন ইহুদী নাগরিক মসজিদের নিকটবর্তী স্কুলের উপর থেকে মসজিদের প্রতি গুলী ছোড়ে।

১৯৮২ সালে ইহুদী কাখ আন্দোলনের সদস্য ইয়াসরাইল লারনার তার গোপন সংস্থার কয়েকজন যুবককে নিয়ে মসজিদে সাখরা বিস্ফোরিত করতে চেয়েছিল। এছাড়াও তারা জেরুজালেমের অন্যান্য মসজিদগুলোও ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। একই সালে রবি আর্নেল তার ২০ জন ছাত্র নিয়ে মসজিদে আকসা ধ্বংস করার চক্রান্ত করে।

১৯৮৩ সালে রাবী যালমান কোরনের শিষ্যরা মসজিদে আকসা আক্রমণ করে। তাদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিচারে ইহুদী বিচারপতি তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয় এবং তাদেরকে আটক করার দায়ে পুলিশকে অভিযুক্ত করে।

১২/৩/১৯৮৩ সালে হাখাম মায়ের কাহানার দলের ৪২ ব্যক্তি মসজিদে আকসা পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। মুসলমানদের প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হয়। ১৯৮৩ সালের আগস্ট মাসে ওমানা হাইকাল সংস্থার একদল ইহুদী মসজিদে আকসার বোরাক দেয়ালের কাছে প্রার্থনা জানায় ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে ।

১৯৮৪ সালের ১লা জানুয়ারী সন্ত্রাসবাদী ইহুদীচক্র ২৯ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে মসজিদটি ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। একই সালের ২৭শে জুলাই পুনরায় তারা মসজিদ ধ্বংসের অনুরূপ উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মসজিদের রক্ষীদের সতর্কতার কারণে ব্যর্থ হয়ে যায় ।
১৯৮৫ সালের ১২ মার্চ ইহুদী চরমপন্থী দলগুলোর কিছু লোক নতুন ইহুদী বসতি এবং ইহুদী স্কুল স্থাপনের উদ্দেশ্যে মসজিদে আকসার পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসলমানদের উপর হামলা চালায় ।

১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে একজন চরমপন্থী ইহুদী মসজিদের দিকে নিজ গাড়ী চালিয়ে তার ক্ষতি করতে চেয়েছিল। ১৯৮৪ সালের আগস্ট মাসে মসজিদে আকসার রক্ষীরা মসজিদের আঙিনায় কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসবাদী ইহুদীকে দেখতে পায় যে তারা মসজিদটি পুরোপুরি ধ্বংসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের সাথে ছিল ১২০ কেজি টিএনটি বিস্ফোরক দ্রব্য। মুসলমানগণ সেই প্রচেষ্টা বানচাল করে দেয়। জেরুজালেমের মুফতি শেখ সাদউদ্দিন এলমী বলেছেন, আল্লাহর রহমত না হলে মসজিদের একটি পাথরও অবশিষ্ট থাকত না ।

১৯৮৪ সালের আগস্ট মাসে অন্য একদিন ইহুদীরা তদানীন্তন ইসরাইলী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ বোজের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে মসজিদের আঙিনায় ইসরাইলী পতাকা উত্তোলন করে। এর তিন সপ্তাহ আগেও তারা একবার পতাকা উত্তোলন করেছিল। কিন্তু জেরুজালেমের ইসলামী কাউন্সিলের প্রতিবাদের মুখে তারা তা নামাতে বাধ্য হয় ।

১৯৮৪ সালের ৭ই আগস্ট ইহুদী হাখাম আন্দোলনের নেতা মায়ের কাহানা মসজিদে আকসাকে অপবিত্র করার চেষ্টা করে। সে মসজিদের একটি দরজায় ইসরাইলী পতাকা উত্তোলন করে। দ্বিতীয় হাইকাল ধ্বংসের স্মরণে সেদিন হাজার হাজার ইহুদী প্রার্থনা জানায়।

১৯৮৪ সালের ৯ই আগস্ট ইসরাইল কর্তৃক মসজিদে আকসার কাছে একটি জেলখানা তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। মসজিদের কাছে জেলখানা তৈরির উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আর সেটা হল, মসজিদের মুসলিম মুসল্লীদেরকে তাতে আটক রাখা।

১৯৮৪ সালের ২৭শে আগস্ট জেরুজালেমের একটি গর্তে বিপুল পরিমাণ গোপন অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পূর্বে জেরুজালেমের একটি স্থানে চরমপন্থী এক দল ইহুদী ঐ সকল অস্ত্র গোপন রাখে। একজন মুসলিম পথচারী তা দেখতে পান। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ঐ গোপন অস্ত্রের মওজুদ গড়ে তোলা হয় ।

১৯৮৪ সালের ২৮শে আগস্ট বিস্ফোরণের মাধ্যমে মসজিদে আকসা ধ্বংসের চেষ্টার দায়ে একজন ইসরাইলী ছাত্রকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাকে মুক্ত করার চেষ্টা চলতে থাকে ।

১৯৮৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর একদল সশস্ত্র ইহুদী মসজিদে আকসার আঙিনায় বোমা রাখে। মসজিদ রক্ষীরা তা দেখতে পেয়ে তার কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। পরের দিন এর প্রতিবাদে গোটা জেরুজালেম হরতাল পালন করা হয়।

১৯৮৫ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ইসরাইলী নেসেটের ২০ জন সদস্য হাখাম ইলিআজের ফালদামের নেতৃত্বে মসজিদে আকসায় প্রবেশ করে মসজিদের অপবিত্রতা সাধন করে ।

১৯৮৬ সালের ৯ই জানুয়ারী ইসরাইলী সেনাবাহিনীর সীমান্ত রক্ষীবাহিনী মসজিদে আকসা এলাকায় সান্ধ্য আইন জারী করে। ইসরাইলী নেসেটের আভ্যন্তরীণ কমিটির ৮ সদস্যসহ আরো কিছু নেসেট সদস্য এবং টেলিভিশনের ফটোগ্রাফার মসজিদে আকসায় প্রবেশ করে। মসজিদের রক্ষীরা বাধা দিলে তাদেরকেসহ কিছু মুসল্লীকে আটক করে এবং ইসরাইলী বাহিনী মুসল্লীদের উপর কাঁদানে গ্যাস ও গোলা নিক্ষেপ করে। ফলে ১৬ জন মুসল্লী আহত হয় । মসজিদে আকসায় প্রবেশের জন্য এটাই হচ্ছে সরকারীভাবে প্ৰথম প্ৰচেষ্টা ।

১৯৮৬ সালের ৩রা এপ্রিল ইসরাইলী পুলিশ জোরপূর্বক মসজিদের একটি দরজা তুলে ফেলে। মসজিদ-রক্ষীরা রাত্রে ইহুদীদের অনুপ্রবেশ বন্ধের উদ্দেশ্যে এ দরজাটি নির্মাণ করেছিলেন।

১৯৮৬ সালের ২শে এপ্রিল 'ওমানা জাবাল আল-বাইত' ইহুদী সংস্থার একদল লোক মসজিদে আকসায় অনুপ্রবেশ করে এবং জরশন স্যালমনের নেতৃত্বে প্রার্থনা করে ।

১৯৮৬ সালের ৬ই জুন জোশ ইমুনিয়ামের ৩ জন সদস্য মসজিদে আকসায় অনুপ্রবেশ করে।

১৯৮৬ সালের ২১শে আগস্ট ওমানা জাবাল আল-বাইত এবং হাতহিয়া সংস্থার লোকেরা ইসরাইলী পুলিশের সহায়তায় মসজিদে প্রবেশ করে এবং মুসলমানদের ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে ইহুদী প্রার্থনা জানায় ।

১৯৮৭ সালের ৪ঠা আগস্ট ৩ জন ইহুদী মসজিদে আকসায় বিস্ফোরণ ঘটানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালায় ।

১৯৮৮ সালের ১৫ই জানুয়ারী ইসরাইলী বাহিনী মসজিদে আকসায় গুলী চালিয়ে ২৮ জন মুসল্লীকে হত্যা করে এবং ১১৫ ব্যক্তিকে আহত করে ।

১৯৮৯ সালের ১৭ই মার্চ মুসলিম রক্ষীরা মসজিদের ভেতর কতগুলো বোমা দেখতে পায়। একটি ইহুদী সংস্থা মসজিদ ধ্বংসের জন্য ঐ বোমাগুলোকে ভেতরে রেখে দেয় ।

১৯৮৯ সালের ১৭ই অক্টোবর ওমানা হাইকাল সংস্থার লোকেরা মসজিদের গেইটের কাছে ৩য় হাইকালের ভিত্তি স্থাপন করে এবং ভিত্তিতে ৩.৫ টন ওজনের পাথর লাগায়। দলের নেতা জরশন স্যালমন বলেন, “হাইকালের ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। আজ ইসলামের জবরদখলের অবসান হল এবং ইহুদীদের মুক্তির নতুন যুগের সূচনা হল।” 

১৯৯০ সালের ৮ই অক্টোবর মসজিদের মুসলিম মুসল্লীরা ইহুদীদেরকে প্রবেশে বাধা দিলে ইসরাইলী সেনাবাহিনী তাদের উপর গুলী চালায়। ফলে ২০ জন মুসলমান শহীদ ও ১০০ জন আহত হয়।

১৯৯১ সালে শেষার্ধে পূর্ব জেরুজালেমের সালওয়ান এলাকায় ৬টি মুসলিম পরিবারকে বিতাড়িত করা হয় এবং সেগুলোতে পরে বিদেশাগত ইহুদীদেরকে পুনর্বাসন করা হয় ।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url