গাজা যুদ্ধের সর্বশেষ খবরাখবর এবং নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরাইলে লক্ষ মানুষের বিক্ষোভ

তেল আবিবে পুলিশ-বিক্ষোকারী সংঘর্ষ

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ



ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছে। নেতানিয়াহুর পদত্যাগের পাশাপাশি তারা আগাম নির্বাচন ও গাজা থেকে বন্দীদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যখন ইহুদিবাদী সেনারা ভয়াবহ আগ্রাসনে লিপ্ত এবং হামাসকে নির্মূল করা ছাড়া কোনমতেই নেতানিয়াহু এই যুদ্ধ বন্ধ করবে না বলে যখন অনড় অবস্থান গ্রহণ করেছে তখন তার পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল হলো। গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে এখনো একশ’র বেশি ইসরাইলি বন্দী রয়েছে।

ইসরাইলের প্রভাবশালী পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনথ জানিয়েছে, কাপলান স্কয়ার থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করেছে। এ সময় পুলিশ সমাবেশকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে এবং বিক্ষোভকারীরা যে সমস্ত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হয়েছিল সেগুলো কেড়ে নেয়। পুলিশের সাথে বেশ কিছু বিক্ষোভকারীর হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়।
তেল আবিবের সমাবেশে অংশ নেয়া লোকজন এখনই নেতানিয়াহুর পদত্যাগ এবং নির্বাচন দিতে হবে বলে স্লোগান দেয়। তেল আবিব ছাড়াও জেরুজালেম, হাইফা, সিজারিয়া, কেফার সাভা, রেহভোত এবং বীরশেবা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ সমাবেশেও হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।


গাজায় সহিংসতার প্রতিশোধ নিতে

ইরাক ও সিরিয়ায় আমেরিকার ৫ ঘাঁটিতে হামলা



ইরাকের প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা সিরিয়া এবং ইরাকের ভেতরে পাঁচটি মার্কিন ঘাঁটিতে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতি মার্কিন সরকার যে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে তার প্রতিবাদে এই হামলা হলো।

ইরাকের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইরাকের সাবেরিন নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, আজ (রোববার) সকালে সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলীয় হাসাকা প্রদেশে আল-সাদ্দাদি এলাকায় অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি।

এর আগে হাসাকে প্রদেশের খিরবাত আদনান গ্রাম ও জর্দান সীমান্তবর্তী রুকবান এলাকায় দখলদার মার্কিন সেনাদের একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি কম্ব্যাট ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট এক বিবৃতিতে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।

আরেকটি আলাদা বিবৃতিতে পপুলার ইউনিট জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আজ-জাওয়ার প্রদেশের কনকো গ্যাস ফিল্ডের কাছে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া, ইরাকের আল-আনবার প্রদেশে অবস্থিত আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।


মহাকাশ গবেষণায় ইরানের আরো অগ্রগতি

একদিনে কক্ষপথে ৩ স্যাটেলাইট পাঠালো ইরান



ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সফলতার সাথে আরো তিনটি নতুন স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে। এসব স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠ থেকে কমপক্ষে ৪৫০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ১১০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করবে।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ (রোববার) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মাহদা, কেইহান-টু এবং হাতেফ-ওয়ান স্যাটেলাইট সেমনান প্রদেশের ইমাম খোমেনী স্পেস লঞ্চ টার্মিনাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব স্যাটেলাইট মহাকাশের দিকে বহন করে নিয়ে যায় ইরানের তৈরি সিমোর্গ বা ফিনিক্স নামের রকেট।

মাহদা স্যাটেলাইট হচ্ছে একটি গবেষণা স্যাটেলাইট যার নকশা, অ্যাসেম্বল ও পরীক্ষা করেছে ইরানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। এই স্যাটেলাইটের ওজন ৩২ কিলোগ্রাম, এটি একটি হাল্কা ওজনের স্যাটেলাইট যা উন্নত স্যাটেলাইট সাবসিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

মাহদা স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ হলো কম উচ্চতায় স্পেস কার্গোর একাধিক ইনজেকশনে সিমোর্গ লঞ্চারের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা, সেইসাথে নতুন ডিজাইন এবং মহাকাশে দেশীয় প্রযুক্তি কতটা নির্ভরযোগ্য তা মূল্যায়ন করা।

কেইহান-টু এবং হাতেফ-ওয়ান ন্যানো স্যাটেলাইটও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা ইরান ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে উৎক্ষেপণের জন্য নকশা ও তৈরি করা হয়েছে। দুটিই ১০ কিলোগ্রামের কম ওজনের কিউবিক ন্যানো-স্যাটেলাইট।


সম্পর্কে টানাপড়েনের অবসান

তেহরান-ইসলামাবাদ সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূত্রপাত


ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের স্বল্পমেয়াদী টানাপড়েনের পর পুনরায় দু'দেশের রাষ্ট্রদূতগণ নিজ নিজ মিশনে ফিরেছেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালক সাইয়েদ রসুলে মুসাভি দু'দেশের রাষ্ট্রদূতের কাজে ফেরার পর পাক-ইরান বন্ধুত্ব জোরদারে গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন: দু'দেশেরই জনগণ ও কর্মকর্তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর ইরানের বেশ কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্টে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তান বলেছে ওই সীমান্ত পয়েন্টগুলো ছিল পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের আখড়া। হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় দু'দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ওপর ধোঁয়াশার ছায়া পড়ে। তবে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশদুটোর কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে উত্তেজনা বৃদ্ধি ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামাবাদ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উত্তেজনা কমাতে তেহরানের সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দেয়। এছাড়াও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে আগামিকাল সোমবার ২৯ জানুয়ারী পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানায়।

দু'দেশের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে কার্যকর তৎপরতা সত্ত্বেও যে বিষয়টি গুরুত্বের দাবি রাখে তা হলো সীমান্ত সন্ত্রাস দমনে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা এবং নিরাপত্তা চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়া একান্ত প্রয়োজন। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সঙ্গে যতবারই ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে তার কারণ ছিল পাকিস্তান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের অবস্থান এবং সেখান থেকে ইরানে সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনার ঘটনা।

এ কারণেই ইরান বারবার পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সন্ত্রাসী ঘাঁটি এবং বিদেশি মদদে তাদের তৎপরতার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জবাবে পাকিস্তানও ওই উদ্বেগ নিরসনে দু'দেশের মধ্যকার সামরিক ও নিরাপত্তা চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে আন্তরিকতার ওপর জোর দিয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি ইরানের সঙ্গে তার দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ইসলামাবাদ সফর বন্ধুপ্রতিম দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা জোরদারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। পাকিস্তানি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ ব্যাপারে লিখেছে: সাম্প্রতিক ঘটনার পর পাকিস্তান ইরানের সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারেও ইরানের সঙ্গে নতুন করে কাজ করে যেতে ইচ্ছুক ইসলামাবাদ। সুতরাং দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূত্রপাত হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।


ইরানি কমান্ডারের বক্তব্য

দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হবে হোভারক্রাফ্ট



ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহারাম ইরানি বলেছেন, তার বাহিনী দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হোভারক্রাফটকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করবে। দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

শাহরাম ইরানি বলেন, দেশের নৌবাহিনীর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- নিজেদের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ  লক্ষ্যে ইরানি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নৌবহরের জাহাজ ও জলযানগুলোকে নতুনভাবে সংস্কার এবং অস্ত্রসজ্জিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গত বছরের দীর্ঘ সমুদ্র অভিযানের কথা উল্লেখ করে শাহরাম ইরানি বলেন, এই অভিযানের মধ্যদিয়ে ইরানের সরকার এবং জনগণের শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। গত বছরের ১৮ই মে দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা শেষে ইরানি বহর বন্দর আব্বাসে ফিরে আসে। ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি দিনা ডেস্ট্রয়ার এবং মাকরান ফরওয়ার্ড বেইজ শিপ ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল।

ইরানি নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, কিছুদিনের মধ্যে নতুন কিছু হোভারক্রাফট তার বাহিনীতে যুক্ত হবে যাতে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। তিনি দ্বৈত-লক্ষ্যের টর্পেডো তৈরির প্রশংসা করে বলেন, এই ধরনের যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য শিগগিরি প্রদর্শন করা হবে।


লেবাননের গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ

ইয়েমেনি হামলার শিকার ব্রিটিশ জাহাজটি ইসরাইলে যাচ্ছিল


শুক্রবার রাতে এডেন উপসাগরে ইয়েমেনি হামলার শিকার ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারটি ইসরাইলের জন্য বিমানের জ্বালানি বহন করছিল বলে লেবাননের একটি গণমাধ্যম খবর দিয়েছে। একাধিক ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাত দিয়ে বৈরুত-ভিত্তিক আল-মায়াদিন নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ইয়েমেনের নৌবাহিনী যে ব্রিটিশ জাহাজে হামলা চালিয়েছে সেটি গ্রিসে নয় বরং ইসরাইলে যাচ্ছিল। 

সূত্রগুলো বলেছে, দুটি মার্কিন ও ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ওই তেল ট্যাংকারটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল। কিন্তু ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ট্যাংকারটি কাছে এসে হামলা শুরু করলে মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলো ট্যাংকারটিকে ফেলে পালিয়ে যায়।

কোনো কোনো সূত্র দাবি করেছিল যে, ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারটি গ্রিসের জন্য জ্বালানি বহন করছিল।

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিদ সারি শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তারা এডেন উপসাগরে উপযুক্ত নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার মার্টিন লুয়ান্ডায় হামলা চালিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি ট্যাংকারটিতে আঘাত হানে এবং এটিতে আগুন ধরে যায়।

সারি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা অভিযান বন্ধ এবং ওই উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ অবারিত না করা পর্যন্ত তাদের এ হামলা চলতে থাকবে।

ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের সমর্থিত সরকার গত নভেম্বর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি ভয়াবহ গণহত্যার জবাবে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে ইসরাইলি মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী হুথিদের অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর ইয়েমেনের সেনাবাহিনী হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।


লেলিনগ্রাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্মরণসভা

চিরদিনের জন্য নাৎসিবাদ মুছে ফেলার অঙ্গীকার করলেন পুতিন


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, আধুনিককালের নাৎসিবাদকে তিনি পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য মুছে ফেলবেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেন এবং বালটিক প্রজাতন্ত্রগুলো হিটলারের নাৎসিবাদী নীতি ও আদর্শ গ্রহণ করেছে।

গতকাল (শনিবার) লেলিনগ্রাদ অঞ্চলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসিবাদী বাহিনীর হাতে সোভিয়েত নাগরিকদের হত্যার স্মরণ সভায় পুতিন একথা বলেন। তিনি বলেন, "আজকাল নুরেমবার্গ ট্রায়ালের ফলাফল কার্যকরভাবে বদলে দেয়া হচ্ছে।" কিছু দেশ ইতিহাসের পুনর্লিখন এবং নাৎসীবাদকে রংচং লাগিয়ে হিটলারি আদর্শ এবং পদ্ধতিতে নিজেদেরকে সজ্জিত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় পুতিন বালটিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশের কথা উল্লেখ করেন যারা রুশভাষী সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। বৃদ্ধ, মহিলা এবং শিশুদের "বর্বর গোলাবর্ষণের" শিকারে পরিণত করার জন্য ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, "কিয়েভ সরকার হিটলারের সহযোগী এসএস সদস্যদের শক্তিশালী করছে এবং যারা নাৎসিবাদকে প্রতিহত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেয়। 

প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতে, "ইউরোপের অনেকগুলো দেশে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে রুশভীতিকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। পুতিন প্রতিশ্রুতি দেন, ভালোর জন্য নাৎসীবাদকে নির্মূল করতে তার সরকার সবকিছুই করবে।

💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url