দ্বীনি জিজ্ঞাসা ও জবাব | ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব - ১২)


নবী নুরের না মাটির তৈরি?


প্রশ্ন-১০১: নবী নুরের তৈরি না মাটির তৈরি, এটা নিয়ে আমাদের এলাকায় একটা গ্যাঞ্জাম হয়েছিল । এটা সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন উপকৃত হতাম।

উত্তর: এই বিতর্কটা তৈরিই করা হয়েছে আমাদেরকে আসল জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কিসের তৈরি এটা কুরআন কারীমে কোথাও নেই । কোনো হাদীসে কোথাও নেই যে উনি নুরের তৈরি । তবে কুরআন কারীমে বারবার বলা হয়েছে তিনি মানুষ । আর মানুষ মাটির তৈরি এটা আমরা জানি । তো সর্বাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নুর, তাঁর ভেতরে হেদায়াতের নুর ছিল, নবুওয়াতের নুর ছিল- সবই ঠিক আছে । তাঁকে নুরের তৈরি বানালে কোনো মান বাড়বে এমন তো না! কারণ, ফেরেশতারা নুরের তৈরি ছিলেন, আদম আ. মাটির তৈরি ছিলেন । আদম আ.কে তাঁরা সেজদা করেছেন। নুরের তৈরি হলে মর্যাদা বাড়ে, এই চিন্তাটাই বিভ্রান্তিকর । আল্লাহ হেফাজত করেন ।

মেয়েদের জন্য চাকরি করা কি জায়েয?


প্রশ্ন-১০২: মেয়েদের জন্য চাকরি করা জায়েয আছে কি না জানতে চাই ।

উত্তর: সাধারণভাবে বলতে পারি, মেয়েদের জন্য চাকরি করা অবশ্যই বৈধ । তবে দুটো বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে। একটা হল, নারী প্রকৃতিকে বজায় রাখতে হবে । আরেকটা হল, দীনকে সংরক্ষণ করতে হবে । ইসলাম কর্ম করতে গিয়ে নারীকে পুরুষ হতে বলে না, পুরুষকে নারী হতে বলে না । কারণ, নারী পুরুষের প্রকৃতিগত ভিন্নতা সংরক্ষণের উপরে নির্ভর করে এই মানব সভ্যতার সংরক্ষণ । কাজেই যে কর্ম নারীকে পুরুষ করে তোলে বা পুরুষালি করে তোলে, তার নারী প্রকৃতি নষ্ট করে- এই কর্ম ইসলাম উৎসাহ দেয় না । আপত্তি করে । আর পর্দা, শালীনতা বজায় রাখতে হবে । এই দুটো জিনিস বজায় রেখে নারী কর্ম করতে পারবেন । বৈধতা রয়েছে । তবে ইসলাম চায় যে পুরুষেরা কর্মের দায়িত্ব পালন করুক । নারীরা স্বাধীন থাকুক । প্রয়োজনে কর্ম করবে নইলে তাদের অর্থনৈতিক দায়ভার স্বামী বহন করবেন। এতে নারীদের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংরক্ষণ করা, প্রতিপালন করা, তাদের পেছনে সময় দেয়া অনেক সহজ হয় । 

রমাযান মাসে কবরের আযাব 

প্রশ্ন-১০৩: রমাযান মাসে কবরবাসীর কবরের আযাব কি বন্ধ থাকে?

উত্তর: কোনো হাদীসে আমরা এ রকম পাচ্ছি না । রমাযান মাসে আল্লাহ গোনাহ মাফ করেন, রমাযান মাসে জীবিত-মৃত অগণিত মুসলিমকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন- এগুলো সব সহীহ; হাদীসে পাওয়া যায়। কিন্তু রমাযানে কবরের আযাব মাফ থাকে অথবা রমাযানে মৃত্যুবরণ করলে কবরের আযাব হয় না- এই রকম কোনো হাদীস নেই । তবে নেক আমলরত অবস্থায় মৃত্যু, এটা ভালো। যেমন একজন রোযা রাখা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন, ইবাদতের ভেতরে ছিলেন- এটা ভালো। তবে রমাযানে মৃত্যুবরণ করলে অথবা রমাযান মাসে কবরের আযাব হয় না, এই মর্মে কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য দুর্বল হাদীস আমাদের নজরে পড়ে নি ।

রমাযান মাসের আমলের ফজিলত


প্রশ্ন-১০৪: রমাযান মাসে যারা রোযা রাখে এবং ঠিকমতো তারাবীহ নামায পড়ে তাদেরকে নাকি আল্লাহ নিষ্পাপ করে দেন। এটা কি সবার জন্য প্রযোজ্য?

উত্তর: বিভিন্ন হাদীসে এসেছে যে, অমুক আমল করলে আল্লাহ গোনাহ মাফ করে দেন । এটার অর্থ এই নয় যে সকল গোনাহ। কিছু গোনাহ আছে যা সহজে মাফের যোগ্য । আর কিছু গোনাহ আছে, অন্যান্য হাদীসে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, তাওবা ছাড়া এগুলো মাফ হয় না । কিছু গোনাহ রয়েছে তাওবা করলেও মাফ হবে না । তাওবার শর্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে । তাহলে পাপ আমরা কয়েক ক্যাটাগরির করতে পারি। মহা কবীরা গোনাহ, সেগুলো তাওবার মাধ্যমে মাফ হয়। সাধারণ ছোটখাটো গোনাহগুলো বিনা তাওবায় নেক আমলের মাধ্যমে মাফ হয় । আর মানুষের অধিকার সম্পর্কিত যে পাপ রয়েছে- খুন করেছেন, মানুষের টাকা কেড়ে নিয়েছেন, লুট করেছেন, চাঁদাবাজি করেছেন, যৌতুক নিয়েছেন, গীবত করেছেন, সম্মান নষ্ট করেছেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন- এই গোনাহগুলো শুধু আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইলেই মাফ হয় না। ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা পাওয়ার একটা শর্ত হল, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হক ফিরিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে ক্ষমা নেয়া। কাজেই যখন আমরা বলি যে, রোযা রাখলে, তারাবীহ পড়লে অথবা কিয়ামুল লাইল করলে আল্লাহ গোনাহ মাফ করে দেন- এটার অর্থ সাধারণ মাফযোগ্য সগীরা গোনাহগুলো আল্লাহ মাফ করে দেন ।

রোযা রেখে বদনাম বা গিবত করা


প্রশ্ন-১০৫: রোযা রেখে কেউ যদি বদনাম করে তাহলে তার কী ধরনের গোনাহ হবে?

উত্তর: বদনাম বলতে গীবত। অনুপস্থিত ব্যক্তির বিষয়ে এমন কথা বলা, এমন অশালীন কটূ মন্তব্য করা- যেটা সে জানলে কষ্ট পাবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, গীবত হল কারো বিষয়ে তার অনুপস্থিতিতে এমন কিছু বলা যেটা তার কানে গেলে সে কষ্ট পাবে । যদিও সেটা সত্য হয় । এই গীবতকে আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া বলেছেনঃ

أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ

তোমরা কি চাও মৃত ভাইয়ের গোশত খাবে? এটা ঘৃণ্য কাজ (সূরা হুজুরাত, আয়াত- ১২)। ঠিক তেমনি গীবত করা, অনুপস্থিত ব্যক্তির বদনাম করা, এটা মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া। এখন আপনি কল্পনা করেন, হালাল টাকা দিয়ে হালাল গরু জবাই করে ঘরে রান্না করে রেখেছেন। রোযার চেতনায় আপনি ক্ষুধার্ত হওয়া সত্ত্বেও খাচ্ছেন না । কিন্তু আপনি মরা ভাইয়ের গোশত খাচ্ছেন। এটা কত ঘৃণ্য কাজ! এজন্য গীবত করলে রোযার যে স্পিচুয়ালিটি, ছওয়াব, সব নষ্ট হয়ে যায়। তবে যেহেতু তিনি পানাহার থেকে এবং কামাচার থেকে বিরত থেকেছেন তাই ফরযটা আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু ছওয়াব এবং সকল রকমের বরকত থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন ।

তারাবীহর নামাযের প্রতি চার রাকআতের পর দুআ


প্রশ্ন-১০৬: আপনি অন্য এক জায়গায় বলেছিলেন, তারাবীহর নামাযের প্রতি চার রাকআতের পর যে দুআটা পড়া হয়, সেটা নাকি ঠিক নয় । কিন্তু সবাই তো এই দুআটা পড়ে । এখন আমি যদি না পড়ি তাহলে কি আমার গোনাহ হবে?

উত্তর: আমরা সব জায়গায়ই ফাঁকি দিচ্ছি । সাহাবিদের শেষ যুগে, তাবেয়িদের যুগে তারাবীহ পড় হতো ইশারা পর থেকে অর্থাৎ রাত আটটা ন'টা থেকে সাহরি পর্যন্ত। তাঁদের চার রাকআত সালাত আদায় করতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যেত। এ জন্য চার রাকআত পড়ে একটু বিশ্রাম করতেন। এই বিশ্রামের সময় কোনো দুআ নেই । কারণ, বিশ্রাম তো রাসূলের (সাঃ) যুগে ছিলই না। কাজেই দুআ আসবে কী করে! সাহাবিরাও কোনো দুআ করতেন না এবং কোনো ফিকহের কিতাবেও দুআ লেখা নেই । আমরা যে দুআগুলো পড়ি, এগুলো অনেক পরের মানুষেরা বানিয়েছেন । মাসনুন কোনো দুআই না এগুলো। তাই এই সময় যদি বিশ্রাম করা হয়, আপনারা দুরুদ শরীফ পড়েন, তাসবীহ তাহলীল করেন, কুরআন তিলাওয়াত করেন, সূরা ইখলাস পড়েন। সহীহ হাদীস- মুসনাদে আহমাদের হাদীস- কেউ যদি দশ বার সূরা ইখলাস পড়ে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটা বাড়ি বানিয়ে রাখবেন । কাজেই ইমাম সাহেব যদি বিশ্রাম করেনই, আপনি দশ বার সূরা ইখলাস পড়েন। এটা বরং সুন্নাহসম্মত একটা নেক আমল। যদিও তারাবীহর এই সময় এটা পড়তে হবে, এটা নির্ধারিত নয় । তবে একটা ভালো নেক আমল ।

ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে মাসে মাসে লভ্যাংশ গ্রহণ


প্রশ্ন-১০৭: আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক। চাকরি শেষে উনি যে টাকা পেয়েছেন, ইসলামী ব্যাংকে রেখেছেন। ইসলামী ব্যাংক মাসে মাসে যে টাকা দেয়, ওটা কি আমরা পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতে পারব?

উত্তর: প্রথমেই আপনাকে বলব, আপনি আপনার বৃদ্ধ পিতার টাকা দিয়ে সংসার চালাবেন, আপনারা কী করলেন? ইসলাম বৃদ্ধ পিতামাতাকে খাওয়ানো সন্তানের উপর ফরয করেছে। পিতামাতার যাবতীয় খরচ আপনাদের উপর ফরয। কাজেই পিতার টাকা দিয়ে কেন আপনি সংসার চালাবেন! আপনারা আয় করে পিতামাতাকে খাওয়াবেন এটাই তো সন্তানের গৌরব। দ্বিতীয় কথা হল, ব্যাংকব্যবস্থা সুদভিত্তিক । তবে ইসলামি ব্যাংকিং যারা চালু করেছেন, তাদের যে ব্যবস্থাপনা-মূলনীতি এটা শরীআহভিত্তিক । তারা প্রচলিত আইনের ভেতরে থেকেই সুদকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন । কাগজে কলমে এগুলো ঠিক আছে। কাজেই যারা বাধ্য হন, তারা ইসলামী ব্যাংকের সাথে লেনদেন করতে পারেন, লভ্যাংশ ব্যবহার করতে পারেন । তবে এর দ্বারা প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকিংকে আমরা ষোলো আনা পারফেক্ট বলতে পারব না । তাদের নিজেদের লেনদেনে ভুল আছে । তবে এই ভুলের জন্য সাধারণ গ্রাহক, বিশেষ করে যারা রিটায়ার্ডমেন্টে গিয়েছেন, টাকা রাখার কোনো জায়গা নেই, তারা দায়ি হবেন না। হালালের ভেতরে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আমি একজন চাল ব্যবসায়ীকে টাকা দিতে পারি। হিরোইন ব্যবসায়ীকে টাকা দিতে পারি না। চাল ব্যবসায়ী যদি ওজনে কম দেন আর আমি যদি না জানি, বা জেনেও কিছু করার না থাকে, ইনশাআল্লাহ আমি দায়ি হব না। কাজেই এই ধরনের ব্যাংক, যারা ইসলামি শরীআত মানার চেষ্টা করেন, মোটামুটি প্রমাণিত, সুদকে এ্যাভয়েড করছেন, তাদের সাথে লেনদেন করতে পারি। তাদের দেয়া লভ্যাংশ আমরা নিতে পারি ইনশাআল্লাহ । 

ইসলামে টেস্টটিউব বেবি


প্রশ্ন-১০৮: টেস্টটিউব বেবির ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

উত্তর: মায়ের গর্ভধারণে জটিলতা থাকলে টেস্টটিউব ব্যবহার বৈধ। এটা বর্তমান যুগের সকল আলেম বৈধ বলেছেন। তবে যদি এমন হয়, পিতামাতা ভিন্ন, অন্য কারোর শুক্রাণু ডিম্বাণু গ্রহণ করতে হয়; এটা বৈধ নয়। পিতা এবং মাতার শুক্রাণু ডিম্বাণু এটা টেস্টটিউবে রেখে পরে মায়ের গর্ভে রাখলে এটা বৈধ । এক্ষেত্রে পিতৃত্বের পরিচয় মাতৃত্বের পরিচয় সবই ঠিক থাকে। শুধু গর্ভধারণের জন্য একটা পর্যায় পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। কিন্তু অন্যের শুক্রাণু কিংবা অন্যের ডিম্বাণু বা অন্যের জরায়ু ব্যবহার শরীআতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, হারাম। এতে জন্ম নিয়ে ছেলেখেলা করা হয় । পিতৃপরিচয় এবং রক্তের সম্পর্ক সবই নষ্ট হয়ে যায় ।

সাহরির সময় জাগতে না পারলে করণীয়


প্রশ্ন-১০৯: আমি সাহরির সময় জাগতে না পারায় রোযা রাখি নি। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?

উত্তর: আপনি কাজটা খুবই অন্যায় করেছেন । আমাদের ধারণা- সাহরি না খেলে রোযা হয়। না । এটা একেবারেই ভুল ধারণা। আবার তারাবীহ না পড়লে রোযা হয় না । এটাও ভুল কথা। সাহরি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইবাদত। ছওয়াবের কাজ। কেউ যদি মনে করে সাহরি না খেলে রোযা বেশি ভালো হয়, এটা পাপ। কিন্তু কোনো কারণে সাহরি খেতে পারেন নি, এর জন্য রোযার কোনো ক্ষতি নেই । আপনি যে কাজটা করেছেন, খুবই অন্যায় করেছেন । তাওবা করবেন । একটা রোযা আপনি কাযা করবেন । এর বেশি আর কিছু করা লাগবে না । তবে ভবিষ্যতে যেন আমরা এমন কিছু না করি ।

বামদিক থেকে ইকামত দেয়া বৈধ নয়


প্রশ্ন-১১০: আমরা একটা বাসায় ওয়াক্তিয়া নামায পড়ি। তো মাঝে মাঝে বামদিক থেকে ইকামত দেয়া হয়। একজন বলছে, বামদিক থেকে ইকামত দেয়া বৈধ নয় । এটা কতটুকু সঠিক?

উত্তর: এটা কুসংস্কার। জ্ঞানের অভাব । সবচে' দুঃখজনক আমরা না জেনে আন্দাজে অনেক মাসআলা বলি। বিষয় হল, যিনি ইকামত দিচ্ছেন, তিনি ডানে-বামে-পেছনে যে কোনো দিক থেকে ইকামত দিতে পারেন । ইসলামে এর কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই যে, যিনি ইকামত দেবেন তাকে ইমামের ডানেই থাকতে হবে বা বামেই থাকতে হবে অথবা পিছনে সরাসরি থাকতে হবে বা দুই কাতার পিছনে হলে অসুবিধা হবে- এমন কোনো নির্ধারণ নেই ।

💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url